শাস্তি
বড়মামা সবে ঘুম থেকে উঠেছেন। রোজ ভোর চারটের সময় ওঠেন। আজ পনেরো মিনিট দেরি হয়ে গেছে। আমি আমার জাগায় শুয়ে লক্ষ রাখছি। মশারির ভেতর গ্যাঁট হয়ে বসে বালিশের তলা থেকে সোনার হাতঘড়িটা বের করে পেনসিল-টর্চের আলোয় সময় দেখলেন। মুখে একটা চুকচুক শব্দ হল। ঘড়িটা বালিশের তলায় রাখতে রাখতে নিজের মনেই বললেন, ‘কেন এমন হল! নিজের ঘড়ি লেট হল কেন? কেন স্লো যাচ্ছে! অয়েলিং করতে হবে।’
বড়মামা বলেন, আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই একটা ঘড়ি আছে। নিয়মে বেঁধে ফেলতে পারলে সময়ের এতটুকু নড়চড় হবার উপায় নেই। চারটে তো ঠিক চারটের সময়েই ঘুম ভাঙবে। দশটা তো ঠিক দশটার সময়েই ঘনঘন হাই উঠে জানিয়ে দেবে রাত দশটা বাজল। ঘুমোতে যাবার সময় হল। এইরকম আর কী। ঘড়ি না থাকলেও নিজের ঘড়ি জানিয়ে দেবে সময়।
বড়মামা নিজের মনেই বলে উঠলেন, ‘বিমল, সাজা পেতে হবে। সময়ের খেলাপ হয়েছে। কোনও ক্ষমা নেই।’ নিজের দু’গালে চটাস চটাস করে চার-ছ’বার চড় মারলেন। মেরে বললেন, ‘তেমন জুতসই হল না। নিজের গাল তো! পক্ষপাতিত্ব হয়ে গেল। কাউকে দিয়ে মারাতে হবে।’
মশারি তুলে নেমে এলেন বিছানা থেকে। আমার বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘এটারও খুব ঘুম বেড়েছে।’ মশারির মাথার দিকে এসে কপালে হাত রাখলেন। ‘বিলু, বিলু, গেট আপ।’
আমি তো জেগেই ছিলুম। তড়াক করে উঠে বসলুম।
বড়মামা এক ধমক লাগালেন, ‘কতদিন বলেছি, ওইভাবে আচমকা উঠবি না। ঘাড়ে খ্যাঁচকা লেগে যাবে। যাক, যা হবার তা হয়েছে, ভবিষ্যতে সাবধান।’ তারপর গলার সুরটা অন্যরকম করে বললে, ‘তুই আমার একটা উপকার করবি?’
‘বলো।’
‘তুই আমার দু’গালে সপাটে গোটাকতক চড় হাঁকড়াবি!’
‘সে আবার কী? এখনও ভালো করে ভোরের আলো ফোটেনি। তোমার মুখে এ কী কথা! গুরুজনের গালে চড় মারতে আছে?’
‘শোন, শোন, এ-চড় সে-চড় নয়। তুই আমার হয়েই আমাকে মারবি। এমন মারবি যেন পাঁচ আঙুলের দাগ বসে যায়।’
‘একসকিউজ মি।’
‘এই সামান্য উপকারটা করতে পারবি না?’
‘অ্যা’ম সরি।’
‘তুই একটা স্বার্থপর, আত্মপর, পরশ্রীকাতর, সেলফিস জায়েন্ট।’
‘হ্যাঁ তাই। বড়মামার গালে সাতসকালে চড়। পৃথিবীতে কেউ কোনওদিন শুনেছে!’
‘বেশ, আমি এই দেওয়াল থেকে ওই দেওয়াল, ষোলো ফুট তো হবেই। এই ষোলো ফুট আমি নাকখত দোব। তুই মলমটা রেডি রাখ।’
‘কী হয়েছে বলো তো?’
‘সিনস নাইটিন থার্টিফোর, আমি ভোর চারটের সময় উঠি। আজ পনেরো মিনিট লেট। হোয়াই লেট। হোয়াট ফর লেট। কেন এই আলস্য! আমার তমোগুণ বাড়ছে। চড়িয়ে ব্যাটাকে তাড়াতে হবে। তিন জোড়া চড় কষিয়েছি। তেমন সুবিধে হল না। নিজের গাল তো! দুই-দুই হয়ে গেল। তা তোকে বললুম। তুই তো জীবনে কারও উপকার করতে শিখলি না।’
‘তুমি অন্য উপকার বলো, আমি করে দোব। আচ্ছা, আমার কথা থাক, তুমি মাসিমা, মেজোমামাকে জিগ্যেস করে দেখো, মামার গালে ভাগনে কখনও চড় মারতে পারে?’
‘আহা, এটা তো ভাগনের চড় নয়, মামারই চড়।’
‘সাতসকালে আমার বাবা এই ক্যাচোরম্যাচোর আর ভাল্লাগে না। একদিন পনেরো মিনিট দেরিতে উঠেছ তো কী হয়েছে শুনি!’
‘কেন উঠব! সিনস নাইনটিন থার্টিফোর, আমি চারটের সময় উঠি। আমার ঘড়ি স্লো হয়ে গেছে।’
‘ফার্স্ট করে দাও।’
‘সে ঘড়ি আমার ভেতরের ঘড়ি।’
‘দম দেওয়া, না কোয়ার্জ-ব্যাটারি?’
‘আগে ভাবতুম দম, এখন মনে হচ্ছে ব্যাটারি।’
‘তা হলে ব্যাটারি পালটাও।’
মেজোমামা পাশ দিয়ে যেতে যেতে থেমে পড়লেন, তারপর সুর করে গেয়ে উঠলেন, ‘পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল…।’
বড়মামা বললেন, ‘অ্যায়, শুরু হল। সব ব্যাপারে নাক গলানো চাই। ওই করে করে নাকটা তো নাকুমামার মতো হয়েছে। মেজোমামা না বলে নাকুমামা বলবি।’
‘বড়দা। নিজের নাক ভোঁতা বলে খাড়া নাকের সমালোচনা করো না। আমার এই নাক হল সেন্ট পারসেন্ট আর্য নাক। এইরকম নাক তুমি ইউরোপ-টিউরোপে পাবে।’
‘হ্যাঁ, হ্যা, তোমার বিলিতি নাক নিয়ে তোমার নিজের কাজে যাও। আমরা এখন একটু ব্যস্ত আছি।’
‘কী একটা ব্যাটারি-ব্যাটারি কানে এল! তোমার সেই লঝঝড়ে গাড়ির ব্যাটারি! ও তোমার জীবনে ঠিক হবে না। মোটর গাড়ি বলে তোমাকে গচিয়েছে, আসলে ওটা ঠেলাগাড়ি। আগের জন্মে বিশ-বাইশ হাজার টাকা ধার ছিল, এ-জন্মে সেটা শোধ হল আর কি।’
বড়মামা আমাকে বললে, ‘শিগগির তুলো নিয়ে আয়, তুলো।’
মেজোমামা বললেন, ‘কেন, কেটেকুটে গেল নাকি?’
আমিও ঠিক বুঝতে না পেরে জিগ্যেস করলুম, ‘তুলো কী হবে বড়মামা?’
‘কানে গুঁজব। বুঝতে পারছিস না, সাতসকালেই ও ঝগড়ার তাল খুঁজছে। কাল রাতে বিরিয়ানি খেয়েছে তো, হজম হয়নি।’
মেজোমামা অমনি গান ধরলেন, ‘বকো আর ঝকো আমি কানে দিয়েছি তুলো/মারো আর ধরো আমি পিঠে বেঁধেছি কুলো।’
হঠাৎ মাসিমা একতলা উঠোন থেকে চিৎকার করলেন, ‘বড়দা, তোমার সাইকেল? সাইকেলটা কোথায় গেল?’
বড়মামা বললেন, ‘সাইকেল সাইকেলের জায়গায়।’
‘আজ্ঞে না, সেখানে নেই বলেই তো চ্যাঁচাচ্ছি।’
‘অ্যাঁ, সে কী! তা হলে রাত্তিরে কেউ নিয়ে গেল না তো। দ্যাখ দ্যাখ, আর কী কী চুরি হল! আর কিছু চুরি হয়নি, সাইকেলটাই শুধু গেছে?’
মেজোমামা বললেন, ‘আমার নতুন জুতোজোড়া। জুতোটা আছে তো রে কুসি, না জুতো পরে সাইকেল চেপে চলে গেল?’
বড়মামা কপালে দু’বার টুসকি মেরে তীরবেগে নীচের দিকে ছুটলেন। আমি আর মেজোমামাও দৌড়লুম পেছন-পেছন। মেজোমামা সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বললেন, ‘আস্তে বড়দা, আস্তে। যা যাবার তা গেছে। তুমি আর পড়ে-ঝড়ে হাত-পা ভেঙো না।’
বড়মামা তরতর করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে সোজা সদরের দিকে ছুটলেন। আমি আর মেজোমামা পেছন-পেছন। মাসিমা বললেন, ‘কী হল? সাইকেলের শোকে সন্ন্যাস নেবে নাকি।’
আমরাও ব্যাপারটা বুঝছি না। বড়মামা সোজা বাগানে। বাগান পেরিয়ে পথে। পিচের রাস্তার এক মাথা চলে গেছে গঙ্গার দিকে। বড়মামা সেই দিকেই প্রায় দৌড়ে দৌড়েই চললেন। একটু তফাতে থেকে আমি চিৎকার ছাড়লুম, ‘বড়মামা, আপনার পায়ে কিন্তু ঘরে পরার চটি। মাসিমা দেখলে খুব রেগে যাবেন কিন্তু। কাজটা কিন্তু ভালো হচ্ছে না।’
মেজোমামা বললেন, ‘কী কিন্তু-কিন্তু করছিস? ভাষায় কিন্তুর ব্যবহার কমা।’
‘এ তো কথ্যভাষা।’
‘যখন লিখবি, কিন্তু আর এবং একদম কমিয়ে দিবি। কেমন? মনে থাকবে তো?’
মেজোমামা অধ্যাপক তো, তাই সব সময় শেখাবার চেষ্টা। এই অবস্থায় কি কিছু শেখা যায়! বড়মামা আমাদের আগে-আগে প্রায় ছুটছেন। বোঝাই যাচ্ছে না ব্যাপারটা কী! কিছু বলছেনও না। চলেছেন আবার গঙ্গার দিকে।
গঙ্গার ধারে ভুতো মল্লিকের বিখ্যাত সন্দেশের দোকান। এত বিখ্যাত যে দেশবিদেশ থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন। কাঁচাগোল্লা, রাতাবি, গোলাপি। সেসব যেমন নাম, তেমনই তার টেস্ট। বড়মামা সেই মিষ্টির দোকানের দিকে এগিয়ে চললেন।
মেজোমামা বললেন, ‘দেখেছিস! বোধহয় স্বপ্নে মা-কালী এসে বলেছেন, বিমল মিত্তির, তুমি কাল সকালেই নিদ্রাভঙ্গের পর তোমার প্রাণের ভাই আর ভাগনেকে একতাল করে টাটকা নরমপাক কাঁচাগোল্লা খাওয়াবে। তাই একেবারে পড়ি কি মরি ছুটে এসেছে। নাও। গেড রেডি। হাত পরিষ্কার আছে তো!’
আমরা বড়মামার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। শুনলুম, বড়মামা ভুতোবাবুকে তড়বড় করে জিগ্যেস করছেন, ‘ভুতো, আমার সাইকেল?’
ভুতোবাবু নিজের হাতে সন্দেশ মাখেন। কালো কাঠের বারকোশে অল্প-অল্প ডাবের জল মিশিয়ে ভুতোবাবু সন্দেশ ডলছিলেন। এই পাকের সন্দেশ সুবিখ্যাত—নাম ‘পলাশির যুদ্ধ’। ভুতোবাবু যেন আকাশ থেকে পড়লেন, ‘আপনার সাইকেল?’
‘হ্যাঁ, আমার সাইকেল। কাল রাতে তোমার এই দোকানের পাশটায় হেলান দিয়ে রেখেছিলুম।’
‘সে কী? ওখানে কেন রাখলেন?’
‘বাঃ, কোথায় তা হলে রাখব? তোমার দোকান থেকে সন্দেশ কিনলুম। তোমার মনে পড়ছে না?’
‘কেন পড়বে না! আধ কেজি ”আবার খাব” কিনলেন। আপনি আমার কত বড় খদ্দের!’
‘অ, তা তুমি আমাকে দেখলে, ”আবার খাব” দেখলে, আর আমার সাইকেলটা দেখলে না। এখন বলছ বড় খদ্দের।’
‘সন্দেশ কেনার পর আপনি কী করলেন?’
‘কী আবার করব, খেতে-খেতে, আপনমনে খেতে-খেতে, পায়ে পায়ে হেঁটে হেঁটে, বাড়ি চলে গেলুম।’
‘আর সাইকেল?’
‘সাইকেল তোমার এই দেওয়ালে ঠেসান দেওয়া ছিল।’
‘আপনি আমাকে একবারও বলেছিলেন?’
‘বলব কী করে? আমার কি খেয়াল ছিল! তুমি তো খেয়াল করবে!’
‘আপনি সাইকেলটা খোলা রাস্তায় ফেলে রেখে সন্দেশ খেতে-খেতে, বাড়ি চলে গেলেন। আশ্চর্য আপনি? সাইকেল কি ছাতা?’
হইহই পড়ে গেল। ভুতোবাবু নেমে এলেন। কর্মচারীরা সব বেরিয়ে এল। সকলেই যে দেওয়ালে সাইকেলটা হেলান দেওয়া ছিল, সেই দেওয়ালটা গভীর মনোযোগে দেখতে লাগলেন।
মেজোমামা বললেন, ‘কী বুঝছ ভাগনে? সবাই দেওয়ালে সাইকেলের ছাপ খুঁজছে।’
দোকানের সকলেই বললেন, ‘নাঃ, সাইকেলটা গেছে।’
বড়মামা বললেন, ‘সেটা আপনারা এখন বুঝলেন, আমি বুঝেছি একঘণ্টা আগে।’
বড়মামা আবার হনহন করে হাঁটতে লাগলেন। আমাদের সঙ্গে একটাও কথা নেই। এবার চলেছেন উলটো দিকে, বাজারের দিকে। বড়মামা সোজা থানায় গিয়ে ঢুকলেন। ও.সি. বড়মামার বন্ধু। সব শুনে বললেন, ‘ডাক্তার, একে তো চুরি বলা যাবে না, এ তো তুমি সাইকেলটা জনসাধারণকে দানই করে দিয়েছে! আমি কাকে ধরব! ধরতে হলে ভুতো মল্লিককে ধরে এনে বেধড়ক পেটাতে হয়! সেটা কি ঠিক হবে! লোকটার অত নাম! বিখ্যাত সাপ্তাহিকে ওর নামে লেখা বেরিয়েছে।’
ফিরে এসে বড়মামা আর বাড়ি ঢুকলেন না। বাগানে জামরুল গাছের তলায় বসলেন। মাসিমাও এসেছেন। জিগ্যেস করলেন, ‘কেসটা কি?’
মেজোমামা বললেন, ‘বড়দা, আধসের সন্দেশ তুমি কিনলে?’
বড়মামা গম্ভীর মুখে বললেন, ‘হ্যাঁ, কিনলুম।’
মাসিমা বললেন, ‘আমি জানতে চাই সাইকেলটা কোথায়?’
মেজোমামা বললেন, ‘আধসের ”আবার খাব” তুমি একা-একা খেলে? তাও রাস্তায়! আমাদের কথা তোমার একবারও মনে পড়ল না?’
মাসিমা বললেন, ‘সন্দেশ পরে হবে, আমি জানতে চাই নতুন সাইকেলটা গেল কোথায়?’
বড়মামা বললেন, ‘নীচের দিকে তো কারও নজর নেই, দরজা খোলা হাওদা পড়ে থাকে, কে কখন নিয়ে সটকেছে।’
বড়মামা মিথ্যে বলছেন। আমি ‘ইঁ’ করে শব্দ করে ফেললুম। মেজোমামা বললেন, ‘ছিঃ ছিঃ, এত বড় ডাক্তার, ছোট বোনের ভয়ে ডাহা মিথ্যে কথা বলছে। আসল ঘটনা…।’
মেজোমামা সব একটু-একটু করে বললেন। সন্দেশ কেনা, একা-একা রাস্তায় খেতে-খেতে, সাইকেল ভুলে চলে আসা।
মাসিমা বললেন, ‘তোমরা শুনে রাখো, এই মাননীয় ভদ্রলোক অপরাধী। প্রথম অপরাধ, লোভী। লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। দ্বিতীয় অপরাধ, অসভ্যতা। অসভ্যের মতো, রাস্তায় হালুম-হালুম করে সন্দেশ খেয়েছে।’
বড়মামা বললেন, ‘আলুরদম, কি ঘুগনি, কি ফুচকা খাইনি।’
মেজোমামা বললেন, ‘হ্যাঁ, চুপ! একটাও কথা…।’
মাসিমা একধমক লাগালেন, ‘চুপ। তুমি কথা বলার অধিকার হারিয়েছ।’
মাসিমা বললেন, ‘আমি বিচার করছি, তোমাকে আর পাকামো করতে হবে না। বড়দা, তোমার তৃতীয় অপরাধ, তুমি মিথ্যেবাদী। তোমার চতুর্থ অপরাধ, দিন-দিন তুমি বেহেড হয়ে যাচ্ছ। তোমাকে আমরা বয়কট করলাম।’
মাসিমা আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘চলে এসো তোমরা। এর সঙ্গে মিশলে খারাপ হয়ে যাবে।’
দোতলার বারান্দা থেকে দেখছি, বড়মামা সারা বাগানে গোল হয়ে ছুটছেন। ছুটছেন আর ছুটছেন। ঘেমে গেছেন। হাঁপাচ্ছেন। তবু ছুটছেন। আমার পাশে বারান্দায় দু’পা তুলে খাড়া দাঁড়িয়ে আছে বড়মামার পেয়ারের কুকুর লাকি। বড়মামার কাছে যেতে পারছে না বলে কুঁকুঁ করছে।
চিৎকার করে বললুম, ‘তুমি অত ছুটছ কেন?’
হাঁপাতে-হাঁপাতে বললেন, ‘নিজেকেই নিজে শাস্তি দিচ্ছি।’
‘কখন থামবে?’
‘যতক্ষণ না সব পাপ ঘাম হয়ে ঝরে যাচ্ছে।’