1 of 2

ব্যালান্সশিট

ব্যালান্সশিট

ছোট্ট একতলা বাড়ি। দু-পাশে দুটো পাঁচতলা। বাড়িটার রং ফেরানো হয়নি বহুকাল। এজমালি সম্পত্তি বলে। বড়োভাই ও ন-ভাই অন্যত্র চলে গেছে। একজন নিজে বাড়ি করে। অন্যজন কোম্পানির ফ্ল্যাটে। বাড়ির ভোগ-দখলে মেজো, সেজো আর ছোটো। কারো অবস্থাই খুব ভালো নয় বোসেদের।

এখন সাড়ে দশটা বাজে। নবকেষ্ট বাস থেকে নেমে অপরাধীর মতো এদিক-ওদিক চাইতে চাইতে হেঁটে এল।

বাসে চড়ার আগে মোড়ের ডাক্তারখানা থেকে ফোন করে দিয়েছিল একটা। ও জানত, ওই বাড়ির সেজোভাইয়ের জন্যে বরাদ্দ যে-দিকটা, তার বাইরের দরজায় খিল ভেতর থেকে নামানো থাকবে।

ফোনে বেশি কিছু বলেনি নবকেষ্ট; বলেছিল, আমি আসছি। পনেরো মিনিটে।

রিসিভারের অপরপ্রান্তে নরম, আমন্ত্রণী গলায় মৃন্ময়ী বলেছিল, ঠিক আছে। নবকেষ্ট বুঝেছে যে, মৃন্ময়ী যখন ফোন ধরেছিল তখন ফোনের কাছে বারান্দাতে নিশ্চয়ই অন্য কেউ ছিল। তবু, ‘ঠিক আছে’—কথাটাতে সবই যে ঠিক আছে সে-বিষয়ে নবকেষ্ট নি:সংশয় হয়েছিল।

দরজা ঠেলতেই খুলে গেল। ভেতরে ঢুকেই খিল তুলে দিল নবকেষ্ট।

মৃন্ময়ী পর্দার আড়ালে ছিল। নবকেষ্টর চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমতী ও সাহসী। তবু জানালার খড়খড়ি একটু ফাঁক করে নবকেষ্টকে ওর ঘরে ঢুকতে কেউ যে দেখেনি, সে-বিষয়ে নি:সংশয় হয়ে নিল। নবকেষ্টর তর সইল না। কখনো সয় না। তাড়াতাড়ি মৃন্ময়ীর কোমর জড়িয়ে তাকে নিয়ে এসে মৃগাঙ্কর খাটে বসল। কচি-কলাপাতা-রঙা তাঁতের শাড়ির আবরণের আড়ালে নিটোল থোড়ের মত ঊরু, ঘরময় স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে দিল।

মৃন্ময়ী ফিসফিস করে বলল, তুমি বড়ো আনরোমান্টিক। শুধু কি এইজন্যেই আসো আমার কাছে?

নবকেষ্ট বলল, জানি না।

সত্যিই নবকেষ্ট জানে না, ও কেন আসে মৃন্ময়ীর কাছে। কখনো ভাবেওনি এবিষয়ে তেমন করে। শুধু কি শরীরটুকুর জন্যেই আসে ও? মৃন্ময়ীর প্রশ্নর সঙ্গে ও নিজেকেও শুধোল।

ছোটোবেলায় আইসক্রিম খাওয়ার সময় একটা নার্ভাস টেনশানে ভুগত নবকেষ্ট। ওর কেবলই মনে হত আইসক্রিমটা এক্ষুনি গলে যাবে। আইসক্রিম কখনো ধীরে সুস্থে না খেয়ে ও গিলেই খেত চিরদিন। আজও ওর জীবনের বিশেষ বিশেষ মুহূর্তগুলোতে ও তেমনই নার্ভাস টেনশানে ভোগে।

প্রায়ান্ধকার ঘর। জানালার খড়খড়ির ফাঁক দিয়ে আসা একটু আলো, বাইরে ফিরিওয়ালার ডাক, পাখার চিড়িক-চিড়িক শব্দ, পাটভাঙা বেডকভারের সাবান-সোডা গন্ধ, ড্রেসিং টেবিলের একপাশে রাখা মৃন্ময়ী ও মৃগাঙ্কর বিয়ের সময়কার ছবি। ভালোবাসার, মৃন্ময়ীর ছোটোমেয়ের একটা খেলনার কালো ভাল্লুক। এইসমস্ত গন্ধ, শব্দ ও দৃশ্য নবকেষ্টর মগজ আচ্ছন্ন করে ফেলল।

হঠাৎ আলনার পাশে মৃগাঙ্কর ছাড়া জাঙিয়াটা চোখে পড়ল নবকেষ্টর। ভয়ে, অথবা আনন্দে ও জানে না, নবকেষ্ট মৃন্ময়ীকে আরও জোরে জড়িয়ে ধরল। সোহাগে, মৃন্ময়ী বিড়ালছানার মতো মিঁউ মিঁউ করতে লাগল। আড়মোড়া ভাঙতে লাগল। নবকেষ্টর গায়ের সস্তা পাউডারের গন্ধের সঙ্গে মৃন্ময়ীর শরীরের সোঁদা গন্ধ মিশে গেল।

ঘুলঘুলির মধ্যে থেকে চড়াই ডাকছিল। কিছুক্ষণ পরে নবকেষ্ট বাথরুমে গেল। ফ্লাশটা কাজ করছে না। বালতি করে জল ঢালল। ফিরে এল।

মৃন্ময়ী আবেশে-আরামে তখনও চোখ বুজে পড়েছিল খাটে। ওর মেয়ের ভাল্লুকটা ড্যাবডেবে চোখে তার মুখের দিকে চেয়েছিল।

বাথরুমে যতক্ষণ ছিল, যতক্ষণ ঘরে ছিল, যতক্ষণ বাসে করে এসেছিল, এমনকী আজ সকালে যতক্ষণ চান করছিল ভালো করে সাবান ঘষে ততক্ষণই ও এক দারুণ উত্তেজনাময় আনন্দে ছিল। কিন্তু বাথরুম থেকে বেরিয়েই নবকেষ্ট হঠাৎ বড়ো বিষণ্ণ হয়ে গেল। ওর হঠাৎ ভীষণ ঘেন্না করতে লাগল নিজেকে।

তার চেয়েও বেশি মৃন্ময়ীকে।

যে শরীরকে একটু আগে পরমযত্নে আদর করছিল, প্রশংসামুখর চোখে যেদিকে চেয়েছিল, সেই শায়িতা মৃন্ময়ীর দিকে চেয়ে হঠাৎ ওর বিচ্ছিরি লাগতে লাগল।

মৃন্ময়ী ওকে ডাকল কাছে। ওকে জড়িয়ে ধরে বলল, কাছে শোও একটু।

নবকেষ্ট গেল। বাধ্য, কিন্তু অনিচ্ছুক কুকুরের মতো। কিন্তু মনে মনে বিরক্তির সঙ্গে বলল, আবার এত ঢং কীসের?

তার পর বেশ কিছুক্ষণ ওরা ওইভাবে আশ্লেষে শুয়ে থাকল। মৃন্ময়ী কী ভাবছিল নবকেষ্ট জানে না। কিন্তু নবকেষ্ট ভাবছিল এই অবস্থায় যদি মৃগাঙ্ক কোনোদিন ওদের দুজনকে আবিষ্কার করে তাহলে কী হবে?

মৃন্ময়ীকে সেকথা বলতেই ও বলল, আমি কেয়ার করি না কোনো। আমার কোনো ফিলিং নেই মৃগাঙ্কর প্রতি। আমার জীবনে ভ্যাকুয়াম ছিল, শূন্যতা ছিল, তুমিই তা পূরণ করেছ। ওর কথা কখনো এনো না আমাদের কথার মধ্যে।

এসব কথা শুনতে বেশ লাগে, বিশেষ করে মৃন্ময়ীর গরম নি:শ্বাসের সঙ্গে তার নরম বুকে হাত রেখে তার পাশে শুয়ে শুয়ে। শুনতে বেশ লাগে। কিন্তু…।

নবকেষ্ট শেষ কবে মার খেয়েছিল চেষ্টা করেও মনে করতে পারল না। তার পর হঠাৎই মনে পড়ে গেল। সরস্বতী পুজোর-ভাসানের সময়ে, গঙ্গার ঘাটে, তখন ওর বয়েস ছিল চোদ্দা-পনেরো। আজ আটত্রিশ। চব্বিশ বছর মার খায়নি নবকেষ্ট। ভয়ে নবকেষ্টর তলপেটটা গুড়গুড় করে উঠল।

কেশরী পুরুষসিংহ হঠাৎ এক্কেবারে গুড়ে-পড়া নেংটি ইঁদুরের মতো নেতিয়ে পড়ল।

নবকেষ্ট বলল, তুমি আমাকে ভালোবাসো কেন? আমাকে এত প্রশ্রয় দাও কেন? কী দেখেছ তুমি আমার মধ্যে? কী পেয়েছ মৃন্ময়ী?

কিছু না।

মৃন্ময়ী কাটা-কাটা গলায় বলল।

তার পর ডান হাতের তর্জনীটা নবকেষ্টর ঠোঁটে ছুঁইয়ে ফিসফিস করে বলল, চুপ করো।

মৃন্ময়ীর ভাবসাব দেখে নবকেষ্টর প্রায়ই মনে হয় যে, মৃন্ময়ীর জীবনে প্রেম করার বড়ো শখ ছিল। কৈশোরে বাবা-মা, যৌবনে স্বামী ও শ্বাশুড়ি, ও মধ্যযৌবনে ছেলে-মেয়ের জন্যে তা হয়ে ওঠেনি বলেই বোধ হয় ও নবকেষ্টকে পাকড়েছে। ইলিশমাছ পায়নি বলেই খোলশে নিয়ে সরষে দিয়ে রাঁধতে বসেছে।

নবকেষ্ট কড়িকাঠের দিকে চেয়ে ভাবল, নাটক-নভেলে এরকম পড়েছে বটে! টাইমে প্রেম করতে না পেরেও কিছু ইডিয়ট লোক প্রেম জিনিসটাকে এতই দামি মনে করে যে, বে-টাইমে করতেও পিছপা হয় না।

হাসি পায় ভাবলে। নবকেষ্ট ভাবল।

বাইরে কে যেন কড়া নাড়ল।

নবেকেষ্ট তড়াক করে উঠে পড়ে জামাকাপড় পরতে লাগল।

তাড়াতাড়িতে একটা বোতামই ছিঁড়ে গেল। মৃন্ময়ী নির্বিকার।

একটু পর উদাস গলায় বলল, সামনের বাড়ির ঠিকে-ঝি।

সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটার শব্দগুলোর খোঁজ একমাত্র মেয়েরাই রাখে। ভাবল নবকেষ্ট।

নবকেষ্ট মনে মনে কর্পোরেশনের শ্রাদ্ধ করল। এমন সরু গলি রাখার মানে কী? কোন বাড়ির কড়া নড়ে তা পর্যন্ত গুলিয়ে যায়? ক্রুশাল মোমেন্টে। হার্টঅ্যাটাক হতে পারত!

নবকেষ্ট অধৈর্য গলায় বলল, এবার যাই।

মৃন্ময়ী শুয়ে শুয়েই বলল, জানি। জানতাম, একথা বলবে। পুরুষ জাতটাই এরকম।

তার পর মনে মনে বলল, তোমরা কেন আসো তাও জানি। চলে যাওয়ার জন্যেই আসো। অথচ তবুও তোমাদের নইলে আমরা অসম্পূর্ণ থাকি। ভাবলেও লজ্জা পাই।

তার পর কথা ঘুরিয়ে বলল, যাবে তো বটেই। এতই যদি তাড়া তো আসা কেন? সব কিছুতে তাড়া ভালো নয়। আমি কি তোমার বিবাহিতা স্ত্রী? আমাকে অত হেলাফেলা করা ঠিক নয়।

নবকেষ্ট নিজেই কুঁজো থেকে ঢকঢক করে দু-গ্লাস জল গড়িয়ে খেল।

জবাব দিল না কোনো।

তার পরই মৃগাঙ্কর ছোটোভাইয়ের বাইসেপস-এর কথা মনে পড়ল ওর। কলেজ স্কোয়ারে সে এখনও কসরত করে অফিস থেকে ফিরে এসে।

নবকেষ্ট আবার বলল, চলি।

মৃন্ময়ী উঠে বসল, বলল, পান খেয়ে যাও একটা।

তার পর শাড়ি-জামা সামলে পানবাহার দিয়ে পান সেজে দিল যত্ন করে নবকেষ্টকে। নবকেষ্টর হাওয়াই শার্টের বুক-পকেটে নরম করে একটা চুমুও খেল। নবকেষ্টর সুড়সুড়ি লাগল।

হঠাৎ নবকেষ্ট মৃন্ময়ীকে শুধোল, বলবে না, কী দেখেছ তুমি আমার মধ্যে? কোনোদিনও তো বললে না! বুঝি না তোমাকে।

মৃন্ময়ী হাসল।

নবকেষ্টর মনে হল, আদর খাওয়ার অব্যবহিত পর একমাত্র বেড়ালনি আর মেয়েরাই এরকম নচ্ছারের মতো হাসতে পারে। দেখে, গা জ্বলে যায়, আবার খুব ভালোও লাগে।

মৃন্ময়ী নিজেও পান মুখে দিল, চিবোল ধীরেসুস্থে, তার পর ঢোক গিলল।

ঢোক গিলে, আরও অনেকক্ষণ সময় নিয়ে বলল, তোমার মধ্যে দেখিনি কিছুই।

মৃগাঙ্ককে আমি ঘেন্না করি তাই তোমাকে কাছে চাই। বহু দিন হল ওকে আমি শরীর-মন কিছুই দিতে পারিনি। দেবও না। বাইরের লোক যতই যা ভাবুক আমাকে। এই দাম্পত্য জীবনের মতো লজ্জার অথবা মিথ্যার, যাই-ই বলো, আর কিছুই নেই। নেহাত আমি স্বাবলম্বী নই। হলে…। মৃন্ময়ী বলল।

পান মুখে দিয়ে, নবকেষ্ট দাঁত বার করে হাসল।

ওর আবছা-আবছা মনে পড়ল কথাটা যেন আরও কোথায় শুনেছে। কিন্তু এইমুহূর্তে নিজের সামগ্রিক ব্যর্থতা ও সামান্যতার প্রেক্ষিতে নিজেকে একজন দারুণ সাকসেসফুল লোক বলে মনে হওয়াতে, মনে পড়ল না কথাটা কোথায় আগে শুনেছে। একেবারেই ভুলে গেল ও যে, এমার্জেন্সির পর অ্যাটেডান্স রেজিস্টার দশটার পরই বড়োসাহেবের ঘরে চলে যায়। এবং বড়োসাহেব রাগলে তাঁকে মোটেই ভালো দেখায় না।

তবুও সত্যজিৎ রায়ের ছবির শটের মতো ও নিজেকে ফ্রিজ করিয়ে দিয়ে ওই পোজে দাঁড়িয়ে থাকল। ওর বুকের মধ্যের হতাশার ফ্রিজে যেসব ঠাণ্ডা ভাবনাগুলো এত দিন এত বছর পোকাওয়ালা বেগুনের মতো দরকচা মারা ছিল, সেই ভাবনাগুলো আত্মবিশ্বাসের ডি-ফ্রস্টিং-এ দ্রুত গলে যেতে লাগল। নবকেষ্ট অনুভব করতে লাগল যে, ওর বয়েস গলে যাচ্ছে বুকের মধ্যে। ও নবীন হয়ে যাচ্ছে দ্রুত।

মৃন্ময়ী হাসল, ও-ও হাসল। দুজনে দুজনের দিকে চেয়ে হাসল।

কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন কারণে।

মৃন্ময়ী খড়খড়ি খুলে চকিতে বাইরেটা দেখে নিয়ে অলক্লিয়ার সিগনাল দিল।

হাসতে হাসতে, নবকেষ্ট পানমুখে মধ্য কলকাতার সেই সরু গলি দিয়ে অফিসের চামড়ার হাত-ব্যাগটা সজোরে দোলাতে দোলাতে যেন ভেনিসের সরু নালার ওপর গণ্ডোলায় চড়ে কোনো ইতালীয় রাজপুত্তুরের মতো ভেসে যাচ্ছিল। জল বয়ে যাচ্ছিল, খুশি বয়ে যাচ্ছিল, নবেকষ্টও বয়ে যাচ্ছিল, চলকে চলকে।

বাস-স্টপেজের কাছাকাছি এসে হঠাৎ ওর মগজের মধ্যে কী যেন একটা অস্ফুট ভাবনা প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ের মতো ঘুরপাক খেতে লাগল। খুব শুকনো, জ্বালাধরা যন্ত্রণাময় কোনো ভাবনা। ভাবনাটাকে, স্মৃতির খেপলাজাল বার বার ছুড়েও ধরতে পারল না ও। ফসকে যেতে লাগল। পরমুহূর্তেই মনে হল পেয়েছে, পেয়েছে। মরা চৈত্র মাসের বিস্মৃতির পুকুরে পোলো দিয়ে কইমাছ ধরার মতো করে ও ভাবনাটাকে খপাস করে ধরে ফেলল।

ধরে ফেলতেই, ওর পা দুটো অনড় হয়ে গেল। বাস-স্টপেজের অনেক আগেই ও একটা লাইট-পোস্টে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। বাধ্য হয়েই।

ওর মনে পড়ে গেল যে, ওর স্ত্রী শেফালিও কিছুদিন আগে ওকে ঠিক এই কথাই বলেছিল। মানে, মৃন্ময়ী একটু আগে যা বলল ওকে মৃগাঙ্ক সম্বন্ধে।

এজি বেঙ্গলের লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক নবকেষ্টর বন্ধু যোগব্রতর প্রতি নবকেষ্টর সুন্দরী স্ত্রী শেফালির মনোযোগ দেখে বিদ্রূপের সঙ্গে ও শেফালিকে জিজ্ঞেস করেছিল, কী দেখেছ তুমি ওর মধ্যে?

মৃন্ময়ী, সরি, শেফালি ঠিক মৃন্ময়ীর মতো করেই নবকেষ্টকে ঘৃণার সঙ্গে, শ্লেষের সঙ্গে বলেছিল, আমার মধ্যে ভ্যাকুয়াম ছিল। তোমার কাছ থেকে যা-পাইনি, যোগব্রত তা আমাকে দিয়েছে।

নবকেষ্টর মাথাটা পরিষ্কার হয়ে এল। বহু বহুদিন বাদে ওর হঠাৎ নিজেকে দারুণ সাকসেসফুল বলে মনে হল।

অনেকই ডিফারেন্স ছিল ট্রায়াল-ব্যালান্স-এ। অনেকই দিন ধরে। মনে হল, ট্রায়াল মিলল। ব্যালান্স-শিটও মিলে যাবে এবারে। মনে হল নবকেষ্টর।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *