মেটামরফসিস

কোথায় আমার ডেরা এখন, কেউ কি আমায় দেবে বলে?
খুঁজতে খুঁজতে দিন তো গেল, রাত্রি হিংস্র জন্তু হয়ে
আমায় খুবলে খেতে থাকে। ঝড়ের চোখে কাঁপছে ধমক।
দেখছি এখন ডানে বামে তফাৎ তেমন পাই না খুঁজে।

অন্ধকারে হোঁচট খেতে খেতে ভীষণ দিশেহারা,
সর্পটিকে মালা ভেবে কুড়িয়ে নিয়ে গলায় জড়াই;
কেমন একটা গন্ধ পেয়ে আঁৎকে উঠে ছুড়ি দূরে।
তীক্ষ্ণ কাঁটার ঘায়ে পায়ে রক্ত ঝরে অবিরত।
তবে কি এই রক্তধারা বইবে শুধু? রক্ত-ফোঁটায়
জন্ম নেবে তাজা ক্ষত? চতুর্দিকে ফাঁদ ছড়ানো,
চেনাশোনা মানুষগুলো এক পলকে অচেনা হয়,
দাঁত খিঁচিয়ে তেড়ে আসে, লাঠি মেরে মাথা ফাটায়!

বন্ধুবেশী শক্র থেকে গা বাঁচানো দুরূহ আজ,
কখন কে যে হাসতে হাসতে লুকোনো কোন্‌ অস্ত্র বুকে
দেবে গেঁথে, পাবো না টের। তাছাড়া ঢের অচেনা সব
হননপ্রিয় লোক তো আছেই রাতদুপুরে ঘাপ্‌টি মেরে।
গভীর রাতে একলা হাঁটি চেতনপুরের বিজন পথে-
বইতে থাকে মদির হাওয়া; না-লেখা কোন্‌ পদ্য এসে
আবছা নাচে দৃষ্টিপথে। অর্ফিয়ুসী বংশী শুনি,
আমার সিক্ত ক্ষতগুলো হয় মোহিনী ফুলের কুঁড়ি।
১০.৬.২০০০