রৈভ্য

ভরদ্বাজ মুনির সখা। ওঁর দুই পুত্র ছিল – অর্বাবসু ও পরাবসু। ভরদ্বাজপুত্র যবক্রীত ওঁর কনিষ্ঠ পুত্র পরাবসুর রূপবতী পত্নীকে কামনা করায় তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁর দুই গাছি জটা অগ্নিতে নিক্ষেপ করে একটি রাক্ষস ও একটি সুন্দরী কন্যা উৎপন্ন করলেন। রৈভ্যের আদেশে সেই নারী যবক্রীতকে মোহিত করে – তাঁর মুখ যখন উচ্ছিষ্ট – তখন তাঁর কমণ্ডলু হরণ করলেন। আর রাক্ষসটি সেই সুযোগে শুলের আঘাতে যবক্রীতকে বধ করলেন। পুত্রের মৃত্যুসংবাদ শুনে শোকাকুল ভরদ্বাজ অভিশাপ দিলেন যে, রৈভ্য তাঁর কনিষ্ঠ পুত্রের হাতে নিহত হবেন। অভিশাপ দিয়ে তিনি অগ্নিতে প্রাণ বিসর্জন দিলেন। সেই অভিশাপ বিফল হল না। পরাবসু রাজা বৃহদ্দ্যুম্নের যজ্ঞ থেকে ফেরার পথে পিতাকে দেখে মৃগ ভ্রমে বধ করলেন। পরে রৈভ্যের অন্য পুত্র অর্বাবসুর প্রার্থনায় প্রীত হয়ে দেবগণ ওঁদের সবাইকে পুনর্জীবিত করেছিলেন। লোমশ মুনি এই রৈভ্যের গল্প পাণ্ডবদের শুনিয়েছিলেন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *