সাত আকাশ
দেখেছিলাম এক আকাশচারির মুখ।
আমাকে সে উড়িয়েছিল এক আকাশ দু’আকাশ করে
সাত আকাশে, দিয়েছিল শীর্ষসুখ!
সুখে আমি ভাসছিলাম, কাঁপছিল শরীর থিরথির।
নক্ষত্রের মত সে চুমু খেয়েছিল প্রতিটি লোমকূপ
নেমেছিল চুপ চুপ…
বিষম জোয়ার-জলে, সাঁতরেছিল সারারাত–
আহা! ছুঁড়ছিলাম সুখে
দু’হাত।
আকাশচারি হঠাৎ হারিয়ে গেলে ভিড়ে
পেছনে দেখেনি ফিরে
কী করে পড়ছি আমি নিচে
মাটিতে, ধুলোর
রাস্তায়, পিচে।
স্বপ্নের সেই আকাশ
যেখানে আকাশচারির বাস,
আর কেউ যেতে চায় যাক,
পালে যার হাওয়া আছে, নিজেকে
হারাক।
ধুলোর ঠিকানা ছেড়ে আমি কোথাও যাব না