একাত্তর
ঝাঁ-চকচকে লিঙ্কন টাউন কারটা যখন থেমে দাঁড়াল ফুলটন স্ট্রিটে, সূর্যটা তখন আগুন ঢালছে ম্যানহ্যাটনের মাথায়।
গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে দ্রুত-কিন্তু-সতর্ক পদক্ষেপে পশ্চিম অভিমুখে হাঁটতে লাগল চার আরোহী। সাইডওয়াক ধরে চলাচলরত ব্যস্ত পথচারী কিংবা লাঞ্চ ব্রেকে বেরোনো কর্মজীবীদের কেউই ধারণাই করতে পারল না, ফাইনানশাল ডিস্ট্রিক্টের হৃৎপিণ্ড লক্ষ্য করে সুপরিকল্পিত মিশন নিয়ে চলেছে বাংলাদেশ আর্মি, এসবিএস এবং মেরিন কোরের পুরানো পাপীদের সমন্বয়ে তৈরি সশস্ত্র দলটি।
‘এটাই, ‘ পালিশ করা ইস্পাতের হরফে ফ্যান্টম হোল্ডিংস, ইনক লেখা গ্লাস টাওয়ারের সামনে পৌঁছে বলল কোহেন।
টাওয়ারের আগাগোড়া নজর বোলাল রানা। ‘যাওয়া যাক তবে।’
এন্ট্রান্স দিয়ে প্রবেশ করে দীর্ঘ পদক্ষেপে রিসেপশন ডেস্কের উদ্দেশে লবি পেরোল ওরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।
আগুয়ান চার আগন্তুককে দেখে চোখ তুলে তাকাল যৌনাবেদনময়ী রিসেপশনিস্ট। নখগুলোয় গাঢ় লাল পালিশ লাগিয়েছে এবার মেয়েটা। সযত্ন-চর্চিত হাসিটা ঠোঁটের কার্নিশ থেকে খসে পড়ল কোহেনকে চিনতে পেরে।
‘কী খবর, প্রিয়দর্শিনী?’ ডেস্কের উপর ঝুঁকে পড়ে নতুন আইডি কার্ড দেখাল কোহেন। ‘চিনতে পেরেছ তা হলে!’ পাশে রাখা ফোনগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে বলল, ‘তোমার উপরঅলাদের ইনফর্ম করো, ফিরে এসেছি আমি। বহুত দেনাপাওনা চোকানোর আছে তাদের সাথে।’
লোকটার কথা বলার ভঙ্গিতে দ্বিধান্বিত হয়ে টেলিফোনের দিকে হাত বাড়াল তরুণী। নার্ভাস দৃষ্টিতে চারজনের দলটার দিকে তাকিয়ে থেকে বাটন চাপল ঝিলিক দেয়া নখে।
লবির একদিকে আঙুল দেখাল কোহেন, আধুনিক ভাস্কর্য আর প্লাসটিকের গাছগুলো ছাড়িয়ে দরজার দিকে। ওদিক দিয়েই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওকে।
‘থামুন!’ চার মূর্তিকে দরজার দিকে পা চালাতে দেখে ডেস্ক ছেড়ে উঠে দাঁড়াল মেয়েটা। ‘আপনারা –
ফিরেও তাকাল না কেউ। লবি পেরিয়ে ঢুকে পড়ল ওরা দরজা দিয়ে।
পরিষ্কার সব মনে আছে কোহেনের। নিয়ে চলল ওদের নরম কার্পেট বিছানো সর্পিল করিডোর ধরে। ওর পিছনে রয়েছে রানা। রানার পিছনে ফুলজেন্স আর হার্ডি।
যে-কোনও মুহূর্তে ফ্যান্টম হোল্ডিংসের গুণ্ডারা হাজির হয়ে যাবে, ধরে নিয়েছে ওরা। আর সেটা ঘটবে স্ক্যানার ও সিকিউরিটি দরজা পর্যন্ত যাওয়ার আগেই।
‘হুশ’ করে খুলে গেল একটা লিফটের দরজা। কালো সুট পরা তিন লোক বেরিয়ে এল ভিতর থেকে।
‘এক্সকিউজ মি!’ এক হাত তুলল মাঝের তাগড়া লোকটা। ‘এই যে… আপনারা! দয়া করে এগোবেন না আর!’
‘এই লোকই বন্দি করেছিল আমাকে,’ রানার দিকে চেয়ে বলল কোহেন।
সিআইএ এজেন্টকে চিনতে পেরে সরু হলো লোকটার চোখ দুটো। চোখের ভাষায় কথা হয়ে গেল সঙ্গীদের সঙ্গে।
ছড়িয়ে পড়ে করিডোর আটকে দিল ভদ্র পোশাকে তিন গুণ্ডা। ঝামেলা ঠেকানোর জন্য তৈরি।
লুকানো সাইড-আর্মের উদ্দেশে মাঝের লোকটা হাত বাড়াতে যেতেই প্রচণ্ড জোরে দেয়ালের সঙ্গে ঠেসে ধরল ওকে রানা। জ্যাকেটের নিচ থেকে কালো একখানা স্টেয়ার অটোমেটিক বেরিয়ে এসে সজোরে চেপে বসল লোকটার চিবুকের নিচে।
‘সাবধান!’ সাপের মত হিসহিসিয়ে উচ্চারণ করল ও, ‘পরে কিন্তু আফসোস করারও সুযোগ পাবে না!’
ফুলজেন্স আর হার্ডিও যার যার অস্ত্র বের করে কাভার করেছে বাকি দু’জনকে।
‘নিরস্ত্র হও!’ রিমলেস চশমার নিচে খোঁত করে উঠল ফুলজেন্স। ‘ধীরে এবং সুস্থে।’
ভূতের মত সাদা হয়ে গেছে লোকগুলো। নোংরা জিনিস ধরেছে, এমনিভাবে তর্জনী আর বুড়ো আঙুলের সাহায্যে নিজেদের ফায়ার আর্মগুলো বের করে এনে ছুঁড়ে দিল মেঝেতে।
ওগুলো কুড়িয়ে নিয়ে হাসিমুখে ফিরল কোহেন তাগড়ার দিকে।
‘শেষ করা যাক গত বারের আলোচনাটা,’ বলল ও মধু মাখা কণ্ঠে। ‘নিরিবিলি কোনও জায়গায় নিয়ে চলো দেখি, বাছা, যেখানে কেউ ডিসটার্ব করতে আসবে না আমাদের। যদি না পুলিস ডেকে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিসে সারতে চাও আলাপটা। কী বলো—চাও, নাকি চাও না?’
শ্বাসনালীতে মাযলের চাপ থাকায় কথা বলার অবস্থায় নেই লোকটা। মাথা নাড়ল কোনও রকমে। চোখ দুটো যেন ঠিকরে বেরিয়ে আসতে চাইছে অক্ষিকোটর ছেড়ে।
‘ভাবিনি যে, রাজি হয়ে যাবে ব্যাটা!’ বিবমিষা নিয়ে থুতু ফেলল পেঁচা গালিচার উপর।
অস্ত্রের মুখে খালি এক অফিস-কামরায় ঢুকতে বাধ্য হলো ত্রিমূর্তি।
কয়েকখানা চেয়ার রয়েছে কামরার এক প্রান্তে। আরেক দিকে রয়েছে বেশ কিছু কমপিউটার, এক সার উঁচু ফাইলিং ক্যাবিনেট এবং পরিষ্কার একখানা হোয়াইটবোর্ড।
‘একদম মনের মতন জায়গা।’ তিনজনকেই স্টেয়ারের আওতায় রেখেছে রানা।
দরজাটা বন্ধ করে দিল কোহেন। জানালার কাছে হেঁটে গিয়ে টেনে দিল ব্লাইণ্ডস।
তিনটে চেয়ার তুলে নিয়ে ঠকাঠক আওয়াজে এক সারিতে সাজাল হার্ডি কামরার মাঝখানে।
কাঁধের ব্যাগটা নামিয়ে এক গাছি দড়ি আর কে-বার ফাইটিং নাইফ বের করল ফুলজেন্স। ভীতি-জাগানিয়া কালো ফলাটা খাপমুক্ত করে আমুদে হাসি দিল তিনজনের চাউনি লক্ষ করে।
‘বসুন, ভায়েরা, আরাম করে বসুন!’ বলল রানা মসৃণ কণ্ঠে। লম্বাচওড়া ইতস্তত করছে দেখে খপ করে টাই ধরল লোকটার। জোরসে টান দিয়ে বসিয়ে দিল মাঝের চেয়ারটায়।
কালবিলম্ব না করে বাধ্য ছেলের মত নির্দেশ পালন করল বাকি দু’জন।
চেয়ারগুলোর পিছনে চলে গেল ফুলজেন্স। চাকু ব্যবহার করে তিনটে টুকরো কেটে নিল দড়ি থেকে। এমনভাবে বাঁধল তিনজনকে চেয়ারের সঙ্গে, নড়াচড়ার উপায় রইল না।
লোকগুলোর সামনে এসে বুকে হাত বাঁধল সিআইএ এজেন্ট। মাঝেরজনকে উদ্দেশ্য করে বলল, ‘সেবার তো এগোয়নি আলোচনাটা। ভালোয় ভালোয় এবার সব কিছু ঢেলে দাও দেখি পসাইডনের ব্যাপারে!
‘সাগরদেবতার ব্যাপারে যদি জানতে চেয়ে থাকেন, তা হলে বলব, সার্চ দিন গুগলে!’ খেপা ষাঁড়ের মত ফোঁস ফোঁস করছে লোকটা। ‘আমাদের ওপর চোটপাট দেখানোর জন্যে পস্তাতে হবে আপনাদের!’
‘কিঞ্চিৎ মাইণ্ড করেছেন বোধ হয় আমাদের তিন বন্ধু,’ চিন্তিত কণ্ঠে বলল হুতোম-পেঁচা।
‘আমারও তো তা-ই লাগছে,’ সায় জানাল রানা। ‘পরিবেশ সহজ করার জন্যে পাগলা পানি হলে কেমন হয়?’
‘জোসিলা!’
জ্যাকেটের পকেটে হাত ঢুকিয়ে এক কোয়ার্টের একটা ভোদকার বোতল বের করে আনল রানা। বোতলের মুখ খুলে এগিয়ে গেল চেয়ার তিনটের দিকে।
গাল দিয়ে উঠল তাগড়া গড়ন। পরক্ষণেই ভয়ের ছায়া পড়ল তার চেহারায়।
বোতল উপুড় করে তিন ভাগের এক ভাগ তরল লোকটার মাথায় ঢেলে দিল রানা। একই কাজ করল অন্য দু’জনের বেলাতেও।
পাগলা পানি ঢোকায় চোখ পিটপিট করছে লোকগুলো। খাবি খাওয়ার মত করছে প্রবল বেগে মাথা ঝাড়া দিয়ে ভোদকা নয়, গ্যাসোলিনের তীব্র গন্ধে ভরে গেছে অফিসকক্ষ।
‘আদিম নীতির লোক নই আমি।’ বিনয়ের অবতার যেন সিআইএ এজেন্ট। ‘তবে আমার এই বন্ধুটির কথা আলাদা। একেবারে এক্সট্রিমিস্ট!’ আঙুল তুলে দেখাল ও রানাকে। ‘একবার যদি কোনও কিছু শুরু করে, মনে হয় না, স্বয়ং শয়তানেরও সাধ্য আছে ওকে থামানোর। বিশ্বাস করলে ভালো হয় এটা। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা। সব সময় রক্ষা করে ও নিজের প্রতিজ্ঞা।’
এগিয়ে গিয়ে রানার হাতে লাইটার তুলে দিল টম হার্ডি।
খালি বোতলটা ধরিয়ে দিল ওকে রানা। ‘ক্ল্যাং’ করে জ্বালল লাইটারটা।
‘এখনও বুঝতে পারছ না, কী জানতে চাইছি আমরা?’ হাসি মুছে গেছে সিআইএ অপারেটরের মুখ থেকে।
‘চার পর্যন্ত গুনব আমি,’ বলল রানা কলজে ঠাণ্ডা করা স্বরে। ‘তার পরই শুরু হবে বারবিকিউ-এর আসর। ‘
কথা মাটিতে পড়ার আগেই উথাল-পাথাল আতঙ্কের ঢেউ বয়ে গেল যেন কামরায়। চেয়ার সুদ্ধ তড়পাতে শুরু করল হাতপা বাঁধা তিন মূর্তি। মেশিন গানের মত একটানা অবিশ্রান্ত কী বলে চলেছে, বোঝা যাচ্ছে না কিছু।
‘নয়া ঘরানার ক্লাসিকাল মিউজিক মনে হচ্ছে,’ সিরিয়াস মুখে রগড় করল শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুরাগী ফুলজেন্স। ‘তবে আমার টেস্টের ধারেকাছেও লাগে না।’
‘এক…’ উচ্চারণ করল রানা।
‘কোথায় যেন ছিলাম আমরা? … হ্যাঁ…’ বলল কোহেন ত্রস্ত তিনের উদ্দেশে। ‘দুদু খাই না আমরা। জানতে বাকি নেই, ফ্যান্টম হোল্ডিংসের অন্যতম শিপিং ফ্লিট এই পসাইডন। ব্যতিক্রম শুধু, কোনও রেজিস্টারে অস্তিত্ব নেই ওটার। কাজেই, বলো এবার জাহাজটার ব্যাপারে।’
‘দুই…’
‘সব কিছুই জানতে চাই আমরা,’ আগের কথার খেই ধরল কোহেন। ‘পসাইডনের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার, কর্মী তালিকা, মালামাল বহনের সক্ষমতা, কার্গো—সমস্ত নাড়িনক্ষত্র। যাবতীয় গোপন কমপিউটার ফাইল, রেকর্ড—দেখতে চাই এসবও। এটাও বলবে, আশা করি—জোসেফ নিকলসন বলে কোনও প্যাসেঞ্জার রয়েছে কি না জাহাজে। সম্ভবত চিফ বললে চিনতে পারবে তাকে।
‘তিন…..’
‘সেই সঙ্গে—পসাইডনের গন্তব্য, বর্তমান অবস্থান আর রেডিয়ো ফ্রিকিউয়েন্সিও জানা চাই ঠিকঠাক। ঠিক কী ধরনের সম্পর্ক তোমাদের আর প্রজেক্ট ডুডের মধ্যে? বার বার যদি জিজ্ঞেস করতে হয়, খুবই খারাপ হবে সেটা তোমাদের জন্যে। তখন আর ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে না আমার।’
কোহেনের কথায় কান থাকলেও রানার উপর থেকে ভয়চকিত দৃষ্টি সরাতে পারছে না লোক তিনজন। ঘাম আর ছিটিয়ে দেয়া তরলে সপসপ করছে ত্রিরত্নের জামাকাপড়।
‘চার…’
‘বহুত দিন বারবিকিউ খাই না!’ স্যাডিস্টের মত দাঁত বের করে বিমলানন্দ প্রকাশ করছে ব্রিয়াঁ ফুলজেন্স।
এক পা এগিয়ে জ্বলন্ত লাইটারটা ছুঁড়ে মারার উদ্যোগ করতেই রানার অভিনয়ের সামনে ভেঙে পড়ল তিন বন্দির প্রতিরোধের দেয়াল, প্রায় একই সঙ্গে।
‘বলছি! বলছি!’ চেঁচিয়ে উঠল এক যোগে। ‘যা যা জানতে চান, সব বলছি আপনাদের! ঈশ্বরের দোহাই লাগে, পুড়িয়ে মারবেন না আমাদের!’
‘এ-ই তো লক্ষ্মী ছেলের মত কথা!’ উৎসাহ দিল হার্ডি মুচকি হেসে।
লাইটারটা পকেটে রেখে দিয়ে পিছিয়ে এল রানা।
‘ধুরো!’ নিখাদ বিরক্তি ওগরাল ফুলজেন্স। ‘আবার কবে বারবিকিউ খাওয়ার সুযোগ আসবে, কে জানে!’
পকেট থেকে ছোট একটা ডিজিটাল রেকর্ডার বের করল কোহেন। বাটন টিপে বলল, ‘ভদ্রমহোদয়গণ, ফ্লোর এখন আপনাদের। কার্পণ্য করবেন না সুযোগের ষোলো আনা উসুল করে নিতে।’
.
আধঘণ্টা পর, ‘ব্লিপ’ আওয়াজে গাড়ির লক খুলে স্টিয়ারিঙে বসল রানা।
ওর পাশে উঠল কোহেন। পিছনে হার্ডি আর ফুলজেন্স।
চালু হলো ইঞ্জিন। তীক্ষ্ণ, প্রলম্বিত আওয়াজে গাড়ির ভিড়ে মিশে গেল লিঙ্কন।
রানার দিকে তাকাল কোহেন। ‘সত্যিই কি পোড়াতেন আপনি ওদেরকে?’
রাস্তা থেকে এক পলকের জন্য চোখ সরাল রানা। ‘আপনি হলে কী করতেন?’
বেশ কয়েকটা ব্লক পেরিয়ে থামল ও এক পানশালার সামনে এসে।
চুপচাপ বারে ঢুকল চারজন।
মিউজিক বাজছে ভিতরে। ওয়াইনের অর্ডার দিল ফুলজেন্স। হার্ডি আর কোহেন নিল বিয়ার, আর রানা ফরমাশ করল বরফ ছাড়া ডাবল মল্ট উইস্কির। দূরের এক টেবিল বেছে নিয়ে পান করতে লাগল ওরা নীরবে।
‘এখন তো জানলে সবাই, কাদের সঙ্গে লাগতে যাচ্ছি আমরা,’ বলল রানা কিছুক্ষণ পর। ‘এখনও সুযোগ আছে, যদি কেউ কোনও কারণে দল ছাড়তে চাও তো, বলে ফেলো এই বেলা। কেউ কোনও প্রশ্ন করবে না।’
‘জাহান্নামে যান!’ তেতে উঠে বলল কোহেন। ‘আমার ব্যাপারটা তো জানেন আপনি।’
‘আমারও একই কথা, ওর সুরে সুর মেলাল হার্ডি। ‘দাওয়াত ছাড়াই বরাবর সাথে আছি তোমার।’
ফুলজেন্স কোনও জবাব দিল না। উদাস, অপমানিত চেহারায় আরেক দিকে তাকাল। তাতেই বোঝা হয়ে গেল হুতোম পেঁচার সিদ্ধান্তের নকশা।
মাথা দোলাল রানা। বাকিটুকু উইস্কি গিলে নিয়ে খালি গেলাস নামিয়ে রাখল টেবিলে।
‘ঠিক হ্যায়,’ আলোচনার ইতি টানল ও। ‘চমকে দেয়া যাক তা হলে ধূর্ত শিরোমণিকে!’