1 of 2

১৭. শুফয়া (অগ্র ক্রিয় অধিকার)

১৭. সপ্তদশ অধ্যায় – শুফয়া (অগ্র ক্রিয় অধিকার)

ধারা-৪৪৮

সংজ্ঞা। কোন ব্যক্তির ক্রয়কৃত স্থাবর সম্পত্তি অন্য কোন ব্যক্তির ক্রয় করিয়া মালিক হইবার অধিকারকে “শুফআ” বলে।

বিশ্লেষণ

শুফআ (ii) শব্দটি আরবী : শব্দ হইতে উৎপন্ন। শব্দটির আভিধানিক অর্থ হইল একটি জিনিসকে অন্য একটি জিনিসের সহিত সংযুক্ত করিয়া লওয়া। শাফী’ ( ) যেহেতু তাহার মালিকানার সহিত অন্যের মালিকানাকে অর্জন করিয়া সংযুক্ত করিয়া থাকে তাই ফকীহগণ এই কাজকে শুফআ বলিয়া আখ্যায়িত করিয়াছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে শাফাআত করিবেন সেই শাফাআত শব্দটিও এই _ শব্দ হইতে গৃহীত। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাফাআতের মাধ্যমে তাঁহার গুনাহগার উম্মতদিগকে নাজাতপ্রাপ্তদের সহিত মিলিত করিবেন।

পারিভাষিক অর্থে ক্রয়কৃত সম্পত্তির মালিকানা যে মূল্যে ক্রয় করা হইয়াছে শুফআর অধিকারী কর্তৃক ক্রেতার নিকট হইতে সেই মূল্যে তাহা বাধ্যতামূলকভাবে

র করিয়া লওয়াকে শুফআ বলে।

ধারা-৪৪৯

শুফআর কারণসমূহ শুফআর যথাক্রমে তিনটি কারণ বিদ্যমান

(ক) মালিকানাস্বত্বে অংশীদারিত্ব ও মালিকানাস্বত্বে অংশীদারিত্বের অর্থ হইল, কোন ব্যক্তির শুফআকৃত বিক্রীত সম্পত্তিতে অংশীদার হওয়া। যেমন দুই বা দুইয়ের অধিক ব্যক্তির কোন অবণ্টিত ভূমি কিংবা বাসস্থানের মালিকানাস্বত্বে শরীক হওয়া। ইহাকে শাফী’ বা শরীক বলে।

(খ) অধিকার ও সুবিধাদিতে অংশীদার হওয়া ও অধিকার বা সুবিধাদিতে

অংশীদার হওয়ার অর্থ হইল বিক্রীত সম্পত্তির সুবিধাদিতে দুই বা ততোধিক

৫৫২

ব্যক্তির শরীক হওয়া। যেমন চলাচলের অধিকার, পানি দেওয়ার ও প্রবাহের অধিকার। ইহাকে “শাফীয়ে খালীত” বলে।

(গ) প্রতিবেশী হওয়া প্রতিবেশী হওয়ার অর্থ হইল শাফীর মালিকানা– ভুক্ত বাসস্থান শুফআকৃত বিক্রীত সম্পত্তির সংলগ্ন হইবে। ইহাকে “শাফীয়ে জার” বলে।

বিশ্লেষণ

শুফআর অধিকারসমূহ উদ্ভূত হইবার উপাদান বলিতে সেই সব বিষয়কে বুঝায় যাহা বিদ্যমান থাকিলে শুফআর অধিকার সৃষ্টি হয়। হানাফী ফকীহগণ শুফআর

অধিকার প্রমাণের জন্য তিনটি কারণ বর্ণনা করিয়াছেন। যথা :

১. বিক্রীত সম্পত্তিতে অংশীদারিত্ব; ২. বিক্রীত সম্পত্তির সুবিধাদিতে অংশীদারিত্ব; এবং ৩. বিক্রীত সম্পত্তির প্রতিবেশী হওয়া।

ধারা-৪৫০ শাফী যা শুফআর অধিকারীদের স্তরসমূহ শুফআর অধিকার সর্বপ্রথম লাভ করিবেন সেই শাফী যিনি বিক্রীত সম্পত্তির মালিকানাস্বত্বে অংশীদার। তাহার পর লাভ করিবেন তিনি যিনি বিক্রীত সম্পত্তির সুবিধাদিতে অংশীদার এবং সর্বশেষে লাভ করিবেন তিনি যিনি সম্পত্তির সংলগ্ন প্রতিবেশী। প্রথম শ্রেণীর শাফী যতক্ষণ পর্যন্ত শুফআর’ অধিকারের দাবিদার থাকিবেন ততক্ষণ অন্য শ্রেণীর শাফীগণ শুফার অধিকার লাভ করিবেন না এবং যতক্ষণ পর্যন্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর শাফী ‘শুফআ’র অধিকারের দাবিদার থাকিবেন ততক্ষণ তৃতীয় শ্রেণীর শাফীগণ শুফআর অধিকার লাভ করিবেন না।

ধারা-৪৫১ বাড়ির উপর ও নীচতলার মালিকদের পারস্পরিক সম্পর্ক কোন বাড়ির নিচ তলার আলাদা মালিক উপর তলার আলাদা মালিকের সংলগ্ন প্রতিবেশী বলিয়া গণ্য হইবে, শরীক বলিয়া গণ্য হইবে না এবং উপর তলার আলাদা মালিক নিচের তলার সুবিধাদিতে অংশীদার বলিয়া গণ্য হইবে।

ব্যাখ্যা বাড়ির উপর ও নিচ তলার উঠা-নামার পথ একই হইলে বাড়ির মালিকগণ বাড়ির সুবিধাদিতে “পরস্পর অংশীদার” বলিয়া গণ্য হইবে। তবে তাহাদের উঠা নামার পথ ভিন্ন ভিন্ন হইলে তাহারা পরস্পরের প্রতিবেশী” বলিয়া গণ্য হইবে।

৫৫৩

ধারা-৪৫২

প্রাচীর ও উহার নিচের ভূমিতে অংশীদার (১) যে ব্যক্তি বাড়ির প্রাচীরে ও প্রাচীরের নিচের ভূমিতেও অংশীদার সে বিক্রীত সম্পত্তিতেই “অংশীদার” বলিয়া গণ্য হইবে। তবে যদি সে প্রাচীরের নিচের ভূমিতে অংশীদার না হয়, বরং শুধুমাত্র প্রাচীর নির্মাণের অংশীদার হয় তাহা হইলে “সংলগ্ন প্রতিবেশী” বলিয়া গণ্য হইবে। অতএব প্রাচীরের নিম্নস্থ ভূমির মালিক কেবলমাত্র প্রাচীর নির্মাণে অংশীদার ব্যক্তির চাইতে ‘শুফআর অধিকার লাভের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাইবে।

(২) যদি কোন ব্যক্তির বাড়ির দেওয়ালের উপর অন্য কোন ব্যক্তির বাড়ির কড়িকাঠ স্থাপন করা থাকে তাহা হইলে কড়িকাঠ স্থাপন করার কারণে এই ব্যক্তি অংশীদার হিসাবে গণ্য হইবে না, বরং শুধু সংলগ্ন প্রতিবেশী হিসাবে গণ্য হইবে। এই ক্ষেত্রে সে বিক্রীত সম্পত্তিতে বা সম্পত্তির সুবিধাদিতে অংশীদার বলিয়া গণ্য হইবে না।

বিশ্লেষণ

ভূমি ছাড়া শুধু প্রাচীর অথবা শুধু কড়িকাঠ অস্থাব্র বলিয়া গণ্য হয়। অস্থাবর সম্পত্তিতে অংশীদারিত্ব সর্বসম্মতভাবে ‘শুফআ’র অধিকার সৃষ্টি করে না।

ধারা-৪৫৩। একাধিক শাফীর বর্তমানে শুফআ’র অধিকার বন্টনের নিয়ম একাধিক শাফীর বর্তমানে শুফআ’র অধিকার প্রমাণের জন্য তাহাদের সংখ্যা বিবেচ্য হইবে, অংশীদারদের অংশের তারতম্য বিবেচ্য হইবে না।

বিশ্লেষণ

যেমন এক ব্যক্তি একটি বাড়ির অর্ধেক অংশীদার, আরেকজন এক-তৃতীয়াংশের অংশীদার এবং অপর একজন এক-ষষ্ঠাংশের অংশীদার। এখন অর্ধাংশের মালিক যদি তাহার অংশ বিক্রয় করে, তাহা হইলে অপর দুইজন অংশীদার অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশ ও এক-ষষ্ঠাংশের মালিক বিক্রীত ঐ সম্পত্তিতে সমানভাবে শুফআর অগ্রাধিকার লাভ করিবে। বিক্রীত এই অর্ধেক সম্পত্তি অংশীদারের সংখ্যানুসারে সমান দুই ভাগ করিয়া তাহাদের মধ্যে বন্টন করা হইবে। এই ক্ষেত্রে এক-তৃতীয়াংশের মালিক বিক্রীত সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ এবং দুই-তৃতীয়াংশের মালিক দুই-তৃতীয়াংশ লাভ করিবে না।

ধারা-৪৫৪

একাধিক শাফীর মধ্য হইতে কোন একজনের দাবি প্রত্যাহার একাধিক শাফীর ‘শুফআ’র অধিকার দাবি করিবার ক্ষেত্রে আদালতের রায় হইবার পূর্বেই যদি কেহ তাহার দাবি ত্যাগ করে তাহা হইলে অবশিষ্ট শাফীগণ ‘শুফআ’র অধিকার প্রয়োগ করিয়া গোটা সম্পত্তি লাভ করিতে পারিবে।

Q8

বিশ্লেষণ

হানাফী ফকীহগণের মতে অংশীদারিত্বই যেহেতু ‘শুফআ’র কারণ, সুতরাং এখানে অংশের কম-বেশি হওয়া বিবেচ্য হইবে না। তাই শুফআর অধিকার প্রয়োগকৃত সম্পত্তি লাভের দাবিদার একাধিক শাফী বর্তমান থাকিলে তাহাদের অংশ কম-বেশি যাহাই হউক না কেন সবাই শুফআর অধিকার সমানভাবে লাভ করিবে।

ধারা-৪৫৫ রাস্তার অংশীদার পানি প্রবাহের সুবিধার অংশীদারের চাইতে

অগ্রাধিকার লাভ করিবে চলাচল পথের সুবিধাদিতে অংশীদার পানি প্রবাহের সুবিধাদিতে অংশীদারের চাইতে শুফআর অধিকারে অগ্রগণ্যতা লাভ করিবে।

বিশ্লেষণ

উদাহরণস্বরূপ যদি এমন কোন বাড়ি বিক্রয় করা হয় যাহার পানি প্রবাহের অধিকারে এক ব্যক্তি অংশীদার এবং অপর এক ব্যক্তি চলাচলের রাস্তার সুবিধাদিতে অংশীদার, তাহা হইলে শুফআর ক্ষেত্রে রাস্তার সুবিধাদিতে অংশীদার ব্যক্তি পানি প্রবাহের অংশীদারের উপর অগ্রাধিকার প্রাপ্ত হইবে।

ধারা-৪৫৬ কিছু সংখ্যক ইমারতে কোন প্রকার শুফআর অধিকার থাকে না দোকানপাট, সরাইখানা, খোঁয়াড়, মসজিদ, ধর্মশালা, গীজা, সরকারী সম্পত্তি অথবা এই ধরনের যেসব ইমারত জনকল্যাণ বা ধর্মীয় কার্যাদি আঞ্জাম দেওয়ার জন্য ওয়াফ করা হইয়াছে তাহার উপরে শুফআর বিধান প্রযোজ্য হইবে না।

বিশ্লেষণ

সরাইখানা, মসজিদ, ধর্মশালা, গীর্জা অথবা এই ধরনের আরো যেসব ইমারত জনকল্যাণ ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের জন্য ওয়াকফ করা হইয়াছে তাহা শহর বা গ্রাম যেখানেই অবস্থিত হউক না কেন ঐ সবের উপর শুফআর বিধান প্রযোজ্য হইবে না। সরকারী সম্পত্তিতেও শুফআর দাবি চলে না।

ধারা-৪৫৭

শুফআর শর্তাবলী (ক) যে সম্পত্তির উপর শুফআ দাবি করা হইবে উহা অবশ্যই বিক্রেতার মালিকানাধীন স্থাবর প্রকৃতির সম্পত্তি হইতে হইবে।

(খ) যে সম্পত্তির কারণে কোন ব্যক্তির শুফআর দাবি করার অধিকার জন্মায় তাহা তাহার নিজ মালিকানাভুক্ত হইতে হইবে।

৫৫৫

(গ) কোন ব্যক্তি তাহার মালিকানাধীন জমি, উহাতে স্থাপিত দালান-কোঠা ও গাছপালাসহ বিক্রয় করিলেই শফী এই সমস্ত কিছুর উপর শুফআর দাবি করিতে পারিবে।

(ঘ) কোন সম্পত্তির মালিকানা বিক্রয় চুক্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে স্থানান্তরিত হইলেই কেবল উহাতে শুফআর দাবি করা যায়।

(ঙ) শুফআর দাবি বহাল থাকিবার জন্য ইহাও একটি শর্ত যে, শফী প্রকাশ্যে বা পরোক্ষে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি বিক্রয়ে সম্মতি প্রকাশ করে নাই, অথবা তাহার দ্বারা এমন কোন কাজ সংঘটিত হয় নাই যাহা শুফআর দাবি প্রত্যাহারের সমার্থক।

(চ) যে সম্পত্তির উপর শুফআর দাবি উত্থাপন করা হইয়াছে, উহার বিনিময় মূল্য অবশ্যই সুনির্দিষ্ট পরিমাণ মাল হইতে হইবে। মাল না হইলে শুফআর দাবি বাধ্যতামূলক হইবে না।

(ছ)বিক্রীত সম্পত্তির উপর বিক্রেতার মালিকানা স্বত্ব সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হইলেই শুফআর দাবি উত্থাপন করা যাইবে। ফাসিদ বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতার ক্রয়-বিক্রয় প্রত্যাখ্যান করার অধিকার রহিত না হওয়া পর্যন্ত শুফআর দাবি করা যাইবেনা। অনুরূপভাবে বিক্রেতা বিক্রয় প্রত্যাহারের অধিকার সংরক্ষণ করিলে উহার সময়সীমার মধ্যে শুফআর দাবি করা যায় না। অবশ্য খিয়ারে রুইয়াত ও খিয়ারে আইব এবং ক্রেতার খিয়ারে শর্ত শুফআর দাবি উত্থাপনের প্রতিবন্ধক নহে।

বিশ্লেষণ

শুফআর দাবি করা যায় এইরূপ সম্পত্তি অবশ্যই স্থাবর প্রকৃতির হইবে। যেমন বাগান, কূপ, দালান-কোঠা, জায়গা-জমি ইত্যাদি। অস্থাবর সম্পতিতে শুফআ দাবি করা যায় না।

যেমন কোন ব্যক্তি একটি বাড়ি ভাড়া নিল অথবা ধার নিল, এখন মূল মালিক বাড়িটি বিক্রয় করিলে ভাড়াটিয়ার উহাতে শুফআর দাবি করার অধিকার নাই।” অনুরূপভবে ওয়াকফের মুতাওয়াল্লী তাহার ওয়াফের পার্শ্ববর্তী জমীনে শুফআ দাবি করিতে পারে না। অবশ্য ওয়াকফ পুনরায় ওয়াকিফের মালিকানায় ফিরিয়া আসার মত হইলে শুফআ দাবি করা যাইবে।

কোন ব্যক্তি গাছপালা ও দালান-কোঠাসহ জমি বিক্রয় করিলে শফী কর্তৃক উহার সমস্ত কিছুর উপর শুফআর দাবি উত্থাপন বৈধ। কারণ বৃক্ষ ও দালান-কোঠা জমির সহিত সংযুক্ত বিধায় উহা জমির অনুগামী হিসাবে গণ্য। কিন্তু শুধু গাছপালা বা দালান-কোঠা বিক্রয় হইলে উহা শুফআর দাবির আওতায় পড়িবে না। কারণ জমি ব্যতীত দালান-কোঠা বা গাছপালা অস্থাবর সম্পত্তি হিসাবে গণ্য।

বিক্রয় চুক্তি অথবা উহার অনুরূপ কোন চুক্তির মাধ্যমে, যাহাতে মালের বিনিময়ে মাল প্রদান করা হয়, সম্পত্তি হস্তান্তরিত হইলে উহাতে শুফআর দাবি করা যাইবে।

৫৫৬

অতএব একটি সম্পত্তির বিনিময়ে অপর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় হইলে উভয় সম্পত্তির শফীগণ উহার উপর শুফআ দাবি করিতে পারিবে।

সম্পত্তি বিক্রয় হওয়ার পর যদি শফী বলে, আমি শুফআর দাবি ত্যাগ করিলাম, বাতিল করিলাম বা আমার শুফআর প্রয়োজন নাই, তবে শুফআর দাবি বাতিল হইয়া যাইবে। সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি বিক্রয়ের খবর শুনিয়া তৎক্ষণাৎ শুফআর দাবি উত্থাপন না করিলে অথবা ক্রেতার সহিত উহা পুনরায় ক্রয়ের কথাবার্তা বলিলে অথবা তাহার নিকট হইতে উহা ভাড়ায় গ্রহণ করিলে শুফআর দাবি বাতিল হইয়া যায়। শফীর মৃত্যুতে শুফআর দাবি বাতিল হইয়া যায়। কিন্তু ক্রেতার মৃত্যুতে উহা বাতিল হয় না। কোন ব্যক্তি যদি বলে, তুমি নিজের জন্য ইহা খরিদ করিলে আমার শুফআর দাবি নাই, কিন্তু পক্ষান্তরে সে উহা অন্যের জন্য খরিদ করিয়াছে, এই ক্ষেত্রে শুফআর দাবি বাতিল হইবে না। সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির শরীকদার শুফআর দাবি ত্যাগ করিলে, অতঃপর তাহার পরবর্তী পর্যায়ের শফীও নিজের দাবি ত্যাগ করিলে দূরবর্তী শফীর দাবি স্বয়ং বাতিল হইয়া যায়।

বিক্রেতা শফীর নিকট সম্পত্তি বিক্রয়ের প্রস্তাব করিলে এবং উহা প্রত্যাখ্যান করিলেও শুফআর দাবি বাতিল হইয়া যায়। শফী বিক্রেতার প্রতিনিধি হিসাবে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি বিক্রয় করিলে অথবা ক্রেতার পক্ষে ক্ষতিপূরণের যামিন হইলে তাহার শুফআর

অধিকার বাতিল হইয়া যাইবে।

সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির অংশবিশেষের উপর হইতে শুফআর দাবি প্রত্যাহর করিলে পুরা সম্পত্তিতেই শুফআর দাবি বাতিল হইয়া যায়। যে সম্পত্তির কারণে শুফআর দাবি উত্থাপনের অধিকার সৃষ্টি হইয়াছে উহা বিক্রয় করিলেও শুফআর দাবি বাতিল হইয়া যায়। অনুরূপভাবে উপরোক্ত সম্পত্তি মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা কবরস্থান ইত্যাদির জন্য ওয়াকফ করিয়া দিলেও শুফআর দাবি বাতিল হইয়া যায়।

ইচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত (রক্তপণ) স্বরূপ অথবা স্ত্রীর মুহর হিসাবে প্রদত্ত সম্পত্তিতে শুফআর দাবি করা যায় না। কারণ এই উভয় ক্ষেত্রে মালের বিনিময় মাল হয় নাই, বরং একটি হইল অপরাধের জরিমানা এবং অপরটি হইল কোন নারীকে বিবাহ করার জন্য প্রদত্ত বাধ্যতামূলক সম্মানী।

শুফআর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য বিক্রীত জিনিসের উপর হইতে বিক্রেতার মালিকানা সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হওয়া জরুরী। এইজন্য বিক্রেতার বিক্রয় বাতিল করার এখতিয়ার থাকা পর্যন্ত শুফআর দাবি প্রতিষ্ঠিত হইবে না। ফাসিদ (ত্রুটিপূর্ণ) বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিক্রেতার বিক্রয় প্রত্যাখ্যানের এখতিয়ার এবং সম্পত্তি নিজ মালিকানায় ফেরত নেওয়ার আদালতের নির্দেশের সময়সীমার পরিসমাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত শুফআর দাবি করার অধিকার জন্মায় না। অবশ্য কোন কারণে বিক্রেতার অধিকার রহিত

