উপন্যাস
বড়গল্প
ছোটগল্প
1 of 2

বড়মামার মশা মারা

বড়মামার মশা মারা

বড়মামার বাগানে চব্বিশটা নারকেল গাছ। আম, জাম, সুপুরি, ফলসা, কলা তো আছেই। বারোমেসে ফুলগাছেরও অভাব নেই। দুটো বড় পুকুর। বড়মামা বাহার করে নাম রেখেছেন, গোলদিঘি আর পালদিঘি। প্রচুর মাছ ছেড়েছেন। ধরার উপায় নেই। ধরলেই দক্ষযজ্ঞ। মাছ বেড়ে-বেড়ে এত মাছ হয়েছে, কোনও পুকুরেই নামার উপায় নেই মাছে গুঁতো মারে, কাঁটা মারে। সেদিন একটা বড় কাতলা মাছ মাসিমার কাপড় ছিঁড়ে ফর্দা ফাঁই করে দিয়েছে। বড়মামার কাণ্ডকারখানায় কেউ সন্তুষ্ট নয়। মেজোমামা এত রেগে আছেন, একমাস কথা বন্ধ। বড়মামা আমাকে বলেছেন, গীতায় বলা আছে, কাজ করে যাবে, ফলাফলের দিকে তাকাবে না। মেজোমামাকে সে কথা বলেছিলুম। মেজোমামা উত্তরে বলেছিলেন, গীতা কাজের কথা বলেছেন, উনি সারা জীবন যা করলেন, এখনও যা করবেন, সবই অকাজ। বড়মামাকে মেজোমামার উত্তর বলায়, হো-হো করে তিন মিনিট হেসে বললেন, কবি বলেছেন, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে। মেজোমামা শুনে বললেন, চললে তা বোঝা যেত। উনি তো গোল হয়ে ঘুরেই চলেছেন, বৃত্তাকারে। জীবজন্তু, গাছপালা, ধর্ম, ধর্ম, গাছপালা, জীবজন্তু। বড়মামা বললেন, আমি তো তবু ঘুরছি। বেশ, না হয় গোল হয়েই ঘুরছি, উনি তো জীবনটা শুয়ে-শুয়েই কাটিয়ে দিলেন। চলার মধ্যে ভুঁড়িটাই বেড়ে চলেছে। হইহই করে ভুঁড়ি বাড়ছে।

বড়মামারও তো টাক বাড়ছে।

চারপাশে গাছপালা আর ঝোপ-ঝাড় থাকলে ভীষণ মশা হয়। সন্ধের সময় আমরা কেউ বসতে পারি না স্থির হয়ে। এই বড়-বড় কালো-কালো মশা। মেজোমামার লেখাপড়ার কাজ থাকে। মাঝে-মাঝে উঃ-আঃ শব্দ করেন। আর বলেন, নাঃ বাড়িটাকে আফ্রিকার জঙ্গল বানিয়ে ছেড়ে দিলে। হটেনটটদের মতো গায়ে ছাইপাঁশ মেখে না বসতে পারলে মশার জ্বালায় এক মুহূর্ত স্থির থাকা যাবে না। সেদিন আচমকা নিজের গালে নিজেই এমন চড় হাঁকালেন, চোখ থেকে চশমা ছিটকে দশহাত দূরে পড়ল। ভাগ্য ভালো, কাচ ভাঙল না। অসম্ভব রেগে গিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেলেন। রাস্তায় মেজোবাবুকে খামোকা পায়চারি করতে দেখে, সকলেরই এক প্রশ্ন, হল কী? সকলকেই এক উত্তর, বড়বাবু বাড়িতে ব্ল্যাডব্যাঙ্ক খুলেছেন, আমার দান করার মতো অত রক্ত শরীরে নেই।

সে আবার কী?

পাঁচ মিনিট ভেতরে গিয়ে স্থির হয়ে একটু বসার চেষ্টা করে দেখুন।

মাসিমাও ভীষণ ক্ষেপে আছেন। সেদিন সন্ধেবেলা সবে গান গাইতে বসেছেন। আছে দুঃখ বলে যেই হাঁ করেছেন, একেবারে টাগরায়। কেশে-কেশে চোখ মুখ জবা ফুলের মতো লাল। বড়মামা বললেন, এ হল গিয়ে হুপিং কাফ। কালই অটো ভ্যাকসিন দিতে হবে। দই, টক, ঘি, তেল ভাজাভুজি সব খাওয়া বন্ধ। কিছুতেই মানবেন না মশা সেঁধিয়েছে গলায়। বড়মামা মেনে নিলে মাসিমা অত রাগতেন না। মাসিমার অবশ্য সেই দিনই জানা হল মশার স্বাদ কীরকম। আমরাও জানতে পারলুম টকটক ঝাল-ঝাল। বেশ ঝাঁঝও আছে।

