।। যজ্ঞভেদাৎ বহ্নিণামবর্ণনম্।।
।। যজ্ঞ ভেদে বহ্নিনাম বৰ্ণন।।
এই অধ্যায়ে তিনপ্রকার যজ্ঞ এবং কর্মবিশেষে বহ্নির নামকরণ বর্ণন করা হয়েছে।
যজ্ঞভেদং ত্রিভেদং চ বক্ষ্যেশাস্ত্রমতং যথা। যথাবেদানুসারেন যথাগ্রহন যোজনম।।১।। শতার্ধ বহ্নিরুদ্দিষ্টঃ শতার্ধে কাশ্যপঃ স্মৃতঃ। ঘৃতপ্রদীপকে বিষ্ণুস্তিলযাগে বনস্পতিঃ।।২।। সহস্রে ব্রাহ্মনো নাম অযুতে হরিরুচ্যতে। লক্ষহোমে তু বহ্নিঃ স্যাৎ কোটিহোমে দৃতাশনঃ।।৩।। বরুণঃ শান্তিকে জ্ঞেয়ো মারনে হারুন স্মৃতঃ। নিত্যহোমেহনলো নাম প্ৰায়শ্চিত্তে দৃতাসনঃ।।৪ । লোহিতশ্চযজ্ঞে যো গ্রহণাং প্রত্যনুক্রমাৎ। দেবপ্রতিষ্ঠামাগে তু লোহিতঃ পরিকীর্তিতঃ।।৫।।
শ্রী সূতজী বললেন, যজ্ঞের তিনপ্রকার ভেদ আমি বর্ণনা করব। এই ভেদ শাস্ত্রানুমোদিত ও যার গ্রহণ ও যজন বেদসম্মত।।১।।
শতার্দ্ধে বহ্নি, কাশ্যপ, ঘৃত প্রদীপে বিষ্ণু এবং তিলযাগে বনস্পতি নামে পরিচিত।।২।।
সহস্রে ব্রাহ্মণে, অযুতে হরি নামে পরিচিত। লক্ষ হোম যেখানে হয়, সেখানে ‘বহ্নি’ এই নাম এবং কোটি হোমে হুতাশন নাম হয়।।৩।।
শানিতক হোমে বরুণ, মারণ কর্মের হোমে অরুণ এবং নিত্য হোমে ‘অনল’ ও প্রায়শ্চিত্ত হোমে হুতাশন এই নাম ব্যবহৃত হয়।।৪।।
অন্নযজ্ঞের অগ্নি ‘লোহিত’ গ্রহের অনুক্রমে করা হয়। দেবীপ্রতিষ্ঠার যাগে ‘লোহিত’ নাম ব্যবহৃত হয়।।৫।।
প্রজাপতিবাস্তুযাগে মন্ডপে চাপি পদ্মকে। প্ৰপায়াং চৈব নাগাখ্যো মহাদানে হৰ্বিভূজঃ।।৬।। গোদানে চ ভবেদ্রুদ্রঃ কন্যাদানে তু গোহজকঃ। তুলাপুরুযদানে চ ধাতাগ্নি পরিকীর্তিতঃ।।৭।। বৃষোৎসর্গে ভবেৎ সূর্যোহবসানান্তে রবি মৃতঃ। পাবকো বৈশ্বদেবে চ দীক্ষাপক্ষে জনাদনঃ।।৮।। আসনে চ ভবেৎ কালঃ ক্রব্যাদ শরদাহনে। পর্নদাহে যমো নাম হ্যস্থিদাহে শিখন্ডিকঃ।।৯।। গর্ভাধানে চ মরুতঃ সীমন্তে বিপংগলঃ স্মৃতঃ। পুংসবে ত্বিদ্র আখ্যাতঃ প্রশস্তো যাগকৰ্মনি।।১০।। নামসং স্থাপনে চৈব্যুপন্যস্তে চ পার্থিব। নিযক্রমে হাটকশ্চৈব প্রাশনে চ শুচিস্তযা।।১১।।
বাস্তু যাগে ও পদ্মক মন্ডপে প্রজাপতি নামে অগ্নিদেব পরিচিত হন। প্রপাতে ‘নাগ’ এবং মহাদানে অগ্নির নাম ‘হবিৰ্ভুজ’ হয়।।৬।।
গোদানে ‘রুদ্র’ এবং কন্যাদানে ‘গোহজক’ নামে অগ্নিদেব পরিচিত হন। তুলাপুরুষদানের অগ্নি ‘ধাতাগ্নি’ নামে পরিচিত।।৭।।
বৃষোৎসর্গে ‘সূর্য’ ও অবসানান্তে ‘রবি’ নামে অগ্নিদেব পরিচিত হন। বৈশ্বদেব যাগে ‘পাবক’ এবং দীক্ষাপক্ষে ‘জনার্দন’ নাম ব্যবহৃত হয়।।৮।।
আসন কর্মে ‘কাল’ নামক অগ্নি এবং শবদাহনে ‘ক্রব্যাদ’ নামক অগ্নি পূজিত হন। পর্ণদাহে ‘মর্ম এবং অস্থিদাহে ‘শিখন্ডিক’ অগ্নি পূজিত হন।।৯।। গর্ভাদানে ‘মরুৎ’, সীমন্ত কর্মে ‘পিঙ্গল’, পুংসবনে ইন্দ্ৰ, যাগকর্মে ‘প্রশান্ত’ এই নামে অগ্নিদেব পরিচিত।।১০।।
যনাননশ্চ চূড়ায়াং ব্রতাদেশে সমুদভবঃ। বীতিহোত্রশ্চোপনয়ে সমাবতে ধনজ্ঞয়ঃ।।১২।। উদরে জঠরাগ্নিশ্চ সমুদ্রে বনবানলঃ। শিখায়াং চ বিভুজ্ঞেয়ঃ স্বরস্যাগ্নিঃ সরীসৃপঃ।।১৩।। অশ্বাগ্নিমহ্নরো নাম রথাগ্নিজাতবেদসঃ। গজাগ্নিংন্দরশ্চৈব সূর্যাগ্নিবিন্ধ্য সংজ্ঞকঃ।।১৪।। তোয়াগ্নিবরুনোনাম ব্রাহ্মণাগ্নিহবিভূজঃ। পর্বতাগ্নিঃ ক্রতুভূজো দাবাগ্নি সূর্য উচ্যতে।।১৫।। দীপাগ্নিঃপাবকো নাম গৃহ্যাগ্নিঝরনীপতিঃ। ঘৃতাগ্নিশ্চ নলো বায়ু সূতিকাগ্নিশ্চ রাক্ষসঃ।।১৬।।
নামকরণ এবং উপন্যস্তে অগ্নিদেবের ‘পার্থিব’ নাম হয়। নিষ্ক্রম কর্মে হারক, প্রাশন কর্মে শুচি নামক অগ্নি পূজিত হন। চূড়াকর্মে ‘ষড়ানন’ নাম অবিত্র, ব্রতাদেশে ‘সমুদ্ভব’ নামক অগ্নি, উপনয়নে ‘বীতিহোত্র’তথা সমাবর্তনে ‘ধনঞ্জয়’ নামক অগ্নির পূজা করা হয়।।১১-১২।।
উদরে পাচনের জন্য জঠরাগ্নি’ সমুদ্রে ‘বড়বানল’ শিখতে ‘বিভু’ এবং স্বরে বা সীসৃপ অগ্নির এইরূপ নাম ব্যবহৃত হয়।।১৩।।
অশ্বাগ্নির নাম মন্থর, রথাগ্নির নাম ‘জাতবেদস্’, গজাগ্নির নাম মন্দর এবং সূর্যাগ্নির নাম বিধ্য।। তোয়াগ্নির নাম ‘বরুণ’, ব্রাহ্মণাগ্নির নাম হবির্ভুজ।। পর্বতাগ্নি ক্রতুভুজ এবং সূর্য ‘দাবাগ্নি’ নামে পরিচিত।।১৪-১৫।।
দীপাগ্নি ‘পাবক’, গৃহ্যাগ্নি ‘ধরণীপতি’, ঘৃতাগ্নি ‘নলবায়ু’ এবং সূতিকাগ্নি ‘রাক্ষস’ নামে পরিচিত।।১৬।।