দাঁড়িয়ে ছিলাম শাড়ি আর কনফেকশনারি
দোকানের সামনে। কখন তুমি আসবে? সূর্য ডুব
মেরেছে, যেমন কোনো কান্তিমান
গ্রীক দেবতা গাছগাছালি ঘেরা হ্রদে। হঠাৎ তুমি
সহজ হালকা সাজে এলে সন্ধেবেলা
আমার রক্তে পালতোলা নৌকা ভাসিয়ে।
আমার হৃৎপিণ্ডের
ধুকপুকানি স্তব্ধ হয়ে যেতে পারতো, যখন
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর
তোমাকে দেখলাম ফুটপাতে। নিয়ন-আলো
তোমার সৌন্দর্যের স্তোত্র রচনার
উদ্দেশ্যে এসে লুটিয়ে পড়ছিল তোমার মুখের ওপর।
‘আমার ফেরার তাড়া আছে,’
বললে তুমি রিক্শায় উঠতে উঠতে। একটা বৃশ্চিক
চেপে বসল বুক; তোমার পাশে বসার সুখ
ভেস্তে গেল নিমেষে। আমি কি অন্তহীন কোনো
দুঃস্বপ্নের পথ অতিক্রম করছি?
ভেবেছিলাম, আজ তোমার সঙ্গে কাটাবো
কয়েকটি ঘণ্টা ঘড়ির শাসন
উপেক্ষা করে। আজই কেন আমার প্রত্যাশাকে
জুতোর হিলে চট্কে দিয়ে
ফিরতে হবে তাড়াড়াড়ি?