৫৫৭

হইয়া গেলে শুফআর দাবি উত্থাপন করা যাইবে। যেমন ক্রেতা সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির পরিবর্ধন সাধন করিলে বিক্রেতার বিক্রয় প্রত্যাখ্যানের অধিকার রহিত হইয়া যায়। ফাসিদ বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতা যদি তাহার ক্রীত সম্পত্তি বিশুদ্ধ (সহীহ) বিক্রয় চুক্তির মাধ্যমে অন্যের নিকট বিক্রয় করিয়া দেয় তবে শফী প্রথম বা শেষোক্ত যে কোন বিক্রয়ের ভিত্তিতে শুফআর দাবি করিতে পারে। কেহ ফাসিদ ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে জমি খরিদ করিয়া উহাতে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করিলে শফী শুফআর দাবি উত্থাপন করিতে পারিবে। কারণ নির্মাণ কার্যের দ্বারা বিক্রেতার মালিকানা বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে? খিয়ারে আইব (পণ্যের ত্রুটির কারণে ক্রয়-বিক্রয় প্রত্যাখ্যানের অধিকার) ও খিয়ারে রুইয়াত (পণ্য না দেখার অজুহাতে ক্রয়-বিক্রয় প্রত্যাখ্যানের অধিকার)-এর দ্বারা শুফআর দাবি রহিত হয় না। কারণ শফী বিক্রেতার বিপরীতে একজন ক্রেতার পর্যায়ভুক্ত, আর উপরোক্ত দুইটি অধিকার ক্রেতা ভোগ করে।১৪

ধারা-৪৫৮

হেবা বিল ইওয়াযের ক্ষেত্রে শুফআ হেবা বিল ইওয়াযের ক্ষেত্রেই শফী হেকৃত বস্তুর উপর শুফআর দাবি করিতে পারে।

বিশ্লেষণ

বেহ’ ( য দান হিসাবে গণ্য না হইয়া বরং এক প্রকারের বিক্রয় হিসাবে গণ্য :’ এ ফকীহগণ ক্রয়-বিক্রয় চুক্তির বিধান আরোপের পক্ষপাতী। তাই চুক্তিনামায় হেবা বিল ইওয়াযের উল্লেখ থাকিলে হেবাকৃত সম্পত্তির উপর শুফআর দাবি বৈধ হইবে। হেবাকারী ও গ্রহীতা নিজ নিজ বস্তু দখলে নেওয়ার পরই শুফআর দাবি উত্থাপনের অধিকার জন্মায়।১৬ বিনিময় ব্যতীত সাধারণভাবে হেবা করা হইলে। উহাতে শুফআর দাবি করা যায় না।

ধারা-৪৫৯ মীরাস ও ওসিয়াতের ক্ষেত্রে শুফআর দাবি ওয়ারিশী সূত্রে অথবা ও সয়াতের মাধ্যমে সম্পত্তি হস্তান্তরিত হইলে উহাতে শুফআর দাবি করা যায় না।

বিশ্লেষণ

মীরাসের ক্ষেত্রে যেহেতু ওয়ারিশী সূত্রে সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তরিত হয়, ক্রয়-বিক্রয়ের কোন উপাদান এখানে নাই, তাই শুফআর দাবিও সৃষ্টি হয় না। ওসিয়াতের ক্ষেত্রে মালের পরিবর্তে মালের আদান-প্রদান হয় না। ইহাতেও ক্রয়-বিক্রয়ের উপাদান অনুপস্থিত বিধায় শুফআর সৃষ্টি হয় না।”

৫৫৮

শুফআর দাবি উত্থাপন (3a5.11 16)

ধারা-৪৬০ ত্বরিৎ দাবি উত্থাপন অপরিহার্য ( 3। _{) সম্পত্তি বিক্রয়ের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে শফীকে কথায় বা আচরণে শুফআর দাবি উত্থাপন করিতে হইবে। যুক্তিসঙ্গত কোন কারণে দাবি উখাপনে বিলম্ব হইলে তাহাতে শুফআর অধিকার খর্ব হইবে না।

বিশ্লেষণ

সম্পত্তি বিক্রয়ের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুফআর দাবি করাকে “তৃরিতে দাবি উত্থাপন” বা “তলবে মাওয়াসিবাত” বলে। মাওয়াসিবাত শব্দের অর্থ ঝাপাইয়া পড়া, অনধিকার প্রবেশ করা। এখানে ক্ষিপ্রতা বুঝানোর জন্য শব্দটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে। মহানবী (সা) বলেন :

الشفعة لن وابها .

“শুফআর অধিকার সেই ব্যক্তি পাইবে যে (দাবি উত্থাপনে) ত্বরা করিয়াছে।”২০

যে মজলিসে সম্পত্তি বিক্রয়ের খবর পাওয়া গিয়াছে সেইখান হইতে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্বেই শুফআর দাবি করিতে হইবে, অন্যথায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর দাবি উত্থাপন করিলে উহা গ্রহণযোগ্য হইবে না। তাৎক্ষণিক দাবির সময় শফীর উক্ত সম্পত্তি ক্রয়ের নিঃশর্ত ও অটল অভিপ্রায় থাকিতে হইবে। শফী যদি বলে, আমি এই পরিমাণ মূল্যের বিনিময়ে ক্রয় করিতে ইচ্ছুক তবে তাহার শুফআর দাবি বাতিল হইয়া যাইবে।

ধারা-৪৬১ সাক্ষীর সামনে দাবি (J481 ) তাৎক্ষণিক দাবি উত্থাপনের পর শফীকে তাহার দাবির অনুকূলে দুইজন লোেককে সাক্ষী করিতে হইবে এবং ইহাকে “তলবে ইশহাদ” বলে।

বিশ্লেষণ

দুইজন লোককে সাক্ষী রাখিয়া বলিতে হইবে, অমুক ব্যক্তি এই সম্পত্তি ক্রয় করিয়াছে এবং আমি উহার শফী। বিক্রয়ের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি শুফআর দাবি করিয়াছি এবং এখন উহা চাহিতেছি, আপনারা ইহার সাক্ষী থাকুন। তাৎক্ষণিকভাবে শুফআর দাবি করা সম্ভব হইলেও সঙ্গে সঙ্গে উহার অনুকূলে সাক্ষী করার মত লোক নাও পাওয়া যাইতে পারে। এইজন্য স্বীয় দাবির অনুকূলে সাক্ষী তলব করার মত অবকাশ শফী অবশ্যই পাইবে। এই ক্ষেত্রে সাক্ষী রাখা বাধ্যতামূলক না হইলেও

৫৫৯

ক্রেতা তাহার দাবির কথা অস্বীকার করিতে পারে এই আশংকা হইতে মুক্ত থাকার জন্য উহার প্রয়োজন আছে।

ধারা-৪৬২। আদালতে দাবি পেশ (1_

as L৯), পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে শুফআর বিষয়টি নিষ্পত্তি না হইলে শফীকে আদালতে উপস্থিত হইয়া মালিকানা স্বত্ব লাভের আরজি পেশ করিতে হইবে এবং ইহাকে “তবে খুসুমাত” বলে।

বিশ্লেষণ

আদালতে মোকদ্দমা দায়েরের মাধ্যমে শুফআর দাবি পেশ করাকে তলবে খুসূমাত” বা তলবে তামাক (মালিকানা দাবি) বলে। সাধারণত আদালত ব্যতীত শুফআর দাবি মীমাংসিত হয় না। আদালতের শরণাপন্ন হইয়া দাবি পেশের উদ্দেশ্য হইল মালিকানা স্বত্ব লাভ করা। শফী তাৎক্ষণিক দাবি করে নাই বলিয়া ক্রেতা বিবৃতি দিলে এবং দাবির অনুকূলে সাক্ষী না থাকিলে আদালত শফীকে হলফ করাইবে। এক মাসের মধ্যে শুফআর দাবি পেশ করিতে হইবে। সম্পত্তি যেই এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার আদালতে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের বিরুদ্ধে নালিশ করিতে হইবে, যদি সম্পত্তি বিক্রেতার দখলে থাকে। আর ক্রেতার দখলে থাকিলে কেবল তাহার বিরুদ্ধেই আরজি পেশ করিবে।

ধারা-৪৬৩

প্রতিনিধি বা পত্র মারফত শুফআর দাবি শফী সফরে থাকিলে অথবা রোগের কারণে অথবা সঙ্গত কোন ওজরবশত সশরীরে উপস্থিত হইয়া শুফআর দাবি করিতে অক্ষম হইলে প্রতিনিধি বা পত্র মারফত শুফআর দাবি করা যাইবে।

বিশ্লেষণ

পত্র মারফত শুফআর দাবি করার পর শফীকে তলবে ইশহাদও করিতে হইবে। তলবে ইশহাদও প্রতিনিধির দ্বারা কায়েম করা যায়। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তুলবে ইশহাদ না করিলে শফীর অধিকার বাতিল হইয়া যাইবে।

ধারা-৪৬৪

ওলী বা ওসীর শুফআর দাবি উত্থাপন যে ব্যক্তি স্বয়ং দাবি উত্থাপনের যোগ্য নহে তাহার ওলী বা ওসী তাহার অনুকূলে শুফআর দাবি করিতে পারিবে। অতএব নাবালেগের ওলী বা ওসী

২৩০

তাহার অনুকূলে শুফআর দাবি না করিলে বা দাবি ত্যাগ করিলে সে বালেগ হওয়ার পর আর শুফআর দাবি করিতে পারিবে না।

বিশ্লেষণ

নাবালেগ শুফআর অধিকারী হইলে তাহার অভিভাবক যেমন পিতা, দাদা, অথবা তত্ত্বাবধায়ক, যেমন আদালত কর্তৃক নিযুক্ত ওসী, তাহার অনুকূলে শুফআর দাবি করিবে। ইহাদের মধ্যে কেহই বিদ্যমান না থাকিলে সে বালেগ হওয়ার পর শুফআর দাবি করিতে পারিবে। ওলী বা ওসী তাহার শুফআর দাবি ত্যাগ করিলে উহা বৈধ হইবে এবং বালেগ হওয়ার পর তাহার আর শুফআর দাবির অধিকার থাকিবে না।

ধারা-৪৬৫

শফীর মুসলিম হওয়া শর্ত নহে মুসলিম-অমুসলিমনির্বিশেষেসকলেরই শুফআর দাবি করার অধিকার রহিয়াছে।

বিশ্লেষণ

শুফআর দাবি করার যোগ্য হওয়ার জন্য মুসলিম হওয়া শর্ত নহে, বরং মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে পরস্পরের বিরুদ্ধে শুফআর দাবি করিতে পারিবে। ইসলামী আইনে ক্রয়-বিক্রয় ব্যবসা-বাণিজ্য, সম্পদ অর্জন ইত্যাদি ক্ষেত্রে মুসলিম-অমুসলিম সকলেই সমান সুযোগ-সুবিধা লাভের অধিকারী। তাই শুফআর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য মুসলিম হওয়া শর্ত নহে। কাযী শুরায়হ (র) এক অমুসলিম নাগরিককে এক মুসলিম নাগরিকের বিরুদ্ধে শুফআর অধিকার প্রদান করিয়াছেন। উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) তাঁহার এই রায়কে সহীহ আখ্যায়িত করেন। অত্রএব মুসলিম, অমুসলিম, নারী, পুরুষ, বালেগ, নাবালেগ, পাগল নির্বিশেষে সকলের শুফআর দাবি করার

অধিকার রহিয়াছে।২৫

ধারা-৪৬৬ শুফআর দাবিকৃত সম্পত্তিতে শফীর মালিকানা লাভ শণী ও ক্রেতার পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি শফীর নিকট সোপ করিলে অথবা আদালত কর্তৃক শফীর পক্ষে রায় প্রদান করা হইলে শফী উক্ত সম্পত্তির মালিক হইবে। আদালতের রায়ের পর শফী দাবিকৃত সম্পত্তি গ্রহণে অসম্মতি জ্ঞাপন করিতে পারিবে না।

বিশ্লেষণ

শফী দুইভাবে শুফআর দাবিকৃত সম্পদের মালিকানা স্বত্ব লাভ করিতে পারে? ক্রেতা সানন্দে তাহাকে উহা ছাড়িয়া দিলে অথবা আদালত তাহার পক্ষে রায় প্রদান করিলে। প্রথমোক্ত ক্ষেত্রে মূল্য পরিশোধ করার সঙ্গে সঙ্গে মনে করা হইবে যে, শফী

৫৬১

উহার মালিকানা বুঝিয়া পাইয়াছে। সে এখন ক্রেতা হিসাবে গণ্য হইবে। শেষোক্ত ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় বিবেচনা করিতে হইবে।

(এক) রায় প্রদানের সময় সম্পত্তি কাহার দখলে ছিল, বিক্রেতা না ক্রেতার? বিক্রেতার দখলে থাকিলে রায় প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত বিক্রয় চুক্তি বাতিল হইয়া যাইবে এবং উহা নূতনভাবে ক্রেতা ও শফীর মধ্যে অনুষ্ঠিত হইয়াছে বলিয়া মনে করা হইবে। আর ক্রেতার দখলে থাকিলে শফী উহা তাহার নিকট হইতে বুঝিয়া লইবে এবং মূল্য পরিশোধ করিবে। এক্ষেত্রে পূর্বোক্ত বিক্রয় চুক্তি বাতিল হইবে না, বরং পরের চুক্তিকে দ্বিতীয় চুক্তি গণ্য করা হইবে। কিন্তু শফী যদি বিক্রেতার নিকট হইতে সম্পত্তি দখল লাভ করে তবে উহার মূল্য বিক্রেতার নিকট অৰ্পণ করিবে এবং ক্রেতা ইতিমধ্যে উহার মূল্য পরিশোধ করিয়া থাকিলে তাহা বিক্রেতার নিকট হইতে ফেরত লইবে।

(দুই) শফী আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করার পরই বিচারকের শুফআ সম্পর্কে রায় প্রদানের অধিকার জন্মায়, শফী সম্পত্তির ক্রয়মূল্য আদালতে জমা দিয়াছে কিনা তাহা বিবেচ্য নহে। অবশ্য শফীর নিকট হইতে সম্পত্তির মূল্য বুঝিয়া না পাওয়া পর্যন্ত ক্রেতা উহা নিজের দখলে রাখিতে পারিবে। ক্রেতা মারা গেলে এই অধিকার তাহার ওয়ারিশগণের অনুকূলে বর্তাইবে।

(তিন) আদালতের রায় প্রদান করার সঙ্গে সঙ্গে শফী সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির মালিক গণ্য হইবে, মালিকানা প্রতিষ্ঠার জন্য তখন দখলে নেওয়া জরুরী নহে। কিন্তু ক্রেতা ও শফীর পারস্পরিক সম্মতির ক্ষেত্রে সম্পত্তি দখলে না নেওয়া পর্যন্ত উহাতে শফীর মালিকানা স্বীকৃত হইবে না।

ধারা-৪৬৭ শুফআর মাধ্যমে অর্জিত সম্পদে বিক্রয় আইনের বিধান প্রযোজ্য শুফআর ক্ষেত্রে ক্রেতা ও শফীর মধ্যে বিক্রয় আইনের বিধান কার্যকর হইবে এবং শফী “ক্রেতা ও ক্রেতা বিক্রেতা গণ্য হইবে। অতঃপর শফীর জন্য খিয়ারে শর্ত ও খিয়ারে আইবের অধিকার থাকিবে।

বিশ্লেষণ

শুফআর অধিকারের ভিত্তিতে শফী যে সম্পত্তি অর্জন করে উহা নূতনভাবে ক্রয়-বিক্রয় হিসাবে গণ্য হয়। অর্থাৎ ক্রেতা বিক্রেতার নিকট হইতে যেভাবে উহা ক্রয় করিয়াছে, অনুরূপভাবে শফী ক্রেতার (নূতনভাবে বিক্রেতার) নিকট হইতে উহা পুনরায় ক্রয় করিয়াছে। অতএব শুফআর দাবি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর শফী ক্রেতা এবং ক্রেতা বিক্রেতা হিসাবে গণ্য হইবে, যদি সম্পত্তি ক্রেতার দখলে আসিয়া থাকে। অন্যথায় শফী ক্রেতা এবং পূর্বোক্ত বিক্রেতা বিক্রেতা হিসাবেই গণ্য হইবে,

৫৬২

যদি সম্পত্তি তাহার দখলে থাকে। প্রথম ক্রেতা তাহার খিয়ারে শর্ত ও খিয়ারে আইবের অধিকার প্রত্যাহার করিলেও শফীর জন্য উহা সংরক্ষিত থাকিবে। কারণ সে একজন নূতন ক্রেতা হিসাবে চুক্তিবদ্ধ হইতেছে।

ধারা-৪৬৮

শফী দখল লাভের পূর্বে মারা গেলে শুফআর দাবি উত্থাপনের পর শফী মারা গেলে তাহারদাবি রহিত হইয়া যাইবে এবং তাহার ওয়ারিশগণের পুনরায় শুফআর দাবি করার অধিকার থাকিবে না। অবশ্য বিচারকের রায় প্রদানের পর শফী মারা গেলে শুফআ বাতিল হইবে না।

বিশ্লেষণ

তলবে মাওয়াসিবাত ও তলবে ইশহাদের পর এবং সম্পত্তি দখলে আনার পূর্বে শফী মারা গেলে শুফআ বাতিল হইয়া যাইবে। উহাতে তাহার ওয়ারিশগণ আর শুফআ দাবি করিতে পারে না। উভয় পক্ষের সম্মতিতে সম্পত্তি হস্তগত না করা পর্যন্ত অথবা আদালতের রায় না পাওয়া পর্যন্ত উহাতে শফীর মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয় না। সুতরাং ইহা তাহার পরিত্যক্ত সম্পত্তি নহে যে, তাহার মৃত্যুর পর উহা তাহার ওয়ারিশগণের অনুকূলে বর্তাইবে। শুফআর দাবি উত্থাপনের মাধ্যমে সম্পত্তি লাভের ইচ্ছা ব্যক্ত হয় মাত্র, মালিকানা সাব্যস্ত হয় না। অবশ্য দখলে আনার পর শফী মারা গেলে সম্পত্তি তাহার ওয়ারিশগণের অনুকূলে বর্তায়। অনুরূপভাবে মকদ্দমা দায়ের করার পর কিন্তু রায় প্রদানের পূর্বে শফী মারা গেলে শুফআ বাতিল হইয়া যায়, অবশ্য রায় পাওয়ার পর মারা গেলে উহা বাতিল হয় না।

=

=

=

=

= =

=

ধারা-৪৬৯

যে সম্পত্তির ভিত্তিতে শুফআর দাবি জন্মে তাহা বিক্রয় করিলে। যে সম্পত্তির ভিত্তিতে শুফআর দাবি করা যায় উহা তলবে মাওয়াসিবাত ও তলবে ইশহাদের পরে, আদালত কর্তৃক রায় প্রদানের পূর্বে, অথবা উভয়পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে শুফআ সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি দখল লাভের পূর্বে বিক্রয় অথবা অন্য কোন পন্থায় হস্তান্তরিত হইলে শফীর দাবি বাতিল হইয়া যায়।

বিশ্লেষণ; যে সম্পত্তির উপর শুফআ দাবি করা হইয়াছে তাহা দখলে আসার পূর্বে যে সম্পত্তির কারণে শুফআর অধিকার সৃষ্টি হইয়াছে তাহা বিক্রয়, হেবা অথবা স্থায়ীভাবে ওয়াকফ করিয়া দিলে শফীর দাবি বাতিল হইয়া যাইবে। তলবে মাওয়াসিবাত ও তলবে ইশহাদের মাধ্যমে শুফআর দাবি প্রমাণিত হয় এবং দখল লাভের পর মালিকানা স্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যমান অবস্থায় মালিক হওয়ার পূর্বেই শুফআর অধিকার সৃষ্টির

=

উৎস বিনষ্ট হইয়া যায়, অতএব উপলক্ষ বিনষ্ট হইয়া যাওয়ার কারণে উপলক্ষিত (শুফআ) বিনষ্ট হইয়া গিয়াছে। অবশ্য বিক্রয় চুক্তিতে শফীর জন্য খিয়ারে শর্ত থাকিলে উহার সময়সীমা পর্যন্ত অথবা সম্পত্তির অংশবিশেষ বিক্রয় করিলে তাহার অধিকার খর্ব হইবে না।

ধারা-৪৭০

শুফআর অধিকার হস্তান্তরযোগ্য নহে শুফআর অধিকার হস্তান্তরের অযোগ্য, শফী কোনরূপ চুক্তির মাধ্যমে এই অধিকার অপরকে অর্পণ করিতে পারে না।

ধারা-৪৭১

শুফআর অধিকার অবিভাজ্য শুফআর অধিকার বিভাজনযোগ্য নহে। শফী সম্পত্তির অংশবিশেষে উপর শুফআ দাবি করিতে এবং অংশবিশেষ ত্যাগ করিতে পারিবে না, তাহাকে সম্পূর্ণ অংশের উপরই শুফআ দাবি করিতে হইবে।

বিশ্লেষণ

যেমন একটি ইমারত বিক্রয় হইলে শফী উহার অংশবিশেষের উপর শুফআ দাবি করিতে পারিবে না। তবে একই স্থানে একাধিক ইমারত বিক্রয় হইলে সে তাহার নিকটতর ইমারতের উপর শুফআ পাৰি করিতে পারিবে, যদি সবগুলি ইমারত শুফআর আওতাভুক্ত না হয়। কোন সম্পত্তি একাধিক ক্রেতার নিকট প্রত্যেকের অংশ সুনির্দিষ্ট ও সীমা নির্দেশ করিয়া বিক্রয় করা হইলে শফী তাহার নিকটতর অংশের উপর শুফআর দাবি করিতে পারে।”

ধারা-৪৭২ শুফআর দাবির ভিত্তিতে উহার পার্শ্ববর্তী শুফআর দাবি উত্থাপন যে সম্পত্তির উপর শুফআর দাবি করা হইয়াছে ইহার মালিকানা স্বত্ব লাভের পূর্বে উহার সংলগ্ন সম্পত্তিতে শুফআর দাবি করা যায় না।

বিশ্লেষণ

ক্রেতা শুফআর আওতাভুক্ত কোন সম্পত্তি ক্রয় করিয়া উহা দখলে নেওয়ার পর উহার পার্শ্ববর্তী সম্পত্তির উপর শুফআর দাবি করিতে পারে, কিন্তু তাহার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে শুফআর দাৰিদারের এই শেষোক্ত সম্পত্তিতে শুফআর দাবি করার অধিকার নাই।

৫৬৪

ধারা-৪৭৩

ক্রেতা সম্পত্তির সংস্কার করিলে শফীর তলবে ইশহাদ সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার পূর্বে ক্রেতা যদি সম্পত্তির উপর নির্মাণকার্য অথবা বৃক্ষরোপণ করিয়া থাকে তবে উহার মূল্য পরিশোধ করিয়া শফী উক্ত সম্পত্তি গ্রহণ করিবে অথবা বর্জন করিবে; কিন্তু সে উহা ভাজিবার বা বৃক্ষ কর্তন করিবার জন্য ক্রেতাকে বাধ্য করিতে পারিবে না।

বিশ্লেষণ

শুফআর দাবি উত্থাপিত হওয়ার পূর্বে ক্রেতা তাহার ক্রীত সম্পত্তি পরিবর্ধন করিল, যেমন দালান-কোঠা নির্মাণ বা বৃক্ষরোপণ বা ফসল বপন করিল, অতঃপর শফী উপস্থিত হইয়া শুফআর দাবি করিল। এই পরিবর্ধন তাহার দাবির প্রতিবন্ধক হইবে না। সে পরিবর্ধনের মূল্য সমেত হয় উহা গ্রহণ করিবে অথবা ত্যাগ করিবে। বসতবাড়ি খরিদ করার পর ক্রেতা উহাতে চুন-সুরখি ও রং লাগানোর কাজ করাইলে শফী উহার জন্য ব্যয়িত অর্থ পরিশোধ করিয়া উহা গ্রহণ করিবে অথবা তাহার দাবি ত্যাগ করিবে।” জমি ক্রয়ের পর ক্রেতা উহাতে ফসলের আবাদ করিলে শফীকে ফসল তোলা পর্যন্ত অপেক্ষা করিতে হইবে। ফসল বিনষ্ট করার জন্য সে ক্রেতাকে বাধ্য করিতে পারে না।”

ধারা-৪৭৪

শুফআর অধিকার এড়াইবার পন্থা। বিক্রেতা যদি তাহার প্রতিবেশীর শুফআর দাবি উত্থাপনের আশঙ্কা করে তবে তাহার সম্পত্তির সংলগ্ন কিছু অংশ বাদ রাখিয়া নিজের অবশিষ্ট সম্পত্তি বিক্রয় করিলে শুফআর দাবি করার সুযোগ থাকে না।

বিশ্লেষণ

এই পদ্ধতিকে হীলা বা কৌশল বলা হয়। আবু ইউসুফ (র)-এর মতে শুফআর দাবি এড়াইবার জন্য এইরূপ কৌশল অবলম্বন দূষণীয় নহে। তিনি বলেন, ইহা কোন অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রতিবন্ধক, যাহা ক্ষতি হিসাবে গণ্য হইবে না। কিন্তু ইমাম মুহাম্মাদ (র) ইহাকে আপত্তিকর মনে করেন। কারণ ক্ষতি বিদূরিত করার জন্যই শরীঅতে শুফআর ব্যবস্থা রাখা হইয়াছে। তখন উক্তরূপ কৌশলকে অনুমোদন করা হইলে ক্ষতির প্রতিরোধ করা যাইবে না।”

ধারা-৪৭৫

মূল্য পরিশোধের নির্দেশ শফীকে অবিলম্বে সম্পত্তির মূল্য পরিশোধ করিতে হইবে।

বিশ্লেষণ

ক্রেতা বিক্রেতাকে যে পরিমাণ মূল্য অর্পণ করিয়াছে শফীও শুফআর দখল লাভের সময় সেই পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিবে এবং ইহার সহিত ক্রেতার আনুসঙ্গিক খরচও যোগ হইবে ঐ অবশ্য সম্পত্তির মূল্য হিসাবে সম্পত্তি প্রদান করা হইলে এই প্রদত্ত সম্পত্তির যে মূল্য নির্ধারিত হইবে তাহাই পরিশোধ করিতে হইবে। মূল্য পরিশোধের জন্য ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে সময়সীমা নির্ধারিত করা হইয়া থাকিলে উহা শফীর বেলায় প্রযোজ্য নহে। তলবে মাওয়াসিবাত ও তলবে ইশহাদের সময় অথবা আদালতে মোকদ্দমা পেশের সময় সম্পত্তির মূল্যও হাযির করা শফীর জন্য বাধ্যতামূলক নহে, ডিক্রি লাভের পরই মূল্য হাযির করা অপরিহার্য হয়। মূল্য না

পাওয়া পর্যন্ত ক্রেতা সম্পত্তি নিজের দখলে রাখিতে পারিবে।৪২ শফী মূল্য পরিশোধে টালবাহানা করিলে আদালত তাহাকে উহা পরিশোধ না করা পর্যন্ত জেলহাজতে রাখিতে পারিবে, কিন্তু শুফআর দাবি বাতিল করিতে পারিবে না। শফী উহা পরিশোধের জন্য সময় প্রার্থনা করিলে তাহাকে তিন দিনের অবকাশ দেওয়া যাইতে পারে। আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মূল্য পরিশোধ না করিলে শুফআর অধিকার বাতিল হইয়া যাইবে।

ধারা-৪৭৬।

মোকদ্দমা দায়েরের সময়সীমা তলবে মাওয়াসিবাত ও তলবে ইশহাদের পর এক মাসের মধ্যে আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করিতে হইবে।

বিশ্লেষণ

তলবে মাওয়াসিবাত ও তলবে ইশহাদের পর এক মাস অতিক্রান্ত হইয়া গেলে ইমাম মুহাম্মাদ (র)-এর মতে শুফআর অধিকার রহিত হইয়া যায়। কিন্তু যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকিলে এবং শফী তাহার অধিকার স্বেচ্ছায় ত্যাগ না করা পর্যন্ত বিলম্বের কারণে তাহার অধিকার বিলুপ্ত হইবে না।

তথ্য নির্দেশিকা ১. মুজামু লুগাতিল ফুকাহা গ্রন্থে (পৃ. ২৬৪) শুফআর সংজ্ঞা দেওয়া হইয়াছে?

تملك الجار او الشريك العقار المباع جبرا عن مشتريه

بالثمن الذي تم عليه العقد .

কাওয়াইদুল ফিকহ, মুফতী সাইয়েদ আমীমুল ইহসান, ১৩৮১/১৯৬১, ইমদাদিয়া লাইব্রেরী, কুরআন মনজিল, ঢাকা। রদুল মুহতার আলাদ-দুৱৱিল মুখতার, ৫খ, মাকতাবায়ে মাজিদিয়া, ঈদগাহু তুগী রোড, কোয়েটা, পাকিস্তান ১৩৯৯ হি.।

هي تملك البقعة جبرا على المشترى بما قام عليه

কানযুদ দাকাইক, দিল্লী, মুজতাৰায়ী, পৃষ্ঠা ৩৯৯।

الشفيع الجار او الشريك الذي ياخذ العقار المباع من

৬ ০ ০ ১ ৫

ও ও

• all als su1 J_ __c!= 4 L মুজামু লুগাতিল ফুকাহা, পৃ. ২৬৫।

পূর্বোক্ত বরাত। ৬. মাজমূআ কাওয়ানীনে ইসলাম, ৬খ, পৃ. ২১২১-২১২২।

রদুল মুহতার, ৫খ, পৃ. ১৯১।

আম্‌দ-দুররুল মুখতার, হাশিয়া-মাজমাউল আনহুর, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৭২।

রদুল মুহতার, কিতাবুশ শুফআ, ৫খ, পৃ. ১৫২; আলমগিরী, ৫খ, পৃ. ১৬০-৬১;

বাদাইউস সানাই, ৫খ, পৃ. ১২। বাদাইউস সানাই, কিতাবুশ শুফআ, ৫খ, পৃ. ১৪। দুররুল মুখতার, বার হাশিয়া রদুল মুহতার, ৫খ, পৃ. ১৮৯ (মাজমূআহ কাওয়ানীন হইতে উদ্ধৃত, পৃ. ২১৫৪-৫৯)।

বদুল মুহতার, ৫খ, পৃ. ২০১। ১৩. বাদাইউস সানাই, ৫২, পৃ. ১১।

আল-মাবসূত, ১৪খ, পৃ. ১৪০।

বদুল মুহতার, ৫খ, পৃ. ১০৬-৭; আলমগিরী, ৫খ, পৃ. ১৬০। ১৬, আলমগিরী, ৪খ, পৃ. ১৫-১৯; রদুল মুহতার, ৫খ, পৃ. ২০৯-১০ (মাজমূআহ।

কাওয়ানীন হইতে উদ্ধৃত, পৃ. ২১৭১-২)। আলমগিরী, ৫খ, পৃ. ১৮৩। বাদাইউস সানাই, ৫খ, পৃ. ১৩। অবশ্য ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদের মতে, ক্রেতার নির্মাণকার্যের দ্বারা বিক্রেতার বিক্রয় বাতিলের অধিকার রহিত হয় না। তাই

শুফআর দাবিও উত্থাপন করা যায় না। ১৯. রদুল মুহতার, ৫খ, পৃ. ১৯৯।

নাসাবুর রায়াহ আল-আহাদীসিল হিদায়া, ২খ, পৃ. ২৫৮; রদুল মুহতার, ৫খ, পৃ. ১৯৬।

মদুিল মুহতার, ৫খ, পৃ. ১৯৭। ২২. আলমগিরী, ৫খ, পৃ. ১৭৫-৬।

মাজমূআহ কাওয়ানীনে ইসলাম, পৃ. ২২৪১। ২৪. আলমগিরী, ৫খ, পৃ. ১৭৩-৪।

বাদাইউস সানাই, ৫খ, পৃ. ১৬; আলমগিরী, ৫, পৃ. ১৭৩-৪। ২৬. বাদাইউস সানাই, ৫খ, পৃ. ২৩-৫। ২৭. মাজামাউল আনহুর, ২খ, পৃ. ৪৭২ (মাজমূআহ হইতে উদ্ধৃত, পৃ. ২২৬৩)। ২৮: রদুল মুহতার (মাজমূআহ হইতে গৃহীত, পৃ. ২২৭১)।

২৫.

৫৬৭

২৯. আলমগিরী, দেওবন্দ সংস্করণ, ৪খ, পৃ. ৩ (মাজমূআহ হইতে গৃহীত, পৃ. ২২৭২)। ৩০. বাদাইউস সানাই, ৫খ, পৃ. ২২। অবশ্য শাফিঈ মাযহাবমতে, শফীর মৃত্যুতে

শুফআর দাবি বাতিল হয় না, উহা তাহার ওয়ারিশগণের অনুকূলে বর্তায়। ৩১. রদুল মুহতার, ৫খ, পৃ. ১৯১-২১০ (মাজমূআহ হইতে গৃহীত, পৃ. ২২৭৭)।

আলমগিরী, ৫খ, পৃ. ১৯৮, কিতাবুশ শুফআ, ১৯ অনুচ্ছেদ। ৩৩. দুররুল মুখতার (মাজমূআহ হইতে গৃহীত, পৃ. ২২৭৮)। ৩৪. রদুল মুহতার, ৫খ, পৃ. ২০ (মাজমূআহ হইতে গৃহীত, পৃ. ২২৮৩-৪)। ৩৫. আলমগিরী, ৫খ, পৃ. ১৭৫-৬, ৪র্থ বাব; বাদাইউস সানাই, ৫ খ, পৃ. ২৫। • ৩৬. বাদাইউস সানাই, ৫খ, পৃ. ২৯; আলমগিরী, ৫খ, পৃ. ১৭৯-৮০।

আলমগিরী, ৫খ, পৃ. ৮০। ৩৮. আলমগিরী, ৫খ, পৃ. ৮০। ৩৯. আল-হিদায়া, ২য় ভলিউম, কিতাবুশ শুফআ, বাব মা তুবতিলু বিহিশ-শুফআ, পৃ.

৩৯২। ৪০. রদুল মুহতার, ৫খ, পৃ. ১৭৯ (মাজমূআহ হইতে গৃহীত, পৃ. ২৩২২)। ৪১. বাদাইউস সানাই, ৫খ, পৃ. ২৬-৭; রদুল মুহতার, ৩খ, পৃ. ২০১২। ৪২. দুররুল মুখতার (মাজমূআহ হইতে গৃহীত, পৃ. ২৩২৪)। ৪৩. বাদাইউস সানাই, ৫খ, পৃ. ২৩-২৫। ৪৪. দুররুল মুখতার (মাজমূআহ হইতে গৃহীত, পৃ. ২৩৩৯)।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *