হেমলকের নিমন্ত্রণ – ৫২

৫২

‘মিথ্যা কোনোদিন সময়ের পরীক্ষায় জিততে পারে না।’

— সফোক্লিস।

***

সক্রেটিস ধীর পায়ে হাঁটছেন।

তিনি এখন সত্তর বছরের বৃদ্ধ। আগের মতো এত জোরে হাঁটতে পারেন না। আকাশ মেঘমুক্ত, ঝকঝকে পরিষ্কার। তার মনও পরিষ্কার। আগোরার পথে অনেক মানুষ। সক্রেটিস মানুষ দেখছেন আর হাঁটছেন। মানুষ দেখতে তার ভালো লাগে। এই জীবনে তার মানুষ দেখা শেষ হবে না। তিনি জিমনেশিয়ামে গিয়েছিলেন নতুন একটি ছেলের কাছে। ছেলেটির নাম থিটিটাস। খুবই জ্ঞানী ছেলে। সক্রেটিস তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন— ‘জ্ঞান কাকে বলে?’ এই আলোচনার কিছু যুক্তি তার মাথায় ঘুরঘুর করছে, যুক্তিতে মগ্ন হয়ে তিনি আগোরার ভেতর দিয়ে হাঁটছেন।

হঠাৎ শুনলেন, কে যেন পেছন থেকে ডাকছে। ঘুরতেই দেখেন, কবি মেলিতাস। অনেক দূর থেকে তাকে ডাকছে। সক্রেটিস দাঁড়ালেন। সক্রেটিসের মনে পড়ল— তিনি এই কবিকে অনেক দিন আগে পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন। এই কবি নিজের কবিতা নিজেই বোঝে না। ঘটনা মনে পড়ে তার হাসি পেল।

মেলিটাস খুব জোরে হাঁটছে। মনে হয় খুব জরুরি কিছু করতে যাচ্ছে। উত্তেজনায় কাঁপছে। তার সাথে দুজন নগর পুলিশ। তাদের কোনো উত্তেজনা নেই। তারা হেলেদুলে হাঁটছে। মেলিতাস জোরে হেঁটে এগিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ তাকিয়ে দেখে তার পাশে পুলিশ নেই। পুলিশ না দেখে তার ভয় লাগছে। সে পুলিশদের জন্য দাঁড়াচ্ছে। পুলিশ সামনে এলে আবার চলতে শুরু করছে। পুলিশ দুজন বেশ মজা পাচ্ছে। তারা ইচ্ছে করেই যেন আরও আস্তে আস্তে হাঁটছে।

সক্রেটিসের সামনে এসে মেলিতাস কিছু বলতে পারছে না। অনেকক্ষণ কেটে যাচ্ছে। মেলিতাস কাঁপছে।

সক্রেটিস হাসি দিয়ে বললেন, কালিসপেরা, শুভ সকাল।

মেলিতাস শুভ সকালও বলতে পারছে না। কে যেন তার গলা আটকে ধরেছে। বেচারা কবি মানুষ। এনিতাসের কথায় মামলা করতে এসেছে। কিন্তু এখন বুঝতে পারছে, এটি তার কাজ নয়।

সক্রেটিস স্মিত মুখে তাকিয়ে আছেন। অপেক্ষা করছেন। একজন মানুষ কিছু বলবে সেজন্য অপেক্ষা। মানুষের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করতেও তার ক্লান্তি নেই। তিনি ভালো করে মেলিতাসকে দেখছেন। লম্বা চুল। নাকটা অনেক চোখা। খোঁচা খোঁচা ছাগল! দাঁড়ি। কবি কবি ভাব আছে চেহারায়। সক্রেটিস ভাবছেন মানুষের মুখের উপর তার অন্তরের ছায়া দেখার নিশ্চয়ই একটি উপায় আছে। সেই উপায় সক্রেটিস জানেন না। তবে এটুকু বুঝতে পারছেন মেলিতাস ভয়ে আছে। আর পুলিশ নিয়ে যখন এসেছে, তখন কিছু একটা ঝামেলা আছে। সক্রেটিস হাসিমুখে অপেক্ষা করছেন, কখন মেলিতাস কিছু বলবে। তিনি বিরক্ত হচ্ছেন না।

বিরক্ত হলো পুলিশ দুজন। একজন পুলিশ মেলিতাসের হাত থেকে পেপিরাস কাগজটি নিয়ে বলল, জনাব সক্রেটিস, এই ভদ্রলোকের নাম মেলিতাস। উনি আপনার নামে মামলা করেছেন। এটি হলো আইনি নোটিশ। আপনি এটি রেখে আমাদের খাতায় স্বাক্ষর করে দিন।

সক্রেটিস পেপিরাসটি হাতে নিয়ে বললেন, মামলা? আমার নামে? কী নিয়ে মামলা?

পুলিশ বলল, সেটি বলা আমাদের কাজ নয়। অনুমতি নেই। নোটিশে লেখা আছে। আপনি যদি খাতায় সই করে দেন, আমরা বিদায় নিতে পারি।

সক্রেটিস সই করে দিলেন।

পুলিশ বলল, আজ থেকে চার দিনের মধ্যে আগোরায় প্রধান ম্যাজিস্ট্রেট-এর অফিসে গিয়ে একবার হাজিরা দিয়ে আসতে হবে। তারপর চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিচার হবে। বিচারের তারিখ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

পুলিশ চলে যেতেই সক্রেটিস মেলিতাসকে বললেন, তুমি কিছু বলবে? মেলিতাস মাথা নাড়ল। তার কিছুই বলার নেই।

সক্রেটিস বললেন, জিমনেশিয়াম থেকে এলাম। সেখানে থিটিটাস নামের একটি ছেলের সাথে আলোচনা হলো। আলোচনার বিষয় ছিল— জ্ঞান কী? চমৎকার আলোচনা।

স্মিতহাসি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলেন সক্রেটিস। তার হাতে মামলার নোটিস।

মেলিতাস ভেবেছিল সক্রেটিস তার ওপর ক্ষেপে যাবেন। মিথ্যা মামলা বলে তার সাথে মারামারিও শুরু করতে পারেন। কিন্তু তিনি কিছুই করলেন না। নোটিশটি একবার পড়েও দেখলেন না। তিনি জানেনও না যে এটি তার মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা। কী বিপদ যে আসতে চলেছে, সেটি ভাবছেনই না সক্রেটিস। আজ তিনি নতুন এক ছেলেকে পরীক্ষা করেছেন, সেটি নিয়েই তিনি মগ্ন আছেন। মামলা তার কাছে কোনো বিষয়ই নয়।

মেলিতাস ভাবছে, এই লোক আইনি নোটিশটি না পড়েই ফেলে দিতে পারে। এনিতাসকে বলতে হবে, একটি নোটিশ যেন সক্রেটিসের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। না হলে, আবার নোটিস নিয়ে মেলিতাসকে আসতে হবে। সক্রেটিসের সামনে আর পড়তে চায় না মেলিতাস।

মামলার বিষয়টি নিয়ে সক্রেটিস যতই হেলাফেলা করুক, কিছুক্ষণের মধ্যেই সারা এথেন্সের মানুষ জেনে গেল, সক্রেটিসের নামে মামলা হয়েছে। গণতন্ত্রের বীর পুরুষেরা মামলা করেছে। এবার সক্রেটিসের খবর আছে।

.

খবর শুনে জেনথিপি পাগলের মতো করছেন।

তিনি জানেন, তার স্বামীর মতো নিরীহ মানুষ এথেন্সে আর নেই। সক্রেটিস যদি কারও প্রতি কোনো অন্যায় করে থাকেন, সেটি একমাত্র জেনথিপির প্রতি। আর কাউকে তিনি কোনোদিন কষ্ট দেননি। আর তার নামে আদালতে নালিশ করেছে? মানুষের মতো নিষ্ঠুর আর অবিবেচক প্রাণী পৃথিবীতে আর নেই

মায়ের বিলাপ শুনছে সক্রেটিসের তিন ছেলে। কী করবে তারা বুঝতে পারছে না।

জেনথিপি বলে যাচ্ছেন, তোর বাপের মতো এমন ত্যাড়া মানুষ সারা এথেন্সে আর একটিও নাই। আমি জানি, সে আদালতেও ত্যাড়া ত্যাড়া কথা বলবে। আমি সারাটা জীবন ওর ত্যাড়া কথা সহ্য করেছি। আমি শুনতে বাধ্য। কিন্তু আদালত বাধ্য নয়। আদালত সহ্য করবে না। তোর বাবার কপালে অনেক দুঃখ আসতেছে।

জেনথিপি উচ্চ স্বরে কান্না শুরু করলেন।

বড় ছেলে বলল, মা, আমি ক্রিতো চাচার কাছে যাই।

জেনথিপি দেখল, ছেলের বুদ্ধি হয়েছে। সে বলল, চল, আমিও যাব।

মাথায় একটি চাদর জড়িয়ে জেনথিপি ছেলের সাথে বেরিয়ে পড়ল।

ক্রিতো ভেবেছিলেন, তিনি নিজেই যাবেন জেনথিপির কাছে। তার আগেই ছেলেদের নিয়ে জেনথিপি চলে এসেছেন। ক্রিতো লজ্জিত হলেন। তাদের সমাদর করে ঘরের ভেতর নিয়ে গেলেন।

ক্রিতো বললেন, ভাবী, কোনো চিন্তা করবেন না। আদালতের চলন-বলন সব আমার মুখস্থ। কয়েকটা মামলাবাজের খায়েস হয়েছে। মামলা করেছে। এখন সক্রেটিসকে অভিযোগের জবাব দিতে হবে। সেই জবাবকে বলে জবানবন্দি। সক্রেটিসের জন্য একটি জবানবন্দি লিখতে হবে। আদালতে সেটিই পড়বে সক্রেটিস। তাহলেই খালাস।

‘কে লিখবে সেই জবানবন্দি?’

ক্রিতো বললেন, লেখালিখির জন্য প্লেটোর চেয়ে ভালো আর কেউ নেই। সক্রেটিসকে সে অত্যধিক মান্য করে। সে লিখলেই আমরা নিশ্চিন্ত

‘প্লেটো তো বাচ্চা ছেলে।’

‘বাচ্চা হলেও, সে এক বিস্ময়কর প্রতিভা। একেবারে ঝুনা নারকেল। আমি প্লেটোকে খবর দিয়েছি। ও এসে পড়বে।’

.

কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘোড়ার খুরের শব্দ পাওয়া গেল। প্লেটো এসেছে।

প্লেটো বলল, আমি তো জবানবন্দি লিখতেই পারি। কিন্তু এ যে আদালতের বিষয়। এসব লেখার জন্য কায়দা-কানুন আছে। আমি কি পারব?

ক্রিতো বললেন, সক্রেটিসের কথা তোমার মতো করে আর কেউ লিখতে পারবে না। নিয়ম-কানুন আমি দেখে দেব।

‘কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে— আমার লেখার কারণে যদি সক্রেটিস মুক্ত না হয়, তাহলে আমি নিজেকে কোনোদিন ক্ষমা করতে পারব না। তার চেয়ে এথেন্সের সবচেয়ে ভালো উকিলের কাছে যাওয়াই ভালো।’

‘কার কথা বলছ?’

‘লিসিয়াস’।

ক্রিতো একটু চিন্তা করে বললেন, হ্যাঁ, এই মুহূর্তে লিসিয়াসই এথেন্সের সেরা উকিল। কোনো মামলার জবানবন্দি লিসিয়াস লিখেছেন, আর সেই মামলা হেরেছে, এমন কোনোদিন হয়নি। চলো, তার কাছেই যাই।

জেনথিপি বললেন, কিন্তু উনি তো মনে হয় অনেক টাকা নেবেন, এত টাকা আমরা কোথায় পাব?

প্লেটো বলল, লিসিয়াস কোনো টাকাই নেবেন না। তিনি সক্রেটিসের বিরাট ভক্ত।

ক্রিতো চাকরকে হাঁক দিলেন, ঘোড়ার গাড়ি বের করো।

প্লেটো চট করে সক্রেটিসের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো লিখে নিল।

জেনথিপিও সাথে যাবেন। তিনি বললেন, ওনার জন্য জবানবন্দি লিখবে। আমার কাছে কিছু জানতে চাইতে পারে।

প্লেটো আর ক্রিতো চোখে চোখে তাকাল। এই মেয়েটি যে কত বড় মুখরা, সেটি তাদের চেয়ে কেউ বেশি জানে না। সক্রেটিসকে উঠতে বসতে শাপ-শাপান্ত করেন। আর সক্রেটিসের বিপদে সেই মুখরা মেয়েটিই সমস্ত বুক আগলে পাশে দাঁড়িয়েছেন।

সক্রেটিসের সংসার দেখে প্লেটো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সে জীবনে বিয়ে করবে না। কিন্তু এই মুহূর্তে জেনথিপির দিকে ভালো করে তাকিয়ে ভাবল, বউ জিনিসটা মনে হয় অত খারাপ কিছু নয়!

দুটি ঘোড়ার গাড়িতে করে যাচ্ছেন তারা। জেনথিপির কোলে একটি শিশু। শিশুটির বয়স মাত্র তিন বছর। জেনথিপি শুধু মামলার কথাই ভাবছে।

তিনি জিজ্ঞেস করলেন, যারা মামলা করেছে, তারা কি লোক খুব খারাপ?

ক্রিতো বললেন, মামলা তো করেছে তিনজন। তাদের মধ্যে মেলিতাস হলো কবি, আর লাইকন হলো বক্তা। এরা তেমন খারাপ নয়। এরা মামলাবাজ নয়। মামলাবাজ হলো এনিতাস। সে ভয়ংকর লোক। সক্রেটিসকে আগেও হুমকি দিয়েছে। অনেক বছর আগে যখন হেরোডোটাস এথেন্সে এসে এথেন্সের কাহিনি বলল, তখন এথেন্স সরকার হেরোডোটাসকে দশ টেলেন্ট সোনা পুরস্কার দিয়েছিল। সেই পুরস্কারের প্রস্তাব করেছিল এই এনিতাস। তখন পেরিক্লিসের যুগ। এথেন্সে তখন ধন-সম্পদ, বিদ্যা-বুদ্ধির ছড়াছড়ি। যাই হোক এনিতাসের কথা বলছিলাম। তার একটি চামড়ার ট্যানারি আছে। সে যুদ্ধে ভালো। কয়েকটা যুদ্ধে এথেন্সের সেনাপতিও ছিল।

জেনথিপি বললেন, তাহলেও তো সে অনেক বড় নেতা। মানুষ তো তার কথাই শুনবে।

প্লেটো বলল, না না, অত বড় নেতা নয়। মোটামুটি নেতা। তবে লোক খারাপ। তার নামে দেশদ্রোহের মামলা হয়েছিল। সে তো মামলাবাজ। আদালত খুব ভালো বোঝে। ঘুষ দিয়ে বের হয়ে গিয়েছিল।

একথা শুনে জেনথিপি কান্না শুরু করলেন। এই মানুষের থেকে সক্রেটিসের বেঁচে যাওয়া খুব কষ্টের হবে।

প্লেটো বলল, ওরা মিথ্যা মামলা দিয়েছে, মিথ্যা কোনোদিন জিততে পারবে না। ক্রিতো বললেন, হ্যাঁ, আমরা ভয় পাই না। প্রথমত, সক্রেটিস কোনো অন্যায় করেননি। দ্বিতীয়ত, আমরা এখন যাচ্ছি সবচেয়ে বড় উকিল লিসিয়াসের কাছে।

.

লিসিয়াস অত্যন্ত আনন্দের সাথে জবানবন্দি লিখেছে। কোনো টাকা নেয়নি। টাকা সাধলে সে বলেছে, সক্রেটিসের কাছে তার অনেক ঋণ। সে যে সক্রেটিসের জন্য কিছু লিখতে পারল, এটি তার পরম সৌভাগ্য। এজন্য টাকা সাধিয়া লজ্জা দিবেন না।

কিন্তু ঝামেলা হলো অন্যের লেখা জবানবন্দি সক্রেটিস পড়বেন না। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এই ব্যাপারে তাকে যেন কোনো অনুরোধ করা না হয়।

জেনথিপি সকাল থেকে কাঁদছেন। কত কষ্ট করে জবানবন্দি লিখিয়েছেন। আর সক্রেটিস সেটি পড়বেন না? সক্রেটিসের কাছে তার কোনো মূল্যই নেই। জেনথিপি উচ্চ স্বরে কাঁদছেন।

প্লেটো জানে, সক্রেটিস যখন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, তখন আর অনুরোধ করে লাভ নেই। সক্রেটিস নিজে থেকেই আদালতে বলবেন, অন্য কারও লেখা নেবেন না।

তবু ভয়ে ভয়ে প্লেটো বলল, এটি শুধু লিসিয়াস একা লিখেনি। আমি, ক্রিতো আর জেনথিপি বলেছি, লিসিয়াস সেগুলো গুছিয়ে লিখেছে। তাই আমি রেখে যাচ্ছি। সময় পেলে একটু দেখবেন।

ক্রিতোর মনে হচ্ছে সক্রেটিস কেমন যেন উদভ্রান্ত। মামলা নিয়ে কোনো হেল-দোল নেই। তিনি কি ইচ্ছা করে মরতে চাচ্ছেন?

সক্রেটিস ভাবছেন, তাকে অন্যের লেখা জবানবন্দি পড়তে হবে কেন? তার সমগ্র জীবনটাই তো আসলে একটি জবানবন্দি। তিনি জীবনে কোনোদিন চেনা পথে হাঁটেন নি, নতুন পথ খুঁজেছেন, পথ তৈরি করেছেন। সেজন্য সারাজীবনই তিনি তার কাজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কখনো মা-বাবার কাছে, কখনো বন্ধুদের কাছে, কখনো বউয়ের কাছে, আর সারাক্ষণ দিয়েছেন নিজের কাছে। সেজন্য তার জীবনই একটি জবানবন্দি। তিনি প্রতিদিন জবানবন্দি দিয়েছেন। তো এই আদালতের জবানবন্দির জন্য তার আর নতুন কিছুর দরকার নেই। তিনি সারা জীবন যে জবানবন্দি দিয়েছেন, সেটিই দেবেন। তার জীবন বাইরের মানুষের কাছে যেরকম, আদালতেও সেই একই রকম। তার নতুন কোনো জবানবন্দির দরকার নেই।

***

১৩১. প্লেটোর Euthyphro এবং Theaetetus ডায়ালগে মেলিতাসের মামলার উল্লেখ করেছেন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *