রেডিয়ো সর্বদাই রেডি – শিবরাম চক্রবর্তী
সব সময়েই রেডি সে ।
আর সেই কারণেই তার নাম নাকি রেডিয়ো।
কথাটা আমার নয়, শ্রীমান ধ্রুবেশ চন্দ্র অধিকারীর। এবং আজকের কথা না, তিন যুগ আগেকার।
কিশোর ধ্রুবেশ তখন ইস্কুলের ছাত্র। আমাদের পাড়ায় থাকত। তখনই সে এই বেশ কথাটি কয়েছিল আমায়।
একেলে রেডিয়োর এই গললগ্নীকৃত ট্রানজিস্টার রূপ তখনো দেখা দেয়নি। ছাদের মাথায় এরিয়েল খাটানো পাড়া-মাত-করা রেডিয়োয় কর্ণপাত করতে হোতো। সত্যি কইতে, কর্ণপাত করার রেডিয়োই ছিল বুঝি তখন। আগাগোড়া কর্ণবধ পালার কুরুক্ষেত্রই ছিল রেডিয়ো।
এখন তো রেডিয়ো নব নব রূপে যত্রতত্র যখন তখন দেশকালপাত্র নির্বিশেষে গলায় গলায় দোললীলায়। পথে বিপথে পথিকদের সঙ্গে ঝুলন যাত্রার সহচর। কিন্তু সেকালের ছেলেটির কথাতেই একালীন ভবিষ্যতের ইঙ্গিত বুঝি প্রচ্ছন্ন ছিল।
বালকের মুখে বিধাতা স্বয়ং বাক্যব্যয় করেন কথাটা হয়তো মিথ্যে নয়। তাদের বাতচিৎ একেকসময় বেশ ফলে যায়।
এখন তো তার ঘাড়ে ঘাড়ে বিলম্বিত অবলম্বনরূপ, ঘরে ঘরে সজ্জিত অলঙ্কারস্বরূপ, বিবিধ ঘরানার সঙ্গমে সম্প্রচারিত ঝঙ্কার রূপ, দেশবিদেশের বিচিত্র স্বরলহরীতে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত বিশ্বরূপ।
রেডিয়ো এখন সর্বজনের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার সেরা তুরুপ।
সুরাসুরের সঙ্গীত সমুদ্র মন্থনের উচ্ছ্বসিত পরিশীলনের পরাকাষ্ঠা—আত্মপরিতৃপ্তির প্রতীক আভিজাত্য মর্যাদার সুলভ জনগণতান্ত্রিক সংস্করণ এই রেডিয়ো।
এখন সবার উপরে রেডিয়ো টেক্কা, তাহাকে ঠেকায় কেটা?
ধ্রুবেশ এসে বলেছিল আমাকে, আর ত পারা যায় না দাদা! রেডিয়োর ডাকে পড়াশুনা তো ডকে উঠে গেল। বইয়ের পাতায় মন দেব যে তার যো নেই—পরীক্ষা পাশ করব কি করে!
কেন কী হয়েছে!
পাশের বাড়ির রেডিয়োর জ্বালায় ত বাঁচা দায় হোলো দাদা! লেখাপড়া মাথায় উঠে গেছে আমার। দিনরাত খেয়ে না খেয়ে বাজিয়ে চলেছে পড়শী ভদ্রলোক—সব সময়েই সেই একই উচ্চগ্রাম। মুহুর্তের জন্য থামেন না। কান ঝালাপালা হয়ে গেল মশাই!
পালাপালা ব্যাপার নাকি?
প্রায় তাই। কিন্তু পালাই কোথায়? পাগলের মত হতে হয়েছে, বলব কি। একটা উপায় তো বাতলান দাদা।
পাগল হয়ে যাও। একটা উপায় আমি বাতলাই।
ওটা কোনো কাজের কথাই নয়। ঘাড় নাড়ে সে—পাগল হতে কি কারু ভালো লাগে কখনন? হতে চাই কেউ?
ভালো লেগে কি কেউ পাগল হয় নাকি? তবে ভালোবেসে কেউ কেউ পাগল হয়ে থাকে বলে শোনা আছে।
রেডিয়োকে কি কেউ ভালোবাসতে পারে কখনো? সে জানতে চায়—যতই দেখতে ভালো হোক , না,মভালোবাসার কি ও? যে ওর জন্যে পাগল হতে যাব হঠাৎ?
তা জানিনে, তবে জানি যে অযোগ্যরাই চিরদিন ভালোবাসা পেয়ে থাকে। যা কিছু বা যাদের আমরা ভালোবাসি তারা কেউ, ভেবে দেখলে, আমাদের ভালোবাসার যোগ্য নয়…শুধু অযোগ্যরাই ভালোবাসা পায়।
পরের রেড়িয়োকে ভালোবেসে আমি পাগল হতে পারব না।
পাগল হলে তুমি বেঁচে যেতে ভাই। তোমার বাঁচবার একমাত্র উপায় ছিল। নিশ্চিন্ত হতে পারতে একেবারে। পড়াশুনা করতে হত না, পরীক্ষার ভাবনা চিন্তা সব চলে যেত একদম ।
তবুও সে ঘাড় নাড়তে থাকে। এভাবে নির্ভাবনা হতে সে নারাজ। তার মতে, ভালোবাসার পক্ষে পরের মেয়ে প্রশস্ত হলেও, পবর রেডিয়ো নাকি সে-বস্তু নয়। একেবারে বিচ্ছিরি।
তার কথাটা হয়ত নেহাত অর্বাচীন নয় কিন্তু রেডিয়োর কথাই হচ্ছে…
একেবারে ব্রহ্মসূত্রের মূল কথা। এক মি বহু হব। বহুল হয়ে পরস্পরকে হুল ফোটাব—তার সেই হুলবিদ্ধিতে হুলুস্থুল যাই হোক না, তাতেই আমার আনন্দ। আর, আনন্দান্ব্যেব খল্বিমানি ভূতানি— ইত্যাদি ইত্যাদি।
সঙ্গীতের সার কথা তার মধ্যেই নিহিত। চিরদিন সে তার সঙ্গী খোঁজে। সঙ্গত (নাকি, সঙ্গম?) না হলে তার চলে না এবং সেটা কিছু অসঙ্গত নয়।
শ্রোতা তার চাই। সুরধ্বনির খরস্রোতা চিরদিনই উৎকর্ণ ঐরাবতকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছে।
সুর হচ্ছে প্রায় শুঁড়ের মতই এক অনুনাসিক কাণ্ড! হাতির গোদা গাদা হাত থাকলেও, ভদ্রলোকের মতন, হাত বাড়িয়ে পরের কান পাকড়াতে তার বাধে—তার ওপর যতই কেন রাগ থাক না। তাই সে শুঁড় বাড়িয়ে কানের জন্যে সাধে।
ভদ্রলোকেরও হাতির মত হাতা-হাতি করতে আটকায়। তাই পড়শীর কর্ণমর্দনের সদিচ্ছাবশেই সে এক সংগ্রামী রেডিয়ো নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে।
পাশের বাড়ির মেয়েটি হারমোনিয়ম নিয়ে যখনই গান ধরেছে আমার মনে হয়েছে যে তার এই স্বরলবী পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী ছেলেটির জন্যেই। হাত বাড়িয়ে তার কান নাগালে পাচ্ছে না বলেই এই সুর বাড়ানো—সুর বাড়িয়ে তার কান পাকড়ানো। এবং কান টানলেই তো মাথা এসে যায়। আর মাথার সঙ্গে আপাদমস্তক।
মানব জমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা। নাসিক শহরের এই উন্নাসিক প্রয়াস কর্ণাট অঞ্চলের অনাবাদী জমি আকর্ষণ করে সোনা ফলানোর। সোনা যেমন লঙ্কার, সঙ্গীত তেমনি অলঙ্কার। সুরের ঝাল দিয়ে বানানো। সোনার ঝালমরা বাদ দিয়ে যেমন সেই গহনা (কিংবা গাহনা) যার জন্য নাকি বানি লাগে। সেই বাণী শোনার মতই নয় কি এবং শোনানোর মতও নিশ্চয়ই। ফলতঃ তারই রূপান্তর এই রেডিয়ো।
বিসমিল্লার দয়ায় এক রেডিয়ো দশাননের ন্যায় বিংশতি বাহু বিস্তার করে বিশ জোড়া কান মলতে চায়। আর খোদার কুদরতে, কানাড়া প্রদেশের এই কাড়ানাকড়ার কালারাই—শুধু বাঁচতে পায়। তারাই একমাত্র সুখী। কানের খোল মজবুৎ করতে নাসিকার ঢোল শহরৎ তাদের দো-কানে এসে হার মানে। যারা কানে খাটো তাদের কাছে আদৌ কোনো কের্দানি খাটে না।
কিন্তু এই সব তত্ত্বকথা সে বুঝতে নারাজ। সে বলে—না দাদা, আজ একটা এস্পার ওস্পার করব রেডিয়োটার। আজ রাত্তিরে সবাই ঘুমুলে পর আমাদের ছাত টপকে ওদের ছাতে গিয়ে এরিয়েলটা কেটে দিয়ে আসব আমি।
কী সর্বনাশ! শুনেই আমি আঁতকে উঠেছি—টপ্কাতে গিয়ে বেটপ্কা পড়ে যাও যদি নীচে?
আমাদের ছাতে ওদের ছাতে গায়ে গায়ে লাগানো। লম্ফ ঝম্প করতে হবে না আমাকে—পড়বার ভয় নেই দাদা।
এরিয়েলের ওই সব তার কাটাকাটির ভেতর না গিয়ে মা-বাবাকে বলে দেখ না কেন, যদি তাঁরা এর কোনো বিহিত করতে পারেন? আমি বলি—তাঁরা পড়শী কর্তা বা গিন্নিকে বলুন না যে তাদের ছেলের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে?
রেডিয়োর জন্যে বেশ খুশিই আছেন মা। রাত দিন ভালোমন্দ গান শুনতে পাচ্ছেন বিনিপয়সায়…। সর্বদা তার কান খাড়া।
আর বাবা!
পাগলের মতন হয়ে গেছেন। আমার মতই দশা প্রায়। একদণ্ড ভিষ্টোতে পারেন না বাড়িতে। পালিয়ে পালিয়ে বেড়ান কেবল। দিনরাত বাইরে বাইরেই কাটাচ্ছেন। সেই যা খাবার আর শোবার সময়টায় আসেন বাড়ি।
পাগল হয়ে যাবেন নাকি শেষ পর্যন্ত?
কী করে বলব? পাগল হয়ে গেলে কী হবে কে জানে! কী-যে করে বসবেন কেউ বলতে পারে না।
তারপর তো ধ্রুবেশ বেশ বাড়ি চলে গেল। পরের কাহিনীটা প্রকাশ করি এবার—
সারা রাত চোখে ঘুম নেই বেচারার। বাড়ির সবাই না ঘুমুলে ছাতে যায় কি করে? কি করেই বা এরিয়েলটাকে সরাইখানায় পাঠায়? অবশেষে রাত আড়াইটার পর বাড়ির সবার নাক ডাকতে শুরু হলে সে সিঁড়ি ভেঙে ছাতে গিয়ে প্রকাণ্ড এক কাঁচি নিয়ে এরিয়েলটা কেটে দিয়ে এসেছে শেষ মেশ।
তারপরেও উত্তেজনায় অনেকক্ষণ তার ঘুম আসেনি। ভোর বেলাটার দিকে ঘুমিয়ে পড়েছিল সে।
রাতারাতি এই হাতাহাতি কাণ্ডর পর অনেক বেলা করে ঘুম ভাঙলো তার—আর, ঘুমটা ভাঙলো সেই আবার রেডিয়োর আর্তনাদেই।
অ্যাঁ? একি! রেডিয়েটা বাজছে আবার যে? এলো কোথা থেকে ফের? সে তো তার সপিণ্ডকরণ সেরে এসেছে কাল রাত্রেই। তবে?
আওয়াজটা যেন কাছিয়ে এসেছে আরও এবার। বাজছে যেন একেবারে তার কানের গোড়াতেই।
ভালো করে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে ঠাওর পায়——ওমা! তাই তো! রেডিয়োই ত! ঝকঝকে একটা রেডিয়ো তারই পড়ার টেবিলের ওপর বসানো—তার পাশটিতেই!
সেই যন্ত্র! আর সেই যন্ত্রণা! আবার আনকোরা আমদানি!
বাবা আজ সাত সকালে উঠে নতুন এক রেডিয়ো কিনে এনেছেন বাড়িতে।
সাত সকালে এরিয়েল খাটিয়েছেন ছাতে গিয়ে। আর, এখন সাড়ে আট সকালের থেকে এই ষাঁড়ের আওয়াজ শুরু!
এ কী বাবা! এ কী কাণ্ড! চমকিত হয়ে শুধিয়েছে সে।
বাড়িতে রেডিয়ো না থাকলে কি মানায় রে খোকা! তিনি বলেছেন—রেডিয়ো একালের স্ট্যাটাস সিমবল। বাড়িতে না রাখলে প্রেসটিজ যায়, সব বড় লোকের বাড়িতেই রেডিয়ো দেখবি, এমনকি মেজ লোকদের বাড়িতেও। যাদের বাড়ি তা নেই বুঝবি তা নিতান্ত ছোটলোক।
প্রেসটিজ রাখতে যে প্রাণ যায় বাবা! প্রাণ আর কান দুই যায় যে!
আমি ভাবছি ফি মাসে, মাসকাবারে একটা করে নতুন রেডিয়ো কিনে আনব, অন্য এক আলাদা মডেলের, বুঝলি খোকা? আমাদের প্রত্যেক ঘরে একটা করে রেডিয়ো শোভা পাবে। ফি ঘর একটা করে হলে আরো কতো প্রেসটিজ বাড়বে ভেবে দ্যাখ দেখি।
ধ্রুবেশ ভেবে দেখার চেষ্টা করেছে।
পাড়ার সবাইকে, বিশেষ করে পাশের বাড়ির অভদ্রটাকে আমি দেখিয়ে দিতে চাই—শুধু দেখিয়ে নয় শুনিয়েও দিতে চাই দস্তুর মতন। বছরখানেক বাদে যখন একসঙ্গে আমাদের বারোটা রেডিয়ো বাজবে …সেই বাড়াবাড়ির স্বপ্নে তিনি মশগুল।—রেডিয়োর বারোটা বাজিয়ে ছাড়ব!
রক্ষে করো বাবা! সব রেডিয়োতে তো সেই একই আওয়াজ ছাড়বে। একই গান বাজবে ত!
বাজলই বা। তাতে কি! সব বুলবুলিরই তো একরকমের বুলি। তাই বলে কি লোকে এক ঝাঁক বুলবুলি পোষে না?
জবাব দিতে ধ্রুবেশের বুদ্ধি গুলিয়ে যায়।
তাছাড়া সব কটাতে একরকমের বাজাবই বা কেন? আমরা তো ইচ্ছে করলে একটায় কলকাতা, একটায় কাশ্মির, আর একটায় কামসকাটকা ধরতে পারি। কোনওটায় মার্কিন, কোনওটায় কানাডা, কোনওটাতে জাপানী গান বাজবে আমাদের। একটায় চীন, একটায় কোচিন আর একটায় ইন্দোচীন বাজালে কী হয়? কোনো ক্ষতি আছে?
না, ভেবে দেখলে, গানের এই বুদ্ধিবাহুল্যে কোনো ক্ষতি নেই কানের ক্ষতিবৃদ্ধি যাই হোক না। খতিয়ে দেখেছে ধ্রুবেশ।
আমাকে এসে বলেছে—রেডিয়ো বলে কেন, জানো দাদা? সব সময়েই সে রেডি। সেই কারণেই রেডিয়ো।
ধ্রুবেশের কথায় রেডিয়োর মর্ম বুঝতে পারিনি তখন, এখন সেটা বুঝছি। তখন তার মর্মভেদ করতে পারিনি, এখন বুঝছি সেটা কী পরিমাণ মর্মভেদী। হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি বেশ। আহারে বিহারে সর্বক্ষণ।
সুরব্রহ্মের অণুমাত্র নয় আর—এখন তার আণবিক বিস্ফোরণে আসুরিক মাত্রায় একাকার।
আমার বাসার চার পাশেই, ওপর তলায়, নিচুতলায়। এ ঘরে, ও ঘরে, সে ঘরে, এ পাশের বাড়ি ও পাশের বাড়িতে কোথাও হিন্দি গানা, কোথাও গুজরাটি বাহানা, কোথাও অসমিয়া সঙ্গীত, কোথাও বাংলা আধুনিক। কোনোখানে তামিলী নাড়ু, কোথাও কানাড়া-কারু—কতই না কেরামতি। কারো বা আবার পাকিস্তানী কাবাব। কেউ ধরেছেন চীন, কেউ বা মার্কিন, কেউ লনডন, কেউ আবার ভয়েস অব আমেরিকা। গানে গানে ছয়লাপ। সুরে অসুরে নয় ছয়। পরস্পরকে টেক্কা মারতে সকলেই তাঁর রেডিয়ো প্রোগ্রাম হাজার গ্রাম বাড়িয়ে একেবারে কিলোমিটারে সাধতে লেগেছেন।
আর সেই কিল খেতে হচ্ছে সকাল সন্ধ্যে—এই আমাকেই।
কে যেন বলেছিল রেডিয়ো আনন্দলাভের উত্তম মধ্যম, শুধু নিছক একটা যন্ত্র না।
আমিও সেই কথাই কই—রেডিয়ো এক নিছক যন্ত্রণা। পাড়া পড়শীর ওপরে গায়ের ঝাল মিটিয়ে রাগের ঝাল ঝাড়বার কান ধরে পেটাবার—পিটিয়ে আনন্দলাভের এই এক উত্তম-মধ্যম! প্রহরে প্রহরে অহরহ সেই প্রহার—প্রাণে না মেরে এক নাগাড়ে তাদের কানে মারো।
পঞ্চশরে ভস্ম করে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিয়ে সন্ন্যাসী একদা যে কাণ্ড বাধিয়েছিলেন, সপ্ত স্বরে বশ্য করে অদৃশ্য ইথরতরঙ্গের ভিতর দিয়ে বিতরণে ভোলানাথের এ আরেক মহামারী আমোদ!
রেডিয়োর ঠেলায় ধুবেশের লেখা পড়া মাথায় উঠেছিল, আমার বেলায় লেখা পড়া অসম্ভব। তবে, মনের ডিমকে তা দিয়ে কাগজের পাতায় না পড়তে পারলে…বলুন তো আমার কী সর্বনাশ….এই ঘোড়ার ডিমের লেখা বেচেই তো খেতে হয় আমাকে? লেখার মোট নামিয়ে তবেই না মোটের ওপর আমার মেহনতি মজুরি!
এরিয়েলের সহায়তায় সেকালের সেই একাঘ্নী এখন ট্রানজিস্টারের সংক্রামকায় সহস্ৰমারী পাশুপত। এই শক্তিশেল কে সামলায়?
সেদিনের সেই এরিয়েল আর নেই বটে, কিন্তু শেলী ঠিকই রয়েছেন। শেলীরা অমর।
৭ মার্চ ১৯৭১