বারবার ভিড়ের গিয়ে প্রতিহত
ফিরে আসি, নত
মুখে গৃহ প্রবেশের অনুমতি চাই
নৈঃসঙ্গের কাছে; সকলেই করে নিরিখ, যাচাই-
পাঠায় আমাকে লখিন্দরের বাসরে,
যত বলি ঠাঁই দাও তোমাদের ঘরে,
ওরা তত সরে যেতে থাকে;
আমি ঘুরি একাকী মান্দাসে স্বত্বহীন বাঁকে বাঁকে।
ভর সন্ধ্যায় ফিরি জতুগৃহে, খর
নদী বয় মনের অতল নিচে, আমাকে জর্জর
করছে স্মৃতির কাঁকড়াবিছে, দোটানায় ভাবি-
কারুর কাছেই কোনো দাবি
করা ঠিক নয় আর। বিনাশ্রয়ে যাবে
দিন যাক; ক্ষতি নেই। আপাতত মারাত্মকভাবে
ছেঁটে ফেলা নিসর্গের কাছাকাছি
ষড়জে নিখাদে বাঁচি।
যখন আমার প্রতি ভীষণ দন্তুর শত আক্রমণ তেড়ে
আসে, নিজ ভূমি ছেড়ে
যাই না; খরিদ করি অতি দীনবেশে
ফুল ও চন্দন আমি তাদের উদ্দেশে,
যারা ক্ষিপ্র আমাকে পাঠাতে চায় পাতালে, রৌরবে।
হৃদয় আচ্ছন্ন হয় বিবাগী সৌরভে,
প্রত্যাখ্যানে জতুগৃহে মিশে থাকে কৌশিক কানাড়া;
আমার দুঃখের ভারে নত হয় শুধু পড়শি ফুলের চারা।