রাজপাট – ৩১

৩১ 

কি যেন কখন আমি মৃত্যুর 
কবর থেকে উঠে আসিলাম 
আমারে দিয়েছে ছুটি বৈতরণী নদী 
শকুনের মতো কালো ডানা মেলে পৃথিবীর দিকে উড়িলাম 
সাত-দিন সাত-রাত উড়ে গেলে সেই আলো পাওয়া যায় যদি 
পৃথিবীর আলো প্রেম? 
আমারে দিয়েছে ছুটি বৈতরণী নদী। 

.

সুবা বাংলা ব্রিটিশের অধিকারে আসার পরে রাজধানী মুর্শিদাবাদের সংলগ্ন শহর বহরমপুর হয়ে উঠেছিল দেওয়ানির প্রধান কার্যালয় এবং সেনানিবাস। আপন স্বার্থেই ব্রিটিশরা এ শহরকে সুব্যবস্থিত করেছিল। কিন্তু এই শহর গড়ে তোলার আদিকথা ইংরেজের ইতিহাসে লাঞ্ছনা হয়ে লেখা আছে। 

সময় সতেরোশো ছাপান্ন সাল। আলিবর্দি খাঁয়ের মৃত্যুর পর সিরাজদ্দৌলা নবাব হয়েছেন। দীর্ঘকালীন মারাঠা আক্রমণ ও বিবিধ যুদ্ধাদির পরিণতিতে রাজকোষ প্রায় অর্থশূন্য। সিরাজের চারপাশ শত্রু-পরিবেষ্টিত। ষড়যন্ত্র রচিত হচ্ছে কোনায় কোনায়। এই ষড়যন্ত্রকারীদের অন্যতমা ছিলেন ঘসেটি বেগম। সিরাজের মাসি। ইতিহাসে সেকথা লেখা আছে। তবে সিরাজ ঘসেটি বেগমকে বশীভূত করেছিলেন। সেই অস্থির ও অনিশ্চিত সময়ে ইংরেজরা হয়ে গেল সম্পূর্ণ দুর্বিনীত। সিরাজের অনুমতির পরোয়া না করে তারা কলকাতায় নগরপ্রাকার তৈরি করতে লাগল। সিরাজ পূর্ণিয়ার অধিপতি শওকতজঙ্গকে শায়েস্তা করার জন্য যুদ্ধে যাবার আগে গভর্নর ড্রেকের কাছে আদেশনামা পাঠালেন যে এখুনি দুর্গপ্রাকার ভাঙা না হলে সিরাজ স্বয়ং এসে ড্রেককেই গঙ্গাগর্ভে নিক্ষেপ করবেন। 

ড্রেক সব দেখেশুনে কাজ বন্ধ করলেন না, বরং জবাব পাঠালেন— কে বলল আমরা পাঁচিল তুলছি? খুব শিগগির ফরাসিদের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ বাঁধবে কিনা, তাই পুরনো পাঁচিলগুলোই মেরামত করে নিচ্ছি। 

সিরাজ ক্রোধে অগ্নিশর্মা হলেন। ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দের সাতাশে মে, উমরবেগ জমাদার তিন হাজার অশ্বারোহী নিয়ে কাশিমবাজারে শিবির স্থাপন করলেন। রাত না পোহাতেই এল আরও দু’শো সৈন্য এবং কয়েকজন বরকন্দাজ। সন্ধ্যায় এল দুটি সুশিক্ষিত রণহস্তী। 

শেষ বিকেলের আলো তখন পড়েছে গেরুয়া গঙ্গায়। জল বয়ে চলেছে ইতিহাস লিখতে লিখতে। যে-বয়সে এখনকার ছেলেরা ইস্কুল ছেড়ে কলেজে যাবার বীরত্ব লাভ করে, তার চেয়েও কমবয়সী এক নবাবের ওপর বাংলার শাসনভার। নিঃস্ব সে-নবাব কিন্তু তেজস্বী। নারীলোলুপ অথচ এক আশ্চর্য প্রেমিক। অস্থিরমতি কিন্তু বীর এবং বুদ্ধিমান। এই সন্ধ্যায়, ইংরেজের দুর্গের সামনে তাঁর সৈন্যদলের নিষ্ক্রিয় অবস্থান, রাজনৈতিক কূটবুদ্ধির পরিচয় লিখে দিল গঙ্গাজলে। 

কাশিমবাজার দুর্গে ইংরেজের প্রাণ কেঁপে উঠল। তাদের মনে পড়ল, সিরাজের বার্তাসহ দূতটিকে গভর্নর ড্রেক কীভাবে লাঞ্ছিত করে শহর থেকে বার করে দিয়েছেন! অনেকেই দুর্গ ছেড়ে পালাল। শেষ পর্যন্ত রইল ছত্রিশ জন ব্রিটিশ ও পঁয়ত্রিশ জন ব্রিটিশ অধীনস্থ ভারতীয় সেপাই। তারাই বীরবিক্রমে সিংহদ্বার আড়াল করে দাঁড়াল। কিন্তু নবাবের সেনাদল দুর্গ আক্রমণ করার কোনও লক্ষণ দেখাল না। উমরবেগ ওয়াটস সাহেবকে সংবাদ দিলেন— তোমরা নিশ্চিন্ত হও। আমরা দুর্গ আক্রমণ করতে আসিনি। 

ওয়াটস বিশ্বাস করলেন না। চতুর্থ দিন পেরিয়ে গেলে আরও সহস্র নবাবি সেনা জমায়েত হল। ওয়াটস ডাক্তার ফোর্থকে উমরবেগের কাছে পাঠালেন। ডাক্তার কথাবার্তা বলে এসে জানালেন, নবাব চান ওয়াস আত্মসমর্পণ করুন। নবাব তাঁর কাছ থেকে একটি মুচলেকা আদায় করে ছেড়ে দেবেন মাত্র। 

আত্মসমর্পণ করার সাহস ছিল না ওয়াটসের। তিনি নবাবকে লিখে পাঠালেন— আপনি যা বলবেন, আমরা তাতেই সম্মত। 

সিরাজ জানালেন— দুর্গপ্রাকার ভেঙে ফেলো। এই মাত্র নবাবের অভিপ্রায়। 

ইংরেজদের এ অভিপ্রায় পছন্দ হল না। তারা রাজবল্লভের সঙ্গে পরামর্শ করল। জগৎশেঠের বুদ্ধি চাইল। রাজবল্লভ ওয়াটসকে আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দিলেন। তখন কলকাতা থেকে ওয়াটসের কাছে যে-খবর এল তাতে লেখা ছিল— আর দেরি কোরো না। যাতে সিরাজদ্দৌলা তুষ্ট হয়, তাই করো গে। The Presidency were now very eager to appease the Subadar, they offered to submit to any condition which he pleased to impose. 

ওয়াটস দুরু দুরু বক্ষে সিরাজের সমীপবর্তী হলেন। সিরাজ তাঁকে যথেষ্ট বকাঝকা করে ওয়াটসকে দিয়ে একটি মুচলেকাপত্রে সই করালেন। সই করে হাঁফ ছাড়লেন ওয়াটস। আর ওই মুচলেকাপত্রে যে শর্তগুলো দেওয়া ছিল তা হল-কলিকাতার নবপ্রতিষ্ঠিত পেরিং দুর্গ চূর্ণ করিতে হইবে। যে সকল বিশ্বাসঘাতক কর্মচারী রাজদণ্ড হইতে অব্যাহতি পাইবার জন্য কলিকাতায় পলায়ন করিয়া থাকে, তাহাদিগকে বাঁধিয়া আনিয়া দিতে হইবে। বিনা শুল্কে বাণিজ্য করিবার জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যে বাদশাহি সনন্দ পাইয়াছেন, তাহার দোহাই দিয়া অন্য লোকেও বিনা শুল্কে বাণিজ্য চালাইয়া রাজকোষের ক্ষতি করিতেছে, তাহার পূরণ করিতে হইবে এবং কলিকাতার জমিদার হলওয়েল সাহেবের প্রবল প্রতাপে দেশীয় প্রজাবৃন্দ সে সকল নির্যাতন সহ্য করিতেছে, তাহা রহিত করিতে হইবে। 

জুন মাসের চার তারিখে বিনা রক্তপাতে কাশিমবাজার দুর্গ অধিকার করলেন সিরাজ। সে-দুর্গ ভেঙে দেওয়া হল। ঘন মেঘে হয়তো-বা ঢাকা ছিল সেদিনের আকাশ। তপের তাপের বাঁধন কাটতে সেই মেঘ রসবর্ষণের জন্য তৈরি। স্থির। পশ্চিমের সূর্য তাকে আঁকড়ে এক ধারালো সোনালি ছটা ছড়িয়ে দিল এমন—যেন আকাশময় ঝলসে উঠল সিরাজের সোনার তরবারি। 

কিন্তু হায়! সেই সোনার উদ্ধত তরবারি মিশিয়ে গেল মলিন ধুলোয়। পলাশির প্রান্তরে সিরাজের পরাজয় বুঝি-বা স্তব্ধ করে দিয়েছিল এক মুহূর্তের তরে প্রবাহ গঙ্গার! 

পলাশির যুদ্ধের পর গভর্নর রজার ড্রেকের আবার মনে পড়ল কাশিমবাজার কুঠির কথা। তাঁর নির্দেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন ব্রোহিয়ার প্রযুক্তিবিদ হিসেবে কাশিমবাজার কুঠি পরিদর্শনে এলেন। সে-কুঠি আর ব্যবহারযোগ্য ছিল না। তখন ব্রোহিয়ারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মুর্শিদাবাদের নিকটবর্তী ব্রহ্মপুর এলাকায় প্রায় পাঁচশো চুরানব্বই বিঘা জমি নিয়ে গড়ে তুলল বহরমপুর। ব্রহ্মপুরই ব্রিটিশদের উচ্চারণ ভঙ্গিমায় হয়ে গিয়েছিল বহরমপুর। 

শহরের মাঝখানে রইল একটি চতুর্ভুজাকৃতি মাঠ। বিরাট সেই মাঠের একেকটি বাহুর দৈর্ঘ্য চারশো মিটার। জলনিকাশী-ব্যবস্থার জন্য তৈরি হল পয়ঃপ্রণালী। শহরের গড় বৃষ্টিপাত হিসেব করে অতিরিক্ত জল ধারণ করার জন্য তৈরি হল লালদিঘি। এবং লালদিঘিকে ধোপঘাটি বিলের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হল যাতে লালদিঘি পূর্ণ হলে অতিরিক্ত জল ধোপঘাটি বিলে চলে যায়। পাঁচটি বড় বড় কুপও খনন করা হয়েছিল এ শহরে। কূপগুলিও জল ধরে রাখার সহায়ক ছিল। 

জলনিষ্কাশনের জন্য অনেকগুলি নালা তৈরি করেছিল ইংরেজরা। ওইসব নালাগুলিতে স্লুইস গেট ছিল। নালাগুলিকে যুক্ত করা হয়েছিল বিবিধ বিলের সঙ্গে। 

এই শহর বহরমপুর আজও বিলে ঘেরা। সেইসময় এই বিলের সংখ্যা ছিল আরও বেশি। বিষ্ণুপুর বিল, চালতিয়া বিল ও চাঁদবিল রয়েছে বহরমপুরের পুবে। এ ছাড়া শহরের অন্তর্গত ছিল ওসমানখালির বিল, শ্বেতা খার বিল, মোল্লাগেড়ে বিল ও ধোপঘাটি বিল প্রভৃতি। বিলগুলি সমস্তই পরিষ্কার পয়ঃপ্রণালী দ্বারা সংযুক্ত ছিল। 

বিষ্ণুপুর বিল ছিল আধা চাঁদের মতো। খাগড়া ও বহরমপুরের দুটি স্লইস গেট ও মুড়ি দিয়ে এই বিলকে ভাগীরথীর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। চালতিয়া বিলও ছিল অর্ধচন্দ্রাকার। বহরমপুরের দক্ষিণ থেকে ভাকুড়ি পর্যন্ত ছিল তার বিস্তার। 

অধুনা বহরমপুরের জলনিকাশী-ব্যবস্থা যে আরও উন্নততর করা হয়েছে এমন নয়। বরং বিলগুলি বুজিয়ে দিয়ে, সুইসগেটগুলির রক্ষণাবেক্ষণ না করে এ শহরের ক্ষতিই সাধিত হয়েছে। আর শুধু বহরমপুরই বা কেন, জলনিকাশী-ব্যবস্থার এই বিপর্যয় গোটা মুর্শিদাবাদ জুড়ে। ভাগীরথীর পূর্ব দিকে বাগড়ির যে ঢালু বিস্তার, তাকে প্রায়ই প্লাবিত করে নদীগুলি। সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা না থাকার কারণেই এই প্লাবন তা অস্বীকার করার উপায় নেই। ব্রিটিশরা যা ভেবেছিল, যেভাবে প্রাকৃতিক খাল-বিলের সঙ্গে মানুষের প্রযুক্তিবিদ্যা মিলিয়ে গড়ে তুলেছিল নিকাশী-ব্যবস্থা— স্বাধীনতা-উত্তর ভারত তার চেয়ে উন্নততর কিছু করে দেখায়নি। 

নবাব আলিবর্দি খাঁ ভগবানগোলার কাছাকাছি ভাগীরথী থেকে পরিখা খনন করে পদ্মার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন। এই পরিখার দ্বারা বর্গি আক্রমণের হাত থেকে মুর্শিদাবাদকে রক্ষা করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। এই পরিখায় তিনি নৌবহর মোতায়েন করেছিলেন। সারা জীবন যুদ্ধে যুদ্ধে বিপর্যস্ত এই নবাবের জীবনে বর্গি আক্রমণের ভীতি ছিল দুষ্টক্ষতের মতো। কী এক যন্ত্রণাময় অধ্যায় তখন পার করেছিল বাংলার মানুষ— তার কিছু পরিচয় তৎকালীন কাব্য-কবিতায় ধরা আছে। কাতর, পলায়নপর, রোরুদ্যমান সব মানুষজনের চিত্র। 

এই মতে সব লোক পলাইয়া জাইতে।
আচম্বিতে বরগি ঘেরিলা আইসা সাথে ॥
মাঠে ঘেরিয়া বরগি দেয় তবে সাড়া।
সোনা রুপা লুটে নেত্র আর সব ছাড়া ॥
কারূ হাত কাটে কারূ নাক কান।
এ কি চোটে কারা বধএ পরাণ ॥
ভাল ভাল স্ত্রীলোক জত ধইরা লইরা জাএ।
অঙ্গুষ্ঠে দড়ি বাঁধি দেয় তার গলাএ ॥ 
একজনে ছাড়ে তারে অন্যজনা ধরে।
রমণের ভরে ত্রাহি শব্দ করে ॥
এই মতে বরগি কত পাপ কৰ্ম্ম কইরা।
সেই সব স্ত্রীলোকে জত দেয় সব ছাইড়া ॥
তবে মাঠে লুটিয়া বরগি গ্রামে সাধাএ। 
বড় বড় ঘরে আইসা আগুনি লাগাএ ॥ 

বহু দীর্ঘ দীর্ঘতর এই বর্ণনা। এই লুঠপাট অত্যাচারের থেকে রাজধানী মুর্শিদাবাদকে রক্ষা করছিল ওই পরিখা। যদিও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত হয়েছিল মুর্শিদাবাদ— তা বলা যাবে না। কারণ স্বয়ং জগৎশেঠদের কুঠিও বর্গিরা লুঠ করতে সক্ষম হয়েছিল। 

ব্রিটিশ-অধিকৃত বাংলায় তখন আর বর্গি আক্রমণ নেই। অতএব সুরক্ষার উদ্দেশে কাটা পরিখা তারা ব্যবহার করল পয়ঃপ্রণালী সুব্যবস্থিত করতে। পঞ্চাশ মাইল দীর্ঘ এই খাতের নাম গোবরানালা। যদিও এই খাত প্রকৃতপক্ষে ভান্ডারদহ বিলেরই অন্তর্গত হয়েছে। এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভাগীরথীর সঙ্গে সংযোগ তৈরি করা হয়েছিল স্লুইস গেটের মাধ্যমে। অন্যান্য বিলগুলির সঙ্গেও ভাগীরথীকে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল একইভাবে। বিভিন্ন এলাকার ব্যবহৃত আচরণের জল নালাবাহিত হয়ে ভাগীরথীতে পড়ত এবং ভাগীরথীর জলস্ফীতি হলে নালা বা মুড়িগুলো দিয়ে জল পাঠিয়ে দেওয়া হত জলঙ্গী নদীতে। এখন গোবরানালা ভাগীরথী থেকে বিচ্ছিন্ন। কোথাও কোথাও তাকে ভরাট করে গড়ে উঠেছে বসতি। সুতরাং ভাগীরথীর উদ্বৃত্ত জল ধারণে সে আর তেমন সক্ষম থাকে না। সরকারি বেসরকারি পরিকল্পনা যা কিছু এখন, সবই ওই জলা ভরাট করা। মুর্শিদাবাদের পক্ষে তা নয় কল্যাণকর। জলের অসীম শক্তি ভেঙে দেয় ইট কাঠ পাথরের নগর জঙ্গল। তবু এখানেই আছে জলের সঙ্গে লড়ে চলা অদ্ভুত জীবন। নদীর পরিত্যক্ত অববাহিকা এবং পয়োস্তি জুড়ে গড়ে ওঠে ঘর বসত আবাদ সংসার। এবং নদী কোনওদিন ফিরে আসে তার পুরনো খাতের সন্ধানে। ভাঙে ঘরবাড়ি। নগর জনপদ। ইতিহাস- পথে খোঁজ নিয়ে তখন অবাক হয় মানুষ। এইখানে নদী ছিল? এইখানে? ভাবে তারা। ভাঙা ও গড়ার এ খেলার কোনও শেষ নেই। মানুষ কোথায় যাবে? তারও তো থাকার জায়গা চাই। তারও তো চাই মাটির ঘ্রাণের অধিকার। লোভ-লালসা নয়, শুধু বাঁচতে চাওয়া। খুদ-কুঁড়োর মতো খামচে নেওয়া জীবন। বিল বুজিয়ে সুসজ্জিত হর্ম্যগুলি তৈরি করার সঙ্গে তার কোনও মিল নেই। সেখানে কেবলই লোভ। কেবলই ধনের কারবার। জুঁইফুল ভাতের মতো জীবন সেখানে। 

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *