।। বৃহত্তপোব্রতস্য মাহাত্ম্য।।
অথ পাপাপহং বক্ষ্যে বৃহদ্তমনুত্তমম্। সুরাসুরমুনীনাং চ দুল্লভং বিধিনা শৃণু।।১।। পর্বন্ন্যাশ্বসুজস্যান্তে পায়সং ঘৃতসং যুতম্। নক্তং ভুজ্ঞীত শুদ্ধাত্মা তদনং বৈক্ষবান্বিতম্।।২।।
।। বৃহৎ তপো ব্রত মাহাত্ম্য।।
আচম্যাথ শুচির্ভূত্বা বিপ্লজং দত্তধাবনম্। ভক্ষয়িত্বা মহাদেবং প্রণম্যেদমুদীরয়েৎ।।৩।। অহং দেবব্রতমিদং বাতুমিচ্ছামি শাশ্বতম্। তবাজ্ঞয়া মহাদেব যথা নির্বহতে কুরু।।৪।। ইত্যে বং নিয়মং কৃত্বা যাবৰ্ষানি ষোড়শ। তিথয়ঃ প্রতিপৎ পূর্বা ভজিষ্যামীত্যনু ক্রমাৎ।।৫।। ততো মার্গশিরে মাসি প্রতিপদ্যপরেহ হনি। পৃষ্ট্বা গুরুং চোপবাসং মহাদেবং স্মরণ মুহুঃ।।৬। স্নাত্মা দেবং সমভ্যর্চ্য রাত্রৌ প্রজ্বাল্য দীপকান্। যমুনাং চ মহাদেবং নত্বা পশ্চান্নিমন্ত্রয়েৎ।।৭।। মহাদেবরতান্বি প্রান্ সপত্নীকান্যতব্রতান্। ষোড়শাষ্টৌ তদর্থং বা একং বা শক্ত্যপেক্ষয়া।।৮।। আমন্ত্র্য স্বগৃহং গত্বা মহাদেবং সমরানক্ষতৌ।। শুচিবস্ত্রাসতৃতায়াং তু নিরাহারো নিশিস্বপেৎ।।৯।।
এই অধ্যায়ে বৃহৎ তপোব্রত মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে। ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণ বললেন, এখন আমি সম্পূর্ণ পাপহারী সর্বোত্তম বৃহৎ ব্রত বিষয়ে বলব। এই ব্রত সুর ও অসুর এবং মুনিগণ সকলের জন্য দুর্লভ। এখন বিধিপূর্বক তা শ্রবণ কর। আশ্বিন মাসের অন্তিম পর্বে ঘৃত সংযুক্ত পায়স রাত্রে খেতে হয়। শুদ্ধাত্মাগণ বৈক্ষবান্বিত অন্ন গ্রহণ করবে। আচমনপূর্বক বিল্বকাষ্ঠে দত্তধাবন করে শ্রীমহাদেবকে প্রণাম করে বলবে— হে মহাদেব, আপনি কৃপা করুন যাতে করে এই ব্রত সম্পাদনের নিমিত্ত সকল কার্য আমি করতে পারি এইভাবে নিয়ম করে ষোড়শবর্ষ ধরে প্রথম প্রতিপদ তিথিতে ভোজন করব। অনন্তর অগ্রহায়ণ মাসের প্রতিপদ তিথির দ্বিতীয় দিন গুরুর নিকট উপবাস বিষয়ে জেনে শ্রীমহাদেবকে বারবার স্মরণ করবে। স্নান করে দেবার্চনা পূর্বক রাত্রে দীপ প্রজ্জ্বলিত করে মহাদেব ও যমুনাকে আমন্ত্রণ করবে ও প্রণাম জানাবে।।১-৭।।
শ্রীমহাদেবের প্রতি ভক্তিমান্ সপত্নী ষোড়শ, আট, চার বিপ্রকে যথাশক্তি আমন্ত্রণ করে গৃহে নিয়ে আসবে। এইভাবে শ্রীমহাদেবকে স্মরণ করে ভূমিতে পবিত্র বস্ত্র পেতে নিরাহার শয়ন করবে।।৮-৯।।