মানুষ
অনেকদিন আগে কোন এক দার্শনিক, মানুষের সংজ্ঞা নির্দেশ করতে গিয়ে বলেছিলেন, মানুষ ডানাবিহীন দ্বিপদ জন্তু ছাড়া আর কিছুই নয়।[১] কথাটির প্রচ্ছন্ন শ্লেষ ও সত্য তখন অনেকে সহ্য করতে পারেননি। দার্শনিকের ছাত্ররা একটি মুরগির ডানা দুটো কেটে দিয়ে বললেন, দার্শনিকের সংজ্ঞা অনুযায়ী এও একটি মানুষ। দার্শনিকের উক্তির অসারতা প্রমাণ করার জন্য তাঁদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। কারণ হৃদয়ের গভীরে এই উক্তির নগ্ন সত্য এমনভাবে লেগে গিয়েছিল, যাকে, তাঁরা ধুয়ে ফেলতে পারছিলেন না, কেবলি বিচলিত হচ্ছিলেন।
মানুষের উৎপত্তি বা তার শ্রেণী বিচার করতে বসিনি। অনেক আগেই Darwin (ডারউইন) ও Huxley (হাক্সলি) তা করে ফেলেছেন। সে অনধিকার চর্চায় আমাদের কোন অধিকার নেই। বিভিন্ন যুগের বিভিন্ন কবি ও দার্শনিকেরা এবং শিল্পীগণ মানুষকে যে চোখে দেখেছেন, সেইটাই হবে এই প্রবন্ধের আলোচনার বিষয়।
মানুষ বিধাতার উৎকৃষ্ট সৃষ্টি, তবে উৎকৃষ্ট হলেও চরম সৃষ্টি কিনা বলা যায় না। মানুষ নিজের মনেই অনুভব করে সে স্বয়ংসম্পূর্ণ বা একেবারে নিখুঁত নয়, ফলে তার আকাঙ্ক্ষিত আদর্শটি লাভ করবার জন্য তার মধ্যে একটা চেষ্টা সদা সর্বদা জাগ্রত থাকে। এই অগ্রগতি, এই উঁচুর দিকে যাবার প্রবণতা, মানুষের মাঝে অতিমানব সৃষ্টি করে। পরমপুরুষ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ বলতেন, মানুষ অর্থাৎ মান হুঁশ। এই হুঁশটি পশুদের নেই। আবার হুঁশ হারালেই মানুষ পশুতে পরিণত হয়।
Descartes (ডেকার্টে)-এর Theory of animal life এর প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে Moleschott (মলোস্কট) ও Buchner (বুকনার) মানুষের সংজ্ঞা নির্দেশের চেষ্টা করেছিলেন। তাঁদের সংজ্ঞাকে Materialistic Theory (বস্তুতান্ত্রিক মতবাদ) বলা হয়। তাঁদের মতে মানুষ যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে যেকোন জানা যন্ত্রের চেয়ে এর গঠনকৌশল অতি জটিল এবং অদ্ভুত উপযোগী। কিন্তু তবুও খুব বাড়িয়ে অথবা খুব কম করে বলতে হলে, এইটুকুই বলতে হয়, সে একটা যন্ত্রই—যার শক্তির উৎস বহির্দেশে অবস্থিত এবং যাকে চালনা করলে তার গঠন ভঙ্গিমা অনুযায়ী, থাকা, চলা, অনুভব করা, চিন্তা করা প্রভৃতি যাবতীয় কর্ম সম্পন্ন করে থাকে। কিন্তু এছাড়াও আরেকটি মতবাদ আছে যাকে বলা হয় Spiritual doctrine (আধ্যাত্মিক মতবাদ)। তাঁরা বলেন, দেহ এবং কিছু অংশে মনের দিক থেকেও, মানুষ পশু হতে পারে কিন্তু তার আত্মা হলো ঐশ্বরিক। ভারতের বৈদিক ঋষিগণ মানুষকে অনেক উঁচু স্থান দিয়ে গিয়েছেন। তাঁরা বলে গেছেন, মানুষ হলো “অমৃতস্য পুত্রা।” তাঁরা দেহ থেকে আত্মাকে সদাই পৃথক করে দেখতেন। তাঁদের মন, তাঁদের চিন্তা আত্মিক জগতে ঘুরে বেড়াত।
