ক’বছর আগেকার কথা, সময়টা আমার খারাপই ছিল,
বলা যায়। আমার চৌদিকে কিছু ভাঙা ইট, নুড়ি, চুন বালি
বস্তুত ছড়ানো ছিল ইতস্তত। ধূসরিত হাহাকার আর
মাথায় শূন্যতা নিয়ে ছিলাম নিষ্ক্রিয়। আকাশের নীল রঙ,
কিয়দ্দূর থেকে ভেসে-আসা পাখির কোমল ডাক, বাতাসের
ছোঁয়ায় গাছের পাতাদের নেচে-ওঠা-সব কিছু ব্যর্থ ছিল
তখন আমার কাছে। অন্ধকারে হঠাৎ আলোর মতো তুমি
এসে বলেছিলে , ‘এসো এই ভাঙাচোরা বস্তুগুলো বহুদূরে
সরিয়ে দু’জনের এক অনুপম সৌধ নির্মাণের পরে এর
নাম রাখি প্রেমালয়। অনন্তর তুমি আর আমি শ্রমহীন
শ্রমে পড়ে তুলি সৌধ যুগলবন্দির অলৌকিক সুরে।
কী-যে হয়, সাফল্যের শেষ ধাপে তুমি চকিতে গুটিয়ে নাও
হাত, মুখ ফিরিয়ে ভাঙার প্ররোচনায় তিমিরে যাত্রা করো।
জানো না কি তোমার প্রস্থানে প্রেমালয় নিমেষেই ধসে যাবে
স্খলিত দাঁতের মতো? চৌদিকে পেঁচার ডাক; আকাশ বমন
করে রক্তপুঁজ, অসমাপ্ত সৌধ শেষে পোড়ো বাড়ি হয়ে যাবে।
পোড়ো বাড়ি প্রদীপে সাজাই যদি, ব্যর্থ হবে সব আয়োজন;
চামচিকা, বাদুড়ের ক্রোধে অমাবস্যা নিমেষে আসবে ব্যেপে!