দ্বিতীয় খন্ড
উত্তরপর্ব
2 of 3

ভোজরাজ বংশের অনেক ভূপাল রাজ্য বর্ণন

।। ভোজরাজ বংশ্যানেক ভূপাল রাজ্য বর্ণনম্।।

স্বগতে ভোজ রাজে তু সপ্তভূপাস্তদন্বয়ে। জাতাশ্চলপায়ুষো মন্দস্ত্রিশতাব্দান্তরে মৃতাঃ।।১।। বহু ভূপবতী ভূমিস্তেষাং রাজ্যে বভূব হ বীরসিংহশ্চ যো ভূপঃ সপ্তমঃ সংপ্রকীর্তিতঃ।।২।। তদন্বয়ে ত্রিভুপাশ্চ দ্বিশতাবাদান্তরে মৃতাঃ। গংগা সিংহশ্চ যো নৃপো দশমঃ স প্রকীর্তিতঃ।।৩।। কল্পক্ষেত্রে চ রাজ্যং স্বং কৃতাবান্ধ মতো নৃপঃ। অন্তর্বেদ্যাং কান্যক্যুব্জে জয়চন্দ্রো মহীপতিঃ।।৪।। ইন্দ্ৰং প্রস্থেনং গপাল স্তোমরান্বয়সং ভবঃ। অন্যে চ বহবো ভূপা বভূ ভুগ্রাম রাষ্ট্রপাঃ।।৫।। অগ্নিবংশস্য বিস্তারো বভূব বলবত্তরঃ। পূর্বে তু কপিলেস্থানে বাহীকান্তে তু পশ্চিমে।।৬।। উত্তরে চীন দেশান্তে সেতুবন্ধে তু দক্ষিণে। যষ্টিলক্ষাশ্চ ভূপালা গ্রামপা বলবত্তরাঃ।।৭।। অগ্নিহোত্রস্য কর্তারো গোব্রাহ্মণ হিতৈষিণঃ। বভূবু দ্বাপরসমা ধর্মকৃত্যবিশারদাঃ।।৮।। দ্বাপরাখ্যসমঃ কালঃ সর্বত্র পরিবর্ততে। গেহগেহ স্থিতং দ্রব্যং ধর্মশ্চৈব জনে জনে।।৯।। গ্রামে গ্রামে স্থিতো দেবো দেশেদেশে স্থিতোমখঃ আয়ুধর্মকরা ম্লেচ্ছা বভূবুঃ সর্বতো মুখাঃ।।১০।। ইতি দৃষ্ট্বা কলিঘোরো ম্লেচ্ছয়া সহ ভীরুকঃ। নিলাদ্রৌ প্রাপ্য মতিমান্ হরি শরণ মাযযৌ।।১১।। দ্বাদশাব্দমিতে কালে ধ্যান যোগপরোহ ভবৎ। ধ্যানেন সচ্চিদানন্দ দৃষ্ট্বা কৃষ্ণং সনাতনম্।।১২।। তুষ্টা মনসা তত্র রাধয়া সহিতং হরিম্। পুরাণ মজরং নিত্যং কৃন্দাবন নিবাসিনম্।।১৩।। সাষ্টাংগং দন্ডবৎস্বামিন্ গৃহাণ মমচেশ্বর। পাহি মাং শরণং প্রাপ্তং চরণে তে কৃপানিধে।। ১৪।। সর্বপাপহরস্ত্বং বৈ সর্বকালো করো হরিঃ। ভবান্ গৌরঃ সত্যযুগে ত্রেতায়াং রক্তরূপকঃ।।১৫।। দ্বাপরে পীতরূপশ্চ কৃষ্ণত্বং মম দিষ্টকে। মৎপুত্রাশ্চ স্তুতাম্লেচ্ছা আৰ্য্যধর্মত্বামাগতাঃ।।১৬।। চতুর্গেঽহং চ মে স্বামিন দ্যূতং মদ্যং সুবর্ণকম্। স্ত্রী হাস্যং চাগ্নিং বশ্যৈশ্চ ক্ষত্রিয়ৈশ্চ বিনাশিনম্।।১৭।। ত্যক্তদেহস্ত্যক্তকুলস্ত্যরাষ্ট্রো জনার্দন। ত্বৎপাদাম্বুজমাধার স্থিতোহ হং শরণং ত্বয়ি।।১৮।। ইতি শ্রুত্বা স ভগবান্ কৃষ্ণঃ প্রাহ বিহস্যতম্। ভো কলে তব রক্ষার্থং জনিয্যেহং মহাবতীম্।।১৯।। মমাংশো ভূমিমাসাদ্য ক্ষয়িষ্যতি মহাবলান্। ম্লেচ্ছবংশস্য ভূপালান্ স্থাপয়িষ্যতি ভূতলে।।২০।। ইত্যুক্ত্বা ভগবান্ সাক্ষাত্তত্রৈবান্তরধীয়ত। কলিস্ত ম্লেচ্ছয়া সার্ধং পরমানন্দমাপ্তবান্।।২১।।

।। ভোজরাজ বংশের অনেক ভূপাল রাজ্য বর্ণন।।

এই অধ্যায়ে ভোজরাজ বংশের অনেক ভূপালগণের রাজত্বের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

সূতজী বললেন–ভোজরাজের মৃত্যুর পর তাঁর বংশে অল্পায়ু ও মন্দবুদ্ধি রাজগণ তিনশত বৎসর রাজত্ব করেন। বীরসিংহ নামক রাজা হলেন ৭ম নৃপতি। তাঁর বংশের তিনজন রাজা দুইশত বর্ষের মধ্যে মারা যান। দশম রাজা জয়চন্দ্র রাজা হন। ইন্দ্রপ্রস্থে অনঙ্গ পাল তোমর বংশের হন। এ ছাড়া আরও অনেক রাজা গ্রাম রাষ্ট্রপ ছিলেন। অগ্নিবংশের বিস্তার অত্যন্ত হয়েছিল। পূর্বে কপিলস্থানে, পশ্চিমে বাহীকান্তে। উত্তরে চীন দেশে ও দক্ষিণে সেতুবন্ধে ষাটলক্ষ ভূপাল রাজা হন।।১-৭।।

অগ্নিহোত্রকারী, ব্রাহ্মণের হিতকারী ও ধর্মে পন্ডিত রাজগণ দ্বাপর তুল্য ছিলেন। দ্বাপরাখ্য তুল্য কাল সর্বত্র পরিবর্তিত ছিল। ঘরে ঘরে অনেক দ্ৰব্য ও জনে জনে ধর্মচর্চা হতো। গ্রামে গ্রামে দেবালয় প্রতিষ্ঠা ছিল। ম্লেচ্ছগণ সর্বতোমুখ হয়ে আর্যধর্মের অনুসরণ করত। সেই সময় এই অবস্থা দেখে ঘোর কলি ম্লেচ্ছগণের সাথে পরম ভীত হয়ে নীলগিরি পর্বতে ভগবান্ শ্রীহরির শরণ নিলেন। দ্বাদশবর্ষ তিনি ধ্যানযোগে শ্রীরাধাকৃষ্ণের স্তব করলেন। কলি বললেন–হে ঈশ্বর, হে প্রভু, আমার যাষ্টাঙ্গ প্রণাম গ্রহণ করুন। আপনার শরণাপন্ন আমাকে রক্ষা করুন। হে সর্বপাপহারী, আপনি সত্যযুগে গৌরবর্ণ, ক্রেতায় রক্তবর্ণ,দ্বাপরে-পীতবর্ণ এবং কলিতে কৃষ্ণবর্ণরূপী, আমার ম্লেচ্ছকপুত্র এখন আর্যধর্মে স্থিত রয়েছে। হে প্ৰভু, দ্যুত, মদ্য, সুবর্ণ ও স্ত্রীহাস্য এই চারটি হল ধর মা অগ্নিবংশের লোকের বিনাশ করেছি।।৮-১৭।।

হে জনার্দন, বর্তমানে আমি কুল, রাষ্ট্র ও দেহ ত্যাগ করতে চলেছি, আমাকে রক্ষা করুন। এই প্রকার আতস্তুতি শ্রবণ করে ভগবান্ সহাস্যে বললেন— আমি তোমার রক্ষার জন্য মহাবতী নগরে জাত হব। আমার অংশ পৃথিবীতে মহাবল ক্ষয়কারী হবে। পুনঃ ম্লেচ্ছ বংশের রাজাদের ভূতলে স্থাপিত করব। একথা বলে শ্রীহরি অন্তর্হিত হলেন। এতে করে কলি পরমানন্দ লাভ করলেন।।১৮-২১।।

এত স্থিন্নন্তরে বিপ্র যথা জাতং শৃনুস্ব তৎ। আভীরী বাকসরে গ্রামে ব্রতপানাম বিশ্রুতা।।২২।। নবর্গাব্রতং শ্রেষ্ঠং নব বর্ষং চকার হ। প্রসন্না চন্ডিকা প্রাহ পরং বরয় শোভনে।।২৩।। সাহ তাং যদি মে মাতবরো দেয়স্তুয়েশ্বরি। রামকৃষ্ণ সমৌ বালৌ ভবেয়াতাং মমান্বয়ে।।২৪।। তথেত্যুক্ত্বা তু সা দেবী তত্রৈবান্তরধীয়ত। বসুমান্নাম নৃপতিস্তস্যা রূপেণ মোহিতঃ।।২৫।। উদ্বাহ্য ধর্মতো ভূপঃ স্বগেহে তামবাসয়ৎ। তস্যাং জাতৌ নৃপাৎ পুত্রৌ দেশরাজস্তু তদ্বরঃ।।২৬।। আবায়ো বৎসরাজশ্চ শতহস্তি সমো বলে। জিত্বা তৌ মাগধান্ দেশান্ রাজ্যবন্তৌ বভূবতুঃ।।২৭ শতয়ত্তঃ স্মৃতো ম্লেচ্ছঃ শরো বনরসাধিপঃ। তৎপুত্রো ভীমসেনাংশো বীরনো ভূচ্ছিবাজ্ঞয়া।। ২৮।। তাল বৃক্ষ প্রামানৈন চোধ্ববেগোহি তস্য বৈ। তালনো নাম বিখ্যাতঃ শতয়ত্তেন বৈ কুতঃ।।২৯।। তাভ্যাং নৃপাভ্যান্ত দ্যুদ্ধমভবল্লোমহর্ষণম্। যুদ্ধেন হীনতাং প্রাপ্তস্তালনো বলবত্তরঃ।।৩০।। তদা মৈত্রী কৃতা তাভ্যাং তালনেন সমন্বিতা। জয়চন্দ্রপরীক্ষার্থে ত্রয়ঃ শূরাঃ সমাযযুঃ।।৩১।।

হে বিপ্র, ইতিমধ্যে বাক্‌সর গ্রামে ব্রতপা নামক আভীরী ছিলেন। তিনি পরমশ্রেষ্ঠ নবদুর্গা ব্রত নয় বৎসর ধরে করেছিলেন। দেবিকা চন্ডিকা খুশি হয়ে তাকে বর দেন। সে কন্যা দেবীর কাছে রামকৃষ্ণ তুল্য পুত্র প্রার্থনা করেন। একথা বলে দেবী ‘তাই হোক’ বলে অন্তর্হিত হন। বসুমান্ নামক একরাজা তার রূপে মুগ্ধ হন। সেই রাজা তাকে বিবাহ করেন ও তাঁদের দুই পুত্র লাভ হয়। দেশরাজ ও বৎসরাজ। তারা মগধ দেশ জয় করে রাজত্ব করতে থাকেন। বনরসাধিপ শরযত্তের পুত্র ভীম সেনের অংশ বীরন জাত হন। তিনি পরে তালন নামে বিখ্যাত হন। সেই দুই রাজা মহাযুদ্ধ করেন।

বলবান্ তালন যুদ্ধে পরাজিত হন। তখন তারা মৈত্রীসূত্রে আবদ্ধ হন। তারা তিনজন হয় চন্ডের পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন।।২২-৩১।।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *