মহাপ্লাবন – ৫৫

পঞ্চান্ন

‘অত ওপর থেকে লাফ দিয়ে পায়ে চোট লেগেছে,’ বলল সোহেল। পড়ে যাচ্ছিলেন হিমুরা, ডান হাতে তাঁকে জড়িয়ে ধরে ওজন নিয়েছে ও।

খুঁড়িয়ে হাঁটছেন পুলিশ অফিসার। ব্যথায় কুঁচকে গেছে গাল। তবে কথাটা শুনে মৃদু হাসলেন। ‘লাফ ঠিকই ছিল। কিন্তু নেমে ব্যথা পেয়েছি।’

‘গোটা ছয়েক বিয়ার শেষ করলেই সুস্থ হয়ে যাবেন,’ ভরসা দিল সোহেল।

আর চলতে পারছেন না হিমুরা।

রানা গেছে সামনের বাড়ি দেখে আসতে।

এই সুযোগে বসে পড়লেন পুলিশ অফিসার।

পেরিয়ে গেল কয়েক মিনিট, তারপর ফিরল রানা। ‘আশপাশে আমাদের বন্ধু রোবটদের দেখলাম না।’

‘কপাল ভাল নরকের কীটগুলোর ডানা নেই,’ মন্তব্য করল সোহেল।

মাথা দোলাল রানা। চালু করল নুমার ট্র্যান্সিভার। ‘এবার সাহায্য চাইব।’ সিনক্রোনাইয হওয়ার পর রেডিয়োর ডানে জ্বলে উঠল সবুজ বাতি। ট্র্যান্সমিট বাটন টিপল রানা। ‘হিনা, তুমি কোথায়?

পেরোল বেশ কয়েক সেকেণ্ড। জবাব দিল না কেউ।

‘কে জানে, হয়তো মডার্ন টেকনোলজি ভেবে বোট থেকে ট্র্যান্সিভার ফেলে দিয়েছে মেয়েটা,’ বিমর্ষ সুরে বলল সোহেল।

‘হিনা, আমি মাসুদ রানা। শুনছ? রিসিভারের বামে বাটন টিপে কথা বলো।’

স্ট্যাটিক এল। তারপর শোনা গেল মেয়েটার কণ্ঠ: ‘ভাল করেই জানি কীভাবে রেডিয়ো ব্যবহার করতে হয়।’

‘গুড,’ বলল রানা। ‘কোনও সমস্যায় পড়েছ?’

‘না, তবে সারারাত ভিজে সকালে জ্বর আসবে।’

‘আমরা আছি সমস্যায়,’ বলল রানা। ‘ভাল সংবাদ হচ্ছে: পেয়েছি পুলিশ অফিসার উবোন হিমুরাকে। খারাপ সংবাদ: তাড়া করছে আমাদেরকে একদল ওঅর-বট। আমরা অর্ধেক পথ যেতে পারব, তবে বাকি পথ এগিয়ে আসতে হবে তোমাকেই। পারবে?’

‘নিশ্চয়ই,’ বলল মেয়েটা। ‘কোনও ব্যাপারই নয়।’

‘আমরা এলে খুঁজে নিয়ো,’ বলল রানা। ‘ব্যবহার করব ডানা আর প্যারাসেইল।’

‘সাগরে নেমে এলেই বোটে তুলে নেব।’

‘ঠিক আছে।’ রেডিয়ো অফ করে সরিয়ে রাখল রানা। ‘তিনতলা নিচে ওদিকের বাড়িতে যাওয়ার সেতু। চলুন, রওনা হওয়া যাক।’

নেমে এসে সেতুর মুখে পৌঁছল ওরা। সতর্ক চোখে দেখল আশপাশে নেই রোবট। সাবধানে সেতু পেরিয়ে সামনের বাড়িতে ঢুকল ওরা। চলে এল সিঁড়ির কাছে। তিন মিনিটও লাগল না উঠতে। দশতলার মেঝেতে নেমেছে ছাতের ঢালু, বড় স্ল্যাব। ওটা বেয়ে উঠতে হবে ছাতে।

বৃষ্টিতে ভিজে ভীষণ পিছলা স্ল্যাব, ওঠা কঠিন। হাত ও হাঁটু ব্যবহার করে উঠতে লাগল রানা। ডানহাতে হঞ্জো মাসামিউনে। গতি কম ওর।

ওকে পাশ কাটিয়ে ছাতের কাছে পৌঁছুল সোহেল। উঠে ছাতে পা রাখবে, এমনসময় চারপাশে লাগল একরাশ গুলি। ছাত থেকে ছিটকে উঠল কংক্রিটের চল্টা। চমকে গিয়ে পিছলে গেল সোহেল। নামার সময় সঙ্গে নিল রানা ও উবোন হিমুরাকে।

নিচের মেঝেতে কয়েক গড়ান দিয়ে উঠে বসল রানা। ‘এত সমাদর আশা করিনি।’

‘দেখি গিয়ে কে সে,’ বলল সোহেল। আবারও স্ল্যাব বেয়ে উঠল ও, নিচু করে রেখেছে মাথা। হাতে নাইন এমএম পিস্তল। ছাতের কিনারা লক্ষ্য করে টিপে দিল ট্রিগার। গুলির ভয়ে হঠাৎ করে ছুটে আসবে না শত্রুপক্ষ।

দ্বিতীয়বার উঁকি দিয়ে আবারও মাথা নামাল সোহেল। ‘রোবট?’ জানতে চাইল রানা।

মাথা নাড়ল সোহেল। ‘ইয়াকুয়া খুনি। একহাতে পিস্তল, আরেক হাতে মস্ত এক তলোয়ার।’

‘একা?’

‘না, সঙ্গে হুয়াঙের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সাবা সাবেলা। ‘অস্ত্র ফেলে আত্মসমর্পণ কর,’ কঠোর সুরে বলে উঠল ওরে চিচিওয়া।

‘যাতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী খুনের দায়ে সব দোষ চাপিয়ে দিতে পারো আমাদের ঘাড়ে?’ পাল্টা চেঁচাল সোহেল, ‘মর্, ব্যাটা!’

‘সাহস থাকলে লড়বি, নইলে, অপেক্ষা করবি,’ বলল ওরে। ‘তাতে পৌঁছে যাবে ওঅর-বটগুলো। ঝাঁঝরা হবি গুলি খেয়ে। কীভাবে মরবি, তা নিয়ে আমার মাথা-ব্যথা নেই।’

‘মহাবিপদে ফেলেছে,’ মন্তব্য করলেন হিমুরা।

‘রোবট এলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে;’ স্বীকার করল রানা।

‘এক কাজ করি, তেড়ে গিয়ে লড়াই করি,’ বলল সোহেল।

‘তুই না আত্মহত্যা পছন্দ করিস না?’ বলল রানা।

‘উপায় কী?’ মাথা নাড়ল সোহেল। ‘আর তো কোনও পথ নেই!’

‘আমার মনে হয় আছে,’ বলল রানা। ‘ব্যস্ত রাখ লোকটাকে। মাঝে মাঝে একটা দুটো গুলি পাঠাবি। যাতে মনোযোগ দিতে না পারে আমার দিকে।’ মেঝে থেকে উঠে তলোয়ার বাগিয়ে ধরল ও। *এরপর লড়াই হবে সামুরাই স্টাইলে!’

রানা বিদায় নেয়ায় স্ল্যাবের আরও সামান্য ওপরে উঠে এক রাউণ্ড গুলি পাঠাল সোহেল। আলাপের সুরে বলল, ‘মনে হয় না খোলা ছাতে বাঁচবে। আড়াল বলতে কিছুই নেই। একটা গুলিই যথেষ্ট তোমাকে লাশ বানাতে।’

‘এত কপাল নেই তোর,’ খলখল করে হাসল প্রেতাত্মা, ‘চাইলে ছাতে উঠে লড়াই কর। সমান সুযোগ দেব।’

‘ধরে নিতে পারেন মিথ্যা বলছে,’ বললেন হিমুরা।

‘ধরে নিয়েছি, মৃদু হাসল সোহেল। হাত ওপরে তুলে ছাতের কিনারা লক্ষ্য করে পাঠাল আরেকটা গুলি।

.

সোহেলের দিকে মনোযোগ দিয়েছে চিচিওয়া, সেই সুযোগে বাড়ির অন্যদিকে এল রানা। একবার উঁকি দিয়ে দেখল বাইরে। গোটা বাড়ি ঘিরে রেখেছে ছয়পায়া মেশিনগুলো। কিছু ঢুকছে ভেতরে। সংখ্যায় কমপক্ষে এক ডযন। এবার নিয়ম মেনে সার্চ করবে না, সোজা হামলা করবে ওদের ওপর।

সময় বিপক্ষে। কাজেই ঝুঁকি নিয়ে করতে হবে যা করার। জানালা দিয়ে বেরিয়ে কার্নিশ ধরে বাড়ির আরেক পাশে চলল রানা। দু’মিনিট লাগল জং ধরা ফায়ার এস্কেপের কাছে পৌছুতে। প্রথম যখন এসেছিল, ওটা ব্যবহার করেনি ওরা। কিন্তু এবার আর উপায় নেই।

রানা শুনল, চিচিওয়ার উদ্দেশে বলল সোহেল: ‘রোবট দিয়ে আমাদের ঝাঁঝরা করলে করোনার বুঝে যাবে, আমরা প্রধানমন্ত্রীকে খুন করিনি।’

‘তোদের লাশ সাগরে ফেলে হাঙরের পেট পূর্তি করাব, ‘ পাল্টা বলল প্রেতাত্মা। ‘বাকি জীবন তোদের খুঁজেও পাবে না পুলিশ।’

ফায়ার এস্কেপের রেলিং টপকে লোহার ধাপে পা রাখল রানা। অপেক্ষা করল। আবারও গুলি পাঠাল সোহেল। ওই আওয়াজ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই লোহার সিঁড়িতে পুরো ভর দিল রানা। এদিক ওদিক দুলছে গোটা সিঁড়ি। ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে গেল ও। এক পা এক পা করে উঠতেই ক্যাঁচকোঁচ আওয়াজে গুঙিয়ে উঠছে লোহার ধাপ। কপাল ভাল, এখনও খসে পড়েনি বহু নিচের চাতালে।

ধীরে উঠছে রানা। জীবনে কখনও এত সতর্ক হয়ে সিঁড়ি বায়নি ও। প্রতি পা ফেলছে বুক ভরা ভয় নিয়ে। অস্ত্র বলতে সঙ্গের এই তলোয়ার।

ছাতের কাছে পৌঁছুবার আগেই টের পেল, দেয়াল থেকে খুলে আসছে ফায়ার এস্কেপ। ফাটল ধরা মুড়মুড়ে কংক্রিটের বুক থেকে উধাও হয়েছে ব্র্যাকেট। গোটা কাঠামো টিকে আছে এখন স্রেফ এক প্রস্থ তারের কল্যাণে। ওটা ছিঁড়লেই খসে পড়বে গোটা লোহার সিঁড়ি।

প্ল্যাটফর্ম থেকে সামনের নিচু দেয়ালে উঠল রানা। বাইরে সরল লোহার মই। আস্তে করে এনে ওটাকে দেয়ালের পাশে রাখল ও।

ছাতে চলেছে তুমুল মৌখিক বিবাদ।

‘গুলি জমিয়ে রাখ, শালা! মাকড়সাগুলো এলে বুঝবি!’

জবাবে তিনটে গুলি পাঠাল সোহেল। ওই আওয়াজ কাজে লাগিয়ে দেয়াল টপকে ছাতে নামল রানা। সামনে বাগিয়ে ধরেছে হঞ্জো মাসামিউনে। একটু দূরেই কাভার নিয়ে বসে আছে সাবা সাবেলা আর ওরে চিচিওয়া।

রানাকে আগে দেখল চিফ ইঞ্জিনিয়ার। ‘সাবধান!’

চরকির মত ঘুরেই উঠে দাঁড়াল চিচিওয়া। দেরি হলো না গুলি পাঠাতে। কিন্তু তলোয়ারের আঘাতে তার হাত থেকে পিস্তলটা উড়িয়ে দিল রানা। কাটা পড়েছে প্রেতাত্মার বুড়ো আঙুলের অর্ধেক।

ছাতে পড়েই ‘বুম!’ শব্দে গর্জে উঠল পিস্তল। বোঝা গেল না কোথায় গেল নিশানাহীন গুলি। কাটা আঙুলের ব্যথায় ঘুরেই প্রায় বসে পড়ল ওরে চিচিওয়া।

তার দিকে খেয়াল দিল না রানা। পিস্তল পেতে ডাইভ দিয়েছে সাবেলা। ঝড়ের বেগে সামনে বেড়ে তার চোয়ালে মোক্ষম এক লাথি মারল রানা। পরক্ষণে তলোয়ারের ডগা দিয়ে দূরে ঠেলে দিল পিস্তলটা।

খয়েরি তলোয়ার দুলিয়ে ছুটে এল ওরে চিচিওয়া। ফলা নামাল রানার মাথার ওপর। কিন্তু হঞ্জো মাসামিউনে দিয়ে কোপ ঠেকিয়ে দিল রানা। পরের আক্রমণে সরল আরেক দিকে। চিচিওয়ার বুড়ো আঙুলের ক্ষত থেকে দরদর করে ঝরছে রক্ত, কিন্তু প্রচণ্ড রাগে বেসামাল সে। তেড়ে গেল রানার দিকে।

হঞ্জো মাসামিউনে দিয়ে খয়েরি তলোয়ারের হামলা ঠেকাল রানা। পরক্ষণে পাশ থেকে চালাল তলোয়ার। এ হামলা ঠেকাতে না পারলে কাটা পড়বে খুনিটার মাথা

তলোয়ারবাজি ভালই জানে চিচিওয়া। ঝটকা দিয়ে পিছিয়ে গেল সে। তলোয়ারের প্রচণ্ড এক মোচড়ে উড়িয়ে দিতে চাইল প্রতিদ্বন্দ্বীর অস্ত্র।

হাত থেকে হঞ্জো মাসামিউনে ছুটে যাওয়ার আগেই পিছিয়ে গেল রানা। আক্রমণে এসে টিটকারির সুরে বলল চিচিওয়া, ‘তলোয়ারে তুই আমার তুলনায় কিচ্ছু না! এবার একটা একটা করে কেটে নেব তোর হাত-পা!’

ঠং-ঠনাৎ আওয়াজে লাগছে দুই তলোয়ারের ফলা।

একপাশ থেকে চিচিওয়া তলোয়ার চালাতেই দক্ষতার সঙ্গে আবারও ঠেকিয়ে দিল রানা। শ্রদ্ধার ভাব ফুটল জাপানীর কাঠবাদাম চোখে।

‘রক্তের স্বাদ নেবে বলে দু’ শ’ বছর অপেক্ষা করছে এ তলোয়ার,’ খলখল করে হাসল চিচিওয়া। লাফিয়ে এগোল রানার দিকে। ‘আজ তোর রক্তে প্রাণ জুড়াবে এর!’

বিরাম নেই রানার। নানাদিকে সরে হামলা করছে ওরে চিচিওয়া। একবার তলোয়ারের ডগা রানার বুকে প্রায় ছুঁইয়ে দিল সে। তবে হাঁটু ভাঁজ করে কাত হয়ে ওকে বিফল করে দিল রানা। ওর কাঁধের ওপর দিয়ে সাঁই করে চলে গেল খয়েরি ফলা।

এই সুযোগে হঞ্জো মাসামিউনে চালাল রানা।

পাসাটা-সোট্টো।

লাফিয়ে পেছাল চিচিওয়া। পরক্ষণে আবারও এগোল উন্মাদের মত। খেপে গেছে রানাকে খুন করতে না পেরে। শুরু হলো দু’জনের মুখোমুখি লড়াই। দুই তলোয়ারের ফলার সংঘর্ষে নানাদিকে ছিটিয়ে পড়ছে লাল ফুলকি। চিচিওয়ার বুড়ো আঙুলের রক্ত ভিজিয়ে দিয়েছে খয়েরি তলোয়ারের হাতল ও ফলা।

প্রচণ্ড হামলার মুখে বারবার পিছাতে হচ্ছে রানাকে। পেছনেই ছাতের কিনারা। এত বিপদের মুখে আরও একটি নতুন বিপদ দেখল রানা। পিস্তলের জন্যে ক্রল শুরু করেছে সাবেলা।

‘সোহেল! জলদি!’ ডাক দিল রানা।

এরই মধ্যে স্ল্যাব বেয়ে ছাতে উঠেছে সোহেল। দৌড়ে গিয়ে ডাইভ দিল সাবেলার ওপর। শুরু হলো পিস্তল দখলের লড়াই। ওদিকে আবারও রানার ওপর হামলে পড়ল ওরে চিচিওয়া।

সামনে বেড়ে রানার বুক ভেদ করতে চাইল সে। ঝট্ করে সরল রানা। কিন্তু পরক্ষণে দু’হাতে খয়েরি তলোয়ার ওর মাথার ওপর নামাতে চাইল ওরে চিচিওয়া।

এ আঘাতে মাথা থেকে পেট পর্যন্ত দু’ভাগ হবে রানা।

হঞ্জো মাসামিউনে তুলে ঠেকাল দা-র মত কোপটা। কিন্তু টলে গেছে ভারসাম্য। প্রায় বসে পড়তে হয়েছে ওকে। এখন নিজেকে রক্ষা করা অসম্ভব। বুঝল, খুন হবে এবার।

চিচিওয়া তলোয়ার চালাবার আগেই সামনে বেড়ে কাঁধ দিয়ে তার ঊরুতে প্রচণ্ড গুঁতো দিল রানা। বামহাতে জড়িয়ে ধরেছে শত্রুর হাঁটু। গায়ের সব শক্তি খাটিয়ে লোকটাকে তুলেই ছুঁড়ে ফেলল ফায়ার এস্কেপ লক্ষ্য করে।

নিচু দেয়াল টপকে লোহার সিঁড়িতে পড়ল চিচিওয়া। খামচে ধরেছে ওপরের ধাপ। দুলে উঠল ফায়ার এস্কেপ। কয়েক ইঞ্চি সরতেই টানটান হলো তার।

লাফ দিয়ে নিচু দেয়ালে উঠল রানা। ওকে দেখছে ওরে চিচিওয়া। চোখে ভয়ের অদ্ভুত চাহনি। হাত থেকে পড়ে গেল খয়েরি তলোয়ার। মাঝের ধাপে ঠং করে লেগে উধাও হলো নিচের অন্ধকারে।

পেট চেপে ধরে রেখেছে চিচিওয়া। হাত সরাতেই রানা দেখল, নিজের রক্তে ভিজে গেছে তার পেট ও ঊরু। ফায়ার এস্কেপে নামার সময় তলোয়ারের ডগার ওপর পড়েছে তার পেট। ক্ষতটা গভীর, কিন্তু মারাত্মক নয়।

লোকটা নতুন অস্ত্র বের করবে বা কৌশল খাটাবে, সে- সুযোগ দিল না রানা, হঞ্জো মাসামিউনে দিয়ে এক কোপে কেটে দিল তার। বাম পায়ে ঠেলে দিল ফায়ার এস্কেপটা।

বাড়ির গা থেকে সরে ধাতব গোঙানি তুলে বহু নিচের গলিতে খসে পড়ল লোহার সিঁড়ি। ওটার সঙ্গে চিরকালের জন্যে বিদায় নিয়েছে ওরে চিচিওয়া।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *