1 of 2

হেমলকের নিমন্ত্রণ – ২৩

২৩

‘ভালোবাসা হলো দুই শরীরে বাস করা একটি মিলিত আত্মা।’

—এরিস্টোটল

***

আসপাশিয়া সংসার করছে।

সুখের ঘরকন্না। সব মেয়ের মনেই একটি ছোট্ট ছিমছাম সংসারের ছবি থাকে। আসপাশিয়াও একটি ছোট্ট সংসারই চেয়েছিল। কিন্তু তার সংসার ছোট্ট না। ইয়া বড়। পর্বতের মতো। সে পেরিক্লিসের ঘরণী। পুরো এথেন্সই তার সংসার। সারা এথেন্সের নামি-দামি মানুষে তার ঘর গিজগিজ করছে। বড় বড় শিল্পী, সাহিত্যিক, দার্শনিক দিনরাত বারান্দায় বকবক করছে। চব্বিশ ঘণ্টা চুলা জ্বলছে। শ’খানেক দাস-দাসী হাউকাউ করছে। আসপাশিয়া এখন ব্যস্ত ঘরের মহাব্যস্ত ঘরণী।

পেরিক্লিস বাইরে বাইরে থাকেন। তার দম ফেলার সময় নেই। এই বাড়িতে আসার আগে আসপাশিয়া মাঝে মাঝে পেরিক্লিসকে একান্ত নিজের করে পেত। কিন্তু এখন তার সাথে একটু নিরিবিলি কথা বলার সময়ও পায় না।

তবু আসপাশিয়া সুখী। সময় দিতে না পারলেও, পেরিক্লিস একজন তুমুল প্রেমিক। তাকে সুখে রাখতে তিনি প্রাণপণ চেষ্টা করেন। পেরিক্লিসের আগের তরফের দুই ছেলেকেও আপন করে নিয়েছে আসপাশিয়া। ছেলে দুটি তাকে বড় গলায় মা বলে ডাকে। ছেলেপেলে নিয়ে আসপাশিয়া এখন মস্ত ঘরের ব্যস্ত গিন্নি।

এত কিছু করার পরেও একটি বিশেষ কাজ করে আসপাশিয়া। সে পেরিক্লিসের বক্তৃতা লিখে দেয়। সে না লিখলে, এখন আর পেরিক্লিস বক্তৃতা করতে পারেন না। পেরিক্লিস বক্তৃতা লিখতে বললে, আসপাশিয়া এমন ভাব করে যেন সে মহাবিরক্ত হয়েছে। আসলে এই কাজটি করতেই সে সবচেয়ে আনন্দ পায়।

সব মিলিয়ে নতুন সংসারে সে সুখী, মহাসুখী।

কিন্তু পেরিক্লিস সুখী নয়। তার মাথায় সব সময় ঘোরে তিনি আসপাশিয়াকে সুখী করতে পারেননি। তাকে আইনের বিয়ে করতে পারেননি। তার মনে হয় ভীষণ অপমানের জীবন কাটাচ্ছে মেয়েটি। আসপাশিয়ার চোখে চোখ পড়লেই মনে হয়, কী দিতে পেরেছি এই মেয়েটিকে? এমন ভালো একটি মেয়ে। এমন জ্ঞানী একজন মানুষ। তাকে মান-সম্মান কিছুই দিতে পারলাম না।

.

ভর দুপুরে বারান্দায় বসে আছেন পেরিক্লিস।

আসপাশিয়া বলল, একটি মজার কথা বলব? রাগ করা যাবে না।

পেরিক্লিস বললেন, মজার কথায় রাগ?

‘কথাটা আমার জন্য মজার। আপনার জন্য রাগের। ‘

‘ও, তাহলে মজা মাখা রাগের কথা। বলো শুনি।’

‘আমার বিয়েতে আচার অনুষ্ঠান একটু হয়েছিল। আপনি নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু আমি নিষেধ শুনিনি।’

‘তাই নাকি?’

‘হুঁম, সক্রেটিস আর তার মা বিয়েতে আচার করেছে।’

‘সক্রেটিসের তো দেখি বিরাট সাহস।’

‘তার মায়ের সাহসও কম না।’

‘বিয়ের অনুষ্ঠান কী রকম হলো?’

‘তেমন কিছু না। দিতি দেবীর মন্দিরে গিয়ে কিছু টুকটাক নিয়ম-কাজ। শুভ আলো, মঙ্গল-গোসল এসব।’

‘গান বাজনাও হয়েছে নিশ্চয়ই?’

‘হয়েছে। তবে গান সক্রেটিস করেনি। তার গানের গলা ভালো না। ফাটা বাঁশের মতো।’

‘তো কার গলা চিকন বাঁশির মতো? কে গান করল তোমার বিয়েতে?’

‘আপনার গায়ক বন্ধু ডেমন।’

‘ও, শয়তান ডেমনও সাথে ছিল? তলে তলে এত কিছু? কেউ দেখেনি তো?’

‘কাক-পক্ষীও দেখেনি।’

মনে মনে খুশিই হলেন পেরিক্লিস। ঝুঁকি ছিল। তাও মেয়েটা কিছু একটি করে একটু হলেও সুখ পেয়েছে— এই ভেবে আনন্দ হলো পেরিক্লিসের।

তিনি আলগা একটু রাগ দেখিয়ে বললেন, কাজটা খুবই খারাপ করেছ? আমার আদেশ অমান্য করেছ। অপরাধ হয়েছে। তুমি হলে এক নম্বর অপরাধী। আর দুই নম্বর অপরাধী হলো সক্রেটিস। ওকে শাস্তি দিতে হবে। শাস্তি হিসেবে ওকে একদিন দাওয়াত করো।

আসপাশিয়া ভীষণ খুশি। স্বামী তার মনের কথা পড়ে ফেলেছেন।

পেরিক্লিস আবার বললেন, এটি কিছু হলো? তারা বিয়ের অনুষ্ঠান করল, কিন্তু বিয়ের খাওয়া খেতে পারল না! একটি বিয়ের ভোজ তার পাওনা আছে। ডাকো, বন্ধুদেরসহ তাকে ডাকো।

আসপাশিয়া গদগদ হয়ে বলল, আগামী শনিবার ডাকি?

পেরিক্লিস বললেন, সেটি তোমার ব্যাপার। সংসার তোমার, ডাকাডাকির ফয়সালাও তোমার।

আসপাশিয়া জানে আইনে বিয়ে করতে পারেননি বলেই পেরিক্লিস কথায় কথায় তাকে তোমার সংসার, তোমার ঘর— এসব বলেন। শুনতে খারাপ লাগে না।

হঠাৎ পেরিক্লিস বললেন, সক্রেটিস ছেলেটাকে তুমি একটু বেশিই পছন্দ করো। তাই না?

আসপাশিয়া চমকে উঠল। পেরিক্লিস কী ইঙ্গিত করছেন? সে তার দিকে তাকাল। পেরিক্লিসের চোখে দুষ্টু হাসি। তিনি রসিকতা করছেন। বাইরে থেকে যে রাগটা দেখাচ্ছেন, সেটি খুনসুটি রাগ। এই রাগের জবাবে পাল্টা খুনসুটি করতে হয়। আসপাশিয়াও তাই করল।

সে বলল, হুঁম, সক্রেটিসকে আমি খুবই পছন্দ করি। সে আমার অনেক অনেক কাছের মানুষ।

পেরিক্লিস বললেন, কাছের মানুষ না হলে কি এত ঘন ঘন আসে?

‘তলে তলে সব খবরই আছে! সক্রেটিস বলে, আমি তার শিক্ষক। আমার থেকে সে অনেক কিছু শিখে। আমি নাকি মিষ্টি করে দর্শন, জ্ঞান এসব বলতে পারি। আমার মতো আর কেউ পারে না। তাই আমি তার গুরু।’

পেরিক্লিস অট্টহাসি দিয়ে বললেন, ‘তুমি সক্রেটিসের গুরু?’

‘কেন? হতে পারি না? আমি যদি মহান পেরিক্লিসকে বক্তৃতা লিখে দিতে পারি, তাহলে সক্রেটিসকে জ্ঞান দিতে পারি না?’

পেরিক্লিস বললেন, তার মানে সক্রেটিসের গুরুগিরি তোমার ভালো লাগছে। চালিয়ে যাও। তবে গুরু সাহেবা, ঘটনা হলো সক্রেটিসকে নিয়ে মুরুব্বিরা নানান কথা বলে। ছেলেটা নাকি উদ্ভট।

আসপাশিয়া বলল, কথা সত্য। সক্রেটিস আলাদা, তাই সে উদ্ভট।

‘তোমার মতো গুরু থাকতে সে উদ্ভট হবে কেন? তালিম দিয়ে পথে নিয়ে এসো।’

আসপাশিয়া উঠে বসল। পেরিক্লিসের একেবারে সামনে গিয়ে বলল, অনেক ঠাট্টা হয়েছে। এবার সত্যিটা বলছি। সক্রেটিসের মতো জ্ঞানী মানুষ এথেন্সে আর একটিও নেই। অল্প বয়সেই ওর চিন্তা-ভাবনা একেবারে আলাদা। অসাধারণ প্রতিভাবান মানুষেরা আমজনতা থেকে আলাদা হয়। আলাদা বলেই লোকে তাদেরকে উদ্ভট বলে।

পেরিক্লিস বললেন, তুমি তো সত্যিই সক্রেটিসের গুরুর মতো কথা বলছো। হুঁম, আমজনতার চেয়ে আলাদা হলে মানুষ উল্টা-পাল্টা বলে।

আসপাশিয়া বলল, আপনি নিজেও আলাদা। এজন্যই এথেন্সের মানুষ আপনাকে নিয়ে কথা বলে। আগে বলত, আপনি নাকি দেবতা জিউসের মতো। একবার যা বলেন, সেটি করে ছাড়েন। তারপর আমি এলাম আপনার জীবনে। মানুষ ভাবছে, আপনি আমার রূপের টানে দিশাহারা। আমাকে বিয়ে করেননি, কিন্তু ঘরে এনেছেন। আপনার জীবন সবার থেকে আলাদা। স্রোতের বিপরীত। তাই আপনাকে নিয়ে উল্টা-পাল্টা কথা হচ্ছে। আমার ক্ষেত্রেও তাই। এই একই কথা সক্রেটিসের জন্যও সত্যি। সে প্রশ্ন করে, তাই সে খারাপ। অন্য ছেলেরা তাকে ভালোবাসে, তাই মুরুব্বিরা তাকে দেখতে পারে না। তাদের কাছে সে উদ্ভট।

পেরিক্লিস বললেন, ঠিক আছে, সক্রেটিসের গুরু। মেনে নিলাম। আমি উদ্ভট, তুমি উদ্ভট, সক্রেটিসও উদ্ভট। আমাদের চারপাশে যারা আছে তারা সব উদ্ভট।

আসপাশিয়া হেসে উঠল। সে বলল, এখন একটি উদ্ভট আইনের কারণ বলেন।

‘কোন আইন?’

‘এথেন্সের মানুষ অন্য নগরের কাউকে বিয়ে করতে পারবে না। গণতন্ত্রে এমন অদ্ভুত আইন কীভাবে হলো?’

দীর্ঘশ্বাস ফেললেন পেরিক্লিস। বললেন, এই আইন আমি নিজেই করেছি। নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মেরেছি।

‘মানে?’

‘এটি আমার করা আইন। পাঁচ বছর আগে একদিন সংসদে দাঁড়িয়ে বললাম— ‘এথেন্স হবে একশ ভাগ খাঁটি জাতি। কোনো ভেজাল রক্ত আমরা এখানে মিশতে দেব না। এখন থেকে এথেন্সের কেউ আর এই নগরের বাইরের কাউকে বিয়ে করতে পারবে না। আইন পাস হলো। অথচ দেখো— ক’বছর পরে সেই আইনের শিকার আমি নিজে। আমাদের ট্র্যাজেডি নাটকের মতো। নিজের পাতা ফাঁদে নিজেই পড়েছি। তোমাকে কী ভয়ংকর কষ্টে রেখেছি।’

‘আমার কোনো কষ্ট নেই। আমি সুখী, অনেক সুখী।’

‘আমি সুখী না।’

‘কেন?’

‘তোমাকে মান-সম্মান দিতে পারছি না। ‘

‘সেটি আপনার হাতে নেই। আপনি চাইলেই আইন পাল্টাতে পারবে না। সবাই বুঝে যাবে তুমি আমার জন্য আইন পাল্টাচ্ছেন। ভোটে হেরে যাবেন। সে ঝুঁকি আপনাকে নিতে দেব না।’

‘তাহলে কী করব?’

‘আমাকে একটু ভালোবাসতে চেষ্টা করেন।’

‘আরও ভালোবাসতে হবে?’

‘পুরুষ মানুষের ভালোবাসা হলো পদ্ম পাতার পানি। তাকে যত্ন করে ধরে না রাখলে ফুঁস করে পড়ে যায়।’

পেরিক্লিস জানেন তার মধ্যে পদ্ম পাতার পানি নয়, এক মহাসাগর প্রেম আছে আসপাশিয়ার জন্য। তিনি আসপাশিয়াকে শ্রদ্ধা করেন। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা একসাথে হলেই সে সম্পর্ককে হিরন্ময় সম্পর্ক বলে। তাদের মতো হিরন্ময় সম্পর্ক এথেন্সে খুব কম আছে।

পেরিক্লিস ঠিক করলেন, তিনি তো এথেন্সের মানুষকে বলতে পারবেন না যে আসপাশিয়া আমার বউ। কিন্তু তিনি কাজে প্রমাণ করে দেবেন আসপাশিয়া বউয়ের থেকে অনেক বেশি, সে তার সহধর্মিণী।

পেরিক্লিস আসপাশিয়াকে নিয়ে বাইরে যাওয়া শুরু করলেন। তিনি আসপাশিয়াকে নিয়ে আগোরায় যান। সবার সামনে জড়িয়ে ধরেন। ভাষণ দেওয়ার আগে, সবাইকে শুনিয়ে বলেন, ঐ যে, আসপাশিয়া যে ভাষণটা লিখে দিয়েছে, ঐটা বের করো। এমনকি আসপাশিয়ার লেকচার শোনার জন্য তিনি ঘরোয়া অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন, যাতে তার বন্ধুদের সাথে তাদের স্ত্রীদেরও আমন্ত্রণ করেছিলেন। এথেন্সের নারীরা সেই প্রথম পুরুষের পাশাপাশি বসে রাজনৈতিক আলাপে অংশ নেয়।

যে প্রেমকে সমাজ স্বীকৃতি দেয় নি, সে প্রেমকে সবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে ভীষণ বাড়াবাড়ি করছেন পেরিক্লিস। তার এই বাড়াবাড়ি এথেন্সের মানুষের কাছে খুবই গরম খবর। পেরিক্লিস আর আসপাশিয়ার কাহিনি এখন সবার মুখে মুখে। সকালবেলা পেরিক্লিসের যাওয়ার পথে অনেক মানুষ ভিড় করে। দাঁড়িয়ে দেখে পেরিক্লিস কীভাবে আসপাশিয়াকে নিয়ে হেঁটে যান। তারা চলে গেলে বলে, ও তো আসপাশিয়া নয়, ও হলো হেলেন। স্পার্টার হেলেন। হেলেনের রূপে যেমন ট্রয় ধ্বংস হয়েছিল, তেমনই আসপাশিয়ার রূপে এথেন্স ধ্বংস হবে।

এথেন্সে এখন শান্তির সময় যাচ্ছে। পেরিক্লিস শক্তিশালী শাসক। অন্য কোনো দেশ এথেন্সকে আক্রমণ করার সাহস পাচ্ছে না। এথেন্সবাসী সুখে দিন কাটাচ্ছে। কিন্তু একটানা শান্তি মানুষের নিরামিষ লাগে। এক-আধটু হুজ্জতি না হলে জমে না। তারা হুজ্জুতি খুঁজছে।

এই মুহূর্তে এথেন্সে দুটি হুজ্জুতি আছে। একটি পুরনো হুজ্জুতি-ইঁচড়ে পাকা সক্রেটিসের কাণ্ড কারখানা। আর একটি হুজ্জতি নতুন-আসপাশিয়া আর পেরিক্লিস।

সুযোগ পেলেই আসপাশিয়াকে নিয়ে মানুষ ছিঃ ছিঃ করে। এই মেয়েটি বিশাল ঝামেলাবাজ। সে পেরিক্লিসের ঘরে থাকে। কিন্তু তার বউ নয়। তাহলে সে পেরিক্লিসের কী? কোনো ভদ্র মেয়ে এভাবে থাকতে পারে?

পেরিক্লিসকে প্রশ্ন করার সাহস কারও নেই। তার ব্যক্তিত্ব আকাশের সমান। সে গণতন্ত্রের এক নম্বর পুরুষ। কিন্তু এক নম্বর পুরুষ হয়ে দুই নম্বর কাজ করলে হবে?

মেয়েদের ব্যাপারে এথেন্সের অনেক পুরুষই দুই নম্বর তারা কেরামেকাসে যায়। ঘরে বউ থাকা সত্ত্বেও তাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য আছে বিশেষ আনন্দী-দাসী। সেসব দাসী নাচ-গান জানে। ধনীদের বাড়িতে সন্ধ্যায় বিশেষ সিম্পোজিয়াম আয়োজন হয়। সেখানে তুমুল আড্ডা হয়। সিম্পোজিয়ামে আনন্দী-দাসীরা নাচ-গান করে। শহরের আদর্শ পুরুষরা সেসব উপভোগ করে। অনেকে আবার দু’একটি আনন্দী দাসী ঘরেই রেখে দেয়।

এসব এখানে কোনো সমস্যা না। সমস্যা হলো পেরিক্লিস তো আসপাশিয়াকে আনন্দী-দাসী বানাননি। ব্যাটা বিয়ে করেনি, কিন্তু ভাবটা এমন যে আসপাশিয়া তার বউয়ের চেয়ে বেশি। তাকে নিয়ে পেরিক্লিস আগোরায় যান। বাজার করেন। সবার সামনে হাত ধরাধরি করে হাঁটেন। ছিঃ ছিঃ।

আসপাশিয়া যদি বারবনিতা হয়ে এথেন্সের রাস্তায় ঘুরত, তাতে কোনো সমস্যা ছিল না। তখন পুরুষদের ভালো লাগত। কিন্তু যখন পেরিক্লিস তাকে সম্মানের জায়গা দিয়েছে, তখন আসপাশিয়া বাইরে এলে পুরুষদের চোখ টাটায়। এখন তো আর আসপাশিয়া ভোগ্য নয়, তাহলে সে বাইরে আসবে কেন?

আসপাশিয়াকে নিয়ে এখন সবখানে ফিসফিস, ভিসিভিস। তাকে নিয়ে ছেলেরা কেচ্ছা বানায়। ছেলেদের বাপও বানায়। ছেলেদের মায়েরাও হাহুতাশ করে।

সক্রেটিসের কাছে এসব কেচ্ছার খবর আনে চেরোফোন। সে এথেন্সের চলমান বেতার। সব সময় নিত্য নতুন খবর থাকে তার কাছে। তাকে দেখলেই সবাই জিজ্ঞেস করে, আজকের টাটকা খবর কী?

চেরোফোন একটি টাটকা খবর এনেছে। আসপাশিয়া সক্রেটিসকে দাওয়াত করেছে। সে একা নয়, চেরোফোন আর ক্রিতোরও দাওয়াত।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *