কেন এই জেঁকে-বসা জন্তুটিকে ঘাড় থেকে পারি না নামাতে
কিছুতেই? আরশোলা, শুঁয়ো পোকা নয়
ঝেড়ে ফেলে দেবো
অথবা ফড়িং নয় মৃদু টোকা দিয়ে
নিমেষে উড়িয়ে দেবো, যেমন কামিজ থেকে ধুলো।
‘এবার সরিয়ে নাও তুষারের আস্তরণ’, যত
বলি তাকে, তত সে ছড়ায় হিম, এমন নাছোড়
পুরানো ত্র্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে পার্কে, চিড়িয়াখানায়
যাওয়ার বাসনা নুড়ি হ’য়ে প’ড়ে থাকে গৃহকোণে, ট্যাপ খুলে
পানি খাওয়া কিংবা চুলে চিরুনি চালানো,
এমন কি কবিতার বই চেখে দেখা
ক্লেশকর মনে হয়। দরজা না ভেজিয়ে দাঁড়িয়ে
থাকি, বাতি জ্বালাবো কি জ্বালাবো না ভাবি বহুক্ষণ,
যেনবা আটকে আছি ঊর্ণাজালে; এদিক ওদিক নড়াচড়া
সাধ্যাতীত। জন্তুটির মুখোমুখি সোফায় ঝিমানো
চিন্তাহীন, বিছানায় শুয়ে-থাকা আমার নিয়তি?
দুঃস্বপ্ন শাসায় মধ্যরাতে একনায়কের মতো,
আমাকে পোড়ায় জ্বরোভাব নিত্যদিন;
সকল যৌবনগাথা শৌচাগারে খাচ্ছে লুটোপুটি।
জন্তুটি বেজায় জবুথবু, তুব তাকে
কমলালেবুর রস, হরলিক্স দেবো না কখনো। ‘যাও তুমি,
এক্ষুণি বেরিয়ে যাও’, বলি উচ্চস্বরে, অথচ সে
নির্বিকার ব’সে ব’সে লোল ঠোঁট চাটে।
১৩।১১।৯০