যে-কোনও জিনিসই বড়মামা একটু দেরিতে মানেন। আর মেনে নিলে সঙ্গে-সঙ্গে কাজ হয়। এমন কাজ হয় যে সকলেই তখন স্বীকার করেন একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল। অতটা না হলেও চলত। বড়মামা মানুষের কথা তেমন বিশ্বাস করেন না। যেমন মশা নিয়ে মানুষের হইচই বড়মামা গ্রাহ্যই করতেন না। বললেই বলতেন এটা তো সায়েবদের দেশ নয়। বাংলাদেশের বনে বাদাড়ে মশা একটু হবেই। আমাদের ছেলেবেলায় আরও-আরও মশা ছিল। চলতে ফিরতে মশার সঙ্গে ধাক্কা লাগত। মশারি ফেলে গান গাইলেই হয়। আমাদের বাল্যকালে বড়-বড় কালোয়াতি গানের আসর বসত মশারির ভেতরে। ওস্তাদ ফজলু খাঁ, ঝিলমিল বাঈ, হুড়ুমজান গুরুমজান সব মশারির ভেতরে সারেঙ্গিওলা আর তবলচিকে নিয়ে বসতেন। শ্রোতারা থাকত বাইরে। তালে লয়ে চটাস-চটাস করে মশা মারত। গান জমে উঠত আপনাআপনি। ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। প্রয়োজনই আবিষ্কারের উৎস। নেসেসিটি ইজ দ্য মাদার অভ ইনভেনসান।

বড়মামার একজোড়া সাদা কাকাতুয়া আছে। সারাদিন কপচায়। রাতে ঘাড় কাত করে দাঁড়ে বসে ঘুমোয়। সেদিন বড়মামা বারান্দায় পায়চারি করতে-করতে গুনগুন করে গাইছিলেন, ভবে সেই সে পরমানন্দ। আর কাকাতুয়া দুটো থেকে-থেকেই পাখা ঝাপটাচ্ছিল। বড়মামা প্রথমে ভেবেছিলেন ওরা গান শুনে মুগ্ধ হয়ে তালি বাজাচ্ছে। যতই হোক ভক্ত পাখি তো। সকালে রাধেকৃষ্ণ-রাধেকৃষ্ণ করে বাড়ি ফাটায়। কিন্তু পাখি দুটো এলোমেলো ঝটাপটি শুরু করে দিল। তাল, লয়, সম কিছুই মানছে না আর তখনই বড়মামার সন্দেহ হল। পাখি তাল দিচ্ছে না। ঝটাপটি করছে অন্য কারণে। টর্চলাইট ফেলে দেখলেন। কাকাতুয়ার চোখ ঘুমে উলটে আছে আর রাশি-রাশি মশা একেবারে ছেঁকে ধরেছে। পালকটালক সব কালো হয়ে আছে। কিছু-কিছু মশা হড়কে-হড়কে পড়ে যাচ্ছে।

সঙ্গে-সঙ্গে বড়মামার ব্যবস্থা চালু হয়ে গেল। পাখি! আহা কৃষ্ণের জীব? মানুষ কষ্ট পাক ক্ষতি নেই, অবলা জীব মশার কামড়ে ছটফট করবে! সঙ্গে-সঙ্গে মশারির ব্যবস্থা সে এক এলাহি কাণ্ড। দাঁড় তো ঝোলাতে হবে। কিসে ঝুলবে? কেন আলনা? আলনায় দাঁড় ফিট করে তার ওপর ফেলা হল নাইলেকসের মশারি। পাখির পেছন থেকে কিছু বেরিয়ে মোজেকের মেঝে নষ্ট করে দিতে পারে। সে ব্যবস্থাও হল। সারি-সারি কাগজ পাতা। মেজোমামা কথা বলবেন না। প্রতিজ্ঞা করেছেন। ঘরের বাইরে থমকে দাঁড়িয়ে কাণ্ডটা দেখে শুধু বললেন, হুঁউঃ। তারপর চলে যেতে-যেতে বললেন, অস্ট্রেলিয়ার জঙ্গলেও কাকাতুয়ারা কি মশারি ফেলে ঘুমোয়? অ্যানিম্যাল এনসাইক্লোপিডিয়াটা একবার দেখ তো কুসি। কুসি আমার মাসিমার ডাক নাম।

বড়মামার একনম্বর অ্যাসিস্টেন্ট হলুম আমি। এটা কর, ওটা কর, সবই আমি মুখ বুজে করি। তাই বড়মামা আমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। মশারির চারপাশে পাশবালিশ চাপা দিচ্ছিলুম। মেজোমামার কথা শুনে কাজ থেমে গিয়েছিল। বড়মামা বললেন, কান দিও না একদম। জানবে—লজ্জা, ঘৃণা, ভয়—তিন থাকতে নয়। ঈশ্বরকে পেতে হলে গণ্ডারের গোঁ নিয়ে গোঁ-গোঁ করে এগোতে হবে। যে কাজ করছি তাতে ঈশ্বর আসছেন কোথা থেকে! না বাবা, তর্ক করব না। করলেই বড়মামা রেগে যাবেন।

রাতে বড়মামার ঘরে হুড়মুড় দুড়মুড়, ভীষণ শব্দ। ঠ্যাঙ-ঠাঙা-ঠ্যাঙ করে গোটা কতক টিনের কৌটোও পড়ল। কাকাতুয়াদের কর্কশ রাত ফাটানো চিৎকার। কী হল? কী হল? বাড়িসুদ্ধ লোক মাঝরাতে বড়মামার দরজার সামনে। মেজোমামা প্রতিজ্ঞা ভুলে ডাকছেন, ও বড়দা কী হল তোমার? বড়দা?

অনেক ডাকাডাকির পর বড়মামা ভেতর থেকে কাবু-কাবু গলায় বললেন, দরজাটা কোন দিকে বলতে পারিস? ঘরে এরা কারা?

মেজমামা দরজায় টোকা মেরে বললেন, এই যে উত্তর দিকে তোমার দরজা।

টুক করে আলো জ্বালার শব্দ হল। বড়মামা দরজা খুললেন। চেহারা দেখে হাসি পাচ্ছিল। মাথায় মুখে সাদা-সাদা কীসের গুঁড়ো। এলোমেলো চেহারা। যেন কলসির মধ্যে থেকে সিল্কের জামা বেরিয়ে এল। ঘর লণ্ডভণ্ড। আলনা ফ্ল্যাট হয়ে মেঝেতে পড়ে। মশারিতে জড়ামড়ি হয়ে বসে আছে হুমদো দুটো কাকাতুয়া। ঘরময় টিনের কৌটো গড়াগড়ি যাচ্ছে। ক্যাপসুল, হজমের পাউডার ছড়াছড়ি।

আকাশ থেকে নভোচর নেমে এলে যে ভাবে সকলে প্রশ্ন করে, আমরাও ঠিক সেই ভাবে বড়মামাকে প্রশ্ন করতে লাগলুম, কী হয়েছিল, কী হয়েছিল?

বড়মামার ঘুমের ঘোর তখনও কাটেনি। ধীরে-ধীরে সব মনে পড়তে লাগল। এতক্ষণ সব গুলিয়ে গিয়েছিল। ঘরের দরজা কোন দিকে তাই মনে ছিল না।

মেজোমামা আর একবার জিগ্যেস করলেন, তুমি কী করতে গিয়েছিলে?

বাথরুমে যাওয়ার জন্যে উঠেছিলুম। খেয়াল ছিল না ঘরের মাঝখানে এই রকম একটা কল তৈরি করে রেখেছি। সবসুদ্ধ জড়িয়ে মড়িয়ে কী যে হয়ে গেল।

যা হল তা তো দেখতেই পাচ্ছ।

বড়মামা বললেন, ওরে কুসি এক গেলাস জল।

কাকাতুয়া দুটোকে অতি কষ্টে সেই মশারির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হল। সে এক রক্তারক্তি ব্যাপার। দাঁড়ের কাকাতুয়া এক জিনিস। আর মেঝেতে দাঁড়সমেত পড়ে থাকা কাকাতুয়া আর এক জিনিস। ধরতে গেলেই কামড়ে দেয়। যেমন কাঁচির মতো ঠোঁট, তেমনি তার কামড়। অনেকটা ক্রিকেট খেলার মতন অবস্থা। প্রথমেই মাসিমা আউট। এক কামড়েই সরে পড়লেন। মেজোমামা ভয়ে আর ফিলডে নামলেন না। আমি আর বড়মামা বহুত কায়দা করে দুটোকে ধরে বারান্দায় রিঙে ঝুলিয়ে দিলুম। ঝুঁটিফুটি, পালকমালক চটকে কাকাতুয়া দুটোর অবস্থা তখন কাকতাড়ুয়ার মতো হয়েছে।

সকালে বড়মামা চা খেতে-খেতে বললেন,

—বুঝলে, মানুষকে অত খারাপ ভেবো না।

—আজ্ঞে, আমি তো তা ভাবিনি বড়মামা।

—না, ভাববে না। আমি অনেক সময় সেইরকমই ভেবে ফেলেছি। অন্যায় করেছি আজ আমি তোমাকে বলছি, কুকুর ভালো, বেড়াল ভালো, গোরু ভালো, পাখি ভালো, গাছ ভালো, মানুষও ভালো।

—বড়মামা, মশা কিন্তু ভালো নয়।

—আমি তো সেই জন্যে মশার নাম উচ্চারণ করিনি। কপালের ডানপাশে গোল আলুর মতো ফুলে আছে। সেই জায়গায় হাত বুলোতে-বুলোতে বললেন।

—আজ আমি মশান্ধিন যজ্ঞ করব। করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে। বড়মামা যে ভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন তাতে আমার ইচ্ছে করছিল, একটা চেয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে উঠে যুদ্ধের বিউগিল বাজাই ভ্যাঁ-পোঁ-পোঁ, পিপির পোঁ।

বড়মামার বাগানে কাজ করার জন্যে একজন লোক আছে, যার নাম পুঁটে। বেঁটেখাটো, পুঁটপুঁটে মানুষ। কখনও হাসে, কখনও কাঁদে, কখনও আপন মনে নাচে, খেতে দিলে খায়, নয়তো পড়ে-পড়ে ঘুমোয়। কাজে একবার মন লেগে গেলে রক্ষে নেই। তখন আর তাকে থামায় কে।

হাফপ্যান্ট পরে সেই পুঁটে নেমে পড়েছে বাগানে। মেজাজও বেশ ভালো। বাগান পরিষ্কার করে, পুকুরের পাড় পরিষ্কার করে পাতাটাতা পুড়িয়ে মশক বংশ ধ্বংস করা হবে। বড়মামা একটা সোলার টুপি পরে ওভারসিয়ার বাবুর মতো খুব হাঁকডাক করছেন।

বেশ কাজ এগোচ্ছিল। হঠাৎ পুঁটে নারকোল গাছের দিকে তাকিয়ে বললে, ভোলাবাবু ডাব খাব।

পুঁটে বড়মামাকে ভোলাবাবু বলে ডাকে। বড়মামা বললেন,—কত উঁচুতে ঝুলছে জানিস? অত উঁচুতে ঝোলে বলে আমরা মাঝে-মাঝে ডাব কিনে খাই।

—তোরা মানুষ নোস।

পুঁটে যা খুশি তাই বলতে পারে। কেউ কিছু মনে করে না। বড়মামা বললেন, অমন কথা বললি কেন?

—তোরা গাছে উঠতে পারিস না গাছ করেছিস বড়-বড়।

—তুই পারিস?

—দেখবি?

পুঁটে তড়াক করে গাছে লাফিয়ে উঠল। হাতে পায়ে জড়াজড়ি করে দেখতে-দেখতে উঠে গেল টঙে। গাছ থেকে প্রথমেই পড়ল বিশাল একটা পাতা ঝপাং করে। পুঁটে কিছু না নিয়েই উঠে গেছে গাছে। হাতে ধারালো কিছু নেই। কাঁদি ধরে টানলে কী আর ডাব পড়বে? অনেক ওপর থেকে পুঁটে বললে,

—একটা কাটারি পাঠিয়ে দেবে।

বড়মামা বললেন, তুই নেমে এসে নিয়ে যা।

পুঁটে বার কতক নীচের দিকে তাকিয়ে বললে,—মনে হচ্ছে আমি উঠতে পারি নামতে পারি না। আমাকে নামিয়ে নিয়ে যা।

—সে কী রে? বড়মামার চোখ কপালে উঠে গেল।

দেখতে-দেখতে গাছতলায় ভিড় জমে গেল। পুঁটে গাছের মাথায় উঠে বসে আছে। মাঝে-মাঝেই হুমকি ছাড়ছে পাঁচ মিনিটের মধ্যে নামা আমাকে। নইলে পড়ে মরে যাব।

কেউ বলেন, সার্কাস থেকে জাল আনাও। কেউ বলছেন, দমকল ডাকো। বড়মামা ভয়ে অস্থির; পুঁটে পড়লেই মরবে। মরলেই বড়মামাকে পুলিশে ধরবে। কেন তুমি লোকটাকে গাছে তুলেছিলে? মেজোমামা আবার বড়মামাকে খুব বকাবকি করছেন।

হঠাৎ পুঁটে বললে, দেখো আমি কেমন পাখির মতো উড়তে পারি।

নীচের সকলে চিৎকার করে উঠল—ওরে নারে নারে।

কে কার কথা শোনে। পুঁটে মারল পুকুরে লাফ। পুঁটে পড়ল জলে। বড়মামা পড়লেন মাটিতে। পুঁটে জল থেকে উঠে এসে জল নিঙড়ে-নিঙড়ে বড়মামার মাথায় থাবড়ে জ্ঞান ফিরিয়ে আনল।

বড়মামা পিট-পিট করে চাইছেন। পুঁটে মুচকি হেসে বললে,—তোরা বড় ভিতু। বড় মানুষরা বড় ভিতু হয়। আচ্ছা আসি রে। তোর ডাব তোর গাছেই রইল। গুনে নিস।

পুঁটে নাচতে-নাচতে চলে গেল।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *