এক ধর্মাত্মা মুনি যিনি শস্য কাটার পর যেটুকু শস্য পড়ে থাকে তাই সংগ্রহ করে স্ত্রীপুত্রদের সঙ্গে মাসে মাত্র দুই বার আহার করতেন আর ব্রতাদিপালন করতেন। এক সময়ে পর্ব উপলক্ষে দুর্বাসা মুনি পর পর ছয় বার ওঁর আশ্রমে এসে সমস্ত অন্ন নিঃশেষিত করলেন। তারপর মুদগলের অতিথিসেবায় পরিতুষ্ট হয়ে বললেন যে, মুদগল স্বর্গে যাবেন। স্বর্গ থেকে দেবদূত আসতে মুদগল তাঁর কাছে স্বর্গের দোষগুণগুলি জানতে চাইলেন। দেবদূত স্বর্গের গুণকীর্তন কারার পর বললেন যে,স্বর্গে শুধু কৃতকর্মের ফলভোগ হয়, নতুন কর্ম করা যায় না। কর্মক্ষয় হলে আবার ধরাতলে পতন হয়। মুদগল সেই শুনে বললেন যে, তিনি তাহলে স্বর্গে যাবেন না – কৈবল্যের অন্বেষণ করবেন,যেখানে কেউ শোকদুঃখ পায় না আর পতিতও হয় না। মুদগল এর পর শুদ্ধ জ্ঞানযোগ অবলম্বন করে নির্বাণ লাভ করেছিলেন। বনবাসকালে ব্যাসদেব যুধিষ্ঠিরকে মুদ্গলের এই কাহিনী বলেছিলেন।