বহু ঝড়ঝাপ্টা তাকে জখম করার
পরেই সে অকস্মাৎ পেয়ে গেল গোধূলিবেলায়
গহন সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত
শান্তি নীড়ঃ প্রত্যাশিত ছিল না বলেই
আনন্দধারায় স্নাত সে কুড়ায় নক্ষত্রের কণা
ধুলো থেকে প্রত্যহ চলার পথে আর
একটি নিজস্ব স্বর্গ গড়ে নেয় গৈরিক মাটিতে
গানে গানে। জগৎ-সংসার তার সহজে আপন হয়ে ওঠে।
কিছুকাল পর প্রতারক এক রাতে
ঘোর অমাবস্যা তাকে ঘিরে ধরে অপদেবতার
চাদরের মতো, মতিচ্ছন্নতায় হঠাৎ সে স্বেচ্ছায় পোড়ায়
নিজের প্রফুল্ল শান্তিনীড় আর ক্রূর লকলকে
আগুনে নিজেও পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
অনন্তর নিভে যাওয়া অঙ্গার এবং ভস্ম থেকে
প্রকৃত হীরক দীপ্ত চোখ মেলে চায়।