রাজপাট – ৪

৪ 

কার্তিক মাসে মানা নাই 
বিয়ার কাম অইতে। 
বিয়ার নাম লয় না কেউ 
টানা আছলি থাকতে ॥ 
আউশধান হাইলধান 
হককোলটি ফুরায়। 
টানটিরুট থাকে তারার 
যারা বকয়া ফলায় ॥ 
মানা বাধা না থাকলেও 
দেশোচল নাই। 
এর লাগি কাতিত 
নাই বিয়ার সানাই ॥ 

মরালী থেকে হরিহরপাড়া কম দূর নয়। সেই বিকেল-বিকেল বেরিয়ে হরিহরপাড়ার উপান্তে যখন পৌঁছল ময়না বৈষ্ণবী, তখন সন্ধ্যা পেরিয়েছে। দোকানগুলোয় বাতি জ্বলছে। 

ঘোষপাড়ার পথ থানার পেছন দিয়ে খানিক গিয়েছে আল বরাবর। মিশেছে এক ফাঁকা সংক্ষিপ্ত পথে। আরও একটা পথ আছে, থানার মাঠকে পাশে কাটিয়ে পূর্বমুখী। ময়না বৈষ্ণবী এই সংক্ষিপ্ত পথই পছন্দ করেছে সবসময়। সাপখোপের ভয়ে রাত্রে এই পথ লোকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু ময়না বৈষ্ণবী মৃত্যুভয় জয় করেছে। এ বিশ্বজগতে যার মায়া করার অনেক কিছু আছে, তাদের মৃত্যুভয় ষোলোআনা। ময়না বড় ভালবাসে এই প্রশস্ত সবুজ ক্ষেত, বহু বিচিত্ৰ মানুষ এবং বিশ্বচরাচর, কিন্তু মায়া করে না। অবশ্য এই কার্তিকে সাপের ভয় তেমন নেই। সন্ধে হলে হালকা হিম পড়ছে এখন থেকেই। রাত্রে শীত-শীত ভাব। হেমন্ত ঋতুকে স্পষ্ট করে চেনা যায় কেবল ফসল দিয়ে। না হলে হাওয়ায় হাওয়ায় শীতের আগমন-বার্তা। 

ময়না বৈষ্ণবী সারা বছর ধরে এই ঋতুগুলি ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখে তেকোনা গ্রামে, চতুষ্কোনায়, মরালীতে। কখনও ভগবানগোলায়। কখনও বাঁশুলিতে। এবং কখনও কালান্তরে। তার এক টানের জায়গা কালান্তর বিল। বর্ষার সময় থেকে মধ্য শীত পর্যন্ত কালান্তরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে জল জমে থাকে। বর্ষার জল। শীতে সেই জলে ক্রমশ টান ধরে। ডাঙা জেগে ওঠে তখন আলাদা আলাদা পুকুর বা ছোট-খাটো বিল-বাঁওড় জেগে ওঠে। সেই জেগে ওঠা ভূমি, অনুর্বর এঁটেল মৃত্তিকাযুক্ত ভূমিও কিছু সময়ের জন্য আবাদযোগ্য হয়ে ওঠে মানুষের পরিশ্রম ও গুণপনায়। কিন্তু তাই দিয়ে ওখানকার মানুষের দারিদ্র ঘোচে না। কচি ছেলের পিলে হয়। যুবতীর স্তন অকালে ঝুলে পড়ে। সাজোয়ান পুরুষের বুকে-পিঠে পেশি বলে কিছু থাকে না। এমনকী কালান্তরের কত গ্রাম কোন অজানা রোগে পীড়িত তা জানে ময়না বৈষ্ণবী। সেখানে কোথায় মাটির তলে পুঁতে রাখা আছে স্তরে স্তরে পাপ, তা জানে। 

বছরের নানান সময় সে ওই কালান্তরে যায়। বর্ষার জল-ভরা বিলের সামনে দাঁড়ায়। কালান্তর। আশ্চর্য লাগে নামটা। সে বোঝার চেষ্টা করে এই বিলকে। তার মনে হয়, জগতের যা-কিছু রহস্য, সব এই বিলে অন্তঃস্থ আছে। সে চোখ বন্ধ করে। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ চোখ ঘিরে নেমে আসে ঘন কালো জমাট মেঘ। কালান্তর বিলকে তারা উপুড় করা কড়াইয়ের মতো ঘিরে নেয়। আর সেই অন্ধকার অর্ধবৃত্তের তলায় চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকে, দাঁড়িয়েই থাকে ময়না বৈষ্ণবী। তার মনে হয়, আর একটু থাকলেই সে মেঘ ভেদ করে দেখতে পাবে পরলোকের দৃশ্যাবলী। 

চটিতে সেফটিপিন লাগিয়ে আলের ওপর দিয়ে হাঁটতে অসুবিধে হচ্ছিল ময়নার। পা হেঁচড়ে চলতে জায়গা চাই। আলের ওপরকার ঘাস-পাথরে তার চটির ডগা আটকে উলটে যাচ্ছে বারবার। সেদিকে নজর দিতে গিয়ে সে খেয়াল করেনি, উলটোদিক থেকে আসছে একজন। কাছাকাছি এসে লোকটা গলা খাঁকারি দিল। জায়গাটা অন্ধকার। পুলিশমেসের পেছনদিক এটা! পুরনো ধরনের টানা লম্বা বাড়ির জমাট ছায়া এই জায়গাকে করে তুলেছে নিশ্ছিদ্র কালোয় কালো। মেসবাড়ি থেকে কোনও আলোর টুকরোও এখানে পড়ছে না। পর পর কয়েকটি কুলগাছ বাড়ির দেওয়াল ঘেঁষে। ময়না বৈষ্ণবী উলটোদিকের লোকটিকে দেখার চেষ্টা করল। আলপথে মুখোমুখি হলে বড় মুশকিল। একজনকে নেমে দাঁড়াতে হয়। নইলে গায়ে গা ঘেঁষটে পাশ কাটিয়ে যাওয়া। দু’জন পুরুষ বা দু’জন নারী হলে তা সম্ভব। 

আল থেকে নেমে দাঁড়ালে পায়ের তলায় ধানভরা গাছগুলি। লোকের পায়ের চাপে আলঘেঁষা গাছ ক্ষতবিক্ষত হয়। কিন্তু হেমন্তের এই ভরা ফসলের ক্ষেত মাড়াতে ময়না বৈষ্ণবীর ইচ্ছে করল না। সে হাঁক পাড়ল— কে গো? এ গঞ্জের লোক নাকি তুমি? 

—কে? ও বোষ্টুমিদিদি! আমি শংকর। 

—তা কি মঠ হয়ে এলে নাকি? 

—হ্যাঁ। 

—রাত্তিরে রইলে না? 

—না। যাই। কাজ আছে। 

—সঙ্গে লোক নিয়ে এলে নাকি? 

