আদিবাসী মেয়েটি পাহাড়, নদী, জ্যোৎস্না আর
পেলব আঁধার ছেড়ে এসেছিল এই
ঝলমলে রাজধানী শহরে নিশ্চিত কোনও চাকচিক্য,
অথবা বেয়াড়া বিলাসিতা কিংবা আহ্লাদের
হেতু নয়, এসেছিল শুধু
নিয়মিত দু’মুঠো তণ্ডুল আর একটি কি দু’টি
শাদামাঠা বস্ত্রের তাগিদে। আদিবাসী
মেয়েটির ছিল না মোটেও পরিচয়
হায়, বস্ত্রহরণ অথবা
ধর্ষণ শব্দের সঙ্গে। কয়েকটি শাহরিক নেকড়ে
তাকে ছিঁড়ে খুঁড়ে
কর্কশ আঁধার চিরে পাশব উল্লাসে মেতে ওঠে।
যখন সে, আদিবাসী তরুণীটি, আত্মহননের
অন্ধকারে মুক্তি সন্ধানের
অভিলাষে নিঃসঙ্গ দাঁড়ায়, রাজধানী শহরের
মাথা হেঁট হলো না কি চকিতে নিমেষে? অন্তহীন
অন্ধকার করেনি গ্রহণ ওকে, জীবনের প্রবল সংকেত
আড়মোড়া ভাঙে, শুভ আলোয় মেয়েটি স্নানার্থিনী।