আমার চোখের জ্যোতি এখনো যায়নি পুরোপুরি
নিভে, কিন্তু ঘোর অমাবস্যার আভাস কী ভীষণ
গাঢ় হচ্ছে ক্রমাগত। সূর্যোদয়, পূর্ণচন্দ্র, বন,
নক্ষত্রের মেলা সবই মনে হবে অন্ধকার পুরী।
কে তস্কর আমার যা কিছু প্রিয় করে আজ চুরি?
নাতি-নাতনি ও মা’র হাসি আর সুপ্রিয়ার মুখ
আস্তে-আস্তে কেড়ে নিচ্ছে ভয়ঙ্কর চোখের অসুখ;
আদ্য কথা পাবো ব’লে নিরন্তর নিজেকেই খুঁড়ি।
আমি কি নিস্তব্ধ রাতে একা একা মিল্টনের মতো
দৃষ্টিহীন শব্দের নন্দন বনে করবো সন্ধান
অবিনাশী জ্যোতি আর ভোরে জেগে উঠে অপেক্ষায়
থাকবো এমন কারো যে ইএ অক্ষম ভাগ্যহত
কবির অন্তরে উৎসারিত অলিখিত কোনো গান
সফেদ কাগজে ধৈর্য ধ’রে টুকে নেবে মমতায়?
২৪/১/৯৫