সত্তায় নিঝুম গোধূলির প্রলেপ
নিয়ে
নিঃশব্দে পা রাখলাম ঘরে।
তুমি একলা বসেছিলে খাটের
উপর
দেয়ালে পিঠ লাগিয়ে।
নীরবতা কোনো
কোমল প্রাণীর মতো লেহন
করছিলো
তোমার হাত, মুখ, বুক,
নাভিমূল, নিতম্ব আর
পায়ের রাঙা পাতা। মনে
হলো, তুমি
নীরবতার লাল-ঝরানো আদর
বেশ
উপভোগ করছিলে আচার
খাওয়ার ধরনে। আমি
নিস্তব্ধতার জল কেটে এগিয়ে
গেলাম তোমার দিকে।
স্পর্শ করলাম তোমাকে,
যেমন কোনো
সুরসাধক গভীর অনুরাগে
তার বাদ্যযন্ত্রের তার
স্পর্শ করেন অভীষ্ট সুর বাঁধার
জন্যে।
যখন তোমাকে ছুঁই, মনে হয়
এবারই
আমার প্রথম ছোঁয়া। আমার
কেলিপরায়ণ হাত
তোমার হাতের কানে কানে
কী এক গানের নিভৃত কলি
গুন্গুনিয়ে যাত্রা করে স্তনের
দিকে।
আমার মুঠোর ভেতর তোমার
স্তন
পায়রার মতো ছটফট করে
নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্যে।
তোমার ঠোঁটে আমার ঠোঁট,
কখনো আমার জিভ
তোমার মুখের ভেতরে মাছ
হয়, কখনো
তোমার জিভ আমার মুখের
গহ্বরে
অন্ধ পাখির মতো ডানা
ঝাপটায় এবং
আমার ভালোবাসা
সন্তের মতো প্রজ্বলনের বলয়
ভেদ করে
তোমার অস্তিত্বের গভীরতম
প্রদেশে নবীন অতিথি।
সেই মুহূর্তে তোমার শরীরে
ফোটে
প্রথম কদম ফুল, জ্বলজ্বল
করে হাজার তারা;
সেই মুহূর্তে তোমার শরীরে
জ্যোৎস্নাধোয়া আরণ্যক
শোভা। তোমার
শরীর তখন বরফ-গলা নদী।
কী ক’রে দেখাবো
অন্য কাউকে এই অনুপম
দৃশ্য? কাকে বিশ্বাস করাবো
এ-কথা?
দূরের আকাশ, চার দেয়াল,
শয্যার বিস্রস্ত চাদর বুক
শেল্ফ্ এবং
টিভি সেট ছাড়া অন্য কোনো
সাক্ষী নিএ এই গহন
সৌন্দর্যের।