ইমরুল কায়েসের উট মরুভূমি পাড়ি দিয়ে
বেলাশেষে মরুদ্যানে পৌঁছে যায়। কবি পানপাত্র
হাতে নিয়ে মুগ্ধাবেশে ক’ছত্র কবিতা
আবৃত্তি করেন আর রমণীর নেকাব সরিয়ে
রূপের গহনে ডুবে যান। রাত্রিশেষে সদ্যলেখা
কবিতার গুঞ্জরণ জাগে তার মনে। অন্তর্জ্বালা
তার আড়ালেই থাকে, কখনও কখনও
অগ্নিকণা হয়ে জ্বলে কবিতার পঙ্ক্তিতে পঙ্ক্তিতে।
ভাস্কর রোদ্যাঁর হাত নিথর পাথরে নানা ছাঁদে
প্রাণের স্পন্দন আনে। অনন্য সৃজনে
পাথর ভাবুক হয়, ব্রোঞ্জ হয়ে যায়
দুঃখী মানুষের মুখ অন্তরে নাছোড় যন্ত্রণা সর্বক্ষণ
তাড়িয়ে বেড়ায় তাকে; মুক্তি
খোঁজেন ভাস্কর রোদ্যাঁ প্রেমে, কাজে, নিরন্তর কাজে।
হায়, ভ্যানগগের কানের রক্তভেজা ব্যান্ডেজ করুণ ঝুলে
আছে শিকে; শিল্পী ফসলের ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে আছেন,
এক ঝাঁক কাক ওড়ে হলুদ শস্যকে কালো করে।
দুপুরে চড়া রোদে কী এক বেয়াড়া ঘোরে তুলি
প্রবল চলতে থাকে ক্যানভাসে। কী এক যন্ত্রণা
শিল্পীকে উন্নত্ততার সীমানায় নিয়ে যায় আর
কাটাছেঁড়া কানে তার জপায় কুহকী মন্ত্র আত্মহননের।
যন্ত্রণা শিল্পের সঙ্গে নিত্যদিন করে বাসবাস;
কখনও সে ফুঁসে ওঠে কখনও-বা অন্তরালে করে অশ্রুপাত।