মদ্রদেশের অধিপতি আর্তায়নের কন্যা ও মহাবীর শল্যের ভগিনী। কুন্তির সঙ্গে বিবাহ হবার কিছুদিন পরে মাদ্রীর সঙ্গে পাণ্ডুর বিবাহ হয়। কিন্দম মুনির অভিশাপ ছিল যে, মৈথুনে প্রবৃত্ত হলেই পাণ্ডুর মৃত্যু ঘটবে। সেইজন্য পাণ্ডুর পক্ষে পিতা হওয়া সম্ভব ছিল না। কিন্তু কুন্তি পাণ্ডুর ইচ্ছায় দেবতাদের আহবান করে তিনটি পুত্র লাভ করলেন। দেবতাদের আহবান করার মন্ত্রটা যদি কুন্তি ওঁকে শিখিয়ে দেন, তাহলে উনিও পুত্র লাভ করতে পারেন – এই ভেবে মাদ্রী পাণ্ডুকে অনুরোধ করলেন কুন্তিকে বলতে। পাণ্ডুর অনুরোধে কুন্তি মাদ্রীকে সাহায্য করতে সন্মত হলেন। মাদ্রী অশ্বিনীকুমারদ্বয়কে আহবান করে নকুল ও সহদেবের মাতা হলেন। পাণ্ডু আবার মাদ্রীর পুত্র কামনায় কুন্তির সাহায্য চাইলেন। মাদ্রী ওঁর সঙ্গে ছলনা করে অশ্বিনীকুমারদ্বয়কে ডেকে একসঙ্গে দুই পুত্র লাভ করেছেন বলে কুন্তি ঈর্ষাবশত আদ্রীকে দ্বিতীয়বার সাহায্য করতে সন্মত হলেন না। এর কিছুকাল পরে হঠাৎ নির্জনে মাদ্রীকে দেখে পাণ্ডু কামাসক্ত হলেন। মাদ্রীর বারণ উপেক্ষা করে পাণ্ডু তাঁর সঙ্গে মিলিত হতেই মুনির অভিশাপে প্রাণ হারালেন। কুন্তি যখন পতির সঙ্গে সহমরণে যাবার ইচ্ছা জানালেন, তখন মাদ্রী বললেন যে, সপত্নীর পুত্রদের তিনি আপন পুত্রদের মত দেখতে পারবেন না, কিন্তু কুন্তি তা পারবেন। এই বলে নিজে সহমরণে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করলে কুন্তি তাতে সন্মতি দেন।