সাধ
তোমাকে কখনও বেড়াতে নিইনি
যেখানে চাঁদের নাগাল পেতে পাহাড়ের কাখে চড়ে বসে থাকে একটি দুষ্টু
নদী, গায়ে হলুদের দিনে একঝাঁক নক্ষত্রের চোখ ফাঁকি
দিয়ে চুপ চুপ, টুপ করে জলে পড়ে নদীর সারা গায়ে চুমু খায় চাঁদ!
তোমাকে কি নিয়েছি
যেখানে সমুদ্র মন খারাপ করে বসে থাকে, আর তার জলতুতো পাখিগুলো অরণ্যের
বিছানায় শুয়ে রাতভর কাঁদে। সমুদ্রের মন ভাল হলে নেমন্তন্ন করে
পাখিদের, অঢেল খাবার আর পানীয়ের ছড়াছড়ি–পাখিরা বিষম খুশি, কিছু ফেলে,
কিছু খায়। নাচে, গায়!
তোমাকে বড় নিতে ইচ্ছে করে
যেখানে বরফের চাঁইএর হাঁটুতে মাথা রেখে সুবোধ বালকের মত ঘুমিয়ে আছে আগ্নেয়গিরি, আর দিগন্তের
মাথায় ঠোকর খেয়ে
কেঁদে কেটে চোখ লাল করে অভিমানে দৌড়ে বাড়ি ফেরে হাওয়ার কিশোরী, দেখে বরফের চোখেও
জল জমে মায়ায়।
তোমাকে কত কোথাও নিতে ইচ্ছে
যেখানে সাতরঙ জামা পরে প্রজাপতি চুমু খেতে যায় ঘাসফুলের ঠোঁটে, পাড়ার ন্যাংটো হরিণ তার জামা কেড়ে
নিতে দৌড়ে আসে, দেখে প্রজাপতি লুকোয় রাঁধাচূড়া মাসির শাড়ির আঁচলে, ঘাসফুল ভেজা ঠোঁটে অপেক্ষা
করে আরেকটি চুমুর।
তুমি নেই বলেই কী ইচ্ছেরা জড়ো হচ্ছে এমন …