১৯৪৬। বয়স ৪৭ বছর
৮ জুলাই থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (২ মাস ৬ দিন) সবেতনে ছুটি নিয়ে কলকাতায় যান জীবনানন্দ। ১৫ সেপ্টেম্বর বরিশাল এসে কাজে যোগদান করেন। ১৫ দিন পর পুজোর ছুটি শুরু হয়—১ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর। পুজোর ছুটিতে জীবনানন্দ কলকাতায় ফিরে যান। কোনো একটা কাজ জুটিয়ে কলকাতায় স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার জন্যে চেষ্টা চালান। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আরো ক’মাস ছুটি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যে আবেদন করেন। ১১ নভেম্বর থেকে বিনা বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু জীবনানন্দ আর বরিশাল বি.এম. কলেজে ফিরে আসেননি।
জীবনানন্দের কলকাতা থাকাকালীন হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা অতি ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় জীবনানন্দ অনুজ অশোকানন্দের বাসায় ছিলেন। এই সময়ের কোনো একদিন পুলিশ তাঁকে থানায় ধরে নিয়ে যায়। বরিশাল বি.এম. কলেজের এক প্রাক্তন মুসলমান ছাত্র তখন ওই থানার ও.সি। সেই ছাত্রই (ও.সি) অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে গিয়ে জীবনানন্দকে ট্রামে তুলে দেন। লাবণ্য দাশ ‘মানুষ জীবনানন্দ’ গ্রন্থে সেদিনের বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছেন —
‘তারপর কবির দিকে ফিরে (ও.সি) বলল, ‘আসুন স্যার আমার সঙ্গে।’ এই কথা বলেই সযত্নে এবং সম্ভ্রমের সঙ্গে হাত ধরে তাঁকে নিয়ে চলল। নানা রাস্তা ঘুরে, অবশেষে নিরাপদ স্থানে এসে তাঁকে ট্রামে তুলে দিয়ে আবার ভক্তিভরে প্রণাম করে বলল, ‘স্যার আপনার অসম্মান করে ওরা যে আজ কতবড় অপরাধ করেছে—সেটা বুঝবার মত শক্তি হয়তো ওদের কোনদিনই হবে না। কিন্তু আমি আজ ওদের সকলের হয়ে বার বার আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি। সব দোষত্রুটি আমার জন্যই হয়েছে ধরে নিয়েই আপনি আমাকে ক্ষমা করতে চেষ্টা করবেন।’ [‘মানুষ জীবনানন্দ’, লাবণ্য দাশ, বেঙ্গল পাবলিশার্স প্রাইভেট লিঃ, কলকাতা- ১২, ১৩৭৮, পৃ. ৫৮]।
অপরিণামদর্শী হিংসাতুর এই সাম্প্রদায়িক হানাহানি জীবনানন্দের কবি-সত্তাকে ব্যবচ্ছেদ করেছিল। তাঁর চারদিকে তখন অবসাদ, ভয়, ক্লান্তি, অবক্ষয়, শঠতা, রিরংসা, মৃত্যু। এই সময় আত্মগ্লানিতে বিপন্ন হয়ে তিনি লিখলেন ‘১৯৪৬-৪৭’ শীর্ষক কবিতাটি
‘মানুষ মেরেছি আমি—তার রক্তে আমার
শরীর ভরে গেছে; পৃথিবীর পথে এই নিহত ভ্রাতার
ভাই আমি; আমাকে সে কনিষ্ঠের মতো জেনে তবু
হৃদয়ে কঠিন হয়ে বধ করে গেল, আমি রক্তাক্ত নদীর
কল্লোলের কাছে শুয়ে অগ্রজপ্রতিম বিমূঢ়কে
বধ করে ঘুমাতেছি—তাহার অপরিসর বুকের ভিতরে
মুখ রেখে মনে হয় জীবনের স্নেহশীল ব্রতী
সকলকে আলো দেবে মনে করে অগ্রসর হয়ে
তবুও কোথাও কোনো আলো নেই বলে ঘুমাতেছে।’
[‘পূৰ্ব্বাশা’, বৈশাখ ১৩৫৭, শ্রেষ্ঠ কবিতা (প্রথম সংস্করণ : ১৩৬১) গ্রন্থে প্ৰথম গৃহীত হয়]
শৈশবে জীবনানন্দ একবার কয়েকটি গান লিখেছিলেন। মধ্যবয়স পেরিয়ে ৪৭ বছর বয়সে ১৯৪৬-এর আগস্ট-সেপ্টেম্বরে জীবনানন্দ ১৪টি গান লিখলেন। এ সময় প্রেমেন্দ্র মিত্র চলচ্চিত্রের জন্যে গান লিখে খ্যাতি ও অর্থ—দুই-ই পাচ্ছেন। হয়তো জীবনানন্দ এ ব্যাপারে প্রেমেন্দ্র মিত্র দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। সিনেমার গান লেখার বিষয়ে নিজের আগ্রহের কথা অরবিন্দ গুহকে বলেছিলেন জীবনানন্দ। অরবিন্দ পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্রের সঙ্গে পরামর্শ করতে। কিন্তু জীবনানন্দ সংকোচবশত প্রেমেন্দ্র মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি 1
