অকথ্য এক অন্ধকারে মগ্ন আমি
খুপরিটাকে আঁকড়ে ধরে;
বাঁচার নেশা অদ্যাবধি বেশ ঝাঁঝালো,
তাই তো টিকি এই শহরে।
জগৎ জুড়ে জোর কলহ চলছে এখন,
উলুখড়ের ঘোর বিপদ।
এরই মধ্যে চায়ের বাটি সামনে রেখে
রাজা উজির করছি বধ।
বুঝতে পারা সহজ তো নয় পাচ্ছি কী-যে
মজা খালের কাদা সেঁচে।
অকথ্য এক অন্ধকারে, স্বীকার করি,
মন্দ-ভালোয় আছি বেঁচে।
জানলা ছেড়ে শীতের কালো সন্ধ্যাবেলা
ফের টেবিলে কথার গানে
মও হয়ে রাত্রি জেগে পদ্য লিখে
বেহুঁশ খুঁজি বাঁচার মানে।
লেখার ফাঁকে ছন্দ মিলের হাতছানিতে
মধ্যপথে খন্দে পড়ি,
রেশমী কোনো শব্দ শুনে ব্যাকুল হয়ে
আবার নতুন ছন্দে নড়ি।
শয্যা ছেড়ে সিঁড়ির ধাপে হঠাৎ থেমে
চড়ুইটাকে ডাকি কাছে।
আমার হাতের নড়া দেখেই লেজ দুলিয়ে
পালায় চড়ুই সজ্নে গাছে।
আমার ওপর ছোট্র পাখির নেই ভরসা,
পালায় দূরে কিরাত ভেবে।
চতুর্দিকে খুনখারাবি আছেই লেগে,
চড়ুইটাকে দোষ কে দেবে?