যারা বদর যুদ্ধে না গিয়েও গনীমত পেয়েছিলেন
বদরী সাহাবীদের তালিকায় এমন কতিপয় লোকের নাম আছে, যারা কোন না কোন যুক্তিসঙ্গত ওযরের কারণে যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হতে পারেননি। রাসূলুল্লাহ (সা) তাদের ওযর গ্রহণ করেছেন এবং গনীমতের অংশ প্ৰদান করেছেন। ইবন ইসহাক এ ধরনের লোকদের নাম বাছাই করেছেন— যাদের সংখ্যা আট কি নয় জন।
১. উছমান ইবন আফফান : তিনি তার স্ত্রী ও রাসূলুল্লাহ (সা)-এর কন্যা হযরত রুকাইয়ার রোগাক্রান্ত হওয়ার কারণে যুদ্ধে শরীক হতে পারেননি। রাসূলুল্লাহ্ (সা) তাকে গনীমতের অংশ ও পুরস্কার প্রদান করেন। ২. সাঈদ ইবন যায়দ ইবন আমার ইবন নুফায়াল : যুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন সিরিয়ায়। সেখান
থেকে আসার পর তাঁকে গনীমতের অংশ ও পুরস্কার দেয়া হয়। ৩. তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ : তিনিও যুদ্ধের সময় সিরিয়ায় ছিলেন। তাকেও গনীমতের ভাগ
ও পুরস্কার দেয়া হয়। :. আবু যুবাবা বশলীর ইবন আবদুল মুনযির : রাওহা নামক স্থানে পৌছার পর রাসূলুল্লাহ জানতে পারলেন যে, মাককা থেকে সশস্ত্ৰ বাহিনী যুদ্ধের উদ্দেশ্যে এদিকে রওনা হয়েছে। তখন তিনি সেখান থেকে তালহাকে মদীনার শাসনভার দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেন। রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁকে গনীমতের অংশ দেন এবং যুদ্ধের পুরস্কারও দেন। ৫. হারিছ ইবন হাতিব ইবন উবায়দ ইবন উমাইয়া : তাকেও রাসূলুল্লাহ্ (সা) পথ থেকে
ফিরিয়ে দেন। পরে তাঁকে গনীমতের অংশ ও পুরস্কার দেয়া হয়। ৬. হারিছ ইবন সাম্মা : রাওহা নামক স্থানে পৌঁছলে তাঁর পা ভেঙ্গে যায়। ফলে তিনি সেখান থেকে ফিরে আসেন। তাকে গনীমতের ভাগ দেয়া হয়। ওয়াকিদী বলেন, তাকে পুরস্কারও
দেয়া হয়। ৭. খাওয়াত ইবন জুবায়র : তিনিও যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু তাকে গনীমতের অংশ ও পুরস্কার দেয়া হয়। ৮. আবুস সাবাহ ইবন ছাবিত : তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে যুদ্ধের জন্যে বের হন। পথে তার পায়ের নালায় একটা পাথরের আঘাত লাগে। তিনি সেখান থেকে ফিরে আসেন। রাসূলুল্লাহ্ (সা) তাকে গনীমতের অংশ ও পুরস্কার দান করেন। ৯. ওয়াকিদীর মতে সাআদ আবু মালিক ও এর মধ্যে একজন। যুদ্ধে গমনের জন্যে তিনি প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ মারা যান। কারও মতে তিনি রাওহায় মারা যান। তাঁকে গনীমতের অংশ ও পুরস্কার দেয়া হয়।