শিক্ষকতার প্রতি জীবনানন্দের শ্রদ্ধামিশ্রিত আকর্ষণ ছিল। এ আকর্ষণ হয়তো পিতার কাছ থেকে জন্মসূত্রে লাভ করেছিলেন।
তা সত্ত্বেও শিক্ষকদের আর্থিক দুরবস্থার ব্যাপারটি তাঁকে ব্যথিত করেছে। পরবর্তী সময়ে ভবিষ্যৎ জীবন সম্পর্কে আতঙ্কিত জীবনানন্দ শিক্ষকতার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। বছর তিনেক আগে ভ্রাতৃবধূ নলিনীকে শিক্ষকতা প্রসঙ্গে জীবনানন্দ লিখেছিলেন—
‘অধ্যাপনা জিনিসটা কোনোদিনই আমার তেমন ভালো লাগেনি। যে সব জিনিস যাদের কাছে যে রকমভাবে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, তাতে আমার বিশেষ আস্থা নেই। এ কাজে মন তেমন লাগে না, তবু সময় বিশেষে অন্য কোনো কোনো প্রেরণার চেয়ে বেশি জাগে তা স্বীকার করি।’ [জীবনানন্দ স্মৃতি ‘ময়ূখ’, পৃ. ২৩৩]।
জীবনানন্দ অধ্যাপনা পেশা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চেয়েছেন। শিক্ষাদানের পদ্ধতি বিষয়ে তিনি মনে মনে অসন্তুষ্ট ছিলেন। এ সময় নানা কাজের সন্ধানে প্রচেষ্টা চালিয়েও তিনি কোনো নতুন চাকরি পাননি। ১৯৪৬ সালের জুলাই মাসে কলকাতায় আসার আগে এক অজ্ঞাতনামা অনুরাগীকে একটি দীর্ঘ পত্র লেখেন। এতে নিজের সংক্ষিপ্ত জীবনীর কথা যেমন লিখেছেন, তেমনি সংশয়-গভীর ব্যক্তিগত মনোভাবও ব্যক্ত হয়েছে। তিনি লিখেছেন—
‘অধ্যাপনা করেছি কলকাতার City College-এ, দিল্লীর এক College-এ, বরিশালে B.M. College-এ। আরও দু-চার রকম কাজ করেছি ফাঁকে ফাঁকে। এখনও অধ্যাপনাই করতে হচ্ছে। কিন্তু মনে হয় এ পথে আর বেশি দিন থাকা ভালো না। যে জিনিস যাদের যেভাবে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, সবই অসারতার নামান্তর নয় কি? এই বার নতুন পটভূমি নেমে আসুক।’ [প্রাগুক্ত, পৃ. ২২৭]
জীবনানন্দ দাশ এ বছর সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহকে তিনখানি চিঠি লেখেন। তখন তাঁর বয়স ৪৭ বছর আর ওয়ালীউল্লাহর ২৪-২৫ বছরের বেশি নয়। ওই সময়ের জীবনানন্দের বিবেচনায় ওয়ালীউল্লাহ শুধু একজন বিশেষভাবে প্রতিশ্রুতিবান তরুণ লেখকই নন, তৎকালীন কলকাতার সাহিত্যসমাজে ক্ষমতাধরও বটেন। ওয়ালীউল্লাহ সাংবাদিকতা করেন, নিজস্ব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে ইংরেজি বই ও একটি ত্রৈমাসিক ইংরেজি পত্রিকা [কনটেমপোরারি’। প্রকাশক: কমরেড পাবলিশার্স, ১৫/৩, আর্মেনিয়ান স্ট্রিট, কলকাতা] সম্পাদনা করে প্রকাশ করেন। ওয়ালীউল্লাহ ভাবেন ইংরেজিতে, লেখেন বাংলায়। জীবনানন্দের ধরনটাও অনেকটা ওয়ালীউল্লাহর মতো। উল্লেখ্য, ‘কনটেমপোরারি’তে জীবনানন্দের একটি প্রবন্ধ ছাপা হয়েছিল, ইংরেজিতে। নাম: ‘Literature and Contributives. ‘ পত্রিকায় পাঠানোর সময় জীবনানন্দ দাশ প্রবন্ধটির নাম দিয়েছিলেন ‘Literature and its Contributives.’ লেখাটির জন্যে জীবনানন্দ ৫০ টাকা সম্মানী পেয়েছিলেন।
জীবনানন্দ-বিষয়ে ওয়ালীউল্লাহ অত্যন্ত শ্রদ্ধা পোষণ করতেন। ওয়ালীউল্লাহ-বিষয়ে জীবনানন্দের মনোভাবও অনুরূপ ছিল। এ সময়কার বরিশালের সীমিত পটভূমি থেকে তিনি উত্তীর্ণ হতে চাইছিলেন কলকাতার বৃহৎ সজীব কর্মমুখর প্রেক্ষাপটে। এই চিঠিগুলোতে একজন বড় সাহিত্যিক আর একজন ভবিষ্যতের বড় লেখককে যে চিনে নিচ্ছেন—তার প্রমাণ স্পষ্ট।
চিঠিগুলো নিচে সন্নিবেশিত হল :
চিঠি ১
Today I send you under registered cover my article ‘Lit etc.’ which I hope will reach you by 25th Dec.
As the article written in a great hurry has not been varified, I wd request you to remember that when reading. Kindly instruct. Dear Sir,
I have sent you under registered cover my article on ‘Lit & its Contributives’ today. ‘Literature and its contributives ‘ – I mean it is perhaps better to put it in that way. ‘Contributives’ is a term perhaps coined by me & means those things which contribute to make it (literature). If, however, I title of I essay seems a bit obscure, would you kindly make it more clear by putting it as fit. & its tributaries.
With thanks
yours etc.
চিঠি ২
Syed Walliullah
The girl sings
Dear Sir,
Many thanks for your letter & Cheque of Rs. 50 /- ( fifty ) as honorarium for my article ‘Lit. contributives’. I am afriad it was not a very well written article. The fact is not that I was pressed for time. I languish very best to write in great hurry. I hope you were to kindly not mind to/will kindly remember this when you read it. I shall send you better writings, not always literary in I future.
I shall be very glad if you wd kindly treat me in touch with journals/periodicals & newspapers where serious articles on topical writings are published or a variety of other themes may be constantly in demand.
If to secure that end it is necessary for me to reside in Calcutta, I wd gladly welcome that change.
Wishing you a health fit,
with kind regards & best wishes,
Yours Sincerely,
I wd request you to be my name as Jibanananda (not Jibananda) as I always spell my name in that way.
চিঠি ৩
Dear Mr. Syed Walliullah
Very glad to receive your kind note of
I am sorry owing to illness I have had to keep your letter pending so long. I have heard that I Statesman hardly publish articles by Indians only occasionally. I am very much thankful to you for your proposal inviting me to write regularly in India, Prof. Kabir’s periodical with wh you are connected thoroughly. I have not seen any recent copy of India. I hope to write in I paper-not very regularly though-if I get to my pen in I near future. My script in that case will be sent to you. I shall remember concord & Dr. Chakra to whome I may write. I have not of course a number of articles lying with me to be quickly & commercially disposed of into different journals & periodicals. In fact I have none. Once in touch with Editors & journalists, one might be I thought, be induced to write frequently.
I deeply appreciate your kind & earnest suggestions about different sources that may be tipped by one desirous of profiting from his pen. I wd fell for more at home as a winter (has excellence?) in I big & Congenial atmosphere of Cal. & I am very much pleased to see that you have realised it with a zeal that promises to be fruitful. I have not yet decided whether I should sound good journals of Bengal & outside offering them my articles or assistence. I am prepared to leave Barisal only in favour of Cal, a city wh for out weighs my fondness for any other sphere of activity in Indian. Cal. is irresistible. Is not Cal. irresistible?
Articles may be sent almost any where. I shall let you know what I do in this matter.
I am sorry I spelt your name incorrectly, As I nature of I mistake, It has been reciprocal, I think it quits it self. I shall be very glad to meet you in Cal. When I intend to spend a few days in I end or 3rd week of February. I shall give you my Cal. address on my arrival in I city. Wishing you are quite fit,
With kind regards & best wishes,
Yours.
[উৎস: ‘দিবারাত্রির কাব্য’, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সংখ্যা, ষষ্ঠদশ বর্ষ, সম্পাদক: আফিফ ফুয়াদ, ২৯/৩ শ্রীগোপাল মল্লিক লেন, কলকাতা ৭০০ ০১২, জানুয়ারি-মার্চ ও এপ্রিল-জুন ২০০৮, পৃ. ২৮৮-২৯০]।
শ্যামবাজার স্ট্রিটের বাড়ি থেকে নজরুল-শাশুড়ি গিরিবালা দেবী নিরুদ্দেশ হয়ে যান।
লালকেল্লায় স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারে আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনানায়ক ক্যাপ্টেন শা’নওয়াজ, ধীলন ও সাইগলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। কিন্তু পরে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তিপ্রাপ্তরা লাহোরে বিপুলভাবে সংবর্ধিত হন।
নৌ-কমান্ডার মি. কিং-এর উদ্ধত ব্যবহারে ভারতের রাজকীয় নৌবাহিনীতে বিদ্রোহ দেখা দেয়। বিদ্রোহীদের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে হাজার হাজার শ্রমিক ধর্মঘট করে।
ভারত-শাসন ব্যবস্থা সম্বন্ধে আলোচনা করতে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার তিনজন সদস্য ভারতে এলে মুসলিম লীগ তাদের প্রস্তাব গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। কংগ্রেস সে প্রস্তাব গ্রহণ করে। ফলে লর্ড ওয়াভেল কংগ্রেসের সহায়তায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন। মুসলিম লীগ ১৬ আগস্ট বিক্ষোভ প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয়। ওই দিনই শুরু হয় হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা। কলকাতা থেকে সে দাঙ্গা নোয়াখালী ও বিহারে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। আচার্য কৃপালনী, জওহরলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালীতে এসে শান্তির বাণী প্রচার করেন।
ব্রিটিশ ও মার্কিনিদের সহায়তায় ইহুদিরা ইসরায়েলে একত্রিত হতে থাকে।
স্কটল্যান্ডের চিকিৎসক ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিষ্কার করে নোবেল পুরস্কার পান।
জেনারেল গোয়েরিং বিষপানে আত্মহত্যা করেন।
জাতিসংঘ (U.N.O) গঠিত হয়। ইউনেস্কোর প্রতিষ্ঠা হয়।
এ বছর জন্মেছেন দেবারতি মিত্র, অজয় নাগ, বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়, কমল চক্রবর্তী। আর মারা গেলেন প্রমথ চৌধুরী, ১৯১২ সালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী জি. হাউপ্টম্যান।
এ বছর সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ পান হেরম্যান হেস (১৮৮৭–১৯৬২)। দার্শনিক- কথাসাহিত্যিক। সুইজারল্যান্ডের অধিবাসী।
পুরস্কার দেওয়ার পক্ষে নোবেল কমিটি লেখেন—
‘For his inspired writings which, while growing in boldness and penetration, exemplify the classical humanitarian ideals and high qualities of style.’
তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ হল—’ডেমিয়্যান’, ‘সিদ্ধার্থ।
প্রকাশিত গ্রন্থ : প্রকাশ পায় জসীম উদ্দীনের ‘রূপবতী, বুদ্ধদেব বসুর ‘কালের পুতুল’, শিবরাম চক্রবর্তীর উপন্যাস ‘প্রেমের পথ ঘোরালো’, সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘জাগরী’, সুকুমার সেনের ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস-৩য় খণ্ড’। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ক্ষীরের পুতুল’ গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের প্রকাশ, সহ-অনুবাদক: প্রণতি দে। প্রকাশিত হয় বিষ্ণু দে’র ‘রুচি ও প্রগতি’ প্রবন্ধ গ্রন্থ।