।। গোষ্পদ তৃতীয় ব্রতস্য মাহাত্ম্য।।
পার্থ ভাদ্রপদে মাসি শুক্লপক্ষে দিনোদয়ে। তৃতীয়ায়াং চতুৰ্থৰ্থাং চ শুদ্ধায়াং প্রতিবৎসরম্।।১।। উপবাসেন গৃহীয়াদ্ ব্ৰতং নাম্না তু গোপদম্। স্ন্যত্বা নরো বা নারী বা পুষ্পধূপবিলৈপনৈঃ।।২।। দধ্যক্ষতৈশ্চ মালাভিঃ পিষ্টকৈবনালয়া। অভ্যজ্ঞয়েদ্বাং শৃং গং খুরং পৃচ্ছান্তসেবচ।।৩।। দধ্যাদ্বাহ্নিকং ভক্ত্যা তাসাং পূর্বাপরাহ্নয়োঃ। অনগ্নিপাকং ভীজ্ঞীত তৈলক্ষারবিবর্জিতম।। ৪।।
।। গোষ্পদ তৃতীয় ব্রত মাহাত্ম্য।।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন, হে পার্থ, ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিবর্ষ শুদ্ধ তৃতীয়া তিথিতে বা চতুর্থী তিথিতে উপবাস করে গোপদ নামক ব্রত গ্রহণ করতে হবে। নর-নারী স্নান করে পুষ্প-ধূপ-দীপ-বিলেপন-দধি-অক্ষত-মালা এবং পিষ্টক দ্বারা গাভীর শৃঙ্গ, খুর, পুচ্ছ ভাগ অভ্যর্চন করতে হবে। ভক্তিভাবে তার পূর্বাহ্ন ও অপরাহ্নে আহ্নিক করে তৈল ও ক্ষার রহিত অনগ্নি পাক করে ভোজন করতে হবে। হে ভারত, যাতায়াতকারী গাভীগণকে নিত্য পুর দ্বারে ও পোষ্ঠে নিম্ন মন্ত্রে অত্যচন করবে। রুদ্রমাতা, বসুদুহিতা, আদিত্য ভগিনী আপনি অমৃত নাভি। কদাপি অভীষ্টজনের প্রতিকুল হবেন না। অনাগা অদিতি গাভীর বধ কর।।১-৬।।
ব্ৰজন্তীনাং গবাং নিত্যমায়াত্তীনাং চ ভারত। সুরদ্বারেথ বা গোষ্টে মন্ত্রেণানেন মন্ত্রবিৎ। অধ্যং প্রদদ্যাদ গৃষ্টয়াং বা গবাং পাদেষু পান্ডব।। ৫।। মাতারুদ্রাণাং দুহিতা বসুনাং স্বসাদিত্যনাম মৃতস্য নাভিঃ। প্রণুবোচং চিকিতুষে জনায় মা গামনা গামদিতিং বধিষ্ট।।৬।। গাবো মে অগ্রতঃ সন্তু গাবো মে সন্তু পৃষ্ঠতঃ। গাবো মে হৃদয়ে সন্তু গবাং মধ্যে বসাম্যহম্।।৭।। ইত্থং সংপূজ্য দত্ত্বার্থং ততো গচ্ছেদ্ গৃহাশ্রমম্। পঞ্চস্যাং ক্রোধরহিতো ভূজীত গোরসং দধি।।৮।। শালিপৃষ্টং ফলং শাকং তিলমন্নং চ শোভনম্ ভুক্তাবসানে রাজেন্দ্র সংযতস্তাং নিশাং স্বপেৎ।।৯।। প্রভাতে গোপদং দত্ত্বা ব্রাহ্মণায় হিরন্ময়ম্। ক্ষময়েচ্চ গবাং নাথং গোবিন্দং গরুড়ধ্বজম্।।১০।। অৰ্চ্যন্তেহত্র যথা গাবস্তথা গোবধনোগিরিঃ। প্রণম্যাচ্যুতমুদ্দিশ্য শৃণু যৎফলমাপুয়াৎ।।১১।।
হে গোমাতা, তুমি আমার অগ্রভাগে, পৃষ্টভাগে, মধ্যভাগে, হৃদয়ে সদা নিবাস কর। এই প্রকারে গোমাতাগণের পূজা করে তথা অর্ঘ প্রদান করে গৃহাশ্রমে চলে যাবে। পঞ্চমী তিথিতে ক্রোধশূন্য হয়ে গোরস, দধি ইত্যাদি ভোজন করবে। শালি পিষ্ট-ফল-শাক-তিল ও শোভন অন্ন ভোজন করবে। হে রাজেন্দ্র ভোজন করে সংযত হয়ে রাত্রে শয়ন করবে। প্রভাতকালে ব্রাহ্মণগণকে হিরণময় গোপদ দান করে গোনাথ গরুড়ধ্বজ গোবিন্দের কাছে ক্ষমা গন করবে। গোমাতার ন্যায় গোবর্ধনেরও অচনা করবে। ভগবান্ অচ্যুতকে প্রণাম জানাবে। এই ব্রতের ফলশ্রুতি শ্রবণ কর।।৭-১১।।
গোভক্তো গোব্রতং কৃত্বা শক্ত্যা চ গোষ্পদম্।। সৌভাগ্যং রূপলাবন্যং প্রাপ্নোতি পৃথিবীতলে।।১২।। গোতনকাকুলং গেহং গোকুলং চ সমাসতঃ। ধনধান্য সমোপেতশালীক্ষুর সমৃদ্ধিমান্।।১৩।। সন্তানং পূজিতং লব্ধা ততঃ স্বর্গেহমরো ভবেৎ। দ্বিব্যরূপধরঃ অম্বী দিব্যালংকার ভূষিতঃ।।১৪।। গন্ধৈগীতবাদ্যেন সেব্যমানোহ স্পরোগনৈঃ। দিব্যং যুগশতং ছিত্ত্বা ততো বিষ্ণুপুরং ব্রজেৎ।।১৫।। যো গোপদব্রতমিদং কুরুতে ত্রিরাত্রংগা। গা বৈ প্রপূজয়তি গোরসপূজনাচ্চ। গোবিন্দমাদিপুরুষং প্রণতঃ সবিত্রামালোক। মুত্তমমুপৈতি গবাং পবিত্রম্।।১৬।।
গোভক্ত তা ভক্তিভাবের দ্বারা গোমাতার শক্তিতে পৃথিবীতে পরম সৌভাগ্য ও রূপ লাবণ্য লাভ করেন। গোবৎস সমাকুল গৃহ ধন-ধান্য-ইত্যাদিও লাভ করেন। সন্তানাদি লাভ করে স্বর্গে অমরত্ব লাভ করে। দিব্যরূপ ও দিব্যভূষণে ভূষিত হয়। সেখানে গন্ধর্বের দ্বারা গীতবাদ্য পরিবেশিত হয় এবং অপ্সরাগণ তার সেবা করেন। দিব্যশতযুগ সেখানে যাপন করে মানব বিষ্ণুপুরে গমন করে।।১২-১৫।।
যে ব্যক্তি ত্রিরাত্র গোপদ ব্রত পালন করেন, গাভীপূজনাদি পূর্বক ভগবান্ গোবিন্দকে প্রণাম নিবেদন করেন তিনি সাবিত্রী লোকে উত্তমপদ প্রাপ্ত হন।।১৬।।