কাল এবং আগামীকাল

আমার ক্ষণকালীন দাঁড়ানো সিঁড়ির ধাপে
তুমি উপরে কপাট ছুঁয়ে চৌকাঠে পা রেখে
কোথায় স্পন্দমান মুহূর্তগুলো
শূন্যতা ভূতুড়ে কুকুরের মতো চাটে আমাকে

মনে পড়লো তোমার চোখ পথ চলতে
পানির ঝাপটা লাগা দু’টুরো কাচ
শানবাঁধানো ফুটপাতে নয়
হেঁটে যাচ্ছি জলাশয়ের উপর পা ফেলে

ফ্ল্যাটে প্রত্যাবর্তন বিমর্ষ মনে
চার দেয়াল রক্তবমি করে বার বার
বুকশেলফের বুকচেরা দীর্ঘশ্বাস
জানালার পান্ডুর গাল বেয়ে টপটপ অশ্রুপাত

জ্যান্ত কবর দিচ্ছি আবেগকে অলক্ষ্যে
অথচ ছটফটে মনে
কী-যে ঘটে তোমাকে ঘিরে আবেগ জিন্দা আবার
বানাতে শুরু করি তোমার জন্য জ্যোৎস্নার তোরণ

এই মুহূর্তে কেউ কি জানে
তোমাকে ছাড়া কিছুই দেখতে পাচ্ছি না
একবার শুধু একবার এসে দেখে যাও তোমাকে
কীভাবে বেঁধেছি আলিঙ্গনে বুঁদ হ’য়ে তোমার ঘ্রাণে

নিজের সঙ্গে নিজের ফেরেব্বাজি
একে বলা যাবে না
এসো দেখে যাও আমার রক্তের জোয়ারে
তোমার চিৎ সাঁতার ডুবসাঁতার
অসম্ভব তোমার ঠোঁট থেকে
আমার ওষ্ঠ বিচ্ছিন্ন করা
কে আছে এমন তোমার ছায়াকে আমার সত্তা থেকে
নেবে ছিনিয়ে
আবার দ্যাখো আমার উদ্বাস্তু হাত পায় না খুঁজে
তোমার কোমরের বাঁক উরুর মালভূমি
আমার আঙুল তোমার ঝল্‌সে-ওঠা শরীরে সন্ধ্যভাষায়
রোজনামচা লিখতে উন্মুখ
ঈদের চাঁদের মতো তোমার ভুরু
সেই সেতু যেখানে আমার আত্মার নিত্যদিনের
আসা-যাওয়া তোমার হাসি গতকাল
এবং আগামীকালের মধ্যে ঝরন্ত তারা।
৪।৫।৯০