তিনজন

জ্যোৎস্নার আদর খেয়ে চিতাবাঘ শোভার ভেতর
নিভৃতে ঘুমায়। অকস্মাৎ খসখস
শব্দে লাফাবার ভঙ্গি রচিত, দু’চোখ
ফস্‌ফরাসের কণা ছড়ায়, আঁধার শিহরণে নববধূ,
পেশী টান টান, জ্যোৎস্না পান করে তার
সমগ্র সততায় মদিরতা জেগে ওঠে, পরিপক্ক নিশীতের
মাংস দাঁতে গেঁথে খুঁজে নেবে
ঝোপের আড়াল, পাবে শব্দ শিকারির হরফের
মমতা এবং বাংলা কবিতার বুকে
চোখের আগুন তার রত্ন দশকের পরপারে।

দুর্ধর্ষ শিকারি কালো বন্দুক উঁচিয়ে ধরে সেই
চলমান ভয়ঙ্কর সৌন্দর্যের দিকে।
কবির কলম বন্দুকের নলটিকে মূক করে
দিতে চায়, গুলির আওয়াজ ফেটে পড়ে, ঘন বন
আর্তনাদ, বিষাদ ভাসতে থাকে জ্যোৎস্নার প্লাবনে,
কলম এবং কবি রক্তস্নাত, শিকারির পদতলে নিঃস্পন্দ, নিথর।