দাউ দাউ আগুন
কাঠকয়লার আগুন
1 of 2

দাউদাউ আগুন – ১২

বারো

ঠিক তিনটের সময় চেম্বার খুললেন বনবিহারী। তখনও কোনও পেশেন্ট আসেনি। কিন্তু সকালবেলায় বাড়িতে আসা সেপাইটি এল মুখবন্ধ খাম নিয়ে। লোকটাকে দাঁড়াতে বলে খাম খুললেন বনবিহারী। তিনটি শব্দ লেখা রয়েছে। ‘ধন্যবাদ। অভিযান সফল।’

সেপাইটির দিকে তাকালেন বনবিহারী। নির্লিপ্ত মুখে দাঁড়িয়ে আছে রাজবংশী প্রৌঢ়। কী বলবেন ওকে? তার বদলে মাথা নাড়লেন, ‘ঠিক আছে।’

লোকটি চলে গেল।

অভিযান সফল। তার মানে ছেলেটি ধরা পড়েছে। অথবা মারা গিয়েছে। মামণিকে কি দেখতে পেয়েছিল ছেলেটা? দেখলে নিশ্চয়ই অবাক হয়েছিল। হয়তো নিজেদের লোক মনে করে এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু পুলিশ কোথায় ছিল? বনবিহারী ওই জঙ্গলে কোনও পুলিশকে দেখতে পাননি। মামণি ছুটে এসেছিল হাতির ভয়ে। হাতিরা তো মানুষ নয় যে পুলিশকে ভয় করবে! এইসময় একজন পেশেন্ট ঢুকতেই ভাবনায় ছেদ পড়ল বনবিহারীর।

সকালে চেম্বার খোলা হয়নি তাই বিকেলে ভিড় বেড়েছে। দ্বিতীয় জনকে তিনি বেশ বিরক্ত গলায় বললেন, ‘আগেরবার আপনাকে বলেছিলাম রক্তটা পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট আনতে, সেটা কোথায়?’

আজ্ঞে, যাওয়া হয়নি।’

‘কেন?’

‘এখান থেকে সদরে অত সকালে যাওয়া যায় না। আপনি বলেছিলেন বারো ঘণ্টা না খেয়ে রক্ত পরীক্ষার জন্যে দিতে হবে। সবাই বলল সকাল আটটার মধ্যে যেতে হয়। তারপর আসা-যাওয়ার খরচ আছে, পরীক্ষার পর রিপোর্ট নিতে আবার যেতে হবে। এত পয়সা খরচ করার ক্ষমতা আমার নেই ডাক্তারবাবু।’ লোকটি করুণ গলায় বলল।

‘তাহলে আমি আপনার কি অসুখ হয়েছে বুঝব কি করে?’ বনবিহারী জিজ্ঞাসা করলেন।

‘আপনি সব বোঝেন। ওসব পরীক্ষা করে অসুখ ধরে ছেলেছোকরা ডাক্তার।’

‘আশ্চর্য! আমি যখন থাকব না তখন আপনারা কি করবেন?’

‘কি যে বলেন! আপনি শতবর্ষ বাঁচবেন।’

‘আরে দূর! আমি তো এখান থেকে চলেও যেতে পারি!’ হাসলেন বনবিহারী।

ব্যাস। তারপর থেকে ওটাই তাঁর মুখে বারংবার শুনতে লাগল পেশেন্টরা। সন্ধার পরে যখন চেম্বার একটু ফাঁকা হল তখন একটা দামি গাড়ি এসে দাঁড়াল। যে ভদ্রলোক গাড়ি থেকে নেমে এলেন তাঁকে আগে কখনও দ্যাখেননি বনবিহারী। দামি পোশাক এবং টানটান শরীরের মানুষটি চেম্বারে ঢুকে হাতজোড় করে বললেন, ‘আমি অশোক দত্ত। নিউ এথেন্স টি গার্ডেনের ম্যানেজার হিসেবে গত মাসে কাজ শুরু করেছি। আমার বাগানের ডাক্তারবাবু তিনদিনের ছুটিতে গিয়েছেন। পাশের বাগানের ম্যানেজার আপনার কথা বললেন। এই অঞ্চলে আপনার মতো এফিশিয়েন্ট ডক্টর আর কেউ নেই। তাই আপনার সাহায্য চাইতে এসেছি।’

বনবিহারী বললেন, ‘বসুন।’

অশোক দত্ত বসলেন। তারপর বললেন, ‘আপনাকে কষ্ট করে আমার বাংলোয় যেতে হবে।’

‘কেন?’

‘আমার স্ত্রী খুব অসুস্থ।’

‘কি হয়েছে তাঁর?’

‘বলছেন পেটে ব্যথা হচ্ছে খুব।’

‘ওকে সদরে নিয়ে গিয়ে ভালো নার্সিহোম বা হাসপাতালে ভরতি করছেন না কেন? পেটের ব্যাপার। কোনও কমপ্লিকেশন হলে আমার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। আপনি ওঁকে এখনই নিয়ে যান।’ বনবিহারী বললেন।

‘আমার বাগানে অ্যাম্বুলেন্স নেই। গাড়িতে বসিয়ে অতদূরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। আপনি একবার ওঁকে দেখুন। তারপর যা বলবেন তাই করব।’

ঘড়ি দেখলেন বনবিহারী। তাঁকে দ্বিধান্বিত দেখে অশোক দত্ত বললেন, ‘প্লিজ! আমি আপনাকে পৌঁছে দিয়ে যাব। ফি-এর জন্যে চিন্তা করবেন না।’

‘বেশ।’ উঠে দাঁড়ালেন বনবিহারী। পেটের ব্যথা সংক্রান্ত কিছু ওষুধ ব্যাগে নিয়ে যে ছেলেটি চেম্বার খোলাবন্ধ করে তাকে ডেকে বন্ধ করতে বললেন। সে যেন বাড়িতে খবর দিয়ে দেয় যে তাঁর কল থেকে ফিরতে দেরি হবে।

নিউ এথেন্স টি গার্ডেন পৌঁছতে চল্লিশ মিনিট লাগল। রাস্তা ভালো নয়। ঝাঁকুনি হচ্ছে বলে অশোক দত্ত ক্ষমা চাইছিলেন। বললেন, ‘বারংবার অনুরোধ করছি কিন্তু পি ডব্লু ডি কান দিচ্ছে না। গত বর্ষার পরে এই দুর্দশা চলছে।’

বড় রাস্তা থেকে বাগানের রাস্তায় গাড়ি ঢুকতেই ঝাঁকুনি বন্ধ হল। ঘুমন্ত চা বাগানের মধ্যে দিয়ে গাড়ি মিনিট চারেক মসৃণ গতিতে এসে থামল বাংলোর গেটের সামনে। একজন চৌকিদার সেলাম করে গেট খুলে দিতে অশোক দত্ত গাড়ি ভেতরে নিয়ে গেলেন।

ব্রিটিশ আমলের কাঠের বাংলো। এখনও মজবুত। দোতলায় উঠে একটা হলঘরে তাঁকে বসতে বলে ভেতরে চলে গেলেন অশোক দত্ত। বনবিহারী দেখতে পেলেন হলঘরের একপাশে দুজন ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছেন। চোখাচোখি হতে তাঁরা নমস্কার করলেন।

বনবিহারী জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনারা?’

একজন জবাব দিলেন, ‘আমরা অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার।’

অশোক দত্ত ফিরে এসে বললেন, ‘আসুন।’

একটি ঘর পেরিয়ে বেডরুমে ঢুকলেন ওঁরা। বিছানায় যে ভদ্রমহিলা শুয়ে ছটফট করছেন তাঁর বয়স পঁয়ত্রিশের আশেপাশে। মুখ প্রায় সাদা হয়ে গেছে। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে আছে মদেশিয়া এক মহিলা।

অশোক দত্ত বললেন, ‘শুনছ? ডাক্তারবাবু এসেছেন।’

সঙ্গে-সঙ্গে মাথা নাড়লেন মহিলা। উনি চাইছেন না বোঝা গেল।

মদেশিয়া মহিলা বিছানার পাশে একটা চেয়ার এগিয়ে দিলে তাতে বসলেন বনবিহারী। মহিলার হাত ধরে নাড়ি দেখলেন। খুব দুর্বল। চোখের পাতা টেনে পরীক্ষা করে বললেন, ‘কি হয়েছে?’

ফিসফিস করে উত্তর এল। ‘ব্যথা। মরে যাচ্ছি, মরে যাচ্ছি।’

‘কখন শুরু হয়েছে?’

বিকেলের পর। সন্ধের আগে।’ মদেশিয়া মহিলা উত্তরটা দিল।

বনবিহারী অশোক দত্তর দিকে তাকলেন, ‘আমি ওঁকে একটু পরীক্ষা করব।’

‘নিশ্চয়ই।’ অশোক দত্ত ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন।

ভদ্রমহিলার পরনে একটি রাত-পোশাক যা পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ঢেকে রেখেছে। বনবিহারী পোশাকের ওপর দিয়ে পেটের একট অংশে চাপ দিলেন, ‘ব্যথা লাগলে বলবেন!’ ভদ্রমহিলা কিছু বললেন না। তিনবার এইভাবে নিরুত্তর থাকার পর চতুর্থ জায়গায় চাপ দিতে ভদ্রমহিলা ককিয়ে উঠলেন, ‘ও ম্মাগো।’

‘কি খেয়েছেন?’ বনবিহারী জিজ্ঞাসা করলেন।

মদেশিয়া মহিলা বলল, ‘মেমসাহেব আজ বিকেলে চা-ও খাননি।’

বনবিহারী বললেন, ‘শুনুন আপনি যদি বাঁচতে চান তাহলে আমাকে সত্যি কথা বলুন। কি খেয়েছিলেন আপনি?’

‘আমি বাঁচতে চাই না।’ জড়ানো গলায় জবাব এল।

‘তাহলে তো কিছু করার নেই।’ হাসলেন বনবিহারীর, ‘কিন্তু মরতে চাইছেন কেন?’

ভদ্রমহিলা মুখ ফিরিয়ে দেখার চেষ্টা করলেন। তাঁর চোখের জল গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ল। ঠোঁট কামড়ালেন। তারপর বললেন, ‘আমি-আমি-মা হতে চাই না।’

‘ও।’ কয়েক সেকেন্ড সময় নিলেন বনবিহারী, ‘কিন্তু তার জন্যে তো অনেক সুব্যবস্থা আছে।’

‘ওকে জানালে ও রাজি হত না।’ বলেই যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠলেন।

‘কবে জানতে পেরেছেন?’

‘মাস দুই আগে। এখন তিন মাস।’

‘মিস্টার দত্ত জানেন?’

মাথা নেড়ে না বললেন মহিলা। নিঃশব্দে।

‘কি খেয়েছেন?’

‘একটা শেকড়। এখানকার মেয়েরা খায়। ওদের কিছু হয় না—ওঃ।’

প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট ধরে ভদ্রমহিলাকে বমি করালেন বনবিহারী। শেষ পযন্ত নেতিয়ে পড়লে একটা ঘুমের ইনজেকশন দিলেন। বমির সঙ্গে কিছু খাবারের সঙ্গে বেরিয়ে এসেছে যে বস্তু তা যে শেকড়ের অংশ তাতে সন্দেহ ছিল না তাঁর। বমি করানোর সময় অশোক দত্তকে ডেকে এনেছিলেন বনবিহারী। ভদ্রমহিলা ঘুমিয়ে পড়লে বনবিহারী বললেন, ‘মনে হয় আর ব্যথা হবে না। যদি হয় তাহলে কাল হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।’

‘একটা অনুরোধ করব?’

‘বলুন।’

‘আরও কিছুক্ষণ বসে যেতে অসুবিধে হবে?’

দরকার হবে না। উনি এখন ঘুমাবেন।’

‘তবু—!’

বাইরের ঘরে তাঁকে নিয়ে এলেন অশোক দত্ত। বনবিহারী দেখলেন সেই দুই অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার আর ওখানে নেই। সোফায় বসার পর অশোক দত্ত জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনি কি কোনও হার্ড ড্রিঙ্ক নেবেন?’

‘না।’ মাথা নাড়লেন বনবিহারী।

‘তাহলে, চা বা কফি?’

‘চা।’

অশোক দত্ত একটি বেয়ারাকে চায়ের হুকুম দিয়ে বললেন, ‘আমাকে যদি দু’মিনিটের জন্যে অনুমতি দেন—।’

মাথা নাড়লেন বনবিহারী। ভদ্রলোক ভেতরে চলে গেলেন।

আপাতদৃষ্টিতে অশোক দত্তকে ভদ্রলোক বসেই মনে হল তাঁর। কিন্তু ওঁর স্ত্রী কেন সন্তান্ধারণ করতে চাইছেন না? এমনকী স্বামীকে সে-কথা বলতেও চাননি তিনি। গোপনে শেকড়-বাকড় আনিয়ে তা খেয়ে নিষ্কৃতি পেতে চেয়েছিলেন। অথচ স্বামীকে বললে যে-কোনও নার্সিহোমে গিয়ে অ্যাবট করিয়ে আনতে পারতেন সহজে। অশোক দত্ত সেটা করতে দেবেন না বলে এই গ্রাম্য পদ্ধতির সাহায্য নিয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু কেন উনি সন্তান চান না? অশোক দত্ত নিশ্চয়ই চান। দুজনের এই বিপরীত মত কেন?

টেবিলে পড়ে থাকা একটা ইংরেজি খবরের কাগজ তুলে নিলেন বনবিহারী। পাতা ওলটাতে-ওলটাতে একটা ছোট্ট বিজ্ঞাপনে তাঁর চোখ আটকে গেল। একটি বড় এনজিও অভিজ্ঞ সুন্দরবনের গভীরের গ্রামগুলোয় চিকিৎসার কাজ করছে। অবিলম্বে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার তাঁদের চাই। নীচে টেলিফোন নাম্বার দেওয়া আছে। তাড়াতাড়ি কলম বের করে টেলিফোন নাম্বারটা নোট করে নিলেন বনবিহারী।

অশোক দত্ত ফিরে এলেন পোশাক পালটে। চাও এসে গেল।

অশোক দত্ত জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনি কি মনে করছেন?’

‘দেখলেন তো, চেষ্টা করেছি পেটে যা ছিল তা বের করে দিতে। তবে এখনও কিছু অংশ থেকে যেতে পারে। তাই কাল সকালে ওঁকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাবেন।’

‘কাল সকালে যদি ওর কোনও প্রব্লেম না থাকে?’

‘তাহলেও যেতে হবে। কারণ এতক্ষণে ওই শেকড়ের এফেক্ট নিশ্চয়ই গর্ভের ভ্রূণের ওপর পড়েছে। কোনও অবস্থাতেই ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না। আপনি ওখানকার ডাক্তারকে বলুন ব্যাপারটা। তিনি নিশ্চয়ই ওঁর শরীর থেকে ভ্রুণকে বের করে দেবেন।’

 চোখ বড় হয়ে গেল অশোক দত্তের, ‘কি বলছেন আপনি? ও প্রেগন্যান্ট ছিল?’

‘আপনি জানতেন না?’ অবাক হলেন বনবিহারী।

‘না। শি নেভার টোল্ড মি।’

‘আপনার কোনও ছেলেমেয়ে নেই?’

‘আছে। একটি ছেলে। দশ বছর বয়স। দার্জিলিং-এ পড়ে।’

‘বোধহয় ইনি আর সন্তান চাননি। আপনি রাজি হবেন না বলে আপনাকে না বলে শেকড় খেয়েছিলেন।’ বনবিহারী বললেন।

‘মাই গড। শেকড়? আমার স্ত্রী? আমি ভাবতেই পারছি না।’ চেঁচিয়ে উঠলেন অশোক দত্ত, ‘ডক্টর, আপনি ঠিক বলছেন?’

‘আপনি দেখলেন আমি ওঁকে অনেকক্ষণ ধরে বমি করালাম। সেই বমিতে শেকড়ের অংশ উঠে এসেছে। অনেকটা বমি হওয়ার পর উনি যেন স্বস্তি পেয়েছিলেন।’

‘কিন্তু শেকড় ও পাবে কোথা থেকে? কোন শেকড়ে এসব হয় তা ওর জানাই নেই।’ দু-হাতে মাথা চেপে ধরলেন অশোক দত্ত।

‘নিশ্চয়ই কারও সাহায্য নিয়েছিলেন।’

অশোক দত্ত বেশ জোরে ডাকলেন, ‘বুধনি!’

সেই মদেশিয়া মহিলা বেরিয়ে এল পাশের ঘর থেকে।

অশোক দত্ত জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি মেমসাহেবকে ওই শেকড় এনে দিয়েছ?’

দ্রুত মাথা নাড়ল বুধনি, ‘না সাহেব। আমাকে মেমসাহেব কিছু বলেননি। আমি জানিই না এসব।’

‘তাহলে কে এনে দিল?’

‘কি জানি?’

‘যাও।’

বনবিহারী উঠে দাঁড়ালেন, ‘এবার আমি যেতে চাই। একটা কথা বলি। এসময় ওঁকে কাঠগড়ায় দাঁড় না করিয়ে সহযোগিতা করুন। কাল নার্সিংহোমে নিয়ে যান।’

মাথা নাড়লেন অশোক দত্ত, ‘ওর খুব আফশোস ছেলেকে কাছে রাখতে পারেনি বলে। আমার ইচ্ছে ছিল একটা মেয়ে হোক। ও রাজি হত না। বলত, সেই মেয়ে তো দার্জিলিং কিংবা দুনের স্কুলে চলে যাবে। হয়তো সেই হতাশা থেকে—।’

ড্রাইভারকে অশোক দত্ত বলে দিলেন বনবিহারীকে পৌঁছে দিতে। গাড়ি ছাড়ার আগে একটা খাম এগিয়ে দিলেন, তিনি, ‘এটা রাখুন।’

অন্ধকার চা-বাগানের মধ্যে দিয়ে গাড়ি ছুটছিল। খামে কত টাকা আছে তা গোনার প্রয়োজন এই মুহূর্তে বোধ করলেন না বনবিহারী। তার চেয়ে অনেক বড় একটা রাস্তা পেয়ে গেছেন এখানে এসে। ওই টেলিফোন নাম্বারটা।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *