মাছ ধরার আপদ-বিপদ
কথাটা উঠেছিল খবরের কাগজের একটা বিজ্ঞাপন নিয়ে। সাঁতরাগাছিতে রেল লাইনের ধারে একটা পুকুর আছে। খুব মাছ আছে সেখানে। পুকুরের মালিক সরকারি রেল-দপ্তরের লোক। ছিপ ফেলে মাছ ধরার এমন সুযোগ নাকি আর কোথাও মিলবে না। অতএব রেলের অফিসে দশটা টাকা জমা দিয়ে সেই পুকুরে ছিপ হাতে বসে পড়া যায়।
ভাদ্র মাসের শেষ। কদিন বৃষ্টির পর আকাশ অনেকটা ফাঁকা হয়ে গেছে। শরতের কড়া রোদে ঘরবাড়ি গাছপালা দারুণ ঝলমল করছে। পুজোর ছুটি আসতে তখনও দেরি। কিন্তু এমন হাসিখুশি দিন দেখে মনটা আগাম ছুটি নিতে চাইছে।
সেই সময় সুবিখ্যাত নান্টুমামা এসে হাজির হলেন।
মামার মাথায় টাক, মুখে ইয়াবড় গোঁফ, আর পেটে ভুঁড়ি আছে। পাছে খুঁড়ি ওঁকে ছেড়ে পালায়, তাই চওড়া শক্ত বেল্ট টাইট করে পরে থাকেন। এসেই বললেন,–কী রে? তোরা সব খবরের কাগজ ঘিরে বসে আছিস কেন? ভোটে দাঁড়াবি নাকি? বিবৃতি দিয়েছিস? দেখি কী বলেছিস! রেশনে চালের কোটা বাড়াবার কথা বলেছিস তো?
উনি পকেট থেকে চশমা বের করে ঝুঁকে পড়লেন। তখন আমি বললুম, না মামা, মাছ!
মাছ? আর কিছু নয়, স্রেফ মাছ? বলে মামা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকালেন। আবার বললেন, চাল নয়, শুধু মাছ? সে কী রে? মাছ খাবি কী দিয়ে? যাঃ!
–হ্যাঁ মামা, মাছ! খবরের কাগজে মাছ বেরিয়েছে।
–খবরের কাগজে মাছ? চালাকি হচ্ছে? মাছ তো পুকুরে থাকে।
ভুতো বলল, কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছে মামা। এই দেখুন না!
মুখ তুলে বললেন, ! সাঁতরাগাছির রেলপুকুর–তার আবার মাছ। যেতিস যদি ডাইনিতলার পেতনিদিঘিতে, দেখতিস মাছ কাকে বলে! ছিপ ফেলতে না ফেলতেই আড়াই সের থেকে সাত সের ওজনের বাঘা বাঘা রুই উঠে এসে সিগ্রেট খেতে চাইবে!
ইতি বলল,–মাছ সিগ্রেট খায় নাকি মামা?
নান্টুমামা বিজ্ঞের মতো হেসে বললেন, খায়। তোরা দেখিসনি!
সন্তু বলল, ডাইনিতলায় পেতনিদিঘি না কী বললেন, সেখানে বুঝি পেতনি থাকে?
–হুঁ! থাকে বইকী!
–আপনি দেখেছেন?
–দেখেছি মানে? দেখেছি, কথা বলেছি। নেমন্তন্ন খেয়ে এসেছি।
নান্টুমামা এলে আমাদের জোর জমে যায়। এবারও জমে গেল। ইনি ডাইনিতলার পেতনদিঘির পেতনি দেখার গল্প শোনাতে বসলেন। আমরা হাঁ করে শুনে গেলুম। গল্প শেষ হলে সন্তু বলল, ঠিক আছে। মামা, আমাদের তাহলে পেতনিদিঘিতেই নিয়ে চলুন। মাছ ধরব, পেতনি দেখব, আবার তার বাড়ি নেমন্তন্ন খাব। কী রে, তোদের কী মত?
আমরা সবাই এক কথায় বলে উঠলুম, হা-হ্যাঁ! নিয়ে চলুন।
নান্টুমামাকে চিন্তিত দেখাল। বললেন,–নিয়ে যেতে আপত্তি ছিল না, কিন্তু সম্প্রতি খবর পেলুম, শ্ৰীমতী পেতনি দেবী বোম্বে গেছেন। সিনেমার শুটিংয়েই গেছেন। অবশ্য বলা যায় না, থেকেও যেতে পারেন সেখানে। তার চেয়ে আমরা এই সাঁতরাগাছির রেল পুকুরেই যাই বরং। সেখানে কি দু-একজন পেতনি থাকবে না? আলবাত আছে। বিজ্ঞাপনে সব লেখেনি!
অগত্যা তাই ঠিক হল। দলে বেছে-বেছে শুধু সাহসী ছেলেমেয়েদের নেওয়া হল। কারণ পেতনির মুখোমুখি হওয়া সোজা নয়। আমি, সন্তু, ভুতো, পাগলু-চারজন ছেলে। আর মেয়ে শুধু একজন ইতি।
মামাকে নিয়ে আমরা হলুম ছজন। ছজনের জন্যে ছিপ নেওয়া হল দুখানা। একটা ছিপে মামা, আমি আর ভুতো বসব। অন্যটায় সন্তু, ইতি, পাগলু। ব্যাগ ভর্তি খাবার, ফ্লাস্কভর্তি চা নেওয়া হল। হাওড়া স্টেশনে গিয়ে মামা একগাদা ফল কিনলেন। ছিপ, বঁড়শি, চার, টোপ আগের দিন নিউমার্কেটে গিয়ে কেনা হয়েছিল! রেল অফিসে টাকাও জমা দিয়ে এসেছিল সন্তু।
রোববার সকালে আমরা বেরিয়ে পড়লুম। নটা নাগাদ পৌঁছলুম সাঁতরাগাছি রেলপুকুরে। রেললাইনের ধারেই লম্বা-চওড়া মস্ত পুকুর। বাকি তিনদিকে ঝোঁপ ঝাড় আর গাছপালার ঘন জঙ্গল। দেখলাম আরও অনেকে ছিপ নিয়ে এসেছে। তারা জায়গা বেছে নিয়ে বসে পড়েছে। জঙ্গলের দিকগুলোয় লোক খুব কম। যত লোক রেল লাইনের দিকটায়।
নান্টুমামা আমাদের দক্ষিণের জঙ্গলে ঢোকালেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করে একটা ছিপ ফেলার মতো জায়গা পাওয়া গেল। সেখানে মামার দল বসল। তার হাত বিশেক দূরে ডাইনে একটা জায়গায় বসল সন্তুর দল। আমরা কেউ কোনও দলকেই দেখতে পাচ্ছিলুম না। ঝোঁপের আড়াল রয়েছে। তাতে কী? মাছ গাঁথা হলে চেঁচিয়ে জানিয়ে দেব পরস্পরকে। তাছাড়া নান্টুমামা পকেটে হুইসেল নিয়েছেন। দরকার হলে ওটা বাজিয়ে দেবেন। আয়োজন খুব পাকা করা হয়েছে।
মামা ছিপের ফাতনার দিকে তাকিয়ে বসে আছেন। আমার ও পাগলুর কিন্তু চোখ ব্যথা করছে। ঠায় দুপুর অবধি বসেও মাছের পাত্তা নেই। একটা বাজলে মামা কথামতো খাবারের জন্য ডাক দিলেন হুইসেল বাজিয়ে। ছিপ ফেলে রেখে সন্তুরা এসে গেল তক্ষুনি। আমাদের ছিপের একটু তফাতে ঝোঁপের মধ্যে শতরঞ্চি পেতে আমরা খেতে বসলুম। টোস্ট, ডিমসেদ্ধ, কলা খেতে-খেতে চাপা গলায় আমরা কথা বলছি, হঠাৎ ডানদিকে কোথাও জলের মধ্যে জোর শব্দ হল। অমনি সন্তু লাফিয়ে উঠল,–ওই রে, আমার মাছ গেঁথেছে।
নামামা বললেন, ছিপ আটকে না রাখলে নিয়ে পালাবে রে। দেখে আয় শিগগির।
সন্তু দৌড়ে ঝোঁপঝাড় ভেঙে চলে গেল। আমরা খুব আশান্বিত হলুম। নির্ঘাত বড়সড় একটা মাছ গেঁথেছে ওর বঁড়শিতে।
কিন্তু সন্তু গেল তো গেলই, কোনও সাড়া নেই। আমরা অধৈর্য হয়ে পড়েছি। তখন মামা দুবার হুইসিল বাজালেন। তবু সন্তুর সাড়া এল না। এবার মামা গলা চড়িয়ে ডাকলেন,-সন্তু! সন্তু!
সন্তুর জবাব নেই।
আমরা মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছি। ইতি উঠে দাঁড়াল। আমি দেখে আসি– বলে চলে গেল।
কিন্তু সেও গেল তো গেলই। ব্যাপারটা কী?
নান্টুমামার মুখ গম্ভীর দেখাল এতক্ষণে। বললেন, ভুতে! তুই যা তো বাবা। দেখে আয় তো, কী হল!
ভুতো ভয়েভয়ে বলল, আ-আ-মি যাব?
নাণ্টুমামা বেঁকিয়ে উঠলেন, হ্যাঁ, তুমি। তুমি না তো কি এই হুইসিলটাকে পাঠাব?
ভূতো আমাদের দিকে তাকাতে-তাকাতে ঝোঁপের আড়ালে অদৃশ্য হল। আশ্চর্য, দশ মিনিট অপেক্ষা করেও সে ফিরল না। তখন মামা গম্ভীরমুখে বললেন,–এবার পাগলু যা!
পাগলু নাদুসনুদুস ছেলে। তাই হাঁটতে কষ্ট হয় মোটকা শরীর নিয়ে। সে ঝোঁপ ঠেলে অনেক কষ্টে এগোল। নান্টুমামাকে বেজায় ভয় করে। না গিয়ে উপায় কী?
পাগলুও যখন ফিরল না, তখন নান্টুমামা রেগেমেগে উঠে দাঁড়ালেন। বললেন,–তোদের মতো অকম্মা দেখা যায় না। আমি নিজেই যাচ্ছি। এই রাজু, তুই ছিপের কাছে যা! ফাতনা নড়লেই জোর খাচ দিবি। সাবধান! এই হুইসিলটা রাখ বরং। বেগতিক দেখলে তিনবার বাজাবি। মনে থাকে যেন তিনবার।
নান্টুমামা চলে গেলে আমি ছিপের কাছে এলুম। তারপর উঁকি মেরে সন্তুর ঘাটটা দেখার চেষ্টা করলুম। কিন্তু একটা ঝোঁপ জলে ঝুঁকে থাকায় কিছু দেখা গেল না। পুকুরটাও দামে ভর্তি। ওর ছিপ দেখাও সম্ভব নয়।
বসে আছি তো আছিই। ফাতনা কাপে না যেমন, তেমনি সন্তুদের ওখান থেকেও কোনও সাড়া নেই। এর মধ্যে পুকুরের ওপারে দূরে রেললাইনে কতবার রেলগাড়ি গেল। একা চুপচাপ বসে থাকতে থাকতে আমারও খুব রাগ হল। আশ্চর্য তো! কী এমন কাণ্ড হচ্ছে ওখানে, যে যাচ্ছে সে আর ফিরছে না?
শেষমেশ আমি উঠে দাঁড়ালুম। মামার বারণ না মেনে সন্তুদের ঘাটের দিকে এগোলুম।
ঝোঁপঝাঁপ যত, গাছও তত! কাটায় জামাপ্যান্ট আটকে যাচ্ছিল। হাত দশেক এগিয়েছি, হঠাৎ লক্ষ করলুম সামনেই একটা ঘন ডাল-পালাওয়ালা গাছে নান্টুমামা বসে রয়েছেন। ব্যাপার কী? মামার মুখটা ওপাশে ঘোরানো। কী যেন দেখছেন। শরীরটা ঠকঠক করে কাঁপছে। ডাকতে যাচ্ছি, নান্টুমামা হঠাৎ ঘুরে আমাকে দেখেই ঠোঁটে আঙুল দিয়ে গাছে চড়তে ইশারা করলেন। ভুরু কুঁচকে ঘন-ঘন মাথা নাড়ছেন মামা। চোখে ভর্ৎসনার ভঙ্গি। আমি হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। ওদিকে মামা সমানে ইশারা দিচ্ছেন গাছে চড়তে।
এবার বাঁ-দিকে আরেকটা গাছে চোখ গেল। চমকে উঠলুম! দেখলুম, ভুতো ডগার একটা ডালে বাঁদরের মতো বসে আছে। গোড়ার কাছে একটা মোটা ডালে পাগলুও রয়েছে। ডাইনে তাকালুম। সেদিকে একটা গাছে দেখলুম সন্তু আর ইতি চুপচাপ বসে আছে।
কী করব, ভাবছি। এমন সময় দেখি মামার গাছের তলায় ঝোঁপ ঠেলে বেরিয়ে এল একটা মস্ত ভালুক।
ব্যস অমনি টের পেয়ে গেলুম। দিশেহারা হয়ে কাছেই একটা গাছের ডাল ধরে ঝুলে পড়লুম। তারপর যে কসরত করে ডালে উঠলুম তা সার্কাস ছাড়া আর কোথাও দেখতে পাওয়া যাবে না।
ডালে উঠে নিরাপদে বসে নিচে সেই ভালুকটাকে খুঁজলুম। ব্যাটা মামার ডালের নিচেই দিব্যি দাঁড়িয়ে আছে চারপায়ে। মামার নাকের ওপরে চশমাটা ঝুলছে। ভয় হল, এক্ষুনি বুঝি ভালুকের নাকেই গিয়ে পড়বে। না জানি কী ধুন্ধুমার কাণ্ড হবে তাহলে!
ভালুকটা নড়ছে না। কিন্তু ভালুক তো গাছে চড়তে পারে!
যেই কথাটা মনে হওয়া, পিলে চমকে গেল। সর্বনাশ হয়েছে। গাছে ওঠা তো ঠিক হয়নি। কিন্তু এখন নামাও যে বিপদ। মুখোমুখি পড়ে যাব যে!
কতক্ষণ এইভাবে প্রাণ হাতে নিয়ে বসে আছি ঠিক নেই। হঠাৎ জঙ্গলে বাতাস উঠল। তারপর টের পেলাম আকাশ কালো করে মেঘ জমেছে। ভালুকটা চুপচাপ শুয়ে পড়েছে নান্টুমামার গাছটা নিচে। দেখতে-দেখতে আলোর রঙ ধূসর হয়ে গেল। তারপর শুরু হল বৃষ্টি, সে বৃষ্টির তুলনা নেই। মনে হল আকাশের মেঘগুলো ভেঙে পড়ছে একেবারে। ভিজে ঠকঠক করে কাঁপতে থাকলুম। গাছের তলায় আর জঙ্গলের সবখানে অন্ধকার ঘনিয়ে উঠল! অসহায় হয়ে বসে-বসে ভিজছি আর ভিজছি। মাঝে-মাঝে প্রচণ্ড শব্দে বাজ পড়ছে। বুকে খিল ধরে যাচ্ছে। মনে-মনে নাক কান মুলছি–আর কখনও মাছ ধরার নাম করব না।
বৃষ্টি একটু কমেছে সবে। কিন্তু সন্ধের অন্ধকার ঘন হয়েছে। এমন সময় নান্টুমামার চাপা ডাক শুনতে পেলুম, সন্তু! ইতি! পাগলু! ভুতো! সবাই নেমে আয়। ভালুকটা পালিয়েছে।
একে-একে নেমে গেলুম, চারদিকের গাছ থেকে বৃষ্টিভেজা ছটি অদ্ভুত মূর্তি। সবাই ঠকঠক করে কাঁপছি। মামা ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে বললেন,-সব পড়ে থাক। চল, আগে কোথাও গিয়ে আশ্রয় নিই। জঙ্গলের বাইরে নিশ্চয় ঘরবাড়ি আছে। আয়, চলে আয়।
আমরা এগোলুম। স্পষ্ট কিছু দেখা যায় না। বিদ্যুতের আলোয় দেখে-দেখে পা ফেলতে হচ্ছে। কতদূর যাওয়ার পর নান্টুমামা বলে উঠলেন, সামনে একটা বাড়ি দেখা যাচ্ছে না?
একবার বিজলি ঝলসে উঠতেই দেখলুম, তাই বটে। গাছপালার মধ্যে একটা মস্ত দালানবাড়ি হয়েছে। দৌড়ে গিয়ে সেখানে পৌঁছলুম আমরা। কিন্তু আশ্চর্য, বাড়িটায় কোনও আলো নেই। কোনও লোকজন নেই।
নিশ্চয়ই পোড়ো-বাড়ি। গেট দিয়ে ঢুকে গেলুম। বারান্দায় উঠে দেখি, সত্যি তাই। দরজা-জানালা বলতে কিছু নেই। ভেতরে কোনও আসবাবপত্রও নেই। টর্চ পুকুরের ধারে পড়ে আছে। এবার তাই নান্টুমামা দেশলাই জ্বালালেন। সেটুকু আলোয় যা দেখলুম, আমার পিলে আবার চমকাল।
ঘরের কোনায় শুয়ে আছে আবার কে? সেই যমের মতো ভালুকটা। আর কী? এবার আর রক্ষে নেই। পাগলু ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল। ভূতো বলল,–মা-মা মা মা। ভা-ভা-ভা-ভালু…।
ওদিকে মামা তখন মরিয়া। বিকট চেঁচিয়ে উঠলেন,–গেট আউট! গেট আউট স্কাউলে! ডু ইউ নো, হু অ্যাম আই? ইউ ব্ল্যাক বিয়ার। আই অ্যাম নান্টুবাবু!
সেই সময় কার কথা শোনা গেল অন্ধকারেই, সেই ঘরের কোনা থেকে!–বাবুসাব মাং ঘাবড়াইয়ে। লছমী কুছ নেহি বোলে গা! বহুং আচ্ছা ভালু বাবুসাব!
নান্টুমামা হুঙ্কার দিয়ে বললেন, কোন ব্যাটা রে?
–হামি ভালুকওয়ালা আছি বাবুসাব। আজ সকাল থেকে লছমী-হামার এই ভালু হারিয়ে গিস্লো। বিষ্টি সমোয়ে লছমীকে জঙ্গুলে দেখতে গেছল বাবুসাব। তো এখানেই নিয়ে আসল।
নামামা হো-হো করে হেসে বললেন,–ব্যাটা উঁত কাহেকা। আমরা এতক্ষণে হেসে উঠলুম। হেসেই বেঁচে উঠলুম বলা যায়। কিন্তু সাঁতরাগাছির রেল-পুকুরে তাই বলে আর কখনও মাছ ধরতে যাচ্ছি না। বাপস!