খুব রাত করে ফিরে এলে গাঢ় নিশীথের গার্ড
জানায়, সিঁড়িতে বহু ঘণ্টা হাতে একতারা নিয়ে
কে বাউল বসে বসে শেষে
খাঁচার ভিতর
অচিন পাখির গান গাইতে গাইতে নিয়েছেন
সুদূরে বিদায়। পরদিন ফের প্রগাঢ় রাত্তিরে
ফিরে শুনি নৈশপ্রহরীর
নিবিড় বয়ান এক পাঞ্জাবিতে রক্তের প্রখর দাগ নিয়ে
আলাভোলা একজন ধানসিঁড়ি নদীটির তীর,
কলকাতার হন্তারক ট্রামলাইনের চোরা মার
বয়ে নিয়ে ঢের পায়চারি করে মিলিয়ে গেছেন
আখেরে কুয়াশা-সমুদ্দুরে।
অন্যদিন পাহারাদারের হাতঘড়িতে গভীর
রাত্তির, তিনটে বাজে, ফিরে আসি বড়ই নিঃসঙ্গ
বাসার গেটের কাছে। আজ যে অতিথি অপেক্ষার
সূঁচের খোঁচায় ক্রূদ্ধ হয়ে গেলেন রিল্কের অনুবাদগ্রন্থ ভুলে
ফেলে রেখে ভেজা ঘাসে, তিনি সুনিশ্চিত
বদ্ধদের বসু।
এক রাতে প্রগাঢ় প্রহরে নিশীথের
দয়াল প্রহরী জাদুবলে অনুপম নায়ের প্রবীণ মাঝি
হয়ে বৈঠা বেয়ে আমাকে সুদূর
তটের সংকেত দিয়ে সিদ্ধির আলয়ে
নিয়ে যেতে চায়, আমি আখেরে পৌঁছুতে পারি কিনা
হিংস্র ঢেউ উজিয়ে, জানি না; জানবো না কোনওদিন।
১৯.৩.২০০০