শ্রীরামকৃষ্ণ মানুষকে তুলনা করেছেন ডাবের সঙ্গে আর অতিমানবকে ঝুনো নারিকেলের সঙ্গে। খোলা আর শাঁস আলাদা, খটখটে শাঁসটি হলো আত্মা।
আমাদের বৈদিক ঋষিগণ ও সাধকবর্গ মানুষের দেহটিকে মোটেই ভাল চোখে দেখেননি। দেহবুদ্ধি দূর করতে গিয়ে, দেহের যে চিত্রটি তাঁরা সদাসর্বদা চোখের সামনে খাড়া রাখতেন, সেটি মোটেই মনোহর নয়, বরং মনের মাঝে নিদারুণ ঘৃণা সঞ্চারিত হওয়াই স্বাভাবিক। তাঁরা যেন ‘সার্জিকাল’ ছুরি দিয়ে দেহটিকে ফেঁড়ে ফেঁড়ে দেখতেন। “অমেধ্যপূর্ণে কৃমিজাল সঙ্কুলে, স্বভাব দুর্গন্ধি বিনিন্দিতান্তরে কলেবর মূত্র পুরীষ ভাবিতে…”।
পরমপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ কথায় কথায় বলতেন : “লোক না পোক অতিমানবের স্তরে উপনীত হলে সাধারণ মানুষকে, ‘পোক’ বলেই মনে হয়। স্বভাবের দাস কামিনী-কাঞ্চনে আসক্ত।
পাশ্চাত্যদেশে আত্মাকে উপলব্ধি করলেও আত্মশক্তিতে তারা আমাদের মতো বিশ্বাসী নয়। আমরা আত্মসর্বস্ব কিন্তু তারা দেহসর্বস্ব। ডাক্তার Prichard (প্রিচার্ড) -এর চিন্তাধারায় আত্মার বর্তমানতার কথা প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি মানুষের ভিতর ‘রক্তমাংসের দেহ ছাড়াও বিশেষভাবে যুক্ত অন্য একটি সত্তার’[৩] সন্ধান পেয়েছিলেন। প্রফেসর মিভার্ট তাঁর Genesis of Species-এ বলেছেন, মানুষ বিজ্ঞপ্রাণী এবং তার জৈব দেহ ও ঐশ্বরিক আত্মার, নিশ্চয়ই দুটি ভিন্ন উৎস আছে, কারণ একটির শ্রেণী আরেকটির থেকে সম্পূর্ণ পৃথক।[৪] পাশ্চাত্য দেশ অনুভব করেছে কিন্তু আমাদের দেশ গভীরে প্রবেশ করেছে।
ধর্মগ্রন্থ বাইবেলে মানুষকে যেন বিষাক্ত জীবরূপে বর্ণনা করা হয়েছে। মানুষ পাপের বোঝায় ঝুঁকে পড়েছে। রোগ শোক জরা আর ব্যাধির অন্ধকারময় জগতে তারা বিচরণ করে ফিরছে। পরিত্রাণের কোনই আশা নেই। Milton (মিন্টন ) Paradise Lost-এ যে চিত্রটি এঁকেছেন সেটি যেন এই নরকরূপী পৃথিবী-
“আলো নেই শুধু অন্ধকার
চারি পার্শ্বে শুধু হতাশা
বিষাদ আর নৈরাশ্য ঘেরা
যেখানে একতিল শান্তি
নেই নেই একবিন্দু বিশ্রাম।”[৫]
সেইখানেই মানুষ শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে আছে। John Bunyan (জন বানিয়ান) পৃথিবীকে বললেন, City of destruction, তাঁর ‘Pilgrim’s Progress’-এর পথিক বিভিন্ন জনের সাহায্য নিয়ে এগিয়ে চলল Mount Zion (মাউন্ট জাইয়ন)[৬] এর দিকে যেখানে গেলে সে উদ্ধার পাবে। সে নিজে অতি অসহায়, দীন, ঘোরতর পাপী।[৭] Bible-এও সেই নিরাশার বাণী। মানুষের এই দুরবস্থা থেকে মুক্তির কোন আশা নেই, কেবল দয়া করে যদি কোন মহাপুরুষ (যীশু) তাকে ত্রাণ করে তবেই মুক্তি। নাহলে সে অসহায়। কিন্তু আমাদের দেশের সুর আলাদা। মানুষকে আমরা অন্য চোখে দেখি। আমরা হুঙ্কার দিয়ে বলি—হে পুরুষ সিংহ! উঠো, জাগো, ঝেড়ে ফেল তোমার ভ্রান্তি, তুমি মেষ নও, তোমার আত্মা অজরামর, তুমি বন্ধনমুক্ত, অনাদি অনন্ত। তুমি ধন্য। তুমি বস্তু নও, তুমি দেহ নও, বস্তুজগৎ তোমার অধীনে, তুমি বস্তুজগতের অধীন নও।[৮] বাইবেল যে মানুষকে ভেড়ার মতো দেখে, আমাদের দেশের দার্শনিকগণ তাকে দেখে অমিতশক্তির আধার রূপে। সে পশু হতে পারে কিন্তু সে পশুশ্রেষ্ঠ। নির্বীর্য নয়, অসীম তার বীর্য। সে নিজেই নিজের ত্রাণকর্তা।
আমাদের দেশ মানুষকে বিশ্বসত্তার সঙ্গে একীভূত করে দেখেছে। আমাদের দেশে মানুষ কম্বু কণ্ঠে বলে—”সোহহং”। স্বামী বিবেকানন্দ বলে গেছেন, বাহ্যত এই বিশ্বজগৎ এক এবং অখণ্ড, তোমাতে আর ঐ সূর্যতে কোনই তফাত নেই।”“ আমিই বিশ্বজগৎ, আমিই অনন্ত, অপার। আমাদের দেশের মানুষের এই বাণী। স্বামীজী সমগ্র জীবজগৎকে দেখেছিলেন—এই অনন্ত বস্তু সমুদ্রে এক একটি প্রাণী যেন এক একটি পরিবর্তনশীল ঘূর্ণি।[১০]
বিশ্বের বিশালতার তুলনায় মানুষ অতি নগণ্য জীব। দৈহিক গঠন ভঙ্গিমার দিক থেকে সে পশুর চেয়ে দুর্বল কিন্তু বুদ্ধিযুক্তির বলে সে পশুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ। বিশ্বে তার স্থান Pascal (পাস্কাল)-এর ভাষায়—সবকিছু এবং কিছুই না। এই দুইয়ের মাঝে মানুষের স্থান এবং চরম জ্ঞান থেকে সে অসীম দূরে অবস্থিত।”[১১] এবং সেই কারণেই মানুষের মানস রাজ্যের পরিধিও অল্প। Pascal-এর ভাষাতেই—”এই কারণে চরমজ্ঞান লাভ ও চরম অজ্ঞানতা—দুই-ই মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।”[১২]
মানুষের জীবনের সর্বাপেক্ষা করুণাবহ ঘটনা, সে বোঝে তার দুর্বলতা, তার অসম্পূর্ণতা, কিন্তু পূর্ণ হতে পারে না। পাশ্চাত্য দেশ অক্ষমতা স্বীকার করেছে কিন্তু To err is human বলে নিশ্চেষ্ট থাকবার চেষ্টা করেছে। কোন কোন দার্শনিক অসহায় মানুষের চিত্র নির্মম লেখনীমুখে এঁকেছেন যেমন_ Pascal— মানুষ এমন একটি জীব যার সারাটি জীবন শুধু স্বাভাবিক ভুল ও ত্রুটিতে ভরা। কোন কিছুই তার সত্যলাভে সহায়তা করে না, সবকিছুই তাকে ঠকায়।[১৩] তারপর বলছেন, কি বিকট এই মানুষ জীব! অদ্ভুত, অস্বাভাবিক, শূন্যকুম্ভ, বৈপরীত্যে ভরা একটা আশ্চর্য সৃষ্টি। টন টন বিচারবুদ্ধি রয়েছে অথচ দুর্বল কেঁচো ছাড়া আর কিছুই নয়। সত্যের আধার অথচ অনিশ্চয়তা আর ভুলের আস্তাকুঁড়।[১৪] তাঁর কথাতেই—মানুষ হলো নলখাগড়ার মতো। দুর্বল হতে পারে কিন্তু চিন্তাশীল।[১৫] অতএব তাঁর মতে—মানুষ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য।[১৬] মানুষকে বোঝবার ক্ষমতা মানুষের থাকতে পারে না। তবে মানুষ মানুষের সংজ্ঞা নির্দেশ করবে কি করে! তার জ্ঞানের পরিধি অতি অল্প। অতএব কিন্তু না, মানুষই বলছে মানুষই স্থির করেছে, তার পূর্বপুরুষেরা অভিজ্ঞতার দ্বারা জ্ঞান আহরণ করেছেন, এবং সেই জ্ঞান বংশানুক্রমে বিকশিত হয়েছে। বংশানুক্রমে পূর্ণ বিকাশই জ্ঞানের ধর্ম। এই হলো Herbert Spencer (হার্বার্ট স্পেন্সার)-এর Evolutional Empiricism.
Hegel (হেগেল) বললেন, মানুষ জগৎকে যেভাবে দেখতে চায় সৃষ্টিকর্তা জগৎকে ঠিক সেইভাবেই সৃষ্টি করেছেন। অতএব মানুষের মন ও বিশ্বস্রষ্টার মন একই শ্রেণীর। সুতরাং Hegel (হেগেল)-এর Dialectic Theory of Knowledge অনুসারে মানুষের অজ্ঞাত কিছুই থাকতে পারে না।
আমাদের ভারতীয় দর্শন বলে “আত্মানং বিজানথ” নিজের আত্মস্বরূপকে জান, তোমার অজ্ঞাত কিছু থাকবে না। তাই ভারতীয় মহাপুরুষগণের জাগতিক জ্ঞান তো দূরের কথা, সমগ্র বিশ্ব তাঁদের মানসলোকে প্রতিভাত হতো। তাঁরা তাঁদের নিজেদের অভিজ্ঞতার হোমানল জ্বেলে, কম্বুকণ্ঠে ঘোষণা করেছেন, হে অমৃতের পুত্রগণ, তোমরাও পড়ে থাকবে না। আত্মজ্ঞান তোমাদেরও লাভ হবে।
“উত্তিষ্ঠত জাগ্ৰত প্ৰাপ্য বরান্ নিবোধত।”
কিন্তু মানুষ (মান + হুঁশ) তার হুঁশটি হারিয়ে থেকে থেকে পশুতে পরিণত হয়। সর্বকালে সর্বযুগের মানুষ এটি বিশ্বাস করেছে এবং সদা আতঙ্কিত থেকেছে। তার সেই আতঙ্ক নাটকে সাহিত্যে কাব্যে চিত্রে যুগে যুগে প্রকাশ পেয়েছে। প্রাচীন মিশরীয় গল্পে, মানুষ থেকে থেকে পশুতে পরিণত হতো। গ্রীক গল্পেও এই পরিবর্তন ঘটতে দেখা যায়। চরিত্রে বিভিন্ন বৃত্তির আধিক্য বোঝাতে গিয়ে বিশেষ বিশেষ পশুতে পরিবর্তন করা হতো। যেমন দ্বিতীয় শতাব্দীতে গাধা ছিল কাম, নিষ্ঠুরতা ও দুরাচারের প্রতীক। মানুষের চরিত্রে বৃত্তির এই আধিক্যগুলি বোঝাতে গিয়ে তাকে গাধাতে পরিবর্তিত করা হতো। আমাদের দেশেও মহিষাসুর ক্ষণে ক্ষণে রূপ পালটেছিল, হৃদয় বৃত্তির তাড়নায়। স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুকেও বরাহের রূপ ধারণ করতে হয়েছিল হিরণ্যাক্ষকে বধ করতে গিয়ে, তার পাশব প্রবৃত্তির রূপ এটি।
বর্তমান যুগের একখানি শ্রেষ্ঠ উপন্যাস Louis Stevenson (লুই স্টিভেনসন)-এর Doctor Jekyll and Mr. Hyde (ডঃ জেকিল ও মিঃ হাইড)। সে কাহিনীও মানুষের পশু পরিণতি উপজীব্য করে লেখা।
কবি দার্শনিক Plato (প্লেটো)-র মতে স্বর্গীয় আত্মার, স্ত্রী এবং পুরুষ উভয়ে একই সঙ্গে বিরাজিত এবং জাগতিক মানবের আত্মা সদাসর্বদা এই মিলিত অবস্থায় ফিরে যাবার চেষ্টা করে।
দার্শনিক কবিগণ মানুষের জীবনকে নদীর স্রোতের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। শেলী এবং রবীন্দ্রনাথ এই শেষোক্ত গোষ্ঠীর কবি ছিলেন। Plato (প্লেটো) তাঁর এক বিখ্যাত রচনায় মনুষ্যজীবনকে গুহার সাথে তুলনা করেছেন, বাইরের বাস্তব সেখানে ছায়া রূপে প্রতিভাত।
বিচিত্র মানুষের অখণ্ড স্রোতধারা। বিচিত্র তার চিন্তাধারা, দেহ তার বিনাশশীল কিন্তু আত্মা তার অজ অমর। আমরা কখনো তাকে দেহী জীব হিসাবে দেখিনি, তাকে দেখেছি আত্মার অধিষ্ঠান রূপে, যে আত্মাকে—
“নৈনং ছিন্দন্তি শস্ত্রাণি নৈনং দহতি পাবকঃ।
ন চৈনং ক্লেদয়ন্ত্যাপো ন শোষয়তি মারুত।।”
বিদেশী সাহিত্যে এর ছায়া পড়েছে Oscar Wilde (অস্কার ওয়াইল্ড)-এর Happy Prince গল্পটিতে।
তাই দেখি, আমাদের দেশের কবি গাইছেন, মানুষের জয়গান-
“সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।”
—
১. A man is a biped animal without any wings.–Sartor Resartus, Carlyle
২. Animal as to the body and in some measure as to the mind, spiritual as to the soul.- Encyclopaedia Britannica]
৩. The Superadded existence of a Principal distinct from the mere mechanism of material bodies-Encyclopaedia Britannica
৪. Man is a rational animal. Man’s animal body must have had a different source from that of the spiritual soul which informs, owing to the distinctness of the two orders to which these two existences severally belong.
৫. No light but rather darkness visible
Served only to discover sights of woe
Regions of sorrow, doleful shades
Where peace and rest can never delve (Paradise Lost – Milton)]
৬. জেরুজালেমের গিরি, Jewish theocracy.
৭. Poor burdened sinner. ( Pilgrim’s Progress — John Bunyan)
৮. “Come up, Lions, and shake off the delusion that you are sheep, you are soul immortal spirits, free, blest and eternal. Ye are not matter, Ye are not bodies. Matter is your servant, not you the servant of matter.” (Chicago Address-Swami Vivekananda)
৯. “Physically the universe is one, there is no difference between the sun and you.” (Raja Yoga-Swami Vivekananda)
১০. “Each form represents as it were one whirlpool in the infinite ocean of matter of which one is not constant.” (Ibid)
১১. “A mean between all and nothing, infinitely far from comprehending the extremes.”-An Introduction to Modern Philosophy, Alburney Castell
১২. This what renders us incapable, alike of absolute knowledge and absolute ignorance. (Ibid)
১৩. Man is a creature full of natural error. Nothing shows him the truth everything deceives him.-An Introduction to Modern Philosophy, Alburney Castell
১৪. “What a chimera is man! Strange and Monstrous! A chaos, a contradiction, a prodigy. Judge of all things yet a weak earthworm. Depository of truth yet a cesspool of uncertainty and error.”
১৫. “Man is but a reed, weakest in nature but a reed which thinks.”
১৬. Man is incomprehensible by man.-An Introduction to Modern Philosophy- Alburney Castell