।। পতঞ্জলি বৃত্তান্ত বর্ণনম্।।
চিত্রকূটে গিরৌ রম্যে নানাধাতু বিচিত্রিতে। তত্রাবসন মহাপ্রাজ্ঞ উপাধ্যায়ঃ পতঞ্জলিঃ।।১।। বেদবেদাংগত্ত্বঞ্জো গীতাশাস্ত্র পরায়ণঃ। বিষ্ণুভক্ত সত্যসন্ধো ভাষ্যশাস্ত্র বিশারদঃ।।২। কদাচিৎ স তু শুদ্ধাত্মা গতস্তীর্থান্তর প্রতি। কাশ্যাং কাত্যায়নে নৈব তস্য বাদো মহানভূৎ।।৩।। বর্ষান্তে চ তদা বিপ্রো দেবীভক্তেন নির্জিতঃ। লজ্জিতঃ স তু ধর্মাত্মা সন্তুষ্টাব সরস্বতীম্।৪।। নমো দের্ঘ্যৈ মহামূৰ্তৈ সর্বমূৰ্তৈ নমো নমঃ। শিবায়ৈ সর্বমাংগল্যে বিযুত্তমায়ে চ তে নমঃ।।৫।। ত্বমেব শ্রদ্ধা বুদ্ধিস্ত্বং মেধা বিদ্যা শিবং করী। শান্তিবাণী ত্বমেবাসি নারায়ণি নমোনমঃ।।৬।। ইতে্যুত্ত্বে সতি বিপ্রেতু বাগুবাচাশরীরিনী। বিপ্রোত্তম চরিত্রং মে তপ চৈকাগ্রমানসঃ।।৭।। তচ্চরিত্র প্রভাবেণ বিপ্রস্য রাজসংজ্ঞামুদ্ধত্তম্। মদবক্তা তেন সংপ্রাপ্তং পরাজয় পতঞ্জলে।।৮।। ইতি শ্রুত্বা বচো দেব্যা বিন্ধবাসিনি মন্দিরম্। গত্বা তাং পূজয়ামাসতুষ্টাব স্তোত্র পাঠতঃ।।৯।। জানাং প্রসাদজং বিপ্র প্রাপ্য বিষ্ণুপরায়ণম্। কাত্যায়ণং পরাজিত্য পরাং মুদমবাপহ।।১০।। উর্দ্ধপুণ্ড্রং চ তিলকং তুলসী বান্ঠমালিকাম্। কৃষ্ণমন্ত্রং চ শিবদং স্থাপয়িত্বা গৃহে গৃহে।।১১।। জনে জনে তথা কৃত্বা মহাভাষ্যং মুদরয়ৎ তিরবজীবিত্ব মগমদ্বিষ্ণুমায়া প্ৰসাদতঃ।।১২।। ইতি তে কথিতো বিপ্র জাপ্যানামুত্তমো জপঃ কিমন্যচ্ছে।তুমিচ্ছন্তি শৌনকাদ্যা মহৰ্যয়ঃ।।১৩।। সর্বে ভদ্রানি পশ্যন্তু মা কশিদুঃখ ভাগ ভবেৎ।।১৪।। মংগলং ভগবান বিষ্ণুমংগলং গরুড়ধ্বজঃ। মংগলং পুন্ডরীকাক্ষো মংগলা যতনো হরি।।১৫।। শুচিয়ো হি নরো নিত্যমিতিহাস সমুচ্চয়ম্। শৃণুযাদ্ধর্য কামার্থী স যাতি পরমাং গতিম্।।১৬।।
।। পতঞ্জলি বৃত্তান্ত বৰ্ণন।।
এই অধ্যায়ে মহাভায়্যকার পতঞ্জলির বৃত্তান্ত বর্ণিত হয়েছে।
শ্রীসূতজী বললেন–পরমরম্য চিত্রকূট পর্বতে পতঞ্জলি উপাধ্যায় নিবাস করতেন। তিনি বেদ- বেদাঙ্গে পারদর্শী ছিলেন। কোনো এক সময় তিনি তীর্থান্তরে কাশীতে গেলেন। সেখানে কাত্যায়ন নামক এক বিদ্বানের সঙ্গে তার বাদানুবাদ হয়। তিনি পরাজিত ও লজ্জিত হয়ে দেবী সরস্বতীকে প্রসন্ন করেন। তিনি বললেন–হে বিষ্ণু্যায়ে, শিবা, সর্বমঙ্গলা, আপনাকে প্রণাম। আপনিই বুদ্ধি ও শিবঙ্করী বিদ্যা। তাঁর স্তুতি শ্রবণ করে দেবী বললেন তুমি একাগ্রচিত্তে আমার চরিত্র একাগ্র চিত্তে জপ কর। তার প্রভাবে তুমি সত্য ও জ্ঞান প্রাপ্ত হবে। কাত্যায়ন বিপ্র উদ্ধত রাজ সজ্ঞানে তা প্রাপ্ত হয়েছে তুমি তাকে পরাজিত কর।।১-৮।।
একথা শুনে বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরে গিয়ে দেবীর পূজন ও স্তোত্রপাঠ তাকে সন্তুষ্ট করলেন। বিপ্র জ্ঞান প্রাপ্ত হয়ে বিষ্ণুভক্ত কাত্যায়নকে পরাজিত করলেন ও পরম আনন্দ পেলেন। উর্দ্ধ পুন্ডতিলক, তুলসী মালা ও কৃষ্ণমন্ত্রের মাহাত্ম্য প্রচার করে তিনি মহাভাষ্য রচনা করলেন ও চিরজীবত্ব প্রাপ্ত হলেন।
হে শৌনকাদি মহর্ষি লোক কল্যাণ কর এই বাহিনী তোমাদের বললাম। ভগবান্ বিমুত্ত, গরুড়ধ্বজ, পুন্দরীকাক্ষ সদা মঙ্গলময়। যিনি পবিত্র চিত্তে এই ইতিহাস কথা শ্রবণ করে তিনি দেহান্তে পরম প্রাপ্ত হন।।৯-১৬।।