—হ্যাঁ। দু’জনকে রেখে গেলাম। কাল-পরশু কলকাতা নিয়ে যাব। 

—তা বেশ। এই পাশ দিচ্ছি। তুমি যাও ভাই। 

—না, না। আমিই নেমে দাঁড়াচ্ছি। আপনি যান। 

এক পা আলে রেখে এক পা ক্ষেতে নামিয়ে দিল শংকর। ময়না বৈষ্ণবী তার পাশ কাটিয়ে গেল। এই মানুষটি তার পছন্দের তালিকায় নেই। কেন নেই, তাও সে বুঝে পায়নি। বছরে দু’-চারবার সে এই মঠে আসে। এ মঠের প্রধান বলরাম বাবাজির সে অনুগত। সত্যের খাতিরে ময়না বৈষ্ণবী মনে মনে স্বীকার করে, বলরাম বাবাজিকে সে পছন্দ করে না। কেন করে না তার কারণ তার কাছে স্পষ্ট। বলরামের দৃষ্টি বড় বিশ্রী। দেহপ্রেমকে ময়না ঘৃণা করে না। বস্তুত, সমস্ত ঘৃণাকেই সে মন থেকে মুছে ফেলতে চায়। কিন্তু দেহলোভীকে সে আজও ঘৃণা করে। এই ঘৃণাকেও মুছে ফেলার শক্তি সে পেল না। বলরাম বাবাজির দৃষ্টিতে প্রকাশিত দেহলোভ ময়না বৈষ্ণবীর মনকে পীড়ন করে। তার মধ্যে ক্রোধ দীপিত হয়। এ নিয়ে পাঁচ বছরের অধিক সে পঞ্চবুধুরি ছেড়ে এসে ঘোষপাড়ায় আছে। যদিও সে জানে, এই থাকারও কোনও স্থায়িত্ব নেই। যে কোনও দিন সে এই জায়গা ছেড়ে চলে যাবে। 

অন্যান্য সব মঠের মতোই ঘোষপাড়ার মঠে বৈষ্ণবীর সংখ্যা কম। ময়না বৈষ্ণবীকে বাদ দিলে আছে আরও তিনজন। তারা রাঁধে বাড়ে। মঠের নিত্যকর্ম করে। আর মঠের উনুনেই ময়না বৈষ্ণবী মাধুকরীর চাল ফুটিয়ে খায়। কারও সঙ্গে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাক্যালাপ করে না। কিন্তু এই চার বৈষ্ণবী যেহেতু একই ঘরে শয়ন করে সেহেতু মাঝরাতে এদের একেকজনের উঠে যাওয়া সে টের পায়। সে বুঝতে পারে, এদের কারও কোনও নির্দিষ্ট সঙ্গী নেই। 

একটি বড় উঠোনের চারপাশ ঘিরে এই মঠের বাড়ি। একটি অংশ দোতলা, বাকিগুলি একতলা দালানে ছোট ছোট ঘরে বিভক্ত। মেয়েরা থাকে ওপরে। তাদের ঘরের পাশে অতিথিশালা। নীচে সাধনমন্দির। রান্নাশাল। এবং পুরুষদের বাস। 

এখানে বিপুল কর্মযজ্ঞ নেই। শুদ্ধ জীবনের প্রতি আগ্রহও এ মঠে কম। আপাতদৰ্শনে সাধনক্ষেত্র হলেও এ মঠ তার অন্তরের শ্রী হারিয়েছে। একত্র বসবাসেই সংযমের পরীক্ষা— মহাপ্রভু গোপীদাসের এই বাণীর মর্মার্থ কেউ গ্রহণ করেনি। গোটা মঠকে একটি লীলাক্ষেত্রে পরিণত করেছে। ময়না বৈষ্ণবী এসব দেখেও দেখে না। তার মনে হয়, পাড়া-প্রতিবেশীও এই মঠকে তেমন সম্ভ্রমের চোখে দেখে না। যেমন সম্ভ্রম শ্রদ্ধা পায় পঞ্চবুধুরি শ্রীপাট। অনাথ আতুড়ের সেবাধর্মে পঞ্চবুধুরি শ্রীপাট যে সম্মান সাধারণ মানুষের কাছ হতে আদায় করেছে, তার দশভাগও এই মঠে নেই। শান্তির প্রত্যাশায় মঠে-মন্দিরে এসে বসে থাকবে সাধারণ মানুষ— এমনই স্বাভাবিক। এখানে তেমন ভিড় কই! 

একই মঠে নারী-পুরুষের বসবাস অস্বাভাবিক ঠেকে কারও কাছে। তারা এই মঠের অধিবাসীদের বলে গোপীদাসি বৈষ্ণব। অনেকে ব্যঙ্গ করে বলে রসিকের লীলাক্ষেত্র। 

মহাপ্রভু গোপীদাস-মতাবলম্বী মঠ আরও কাছে কাটোয়ায়, বর্ধমানে, শিলিগুড়িতে, কলকাতার সন্নিহিত সুভাষগ্রামে। আছে ডানকুনি ও বজবজে। সেইসব মঠের কোনওটাই এমন হতশ্রদ্ধ দশায় নেই। 

বিভিন্ন বাড়ির পালাপার্বণে, শ্রাদ্ধে এ মঠের অধিবাসীদের ডাক পড়ে কীর্তন গাইবার জন্য। এ ছাড়া সপ্তাহে তিনদিন তারা ঘুরে ঘুরে নামগান শোনায় নগরবাসীকে। ভোরবেলা বেরিয়ে পড়ে খোল-করতাল নিয়ে। হরিহরপাড়ার সকল পাড়া, বাজার, লোকালয় পরিভ্রমণ করে। তখন কিছু-কিছু মানুষের চোখে ফুটে ওঠে শ্রদ্ধা। এঁরা আছেন বলে তবু তো কিছু নামগান শোনা হয়। নইলে এই ব্যস্ত জীবনে ঈশ্বরের নাম করারই বা সময় কোথায়! শোনার সুযোগই বা কই! 

ময়না বৈষ্ণবী এই কীর্তনের দলে কখনও যায়নি। এক্ষেত্রে তাকে কিছু উন্নাসিক বলে জানে মঠের লোকজন। 

প্রথম-প্রথম তার প্রতিক্রিয়া হত। এ কোন অনাচার চলছে এখানে! সে ভেবেছিল পঞ্চবুধুরি শ্রীপাটে গিয়ে শ্রীকৃষ্ণপাদ প্রভুজি মহারাজকে সব কথা জানিয়ে আসবে। কিন্তু পরে মন বদলেছে। কাকে জানাবে কার কথা, কে প্রতিকার করবে কীসের। স্বয়ং ঈশ্বর আছেন ওপরে। যা করবার করবেন তিনিই। তাঁকেই দিতে হবে সকল বিষ, সকল গরল। বিষকে অমৃত করতে পারে একমাত্র তাঁরই চরণ। দোষীজনশরণ প্রভু। তোমার শ্রীচরণেই পরম আশ্রয়। 

তুয়া চরণে মন লাগহুঁ রে। 
সারঙ্গধর! তুয়া চরণে মন লাগহুঁ রে ॥ 

যখনই মঠে আসে এই শংকর— দু’-চারজন মেয়েকে আনে সঙ্গে করে। বৃদ্ধা নয়, মধ্যবয়সিনী নয়। প্রত্যেকেই তরুণী, যুবতী। তারা প্রত্যেকেই বৈষ্ণবী হয়ে মঠের সেবা করার সংকল্প নিয়েছে। তার ভাবতে অবাক লাগে। এত মঠই-বা কোথা! এত সেবিকাও-বা লাগে কেন! কোথা হতে আসে এরা! কোন মঠে সেবা করতে যায়। বৈষ্ণবী হতে চায়, মঠের সেবা করতে চায়, এমন যৌবনবতী মেয়েরা কেন শংকরেরই চোখে পড়ে যায় সর্বত্র! যেন সে ঠেকা নিয়েছে, সকল নারীকে বৈষ্ণবধর্মে মতি দেবে। 

এসব বিষয়ে ভাবনা করলে ময়না বৈষ্ণবী ঘুমোতে ভুলে যায়। অজস্র প্রশ্ন মনে ভিড় করে। ইচ্ছে যায়, এই মেয়েদের সঙ্গে কথা বলে সকল রহস্য সমাধান করতে। হায়! ফল হয়নি বিশেষ। কথা সে বলেছিল সুযোগ বুঝে কয়েকবার। বলাই সার, তবে একটা বিষয় সে বুঝেছে, এইসব মেয়েরা কেউ শিক্ষিত সম্পন্ন ঘরের নয়। কাঠি-কাঠি হাত-পা সব। রোগা। ত্বকে জৌলুষ নেই। চোখ কোটরাগত। গাল ও কণ্ঠার হাড় উঁচু হয়ে চিহ্নিত করছে অভুক্ত দিবসের গল্প। দারিদ্র্য এইসব মেয়েদের সেবাধর্মে প্রলুব্ধ করে। 

মঠে এইসব মেয়েদের থাকার ব্যবস্থা বৈষ্ণবীদের সঙ্গে নয়। বাৎসরিক মহোৎসবের অতিথিরা এলে যে ঘরগুলিতে থাকে, তারই একটা তাদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ময়না বৈষ্ণবী ভাবতে ভাবতে পা টেনে-টেনে চলে। ভাবনার কোনও আদি-অন্ত নেই। ভাবনা সদাই স্বাধীন। সদাই ব্যস্ত। ভাবনা যখন পরাধীন হয়ে যায়, তখন মানুষের চরম দুর্গতি। 

এক বাড়িতে গাঁদা ফুটেছে অজস্র। তার গন্ধে ভরে গেছে পথ। সুমিষ্ট নয় এ গন্ধ, তবু কীরকম উদাস করে দেয় মন। পথবাতির টিমটমে আলোয় ময়না বৈষ্ণবী গাঁদাগুলি স্নেহের চোক্ষে দেখে। তারপর খঞ্জনি বাজিয়ে গুনগুনিয়ে সুর তোলে। আর পাঁচ মিনিটের পথ। সে গায়- 

জ্যোতির্ময় কনকবিগ্রহ বেদসার।
চন্দনে ভূষিত যেন চন্দ্রের আকার ॥
চাঁচর চিকুরে শোভে মালতীর মালা।
মধুর মধুর হাসে জিনি সর্বকলা ॥
ললাটে চন্দন শোভে ফাগুবিন্দু সনে।
বাহু তুলে হরি বোলে শ্রীচন্দ্রবদনে ॥ 

গুনগুনানি আর খঞ্জনির ধ্বনি সমেত মঠের দুয়ার পেরোয় ময়না বৈষ্ণবী। দুয়ারে ঝুলে ঝুলে আছে আঙুরলতা। স্থলপদ্মের গাছে ফুটেছে ফুল। তারা কে বাসি ফুল আর কে স্ফুটনোন্মুখ কুঁড়ি এই অল্প আলোয় ঠাহর হয় না। কিন্তু ফুলের মৃদু সুগন্ধ বৈষ্ণবীর ঘ্রাণে ধরা দেয়। মঠের ছোট উঠোনে সুগন্ধী ফুলের গাছ বেশ কয়েকটি। কামিনী, বেল, জুঁই, স্থলপদ্ম এবং মাধবীলতার গুচ্ছ। সারা বছর উঠোনময় জমাট বেঁধে থাকে সৌরভ। সে উঠোন পেরিয়ে সিঁড়িভাঙার পথ ধরে এবং তৎক্ষণাৎ টের পায় পায়ের যন্ত্রণা দ্বিগুণ হয়ে উঠছে। যখন হোঁচট খেয়েছিল তখন চটি ছিঁড়ে যাওয়াই তাকে ভাবিয়েছিল বেশি, পায়ের আঘাত গুরুত্ব পায়নি। এখন ব্যথা সে-আঘাতকে গুরুতর করেছে। খঞ্জনি ঝোলায় ফেলে সে রেলিং ধরে ধীরে ধীরে ওপরে উঠতে শুরু করল। চোখ-মুখ কুঁচকে গেল যন্ত্রণায়। 

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *