তাহলে আমি কি শেষ তক কেশো রোগী
হয়ে গেছি, অচিকিৎস, হতাশার কোটরে আবদ্ধ রাত্রিদিন?
দমকে দমকে কফ পিকদানে জমা হয়। কখনো কখনো
ভাবি, এই বুঝি
আমার ভেতরকার সবকিছু আসবে বেরিয়ে,
বাসার সবাই
ভীষণ ভড়কে যাবে, আমি নিজে তাকাবো এমন,
যেমন বিধ্বস্ত ট্রেঞ্জে আহত সৈনিক
দ্যাখে তার নাড়িভুঁড়ি গ্রেনেডের ঝাঁঝালো ধমকে
নির্গত ধোঁয়াটে এলাকায়।
কে এসে বসেছে পাশে? প্রাচীন কালের মিশরের
বন্দনীয় দেবতার মতো দীর্ঘ তার
ধড় মানুষের বটে, মাথাটা জন্তুর। কী-যে বলে
হড় হড় করে সারাক্ষণ,
বুঝি না কিছুই; একজন অতিশয় কৃশকায়,
তোবাড়ানো গাল, হাসে দন্তহীন হাসি, তরুণীকে টানে বুকে,
করে খুনসুটি;
বাজে-পোড়া ডালে ঝোলে বিপন্ন কবির বেশভূষা।
দিনরাত কেশে কেশে ক্লান্ত হয়ে গেছি
অনেক আগেই; মাঝে-মধ্যে মনে হয়,
আমার নাছোড় কাশি প্রায় মৃত এই
শহরকে প্রবল ঝাঁকিয়ে ফের জাগিয়ে তুলতে পারে নাকি?