মহর্ষি ভৃগুর পুত্র ও অসুরদের গুরু। ওঁর কন্যা দেবযানী ছিলেন রাজা যযাতির পত্নী। শুক্রের আদিনাম ছিল উশনা। দেবগণের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবার জন্য উশনার মাতার কাছে অসুরগণ আশ্রয় নেন। দেবতারা সেইজন্য সেখানে প্রবেশ পারেন নি বলে, বিষ্ণু তাঁর চক্র দিয়ে ভৃগুপত্নীর শিরশ্ছেদ করেন। এর পর থেকেই উশনা দেবতাদের বিপক্ষে যান। একদিন উশনা যোগবলে কুবেরকে বন্দী করে তাঁর ধন হরণ করেন। মহাদেব তাতে ক্রুদ্ধ হয়ে উশনাকে শূল নিয়ে মারতে আসেন। উশনা ক্ষুদ্র আকার নিয়ে শূলের অগ্রভাগে আশ্রয় নিলে মহাদেব তাঁকে মুখে নিয়ে গ্রাস করে ফেলেন। এরপর উশনাকে জঠরের মধ্যে নিয়েই মহাদেব মহাহ্রদের মধ্যে দশ কোটি বছর তপস্যা করেন। তপস্যান্তে উনি যখন উঠলেন,তখন উশনা মহাদেবকে প্রার্থনা জানালেন ওঁকে জঠর থেকে মুক্তি দেবার জন্য। মহাদেব তখন ওঁকে নিজের শিশ্ন দিয়ে নির্গত হবার অনুমতি দিলেন। শিশ্ন দিয়ে নির্গত হবার জন্য ওঁর নাম শুক্র হল। শুক্র বেরোতেই মহাদেব আবার ক্রুদ্ধ হয়ে ওঁকে মারবার জন্য শূল তুললেন। তখন ভগবতী বাধা দিলেন। শুক্রকে আপন পুত্র জ্ঞান করে বলে বললেন – যে মহাদেবের উদর থেকে বহির্গত হয়েছে, সে বিনষ্ট হতে পরে না। অসুরদের রাজা বৃষপর্বা শুক্রকে তাঁদের আচার্য করেছিলেন। শুক্র মৃতসঞ্জীবনী মন্ত্র জানতেন বলে দেবতারা অসুরদের ধবংস করতে পারতেন না। মৃত অসুরদের শুক্র আবার বাঁচিয়ে তুলতেন। দেবতাদের গুরু বৃহস্পতির পুত্র কচ পরে শুক্রের শিষ্য হয়ে সেই বিদ্যা আয়ত্ব করে দেবতাদের শিখিয়ে দেন।