।। চন্ডিকাদেবী বাক্যবৰ্ণন।।
ইন্দুলে স্বর্গসংপ্রাপ্তে তে বীরাঃ শোক কাতরাঃ। শারদাং পূজয়ামাসুঃ সর্বলোকনিবাসিনীম্।।১।। জপ্তা শপ্তশতী স্তোত্রং ত্রিসন্ধ্যং প্রেমভক্তিতঃ। ধ্যানেনানমাপন্নাস্তদা সপ্তশতেহনি।। ২।। সামন্তদ্বিজ পুত্রশ্চ চামুন্ডো নাম বিশ্রুতঃ। সোহষ্টবর্ষবয়া ভূত্বা পূজয়ামাস চন্ডিকাম্।।৩।। দ্বাদশাব্দে ততো জাতে ত্রিচরিত্রস্য পাঠতঃ। পরীক্ষার্থং তু ভক্তানাং সাক্ষামূর্তিত্বমাগতা।।।। কুন্ডকেয়ং চ ভো ভক্তাঃ পূরয়ামি চ তামহম্। যূয়ং তু মনসোপায়ৈ কুরুধ্বং পূরণে মতিম্।।৫।।
।। চন্ডিকা দেবী বাক্য বর্ণন।।
এই অধ্যায়ে চন্ডিকা দেবীর বাক্য বর্ণন করা হয়েছে।
সূতজী বললেন, ইন্দুলের স্বর্গে গমনের পর সমস্ত বীর শোকাতুর হয়ে সর্ব লোক নিবাসী চন্ডিকাদেবীর পূজা করতে লাগলেন।।১।।
ত্রিসন্ধ্যা প্রেম ও ভক্তি কাতর হয়ে সপ্তশতীস্তোত্র জপ করে আনন্দ প্ৰাপ্ত হলেন, সপ্তশত দিবসে সমস্ত দ্বিজের পুত্র অষ্টমবর্ষীয় চামুন্ড চন্ডিকা দেবীর পূজন করতে লাগলেন।।২-৩।।
তার বয়স দ্বাদশবর্ষ হলে সে ভক্তের পরীক্ষার্থে সাক্ষাৎ মূর্তিত্ব প্রাপ্ত হন।। ভক্তগণ, এই কুন্ডিকা আমি পূর্ণ করছি, তোমরাও মনসোপায়ে তা পূর্ণ কর।। ৪-৫।।
সুখখানিস্তু বলবান্মদুপুষ্পৈস্তথা ফলৈঃ। কুন্ডিকাং পূরয়ামাস ন পুনৰ্বত্বমুপাগতা। বলখানিস্তথা মাংসে মূলশর্মা তু রক্তকৈঃ।।৬।। দেবকী চ তদা হব্যৈশ্চন্দনাদিভিরচনৈঃ। কুন্ডিকা পূরয়ামাস ন পূর্ণত্বমুপগতা।।৭।। আহ্লাদশ্চৈব সর্বাংগৈরুদয়ঃ শিরসা স্বয়ম্। কুন্ডিকা পুরয়ামাস তদা পূর্ণত্বমাগতা।।৮।। উবাচ বচনং দেবী স্বভত্তপন্ ভক্তবৎসলা। সুখাখানে ভবাীরো ভবিষ্যতি সুরপ্রিয়ঃ।।৯।। বলখানিমহাবীরো দীর্ঘে কালে স মৃত্যুভাক্ মূলশর্মা তু বলবান্নক্তবীজো ভবিষ্যতি।।১০।। দেবকী চ ভবেদ্দেবী চিরকালং স্বলোকগা। একস্তুদে ববৎ প্রোক্তোবলাধিক্যো দ্বিতীয়কঃ।।১১।। নিষ্কামোহয়ং দেবসিংহো মৃতো মোক্ষত্বমাপুয়াৎ। ইত্যুক্ত্বাত্তদর্ধে মাতা তে সৰ্বে তৃপ্তিমাগতাঃ।।১২।।
বলবান্ সুখখানি মধুপুষ্পের দ্বারা এবং ফলের দ্বারা তা পূরণ করলেন কিন্তু তা পূর্ণত্ব প্রাপ্ত হল না, বলখানি মাংসের দ্বারা ও মূলশর্মা রক্তের দ্বারা তা পূরণ করলেও তা পূর্ণত্বপ্রাপ্ত হলনা। দেবকা সেই সময় হব্য দ্বারা ও চন্দনাদি বস্তু দ্বারা কুন্ডিকা পূরণ করলেও তা পূর্ণ হল না। আহ্লাদ নিজ অঙ্গের দ্বারা, উদয়সিংহ স্বয়ং শিবের দ্বারা কুন্ডিকা পূরণ করলেন।।৬-৮।।
ভক্তের প্রীতি ধনকারীদেবী ভক্তগণকে বললেন, হে সুখখানি, তুমি দেবপ্রিয় বীর হবে, মহাবীর বলখানি দীর্ঘসময় জীবন লাভ করে মৃত্যু প্রাপ্ত হবেন। মূলশর্মা বলবান রক্তবীজ হবেন। দেবকী চিরকাল নিজলোকে দেবীরূপে গমন করবেন। আহ্লাদ ও কৃষ্ণাংশ দুইজনেই শ্রেষ্ঠ। তাদের মধ্যে একজন দেবতুল্য এবং অপরজন বলাধিক্য প্রাপ্ত বন। নিষ্কাম দেবসিংহ মৃত্যুর পর মোক্ষত্ব প্রাপ্ত হবেন। একথা বলে মাতা অন্তর্হিত হলে সকলে পরিতৃপ্ত হন।।৯-