চেদিরাজ। দমঘোষের পুত্র। দমঘোষের মহিষী ছিলেন কৃষ্ণার পিতৃস্বসা। শিশুপাল চারটি হাত ও তিনটি নয়ন নিয়ে জন্মেছিলেন। দৈববানী হয়েছিল যে, যাঁর কোলে উঠলে এঁর দুই বাহু খসে যাবে একটি নয়ন অদৃশ্য হবে,তাঁর হাতেই এর মৃত্যু হবে। কৃষ্ণ ওঁর পিসীমাতার কাছে এসে শিশুপালকে কোলে তুলতেই তাঁর দুই বাহু খসে গেল ও এক নয়ন অন্তর্হিত হল। শিশুপালের মাতা ভীতা হয়ে কৃষ্ণেকে বললেন শিশুপালের দোষ ক্ষমা করতে। কৃষ্ণ বললেন যে, তিনি ওর এক শত অপরাধ ক্ষমা করবেন। শিশুপাল কৃষ্ণের আত্মীয় হয়েও জরাসন্ধের সঙ্গে সহযোগিতা করে দ্বারকাপুরী দগ্ধ করেন, কৃষ্ণের পিতার যজ্ঞের অশ্ব হরণ করেন, বভ্রুর অকামা ভার্যাকে হরণ করেন, ছদ্মবেশে মাতুল কন্যাকে করুষ রাজার জন্য হরণ করেন – এই রকম বহুবিধ অপকর্ম করনে। পরে যুথিষ্ঠিরের রাজসূয় যজ্জের প্রারম্ভে সভায় ভীষ্মের নির্দেশে কৃষ্ণকে শ্রেষ্ঠ অর্ঘ দেওয়া হলে ভীষ্ম ও কৃষ্ণের নিন্দা শুরু করেন। এইভাবে ওঁর একশত অপরাধ পূর্ণ হলে কৃষ্ণ ওঁর চক্র দিয়ে শিশুপালকে বধ করেন। দিতির পুত্র হিরণ্যকশিপুই নরলোকে শিশুপাল হয়ে জন্মান।