ষষ্ঠ পাঠ
মেস্মেরাইজ করা সম্বন্ধে প্রাথমিক উপদেশ
পাত্র উদাসীনাবস্থা প্রাপ্ত হওয়ার পর তাহার উপর হিপ্নোটিজমের ন্যায় কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষা করিবে। যদি সে উহাদের দ্বারা অভিভূত হয়, তবে তাহাকে তখন দ্বিতীয় স্তর বা শারীরিকাবস্থায় উপস্থিত বলিয়া মনে করিবে। এই অবস্থায় পাত্র কেবল ক্ষণকালের জন্য আংশিকরূপে সম্মোহন শক্তির বশপন্ন হয়, সুতরাং ইহা পূর্ণ সম্মোহনের অবস্থা নয়। শারীরিক পরীক্ষা গুলির দ্বারা পাত্র উত্তমরূপে বশীভূত হওয়ার পর, অষ্টম পাঠের উপদেশানুসারে তাহার মোহ নিদ্রা উৎপাদনের চেষ্টা পাইবে। যখন সে এই নিদ্রার তৃতীয় স্তরে পৌঁছিয়াছে, তখন তাহার মনে নিজের ইচ্ছা মত হিপ্নোটিজমের ন্যায় নানা প্রকার ভ্রম ও মায়া উৎপাদন করিবে। তৎপরে তাহাকে আত্মিকাবস্থায় আনয়নের চেষ্টা পাইবে। কিন্তু ইহা পূর্বেই বলা হইয়াছে যে, উপযুক্ত সংবেদনার অভাবে অধিকাংশ পাত্রই এই অবস্থায় পৌছিতে পারে না। অধিকন্তু পাত্র সংবেদ্য হইলেও সম্মোহনবিৎ স্বীয় শক্তি বলে, তাহাকে এই অবস্থায় আনয়ন করিতে পারে না। সে এই স্তরের বিকাশ সম্পূর্ণরূপে তাহার আত্মিক সংবেদনার উপর ন্যস্ত রাখিয়া গভীরতর মোহ নিদ্রা উৎপাদন দ্বারা তাহাকে কেবল সাহায্য করিতে পারে মাত্র। এই শ্রেণীর পাত্রদিগের মধ্যে যাহারা সর্বোৎকৃষ্ট কেবল তাহাদের মধ্যেই কোন কোন ব্যক্তি চতুর্থ স্তর হইতে সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে পঞ্চম স্তর বা উচ্চাবস্থায় উপনীত হইয়া থাকে। ইহার বিকাশ অত্যন্ত বিরল।