কী জমাট অন্ধকার চারদিকে, যেন দাঁত আছে
এই আন্ধারের আজ দাঁতগুলো খুব
সহজেই বসে যেতে পারে আমার বাহুতে, বুকে, চোখে মুখে
অথবা পাঁজরে। মোদ্দা কথা,
এই ভয়ঙ্কর, হিংস্র অন্ধকার খুবলে খুবলে
খেতে পারে আমাকে এবং
এই ঘোর তিমিরের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তা’ ছাড়া আমার
গত্যন্তর নেই।
অভীষ্ঠ গন্তব্যে যদি আমাকে পৌঁছতে হয় তা’ হলে এ-পথ
ছেড়ে অন্য পথ
ধরার জো নেই। জানি, পথের দু’ধার
থেকে যত পাথরই গড়িয়ে
পড়ুক, মেলুক ফণা অগণিত সাপ, ধূলিঝড়ে
দু’চোখ আচ্ছন্ন হোক বারবার, আমাকে এগোতে
হবে সুনিশ্চিত কাঁটাময়
বিভ্রম-ছড়ানো পথে, যদিও ঝরছে দু’পা থেকে
তাজা রক্ত; ওপরে তাকিয়ে দেখি চাঁদে
শুয়ে আছে একজন নারী ধ্রুব সৌন্দর্য ছড়িয়ে
একা, বুকে তার অপরূপ
বাসনা যুগল নীড় বেঁধে আছে, বইছে চুলের স্মিত ঝর্ণাধারা।
হঠাৎ হোঁচট খাই পুরনো পাথরে, বৃশ্চিকের
সুতীব্র দংশনে চোখে পানি এসে পড়ে। আমার ভেতরে আছে
যে অক্লান্ত একরোখা সাধকের নিঝুম স্পন্দন,
তার একতারা
উন্মতাল আমাকে বাজায় নানা সুরে আর জীবনের
মেঘ রৌদ্র পথপ্রান্তে পৌঁছে দিতে অনাবিল রসদ জোগায়।