2 of 3

৮৬. গ্যারেজের ওপর একখানা ঘর

৮৬

গ্যারেজের ওপর একখানা ঘর, কাঠের পার্টিশন করা। সামনে রিসেপশন। ভিতরের ঘরে দুটো কম্পিউটার। এই ঘরেই একটা এয়ারকুলার চলে। ঝুমকির নতুন অফিস। মাইনে তিনশো টাকা। কনফার্মড হলে বাবোশ হওয়ার প্রতিশ্রুতি আছে। কিন্তু অফিসে প্রথম দিনেই ঝুমকি বুঝতে পারছিল, প্রতিশ্রুতি বোধহয় শেষ অবধি রক্ষা করবে না এরা। কারণ একটা রোগা মেয়ে বাসবী তাকে চুপি চুপি বলল, আমি দু’ বছর ‘আছি। মোটে চারশ টাকা পাই।

তবে আছো কেন?

এক্সপিরিয়েন্স গ্যাদার করছি। কিছুদিনের মধ্যেই চাকরি পেয়ে যাবো।

পার্মানেন্ট হওনি এখনও?

ওটা হচ্ছে খুড়োর কল। পার্মানেন্টও হব না, মাইনেও বানোশ টাকায় পৌঁছবে না। দরকার কি বলো? তিনশ-চারশতেই তো আমাদের মতো ছেলেমেয়েদের পেয়ে যাচ্ছে। চলে গেলে সঙ্গে সঙ্গে অন্য একজন ঢুকে পড়ছে। চাকরির বাজার তো জানো।

তুমি চারশতেই দু’ বছর আছো?

আছি। টাকার দরকার ছিল, তাই খুব খাটতাম প্রথম প্রথম। ভাবতাম বুঝি কাজ দেখে খুশি হয়ে তাড়াতাড়ি পার্মানেন্ট করে দেবে। শেষে দেখলাম, খেটেই মরছি, এদের গা নেই।

এক্সপিরিয়েন্স হয়েছে?

কিছুটা। সব সময়ে তো আর মেশিন অপারেট করতে দেয় না, রিসেপশনে বসিয়ে রাখে বা অন্য সব অফিসে লেগ ওয়ার্ক করতে পাঠায়। ছাত্র-ছাত্রীও তত বেশি হয় না। তিনটে শিফটে মেরেকেটে জনা পনেরো। জায়গাও তো নেই।

একটু দমে গেল ঝুমকি। এই চাকরির জন্য সে বাবার সঙ্গে কত ঝগড়া করেছে। বাবা কিছুতেই তাকে চাকরি করতে দিতে চায়নি। সেও করবেই। তাও মাইনের কথা বাবা জানে না। জানলে বোধহয় বাবার আবার হার্ট অ্যাটাক হবে।

কে যে মালিক তা বোঝা মুশকিল। একজন চটপটে স্মার্ট ছোকরা তার ইন্টারভিউ নিয়েছিল। কিন্তু তাকে দেখতে পাচ্ছে না। একজন পেটমোটা যুবক বসে আছে সামনের ঘরে। হেলাফেলার ভাব। তাকে দেখে নড়লও না। জয়েন করতে এসেছে শুনে বলল, বৈঠ যাইয়ে।

পরে কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী এল, তাদের মধ্যে দুজন বেশ বয়স্ক লোকও আছে। কিছুটা শেখাল তাদের বাসবী। প্রথম দিন ঝুমকিকে মেশিন দেওয়া হল না। মেশিনে ছিল আর দুজন পুরুষ ট্রেনার। একজনের নাম শুভ, অন্যজন দেবদত্ত। দেবদত্ত গোমড়ামুখো, কথা-টথা বলে না। শুভ আলাপী না হলেও কথাটথা বলল। জিজ্ঞেস করল, আপনি কি নীডি?

হ্যাঁ, অবশ্যই।

তা হলে এখানে সুবিধে নেই। অবশ্য আপনাকে দেখে নীডি মনে হয় না।

কেন বলুন তো!

এই তো মুশকিলে ফেললেন। চেহারা-টেহারা দেখে আন্দাজ করছি।

ঝুমকি একটু হাসল। বলল, আমার নীডটা আর ক’দিন পরেই দেখা দেবে। আপনাকেও কি এরা কম মাইনে দেয়?

এখানে ম্যাক্সিমাম মাইনে পাই আমি আর দেবদত্ত। তাও ঝুলোঝুলি করে পাঁচশো।

ক’বছর আছেন?

প্রথম থেকে। সাড়ে তিন বছর।

মাত্র পাঁচশো টাকায়?

কী করব বলুন! কম্পিউটারের বাজারটাও স্যাচুরেটেড হয়ে যাচ্ছে। আমরা যা শিখেছি তা যথেষ্ট নয়। হায়ার ট্রেনিং থাকলে ভাল হত।

এখানে ও লেভেল কোর্স আছে?

শুভ হাসল, তাই তো বলে। কিন্তু ওই নামেই ও লেভেল। আপনি তো এসব না জানেন এমন নয়।

ঝুমকি এখনও অনেক কিছু জানে না। সে বলল, মেশিন তো মাত্র দুটো, আমাকে তা হলে কী করতে দেবে এরা?

শুভ হাসল, ঝুলঝাড়নি বা ঝাঁটাও ধরিয়ে দিতে পারে। রাগ করবেন না, প্রথম প্রথম আমাকে আর দেবদত্তকে তাও করতে হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম এরা আমাদের আন্তরিকতার দাম দেবে। দেয়নি।

ঝুমকি বলল, এরা আসলে কারা? মালিক কে বলুন তো!

মধ্যপ্রদেশের লোক। যে আপনার ইন্টারভিউ নিয়েছিল সে হল মালিকের ছেলে। নবীন প্রসাদ। আর এখন যে বসে আছে সে হল নবীনের ভাই যম্‌না

লোক কেমন?

যেরকম দেখছেন সেরকমই। যত তাড়াতাড়ি পারে টাকা কামিয়ে নেওয়ার ধান্দা ছাড়া এরা আর কিছু বোঝে না।

ভারাক্রান্ত মনে সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরল ঝুমকি।

বাবা জিজ্ঞেস করল, কী হল?

ঝুমকি একটু হাসবার চেষ্টা করে বলল, কী আবার হবে? চাকরি করে এলাম।

মনীশ ভ্রূ কুঁচকে বলল, আমি জিজ্ঞেস করছি কনসার্নটা কেমন বুঝলে।

প্রথম দিনেই কি বোঝা যায়? ভালই।

মাইনে কত?

এখনও ঠিক হয়নি। এক মাস যাক তো।

তার মানে কি ওরা মাইনেটা কমিট করছে না? না কি তুই চেপে যাচ্ছিস?

আচ্ছা বাবা, অভিজ্ঞতারও তো একটা প্রয়োজন আছে। প্র্যাক্টিসে না থাকলে যে সব ভুলে যাবো। পয়সা খরচ করে শেখাটাই বৃথা হবে।

এটা শেখারও তোর কোনও দরকার ছিল না। এম এ পাশ করতে পারতি।

লাভ কী বলো!

কিসের লাভ? চাকরির কথা ভেবে পড়াশুনো যারা করে তাদের পড়াশুনোটাও বৃথা। জানার জন্য যদি পড়তি তা হলে তার একটা দাম হত।

আজকাল তো কেউ জানার জন্য পড়ে না বাবা, চাকরির জন্যই পড়ে। জানার দাম আছে ঠিকই। কিন্তু দাম তো কেউ দেয় না।

মনীশ বলল, তোর জন্য আমার টেনশন হচ্ছে। এরা কেমন লোক জানি না, তুই একটা বয়সের মেয়ে, বিপদ হবে না তো!

কেন ভাবছো বাবা? বিপদ এত সহজ নয়। ওখানে আর একটা মেয়ে আছে। জমজমাট অফিস।

মনীশ চুপ করে গেল। মুখে একটুও হাসি নেই।

আজ বাবার সঙ্গে খুনসুটি করল না ঝুমকি, যা সে রোজই একটু করে। আজ সে সোজা নিজের ঘরে চলে গেল এবং ভাবতে বসল। চাকরিটা তার ভাল লাগছে না।

চারুমাসির ফোনটা এল রাত আটটা নাগাদ।

এই ঝুমকি, চাকরিতে জয়েন করলি আজ?

হ্যাঁ মাসি।

যাক বাবা, বাঁচা গেল।

কেন মাসি?

ভাবছি তোর চাকরির অনারে কাল ডিনার খাওয়াবো।

তার চেয়ে বেড়ালের বিয়ে দাও না। আগের দিনের বড়লোকরা তো এসব ছুতোয় টাকা ওড়াত।

ইয়ার্কি করছিস?

যা চাকরি এর অনারে ডিনার দিলে যে আমার লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করবে।

শোন, কাল শনিবার। তোর মা বাবা অনু বুবকা সবাইকে নিয়ে চলে আয় সন্ধেবেলা।

প্লীজ মাসি, এতটা কোরো না। আমার লজ্জা করছে।

যাঃ, লজ্জা কিসের?

তুমি সব সময়েই কেবল বাড়িটাকে একটা নেমন্তন্ন বাড়ি করে রাখো! তোমার বুঝি অকেশনেরও দরকার হয় না?

এটাই তো জীবন। শোন, সামনের মাসের শেষ দিকে আমি লম্বা ট্যুরে বাইরে চলে যাচ্ছি। অন্তত ছ’মাস। নন্দনাকে হয়তো ওর বাবা আমেরিকার একটা স্কুলে ভর্তি করে দিয়ে আসবে এবার।

ওমা! কেন? ওইটুকু মেয়েকে?

ওর বাবা খুব চায় মেয়েটা আমেরিকায় পড়ক। অবশ্য এখনও সব ঠিক হয়ে যায়নি। আমার ইচ্ছেও নেই। যা সব শুনি আমেরিকার হালচাল তাতে ভয় করে। বারো-তেরো বছর বয়স থেকেই নাকি সেক্স শুরু হয়। ভাব তত একবার কী কাণ্ড!

তুমি রাজি হয়ো না মাসি।

এখনও হইনি। তা ছাড়া এখন ছাত্র-ছাত্রীদের নিতেও চাইছে না আমেরিকা। সুব্রত খুব চেষ্টা করছে অবশ্য। আসল কথাটা হল, ছ’মাস তো আমি থাকব না, তাই এই ক’দিন একটু মেলামেশা করে নেবো সকলের সঙ্গে।

তুমি না থাকলে ছ’মাস যে আমারই কি করে কাটবে! খুব খারাপ লাগবে আমার।

কেন, চাকরি তো করছিস। ব্যস্ত থাকবি।

ছাই। আজ জয়েন করে মন এত খারাপ হয়ে গেল!

কেন রে? ওরা ভাল নয়?

একদম বাজে।

তা হলে ছেড়ে দে।

দিয়ে? কিছু তো করতে হবে।

আচ্ছা মুশকিল। করতেই হবে কেন? ভাল না লাগলে ছেড়ে দিবি।

অত সোজা নয় মাসি। বাড়িতে আমার প্রেস্টিজ বলে কিছু আর থাকবে না।

আচ্ছা, তুই কাল সবাইকে নিয়ে আয় তো। দেখা যাবে।

কী দেখবে মাসি?

কিছু একটা করতেই হবে তোর জন্য। আচ্ছা, আমার পি.সি-তেই তো তুই এক্সপিরিয়েন্স গ্যাদার করতে পারিস। চাকরির কী দরকার?

একা একা হয় না মাসি। দেখানোর লোক চাই। আমি এমন কিছু বেশি তো শিখিনি।

আচ্ছা, আয়। আমি সুব্রতর সঙ্গে কথা বলছি।

আবার আমার জন্য ওঁকে কেন জ্বালাতন করবে?

করব, আমার ইচ্ছে। ও হয়তো ইচ্ছে করলে পারে।

একজনকে তো যথেষ্ট জ্বালাতন করেছে। আবার আর একজনকে কেন?

কাকে জ্বালাতন করেছি? হেমাঙ্গর কথা বলছিস? ও একদম কোনও কাজের নয়। এখন তো বলছে কাজকর্ম সব বন্ধ করে পৃথিবীকে দূষণমুক্ত করার কাজে লাগবে।

সে কী? এটা কবে থেকে?

কৃষ্ণজীবনবাবুর একটা বই বেরিয়েছে জানিস?

জানি তো।

সেটা পড়ে ওর মাথা গরম হয়েছে। একদম পাগল।

জোর করে একটা বিয়ে দিয়ে দাও। পাগলামি সেরে যাবে।

বিয়ের কথা আর বলিস না। রশ্মিকে নিয়ে কী বিশ্রী কাণ্ড করল বল তো। অত ভাল মেয়েটা।

ভাল মেয়ে অনেক পাবে।

রশ্মির মতো তো আর পাবো না। বেশ ছিল।

যাই বললা বাপু, আমার আবার তত ভাল লাগত না।

কেন রে?

কী জানি! রশ্মির সব বেশি বেশি।

পড়ে তো থাকবে না। শুনছি তো তারও একটা হিল্লে হচ্ছে।

কী বলছো?

একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চারুশীলা বলল, কাল ফোন করেছিল। সেরকমই একটা আভাস দিল যেন।

কী বলল বলো তো?

কাল বলব। আসবি কিন্তু। তোর মাকে ফোনটা দে। নেমন্তন্নটা আমারই করা উচিত।

ঝুমকির বুক কেন কাঁপছিল? মায়ের হাতে ফোনটা ধরিয়ে দিয়ে সে নিজের ঘরে এসে বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ল। তার যেন ঘাম দিয়ে একটা জ্বর ছেড়ে যাচ্ছে। হাত-পা অবশ লাগছে। রিলিফ! কিন্তু কেন?

পরদিন সন্ধেবেলা চারুশীলার বাড়িতে একগাদা অতিথি দেখে অবাক হল ঝুমকি। পারেও খরচ করতে মানুষটা।

এত আয়োজন কেন মাসি? বোলো না যে আমার চাকরির অনারে।

চাকরির অনারে না হোক, তোর অনারে।

আমার অনারেই বা কেন?

আমার তো জানিস একটা ছুতো দরকার হয়। আমি আসলে মানুষ ভালবাসি।

সে জানি।

অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাতে একটু ব্যস্ত হয়ে পড়ল চারুশীলা। ঘুরে ঘুরে হলঘরে সকলের মুখ দেখছিল ঝুমকি। যারা চারুশীলার বাড়ির নেমন্তন্নে প্রায়ই আসে তারা সবাই আছে। বাদ শুধু হেমাঙ্গ। একটু অদ্ভুত ব্যাপারটা।

চারুশীলা একটু বাদে এসে বলল, চল কোথাও বসি। একটা ঠাণ্ডা খাবি?

না। আমার টনসিলটা বেড়েছে বোধহয়। অফিসের কুলারটা সহ্য হচ্ছে না।

ছেড়ে দে।

কুলারে আমার অভ্যাস আছে। যেখানে শিখতাম সেখানেও কুলার ছিল। কিন্তু এই অফিসের কুলারটা বড্ড ঠাণ্ডা।

চাকরি করিস না ঝুমকি।

এবার বললা তো, রশ্মি কী বলেছে?

চারুশীলা একটু দ্বিধা করল। বলল, বলাটা কি ঠিক হবে। আমাকে প্রাইভেটলি বলেছে। হেমাঙ্গকে বলতে বারণ করেছে এখন।

আহা, বলো না!

কাউকে বলিস না।

বলব না মাসি। বলো।

একটা বাঙালি ছেলের সঙ্গে ওর একটু আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়েছে। ছেলেটা লন্ডনের একটা বড় ব্যাঙ্কে মস্ত চাকরি করে।

আন্ডারস্ট্যান্ডিং মানে?

তুই কি আন্ডারস্ট্যান্ডিং মানেও ভুলে গেলি?

কিরকম আন্ডারস্ট্যান্ডিং?

বলল, একা থাকা এখন বেশ বিপজ্জনক। ভালও লাগছে না। তাই ও শিগগিরই একটা ডিসিশন নিতে চায়।

বিয়ে করবে?

ভাবছে।

এত ভাবার কী আছে?

আছে রে আছে। বিয়ে সাঙ্ঘাতিক জিনিস।

তা জানি। কিন্তু বেশি ভাবতে গেলে আবার কেঁচে যাবে।

চারুশীলা হাসল। বলল, না, কাঁচবে না। রশ্মি খুব প্র্যাকটিক্যাল মেয়ে। সে বিয়ে করবে বিয়ের প্র্যাকটিক্যাল প্রয়োজনের জন্যই। ভাবাবেগ থেকে নয়।

রশ্মি সম্পর্কে আমার এ কথাটাই তোমাকে বলার ছিল মাসি। রশ্মি বড় বেশি প্র্যাকটিক্যাল, সহজ, বাস্তববাদী। সে আমাদের মতো নয়।

চিন্তিতভাবে তার মুখের দিকে চেয়ে চারুশীলা বলল, সেটা কি আমি জানি না? হেমাঙ্গর সঙ্গে ওই একটা জায়গায় ওর মেলে না। কিন্তু হেমাঙ্গ যে বড় বেশি স্বপ্নবিলাসী, বড্ড ভাবাবেগ! উদাসী ধরনের ছেলে। ভেবেছিলাম, রশ্মিই ওকে চালিয়ে নিতে পারবে।

ঝুমকি একটু হাসল।

চারুশীলা একটা শ্বাস ফেলে বলল, এই এক পাগলকে নিয়ে কি করি বল তো। কাল রাতে ফোন করেছিলাম। ওর চাকর বলল, দাদাবাবু নাকি কাল বিকেলেই তার গাঁয়ের বাড়িতে চলে গেছে।

ও। বলে ঝুমকি বুকের মধ্যে একটা পতনের শব্দ পেল কি?

চারুশীলা আবার অতিথি অভ্যর্থনায় এগিয়ে গেল।

ঝুমকি সরে এল একটা কোণের দিকে। একা। তার বেশি কথা বলতে ভাল লাগছে না। মেলামেশা ভাল লাগছে না।

রাত্রিবেলা যখন নিজের ঘরে একা হল ঝুমকি, অন্ধকারে জেগে থেকে তখন নিজের সামনে অকপট নিজেকে দাঁড় করাল সে। প্রশ্ন করল, সত্য বলো।

ঝুমকি বলল, তাই।

তাই? ঠিক জানো?

ঝুমকি বলল, মনে তো হচ্ছে।

ঠিক হল কাজটা?

কে জানে!

ভাবো। আরও ভাল করে ভাবো।

ভাবছি। দিনরাত ভাবছি।

কোনও ভুল নেই?

হয়তো ভুলই হচ্ছে। ভীষণ ভুল।

তার কথা কি গোপন রাখব সকলের কাছে?

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *