শমীক

একজন মুনি। মহারাজ পরীক্ষিৎ(অভিমন্যু ও উত্তরার পুত্র) মৃগয়া করতে এসে এক বাণবিদ্ধ মৃগকে খুঁজতে খুঁজতে শমীকের দেখা পান। শমীককে তিনি প্রশ্ন করলেন যে, আহত মৃগটিকে তিনি দেখেছেন কিনা। মৌনব্রতেধারী শমীক কোনও উত্তর করলেন না দেখে, পরীক্ষিৎ ক্রুদ্ধ হয়ে একটি মৃত সর্প মুনির স্কন্ধে ঝুলিয়ে চলে যান। শমীকের পুত্র শৃঙ্গী যখন সেই খবর জানলেন তখন তিনি পরীক্ষিত্কে অভিশাপ দিলেন যে,সাত দিনের মধ্যে তক্ষক নাগের দংশনে পরীক্ষিতের মৃত্যু হবে। অভিশাপের কথা শুনে শমীক পুত্রকে বললেন যে,এই অভিশাপ দেওয়া তাঁর উচিত হয় নি। তিনি যে মৌনব্রত করছেন,তা পরীক্ষিৎ জানতেন না বলেই ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি কাজটি করেছেন। তারপর গৌরমুখ বলে এক শিষ্যকে পাঠালেন পরীক্ষিৎকে অভিশাপের কথা জানিয়ে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *