ব্রাহ্ম পর্ব
মধ্য পর্ব
প্রতিসর্গ পর্ব
1 of 3

ব্রহ্মকৃত সূর্যস্তুতি বর্ণন

।। ব্রহ্মকৃতসূর্যস্তুতিবর্ণনম্।।

।। ব্রহ্মকৃত সূর্যস্তুতি বৰ্ণন।।

পূজয়িত্বা রবি ভক্ত্যা ব্রহ্মা ব্ৰহ্মত্বমাগতঃ। বিষ্ণুত্বং চাপি দেবেশো বিষ্ণুরাপ তদচণাৎ।।১।। শংকরোঽপি জগন্নাথঃ পূজয়িত্বা দিবাকরম্। মহাদেবত্বগমত্তৎ প্রসাদাৎ খগাধিপ।।২। সহস্রাক্ষোপি দেবেশ েিন্দ্রা ভানুং তপোমহম্। ইন্দ্ৰ ত্বমগমদ্দেবং পূজয়িত্বা দিবাকরম।।৩।। মাতরো দেবগন্ধবাঃ পিশাচোরগরাক্ষসাঃ। পূজ্যয়ন্তি সদা ভানুমীশানং সুরনায়কম্।।৪।। সবমেতজ্জগন্নিত্যং ভানৌ দেবে প্রতিষ্টিতম্। তস্মাৎসংপূজয়েদ ভানুং য ইচ্ছেৎ স্বর্গমক্ষয়ম্।। ৫।।

ব্রহ্মা যে ব্ৰহ্মত্ব প্রাপ্তি লাভ করেছেন তা ভক্তি সহ সূর্যদেবের পূজা করেই করেছেন। দেবতাদের প্রভু ভগবান বিষ্ণু বিষ্ণুত্বের পদ সূর্যকে অর্চনা করেই প্রাপ্ত হয়েছেন।।১।।

ভগবান শঙ্করও সমস্ত জগতের প্রভু দিবাকরের পূজা করেই হয়েছেন। হে খগাধিপ! সূর্যের অনুগ্রহেই শঙ্কর মহাদেবত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন।।২।।

একসহস্র নেত্রযুক্ত দেবতাদের প্রভু ইন্দ্রও দিবাকর ভানুদেবের পূজা করে ইন্দ্রত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন। ৩।

মাতৃবর্গ, দেবগণ, গন্ধর্ব, পিশাচ, উরগ এবং রাক্ষস সমস্ত দেবতাদের নায়ক ঈশান ভানুর সর্বদা পূজা করেন।।৪।।

এই সমস্ত জগৎ সূর্যেই নিত্য প্রতিষ্ঠিত থাকে। এরজন্য যদি স্বর্গের অক্ষয় নিবাসের ইচ্ছা থাকে তবে সূর্যপূজা খুব ভালোভাবে করতে হবে।।৫।।

যোন পূজয়তে সূর্যং ভাস্করং তমসুদনম্। ধর্মার্থকামমোক্ষাণাং ন নরো ভাজণং ভবেৎ।।৬।। তস্মাৎ কার্যং হি তদ্ধযানং যাবজ্জীবং প্রতিজ্ঞয়া। অচয়েৎ সদা ভানুমান্নোপি সদা খগ।।৭।। যস্ত সস্তিষ্ঠতে নিত্যং বিনা সূৰ্যস্য পূজনাৎ। বরং প্রাণপরিত্যাগঃ শিরোসো বাথচ্ছেদনম্। ৮।। সূর্যং সংপূজ্য ভূজ্ঞীত ত্রিদশেশং দিবাকরম্। ইত্থা নির্বহতে যস্য যাবজ্জীবং তদচন্য। মনুষ্যচর্মণা নদ্ধঃ স রবিনাত্র সংশয়ঃ।।৯।। নহি আকাচণাদন্যৎ পূণ্যমধিকং ভবেৎ। ইতি বিজ্ঞায় যত্নেন পূজস্ব দিবাকরম্।।১০।। সূর্য ভক্তাগমাশ্চৈব সূর্যাচন পরায়ণাঃ। সংযতা ধর্মসম্পন্না ধর্মাদীন সাধয়ন্তিতে।।১১।।

যে অন্ধকারনাশকারী ভাস্কর সূর্যে পূজা করে না সে মনুষ্য ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ প্রাপ্ত হতে পারে না।।৬।।

এর সঙ্গে প্রতিজ্ঞা করে যতক্ষয় জীবিত থাকা যাবে ততক্ষণ এর ধ্যান করতে হবে। হে খগ! আপৎকালেও হয়েও সর্বদা অর্চনা করতে হবে।।৭।।

যে মানুষ নিত্য সূর্যের পূজা করে না তার নিজ প্রাণত্যাগ করাই ভাল অথবা শিরশ্ছেদ করা উচিত।।৮।।

দেবতাদের প্রভু দিবাকর সূর্যের পূজা করে সবসময় ভোজন করা উচিত। যে এইপ্রকারে নিজ ক্রম নির্বাহ করে এবং যতক্ষণ জীবিত থাকে ততক্ষণ সূর্যের পূজা পাঠ করে সেই মানুষের ত্বকের আবরণে স্বয়ং সূর্যই হয়— এতে কোন সংশয় নেই।।৯।।

অর্ক অর্থাৎ সূর্যের অর্চনার থেকে অধিক কোনও পুণ্য নেই, এইভাবে জেনে বুঝে যত্নসহ সূর্যের পূজা কর।।১০।।

সূর্য ভক্তিকারীগণের মধ্যে যে সূর্যের অর্চনায় পরায়ণ হয়, সংযত এবং ধর্মসম্পন্ন হয় সে ধর্মাদির সাধন করে।।১১।।

সর্বদ্বন্ধসহা বীরা নীতিবিধক্তচেতসঃ। পরোপকারনিরতা গুরুশুশযনে রতা।।১২।। অমানিনো বুদ্ধিমন্তোহব্যক্তসপদ্ধা গতস্পৃহাঃ। শান্তা স্বান্তগতা ভদ্রা নিত্যং স্বাগত বাদিনঃ।১৩।। স্বল্পবাচঃ সুমনসঃ শুরা শাস্ত্রবিশারদাঃ। শৌচাচারসুসম্পন্না তয়াদাক্ষিণ্যগোচরাঃ।।১৪।। দম্ভমৎ সরনিমুক্তাস্তৃষ্ণালোভবিবর্জিতাঃ। সংবিভাগপরাঃ প্রোক্তা ন শঠাশ্চপ্যকুৎসিতাঃ।।১৫।। বিষম্বেপি নিলেপাঃ পদ্মপত্রমিবাংভসা। ন দীনা মানিনশ্চৈব ন চ রোগবশানুগাঃ।।১৬।। ভবন্তি ভাবিতাত্মানঃ সুস্নিগ্ধাঃ সাধুসেবিতাঃ। ন পানিপাদবাকচক্ষুঃ শ্রোত্রশিশ্নোদরে রতাঃ।।১৭।। চপলানি ন কুবন্তি সর্বব্যাসংগ বর্জিতঃ। সূর্যাসনরতঃ শান্তাঃ যড়ক্ষরমনোগতাঃ।।১৮।।

যে সূর্যভক্ত হয় সে সমস্ত দ্বন্দ্বের সহনকারী, বীর, নীতিবিদ, পরোপকারী এবং গুরু সেবায় অনুরক্ত হয়। যে বুদ্ধিমান, গতস্পৃহ, শান্ত, ভদ্র এবং নিত্য স্বাগতবাদী হয়।।১২-১৩।।

সূর্যভক্ত মিতভাষী, সুমনা, শূর, শাস্ত্রে পন্ডিত, শুচি এবং সদাচারী এবং দাক্ষিণ্যযুক্ত হয়।।১৪।।

সূর্যের ভক্ত দম্ভ মাৎসর্যবিহীন হয়, তথা তৃষ্ণা এবং লোভ বিহীন হয়। সে সংবিভাগ পরায়ণ হয়। শঠ এবং কুৎসিত হয় না।।১৫।।

সূর্যভক্ত মনুষ্য বিষয়ে কখনও লিপ্ত হয় না যেমন করে পদ্মপাতা জলে থেকেও জলে থেকে নির্লিপ্ত থাকে। সে কখনও দরিদ্র এবং অভিমানী হয় না তথা কখনও রোগাক্রান্ত হয় না।।১৬।।

সূর্যভক্ত ভাবিতাত্মা, সুস্নিগ্ধ এবং সাধুসেবিত হয়। সে হাত, পা, মুখ, চোখ, কান, স্নায়ু এবং উদরে রত হয়না। সূর্যভক্ত কখনও চপলতা দেখায় না। সে সর্বদা ব্যসন থেকে বর্জিত থাকে। সূর্যভক্ত সূর্যের উপাসনায় রতি করে, শান্ত এবং ষড়ক্ষর মন্ত্র মনে ধারণ করে।।১৭-১৮।।

ইত্যাচার সমাযুক্তা ভবন্তি ভুবি মানবাঃ। একান্তভক্তিমাস্থায় ধর্মকামার্থসিদ্ধয়ে।।১৯।। পূজনীয়ো রবিনিত্যং গুরোম্বেতেষু বর্ততে। সর্বেষামেব পাত্রাণামাতিপাত্রং দিবাকরঃ। পতন্তং ত্রায়তে যস্মাদতীব নরকার্নবাৎ।।২০।। তস্য পাত্রাতিপাত্রস্য মাহাত্যং দানমন্বতি। অনেন ফলমাদিষ্ট মিহলোকে পরত্র চ।।২১।। দ্রব্যেণাপি হি যঃ কুমান্নরঃ কর্ম তদালয়ে। সোহপি দেহক্ষয়েজ্ঞানং প্রাপ্য শান্তিমবাপুমাত্।।২২।। সর্বদ্বিজকদংবেষু কশ্চিজ্জানমবাপুয়াৎ। কশ্চিদেতত্ত্ব মে দিব্যং লব্ধা জ্ঞানং বিমুঞ্চতি।।২৩।। তাবদভমন্তি সংসারে দুঃখশোকপরিপ্লুতাঃ। ন ভবন্তি রবেভক্তা যাবৎ সর্বেপি দেহিনঃ।।২৪।।

এই প্রকার আচারযুক্ত মানব এই ভূমন্ডলে একান্ত ভক্তি সহকারে ধর্ম, কাম এবং অর্থের সিদ্ধিলাভের যোগ্য হয়।।১৯।।

এই গুণযুক্ত হলে রবিদেব নিত্য পূজা করার যোগ্য হয়। সমস্ত পাত্রের মধ্যে দিবাকর হল অতিপাত্র। যে নরকরূপী সমুদ্র থেকে অত্যন্ত পতনশীলকে রক্ষা করে।।২০।।

ওই পাত্রাতিপাত্র এর অনুমাত্রও দানের থেকে বড় মাহাত্ম্যযুক্ত হয়। এরদ্বারা ইহলোক এবং পরলোকের ফল বলা হয়েছে।।২১।।

যে কোন মানুষ দ্রব্য দ্বারা যদি তার গৃহে কর্ম করে তবে সেও দেহের ক্ষয় হয়ে গেলে জ্ঞান প্রাপ্ত হয়ে পরম শান্তি লাভ করে।।২২।।

সমস্ত ব্রাহ্মণদের মধ্যে কোন এক জন জ্ঞানপ্রাপ্তির ক্রিয়া করে এবং তাতেও কোন একজন আমার দিব্যজ্ঞান লাভ করে বিমুক্ত হয়।।২৩।।

ঐ সময় পর্যন্ত এই সংসারে দুঃখ এবং শোক দ্বারা পরিপ্লুত যে দেহধারী ভ্রমণ করে, যতক্ষণ সমস্ত দেহধারী ভগবান সূর্যের ভক্ত না হয়।।২৪।।

সূর্যাস্যালেপনং পুন্যং দ্বিগুণং চন্দনস্যতু। চন্দনাদগুরৌ জ্ঞেয়ং পুন্যমষ্টগুণোত্তরম্।।২৫।। কৃষ্ণাগুরৌ বিশেষেণ দ্বিগুণং ফলমিষ্যতে। তস্মাচ্ছতগুণং পুণ্যং কুমকুমস্য বিধীয়তে।।২৬।। সূর্যমজ্ঞোপকরণং কৃত্বালপং যদি বা বহু। ভাবাদ্বিত্তানুসারেন সূর্যলোকে মহীয়তে।।২৭।। যদপীষ্টমনিষ্টং চ ন্যায়েনোভয়মাগতম্। তৎসূর্যায় নিবেদ্যং সদ ভক্তানন্তফলার্থিনা।।২৮।। কর্মশাঠ্যোন যঃ কুর্মাদূদুঃখেনাপি তদচনম্। সোহপি দ্বিজো দিবং যাতি কর্মণা পাপবর্জিতঃ।।২৯।। সর্বমন্যৎ পরিত্যজ্য সূর্যে চৈকমনাঃ সদা। সূর্যপূজাবিধিং কুমাদ্য ইচ্ছেচ্ছে য়আত্মনঃ।।৩০।।

চন্দনের বিলেপন ভগবান সূর্যদেবকে করলে দু’গুণ পুণ্য লাভ হয় এবং চন্দন লেপনেরও আটগুণ পুণ্য অগুরুতে বুঝে নিতে হবে।।২৫।।

কৃষ্ণ অগুরুতে বিশেষ রূপে দ্বিগুণ ফল বলা হয়। কৃষ্ণা গুরুর একশ গুণ পুণ্য কুমকুম লেপনে হয়।।২৬।।

ভগবান সূর্যদেবের যজ্ঞে এই উপকরণগুলি বেশী বা কম হোক, করতে হবে কিন্তু ভক্তিভাবে এবং নিজ বিত্ত ক্ষমতা অনুসারে করলে সেই মানুষ শেষে সূর্যলোকে গিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।।২৭।।

ইষ্ট বা অনিষ্ট যাই হোক না কেন ন্যায় পথে আগত সবকিছুই সূর্যের জন্য সদ্ভক্তিসহ ফলাকাঙক্ষীকে নিবেদন করতে হবে।।২৮।।

যে কেউ কর্মের শঠতার এবং দুঃখের দ্বারা ওঁর অর্চনা করে, সেই ব্রাহ্মণও কর্মের দ্বারা পাপহীন হয়ে স্বর্গলোকে চলে যায়।।২৯।।

যে আত্মহিত চায় তাকে অন্য সবকিছু পরিত্যাগ করে সর্বদা সূর্যের প্রতি একমনা হয়ে সূর্যের পূজার বিধি পালন করতে হবে।।৩০।।

ত্বরিতং জীবিতং যাতি ত্বরিতং যৌবনং তথা। ত্বরিতং ব্যাধিরপ্যেতি তস্মান্নিত্যং রবিং ব্ৰজৎ।।৩১।। মাবন্নাভ্যেতি মরণং যাবন্নাক্রমতে জরা। যাবন্নেন্দ্রিয়বৈকল্পং তাবদচেদ্দিকরম।।৩২।। ন সূর্যাচনতুল্যেপি ন ধমোন্যো জগত্ৰয়ে। ইথুং বিজ্ঞায় দেবেশং পূজয়স্ব দিবাকরম।।৩৩।। যেভক্ত্যা দেবদেবেশং সূর্যং শান্ত মজং প্রভুম্।

ইহ লোকে সুখং প্রাপ্য তে গতাঃ পরমং পদম্।।৩৪।। গোপতিং পূজয়িত্বা তু প্রহৃষ্টেনান্তরাত্মনা। কৃতাজ্ঞলিপুটো ভূত্বা পুরা ব্রহ্মব্রবীদিদম্।।৩৫।। ভগবন্তং ভগকরং শান্তচিত্তমনুত্তমম্। দেবমার্গপ্রনেতারং প্রনতোস্মি রবিং সদা।।৩৬।।

জীবন যেমন খুব শীঘ্র সমাপ্ত হয়ে যায়, যৌবনও খুব শীঘ্র চলে যায়, শীঘ্রই রোগ সকল এই শরীরটি ঘিরে ফেলে, তাই নিত্য ভগবান সূর্যের শরণ নিতে হবে।।৩১।।

যতক্ষণ মৌন প্রাপ্তি না হয় এবং যে সময় পর্যন্ত বৃদ্ধ অবস্থা এসে শরীরকে আক্রান্ত না করে তথা যে সময় পর্যন্ত ইন্দ্রিয়ের শক্তি ক্ষীণ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত দিবাকরের অর্চনার কর্ম করে নিতে হবে, কেননা অসমর্থ হয়ে সমস্ত মানুষ এসব করতে পারে না এবং সেই মানবজীবন ব্যর্থ হয়ে যায়।।৩২।।

ভগবান সূর্যদেবের পূজার সমান এই জগৎত্রয়ে অন্য কোনও ধর্ম ও ধর্মকাজ নেই। এটা বুঝে দেবেশ দিবাকরের পূজা করো।।৩৩।।

যে মানুষ ভক্তি পূর্বক শান্ত, অজ, প্রভুদেব দেবেশ সূর্যের পূজা করেন সে এই লোকে সুখ প্রাপ্ত হয়ে পরম পদ লাভ করে।।৩৪।।

নিজের পরম অন্তরাত্মার দ্বারা গোপতির পূজা করবে কৃতাঞ্জলিপুটে এটি ব্রহ্মার উক্তি।।৩৫।।

ষড়ৈশ্বর্যযুক্ত এবং ষড়ৈশ্বৰ্য্যদায়ী শান্ত চিত্তযুক্ত, সর্বশ্রেষ্ঠ, ভগবান দেবতাদের পথ প্রণেতা সূর্যদেবকে আমি সদা প্রণাম করি।।৩৬।।

শাশ্বতং শোভানং শুদ্ধং চিত্রভানুং দিবস্পতিম দেবদেবেশমীশেশং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্।।৩৭।। সর্বদুঃখহরং দেবং সর্বদুঃখহরং রবিম্। বরাননং বরাংগং চ বরস্থানং বরপ্রদম্।।৩৮।। বেরণ্যং বরদং নিত্যং প্রণয়োহস্তি বিভাবসুম্। অকম যমমনং চেন্দ্রং বিষ্ণুমীশং দিবাকরম্।।৩৯।। দেবশ্বরং দেবরতং প্রণতোহস্থি বিভাবসুম্। সা ইদং শৃণুয়ান্নিত্যং ব্রহ্মণোক্তং স্তবং পরমম্। স হি কীতিং পরাং প্রাপ্য পুনঃ সূর্যপূরং ব্রজেৎ।।৪০।।

যিনি দেবদেবেশ শাশ্বত, শোভন, শুদ্ধ, দিবাস্পতি, চিত্রভানু দিবাকর এবং দেবতাদেরও দেবতা তাকে আমি প্রণাম করছি।।৩৭।।

সমস্ত প্রকার দুঃখহারী দেব তথা সর্বদুঃখহর রবি বরাননযুক্ত, শ্রেষ্ঠ অঙ্গ যুক্ত, বরদানকারী, বরেণ্য নিত্য বরদ এই ভগবান বিভাবসুকে আমি প্রণাম করি। অর্ক, অর্য্যমা, ইন্দ্ৰ, বিষ্ণু, ঈশ, দিবাকর দেবেশ্বর দেবরত এবং বিভাবসুকে আমি প্রণাম করি। এই প্রকারে ব্রহ্মার দ্বারা কৃত এই স্তুতি যে নিত্য শ্রবণ করবে সে পরম কীর্তি লাভ করে আমার সূর্যপুরে চলে যাবে।।৩৮-৪০।।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *