নিমগ্ন তাকিয়ে আছি আকাশের দিকে, নক্ষত্রের
ওপারে কী আছে ভাবি। এই যে এলাম
সব ছেড়ে ছুড়ে
সাত তাড়াতাড়ি,
এতকাল পরে, কী পেলাম? শুধু ফাঁকা
ধু ধু লাগে, যেদিকে তাকাই।
অথচ অভাব নেই কিছুরই এখানে। স্বর্ণাভার
কারুকাজ, দরদালানের ভিড়,
চমৎকার সাজানো দোকানপাট, গাড়ির আওয়াজ,
সেলুন, চা-খানা, লন্ড্রি, লোকজন, রঙিন তামাশা-
সবই আছে।
জানালার বাইরে দাঁড়ানো
সাতটি সুপুরি গাছ, শাদা বাড়ি, বেগনি ফুলের
টব বারান্দায়, কারো স্মিত
অস্তিত্বের ঝিলিক মিলিয়ে যায়, পর্দা, নীল সিল্ক,
দোলে; বায়ুস্তরে
ঢেউ তোলে পাখি
এবং একের পর এক এলেবেলে স্মৃতির জোনাকি। এই
ভোরবেলা, কোন, সোনারুর
সূক্ষ্মবোধে শিল্পিত, হঠাৎ
রাত্রি হয়ে গেল;
আমার আপন অতীতের মুহূর্তগুলিকে আর
ফেলে-আসা পায়রাগুলিকে
যদি কেউ আশীর্বাদ করে,
আমি তাকে দিয়ে যাবো কৃতজ্ঞতাময়
ঘাটে; হায়, এখানে শূন্যতা
ছাড়া কিছু নেই, তবু আসতেই হলো।